অনলাইনে ইনকাম, ঘরে বসে আয়  করার সহজ উপায়! ইন্টারনেট থেকে আয় করার ওয়েবসাইট ২০২২ 

বর্তমান সময়ে ফেসবুক বা সোস্যাল মিডিয়ায় ঢুকলেই অনেকের প্রশ্ন দেখতে পাই কিভাবে অনালাইন  আয় করা যায়? কিভাবে ঘরে বসে ইনকাম করা যায়? কি করে সহজে অনলাইনে কাজ পাওয়া যায়? কি উপায়ে মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে আয় করা যায়? আবার অনেকেই বলে আমি কিভাবে ফ্রিলান্সিং শুরু করবো? ফ্রিলান্সিং বা আউটসোর্সিং কি ?

আপনাদের এই সমস্ত সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্যে এই আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি।এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়,কিভাবে ঘরে বসে সহজে আয় করা যায়, অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় অনলাইনে ইনকাম ২০২২: ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায়! 

আপনি মহিলা-পুরুষ, ছাত্র-ছাত্রী বা ফুল-টাইম জব করা একজন ব্যাক্তি হতে পারেন। কিন্তু, চিন্তা করবেন না কারণ এই অনলাইন ইনকাম করার পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে যেকেও খুব সহজে ঘরে বসে আয় করতে পারবে। সারা দেশে ইন্টার নেট এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে মানুষ ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। তাই আপনিও এই সুযোগ মিস না করে সময়কে সঠিক কাজে ব্যাবহার করার জন্য এই আর্টিকেলে সকল রাস্তা দেখিয়ে দিবো। এর জন্য আপনাকে মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ন আর্টিকেলটি পড়তে হবে। 

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় 

কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় প্রশ্নটির উত্তর দেবার আগে আমি আপনাদের একটি প্রশ্নের করি,  আপনি কি কোনি কাজ পারেন? বর্তমান সময়ে সবাই টাকা ইনকাম করতে চায় কিন্তু সবাই কি চাইলেই  টাকা ইনকাম করতে পারে? অনেকেই তো চাকরির জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু সবাই কি চাকুরি পায়? কেন পায় না ?

চাকুরি না পাওয়া বা চাইলেই ইনকাম করতে না পারার বেশ কিছু কারন থাকে। এরমধ্যে অন্যতম কারন হলো, প্রয়োজনীয় দক্ষতা / অভিজ্ঞতার অভাব। আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে আপনি কাজ করে ইনকাম করার জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করবেন এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা কিভাবে অর্জন করবেন?

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে 

অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং করার বিষয়টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্স কাজের সুযোগ দেয় কয়েকটি ওয়েবসাইট। সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলে দক্ষতা অনুযায়ী কাজের জন্য আবেদন করতে হয়। কাজদাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাযোগ করে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ দেয়।

কয়েকটি ওয়েবাসাইটে কাজের দক্ষতার বিবরণ জানাতে হয়, যাতে ক্রেতা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এসব সাইটের মধ্যে ফাইভার ডটকম আপওয়ার্ক ডটকম, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এ ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়। তবে এইকাজ মোটেই সহজ কিছু নয় । এরজন্যে আপনাকে প্রয়োজনীয় দক্ষতা  অর্জন করতে হবে।মনে রাখতে হবে, কাজ শেষ করার পর বায়ার এর চাহিদা মত কাজ বুঝে পেলে তবেই টাকা দেবে। গ্রাহকের পছন্দ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে দিতে হয় ফ্রিল্যান্সারকে। তাই কাজ করার জনে অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট কাজে পারদর্শী হতে হবে।

 

টাকা ইনকাম করার অ্যাপ ২০২২ 

অনেকেই বিভিন্ন সময়ে খুজে থাকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ। কিন্তু আসলে  এই ধরনের ইনকা  করার অ্যাপ গুলো অধিকাংশই কোন কাজে আসে না বা ভূয়া। যদিও বা কিছু অ্যাপ বা ওয়েবসাইডে কিছু ইনকাম করা যায়। তা শ্রমের তুলনায় অতি নগন্য। তাই এই ধনের অ্যাপ থেকে আমাদের দূরে থাকায় ভালো।

তবে আপনার যদি লেখালেখি করতে ভালো লাগে এবং ঘরে বসে পার্ট-টাইম হিসাববে টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন, তাহালে কনটেন্ট রাইটিং আপনার জন্য সেরা হতে পারে বর্তমানে ইন্টারনেটে এমন অনেক ব্লগ, ওয়েবসাইট, নিউজ পোর্টাল রয়েছে যেখানে মানুষকে আর্টিকেল বা কনটেন্ট রাইটিং করার কাজ দেওয়া হয়। তার জন্যে আপনি প্রয়জনীয় দক্ষতা অর্জন করে সেই কাজ গুলো করতে পারেন।

ঘরে বসে মোবাইলে আয়  

মোবাইল খুব বেশি ইনকাম করার মাধ্যম না হলেও বর্তমান সময়ে মোবাইলে আপনি অনেক ধরনের কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। এর মধ্যে আপনি ফেসবুকে পেজ খুলে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন পন্য বিক্রি করতে পারেন আবার ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশকিছু কাজ করে আপনি মোবাইল দিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারেন।

