কিভাবে বুদ্ধিমান হওয়া যায়? বুদ্ধিমান হওয়ার কৌশল জেনে নিন।

সবাই চায় বুদ্ধিমান হতে। কারণ বুদ্ধিমান মানুষকে সবাই পছন্দ করে। কিন্তু কিভাবে বুদ্ধিমান হওয়া যায়? মাত্র কয়েকটি বিষয় জেনেই বুদ্ধিমান হতে পারবেন। এই বিষয়ে কয়েকজন কোরা (Quora) ব্যবহারকারীদের মতামত ও উত্তর দেখে নিই।

Shafiul Nahid এর মতে যেভাবে বুদ্ধিমান হওয়া যায়:

বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য এই কয়টা জিনিস মাথায় রাখবেন।

  • কম কথা বলবেন।
  • একজন ভালো স্রোতা হয়ে যান দেখবেন অনেক কিছুই শিখতে পারবেন।
  • প্রতিমাসে ২ বা ৩ টা বই পড়বেন।
  • ফেইসবুক থেকে কোরায় সময় বেশি দিন।
  • আপনার থেকে বড় ছেলে বা মেয়েদের সাথে চলা ফেরা করুন।
  • কোনো কিছু বলার আগে নিজের মাথাই একবার ওই বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন।
  • প্রতিদিন নতুন কিছু না কিছু শিখেন।

নিহারিকা নেহা এর মতে যেভাবে বুদ্ধিমান হওয়া যায়:

বুদ্ধিমান বা বুদ্ধি বৃদ্ধির জন্য আপনি যা করতে পারেন –

১। আপনি বিভিন্ন ধাঁধার উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্ঠা করতে পারেন।

২। আপনি পাজল অথবা কিউব ইত্যাদি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন।

৩। আপনি বিভিন্ন কৌশল অথবা রহস্য সমাধানের চেষ্টা করতে পারেন।

৪। অনেক সময় প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলাতে আমাদের সঠিক ভাবে মাথা খাটাতে হয় তাই যতটুকু সম্ভব অন্যকে সাহায্য করুন এবং বিপদ আপদ মোকাবেলা করার মতো মানসিকতা তৈরি করুন এর ফলে আপনি আপনার বুদ্ধি এবং অভিজ্ঞতার বিকাশ সাধন করতে পারবেন।

৫। দুধে সবগুলো পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান বলে একে সুষম খাবার বলা হয়। তাই দুধ খেতে পারেন।

৬। খারাপ ভিডিও (পর্ণ) দেখা থেকে বিরত থাকুন কারণ তা আমাদের মস্তিষ্কে চিন্তা শক্তি, বিবেক ইত্যাদি বিকৃত করে দেয়।

৭। Be positive. পজেটিভ চিন্তা -ভাবনা করুন।মস্তিষ্কে পজেটিভ ভাবনার জায়গা দিন। দেখবেন অনেক সম্ভাবনা বা বিভিন্ন আইডিয়া সহজেই মাথায় আসবে।

খন্দকার মোঃ কামরুল ইসলাম এর মতে যেভাবে বুদ্ধিমান হওয়া যায়:

সৃষ্টিশীল হোন, বুদ্ধিমান এমনিতেই হয়ে যাবেন। আর হ্যা, বুদ্ধিমান হওয়ার সব কিছু কিন্তু আপনার হাতে নেই!

Bappa Bar এর মতে যেভাবে বুদ্ধিমান হওয়া যায়:

দেখুন, বুদ্ধি সবার মধ্যেই থাকে। সেটা বাড়তে থাকে নিজের অভিজ্ঞতা এবং আর জ্ঞানের দ্বারা ।

এর একটি সিম্পল লজিক বুঝুন যে, বুদ্ধিমান মানে হল – -লোকে যেটা পারল না আপনি সেটা পারলেন।

এক্ষেত্রে আপনি একটা কাজ করতে পারেন, যে কোন কাজই করুন না কেন লোকে যেভাবে কাজটি করে আপনি সেই কাজটি অন্য দৃষ্টিভঙ্গির সাহায্যে করুন।

তাছাড়া যদি কেউ কোন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করে ।আপনি সেখানে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এমনভাবে বলুন যাতে তারা ভাবনায় পড়ে যায় ।

এতে লোকে আপনাকে বুদ্ধিমান মনে করবে।

Himel Das এর মতে যেভাবে চালাক ও বুদ্ধিমান হওয়া যাবে:

চাকরি, পড়ালেখা বা ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক না কেন, সব ক্ষেত্রেই বুদ্ধিমানের পরিচয় দেয়া খুবই কষ্টের। তাই বুদ্ধিমান হওয়ার এমন কিছু টিপস জেনে নিন, যেগুলো ব্রেইনের নিউরনগুলোকে কার্যক্ষম করে দেবে আর আপনিও হয়ে উঠবেন বুদ্ধিমান ও জিনিয়াস।

এমন কিছু বিশেষ আচরণ রয়েছে যা জিনিয়াস বা বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়। তার মানে এই নয়, তিনি জিনিয়াস তাই, এগুলো প্রতিদিন করেন। এই ধারণাটি সম্পূর্ন ভূল। আসল কথা, তারা প্রতিদিন কিছু টিপস মেনে চলেন বলেই তারা জিনিয়াস হয়েছেন। তাই যদি জীবনে একজন জিনিয়াস হতে চান তবে এখন থেকেই কিছু টিপস অনুসরন শুরু করতে পারেন।

বুদ্ধিমান হওয়ার কৌশল

১। বিপরীত হাতে ব্রাশ করতে পারেন। যদি ডান হাত দিয়ে ব্রাশ করে থাকেন তবে এখন থেকে বাম হাত দিয়ে ব্রাশ করা শুরু করতে হবে। আর যদি বাম হাতে ব্রাশ করে থাকেন তবে ডান হাতে ব্রাশ করা করা শুরু করতে পারেন। এতে ব্রেইনে নতুন নতুন নিউরন তৈরি হয়। সবার এটাই মনে হতে পারে, বিপরীত হাতে ব্রাশ করলে তা এমন কি প্রভাব ফেলতে পারে? যখনই অন্য হাতে ব্রাশ করতে শুরু করেন তখনই ব্রেইন সজাগ হতে শুরু করে। আর নিউরন সংযোগগুলো আরও মজবুদ হতে শুরু করে। শুধু তাই নয় এটি নতুন নতুন কোষও গঠন করতে সাহায্য করে। যা ব্রেইনে এক নতুন প্রভাব ফেলতে থাকে পারে। যখন হাত পরিবর্তন করবেন বুঝতে পারবেন এটি আপনার জন্য কতটা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। তবুও এ কাজটি প্রতিদিন করতে হবে। রোজ এক হাতে ব্রাশ করলে একই নিউরন কার্যক্ষম হয়। অন্য হাতে ব্রাশ করা শুরু করলে ব্রেইনের একটা অংশ খুলে যায়। এর ফলে ব্রেইন আরো সক্রিয় হতে শুরু করে। হটাৎ করে যদি অন্য হাতে ব্রাশ করতে শুরু করেন তবে ব্রেইন কোষগুলো বৃদ্ধি পেতে থাকবে। যার ফলে এমন সব আইডিয়া মাথায় আসতে থাকবে যা আপনাকে একজন জিনিয়াসে পরিনত করতে সাহায্য করবে।

২। নির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি করতে হবে। লক্ষ্য যখন নির্দিষ্ট থাকে তখনই ব্রেইন ফুল শক্তিতে কাজ করতে পারে। আর এই কারণে বৃদ্ধ বয়সে ব্রেইনের কার্যকারিতা কমে যায়। কারণ ততোদিনে লক্ষ্য পূরণ হয়ে যায়। অবসরে যাওয়ার পর বেশির ভাগ মানুষই অন্য কোন লক্ষ্য নিয়ে আগানোর চেষ্টা করে না। তবে কিছু ব্যক্তি এমনও আছেন যারা অবসরের পরও কোন না কোন লক্ষ্য তৈরি করে এগিয়ে চলেন। যতদিন কোন লক্ষ্য থাকবে ততদিন ব্রেইনে সিগনাল যেতে থাকে, এই শরীরে এখনো শক্তির প্রয়োজন। এতে বুদ্ধিমত্তার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে থাকে। যদি জীবনে কোন লক্ষ্য না রাখেন তবে ব্রেইন ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে ঠিক ভাবে কাজ করবে না। তাই কোন না কোন লক্ষ্য রাখতে হবে, তারপর সম্পূর্ন শক্তি ওই লক্ষ্যের দিকে লাগিয়ে দিতে হবে। যতক্ষন জীবন কোন লক্ষ্য থাকবে ততক্ষন আপনার জীবনের শক্তি বা ক্ষমতা থাকবে। যতটা বেশি শক্তি নিয়ে লক্ষ্য পূরণ করতে থাকবেন আপনার লক্ষ্য ততটাই উচ্চতর দিকে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। এতে ব্রেইন আরও দ্রুত কাজ করতে থাকবে আর আপনি একজন বুদ্ধিমান মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন।

৩। ডায়রি বা নিজের জীবনী লিখতে পারেন। পুরো দিন কি কি করলেন তা ঘুমানোর আগে অবশ্যই চিন্তা করবেন। আজকাল অনেকেরই মনে থাকে না সকালে তিনি কি খেয়েছেন। আর কিছু কিছু ব্যক্তি চিন্তা করার চেষ্টাও করেন না। কারণ বেশির ভাগ মানুষেরই এই সম্পর্কে কোন ধারণাই নাই যে চিন্তাশক্তি ব্রেইনের পাওয়ারকে কতটা বাড়াতে পারে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে সারাদিন কি কি করলেন তা একটি ডায়রীতে লিখে রাখবেন। যদি কোন ভালো কাজ করেন লিখবেন, আর যদি কোন খারাপ কাজ করেন তাও লিখে রাখবেন। এটি ব্রেইনকে অনেকটা শান্ত রাখতে সাহায্য করবে। আর তার সঙ্গে এটি মেমরিতে এমন সব প্রভাব ফেলবে যা ব্রেইনকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। মেমরিকে শক্তিশালী করে তোলার এটি একটি অসাধারণ পদ্ধতি। তাই আজ থেকে নিজের জীবনীে লেখার চেষ্টা করবেন। যা ব্রেইনের অনুশীলন হিসেবেও কাজ করবে। আর ব্রেইন ও বুদ্ধিমত্তাকে আরও শক্তিশালী জায়গায় নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

সোর্স: ডেইলি বাংলাদেশ/এসজেড