তাছাড়া আপনার যদি লেখালেখি করতে ভালো লাগে তাহালে কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন যা মোবাইল দিয়েও করা যায় বর্তমানে ইন্টারনেটে এমন অনেক ব্লগ, ওয়েবসাইট, নিউজ পোর্টাল রয়েছে যেখানে মানুষকে আর্টিকেল বা কনটেন্ট রাইটিং করার কাজ দেওয়া হয়।তার জন্যে আপনি প্রয়জনীয় দক্ষতা অর্জন করে সেই কাজ গুলো করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। 

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২২ 

এই মুহূর্তে আপনার হাতে একটি এনড্রোয়েড মোবাইল আছে তাই না? শুধু আপনি কেন এই সময়ে প্রায় সকলের হাতে হাতেই স্মার্ট ফোন আছে। কিন্তু আপনি কি একবার ভেবে দিখেছেন আপনার এই এনড্রোয়েড মোবাইল ব্যাবহার করে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারেন ! আপনার শখের মোবাইল দিয়ে আপনি আপনার বেকারত্ব দুর করতে পারেন। 

ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় 

আপনি হয়তো এই কথা শুনে অবাক হবেন। না অবাক হওয়ার মত কোন বিষয় এখন আর নাই কারন ইউটিউব এর মত এখন ফেসবুকেও ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করা যায়। শুধু ভিডিও না ফেসবুক পোস্ট থেকেও আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আপনি আপনার ফেসবুক ভিডিও গুলোতে মনিটাইজ করে ইউটিউব এর মত ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউবে যেমন গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা আয় হয় ঠিক তেমনি ভাবে ফেসবুকেও এড এর মাধ্যমে আয় করা যায়।ফেসবুক ভিডিও মনিটাইজ করতে হলে প্রথমেই আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকা লাগবে। তারপর ইউটিউবে যেমন ভাবে কিছু নিয়ম বা শর্ত পূরণ করতে হয়় মিনিটাইজেশনের জন্য তেমনি আপনাকে ফেসবুকের ও কিছু শর্ত পূরন করতে হবে মনিটাইজ এর জন্য।

আপনার ফেসবুক পেজে ১০,০০০ লাইক এবং দুই মাসে আপনার ভিডিওতে ৩০,০০০ এক মিনিটের ভিউ থাকা লাগবে। এই শর্তগুলো পূরণ করা হয়ে গেলে আপনি ফেসবুকের কাছে মনিটাইজ এর জন্য  এপ্লাই করতে পারবেন। আপনার পেজ এপ্রুভ হয়ে গেলে আপনার ভিডিও গুলোতে অ্যাড আসা শুরু করবে এবং আপনার আয়ও শুরু হয়ে যাবে।

 

ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় 

ভিডিও কনটেন্ট এর জনপ্রিয়তা দিনদিন বেড়েই চলেছে সেই সাথে বাড়ছে ইউটিউবের জনপ্রিয়তাও। ইউটিউব থেকে আয় করার বিষইয়টই এখন সকলেরই যানা। তবে ইউটিউব থেকে আয় করার একাধিক উপায় আছে এই ব্যাপারে বেশি মানুষ জানেনা।তাই চলুন জেনে নেই ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় বা কিভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার একাধিক উপায় কি কি? অনেকে মনে করেন শুধুমাত্র এডসেন্স এর মনিটাইজেশন থেকেই ইউটিউবে ইনকাম করা সম্ভব। তবে এই ধারণা একদম ভুল।কারন ইউটিউব থেকে আয় এর একাধিক উপায় রয়েছে। যেমনঃ 

  1. ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম 
  2. প্রোডাক্ট বিক্রি 
  3. ভিডিও এডিটিং সার্ভিস 
  4. প্রোডাক্ট রিভিউ ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 
  5. অনলাইন কোর্স 
  6. স্পন্সরড কনটেন্ট 
  7. ডোনেশনইত্যাদি 

গেম খেলে টাকা আয় app 

যারা ভিডিও গেম খেলতে পছন্দ করে বা শখের বসে গেম খেলে কিংবা Game খেলার প্রতি Addiction রয়েছে, তারা কিভাবে তাদের শখকে অনলাইন এ ইনকাম এর সোর্স হিসেবে নিজেকে তৈরি করবে সে বিষয়ে কিছু কথা বলবো। বর্তমানে অনলাইন বা অফলাইন ভিডিও গেম খেলা অনেকটা শখের কাজ। সাধাণরত স্কুল কলেজের ছাত্ররা ভিডিও গেম খেলতে পছন্দ করে। এমন অনেক ছাত্র ছাত্রী আছে যারা গেম খেলার জন্য স্কুল কলেজ ফাকি দিয়ে সাইবার ক্যাফেতে বসে ভিডিও গেম খেলে। আসলে যারা নিয়মিত গেম খেলে, তারা ভিডিও গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।

ভিডিও গেম খেলার প্রতি অধিক আগ্রহের কারনে একসময় একজন খেলোয়াড় ভিডিও গেম খেলায় বেশ পারদর্শী হয়ে উঠে তখন তারা ভিবিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে বিজয়ী হয়ে অর্থ উপার্যন করে। তারাছা আরো অনেক মাধ্যমে ভিডিও গেম খেলে ইনকাম করা যায়।’