বাজেট ২০২১-২২

বাজেট ২০২১-২২ সম্পর্কে আলোচনা করার আগে আমাদের জানা উচিৎ বাজট কী, বাজেট কীভাবে প্রণয়ন করা হয়? বাজেটের টাকা কোথায় থেকে আসে? ইত্যাদি।

বাজেট কী?

একটি দেশের সম্ভাব্য আয় ও ব্যায়ের হিসাবই হচ্ছে সেই দেশের বাজেট। সরকার পুরো দেশ পরিচালনা করেন। দেশ পরিচালনা করতে, দেশের বিভিন্ন খাতে অনেক ব্যায় হয়। যেমন- সরকারের হয়ে যেসকল কর্মচারি কাজ করেন তাদের বেতন দিতে হয়, শিক্ষা, চিকিৎসা, যাতায়াত, ইত্যাদি তথা নাগরিকদের উন্নয়নের জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নিতে হয়। এসবে অনেক অর্থ ব্যায় হয়। সুতরাং, দেশ পরিচালনায় একটি নির্দিষ্ট অর্থবছরে কোথায় কেমন ব্যয় হবে তা পরিকল্পনার নামই বাজেট।

বাজেট যে শুধু রাষ্ট্ই করে থাকে তা নং। প্রতিটি মানুষই কিন্তু নিজেদের আয় ও ব্যয়ের হিসাব করেন। তবে ব্যাক্তির সাথে রাষ্ট্রের বাজেট হিসাব করার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। তা হলো, ব্যাক্তি নিজের আয়ের ওপর ভিত্তি করে ব্যয়ের হিসাব করে থাকেন। কিন্তু রাষ্ট্র ঠিক উল্টা কাজ করেন। রাষ্ট্র প্রথমে ব্যয়ের সম্ভাব্য খাতগুলো নির্ধারন করেন এবং তার পরে ঠিক করেন কোথায় থেকে অর্থ আসবে। অর্থাৎ, ব্যাক্তি আয়ের ওপর ভিত্তি করে ব্যয় করে এবং সরকার ব্যয়ের ওপর ভিত্তি করে আয় করার পরিকল্পনা করে। বাজেটের অর্থ সাধারণ মানুষের কর থেকে আয় করা হয়। যদি সিম্ভাব্য বাজেটে অর্থ ঘাটটি থাকে তাহলে সরকার বিভিন্ন খাতের ওপর কর বৃদ্ধি করেন। তাতেও যদি বাজেটের অর্থ ঘাটতি থাকে তবে অন্য দেশ থেকে অর্থ ধার নিতে পারে।

আয় ও ব্যয়কে কেন্দ্র করে, রাষ্ট্র বা দেশ এর বাজেট সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।

১। সুষম বাজেট

২। অসম বাজেট

সুষম বাজেট

সুষম মানে হচ্ছে সমান। সুতরাং সরকারে মোট আয় এবং মোট ব্যয় যদি সমান হয় তাহলে সেটি হবে সুষম বাজেট। মানে হচ্ছে, সরকার মোট ব্য়ে এর যেই পরিকল্পনা করবে তার সমান হতে হবে সম্ভাব্য আয়।

অসম বাজেট

বাজেটের ব্যয় ও আয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকাকে অষম বাজেট বলে। অনেক সময় সরকারের ব্যয় আয়ের থেকে অনেক বেশি হয়। অসম বাজেটকে আবার দুই ভাবে ভাগ করা যায়। তা হলো উদ্বৃত্ত বাজেট ও ঘাটতি বাজেট।

উদ্বৃত্ত বাজেট

সরকারের ব্যয়ের তুলনায় আয় বেশি হলে সেটিকে উদ্বৃত্ত বাজেট বলা হয়।

ঘাটতি বাজেট

সরকারের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হলে সেটিকে ঘাটতি বাজেট বলা হয়।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একটি দেশের জন্য কোন বাজেটটি সেরা হবে। সুষম বাজেটই প্রতিটি দেশের জন্য ভালো হবার কথা। প্রতিটি দেশই চায় সুষম বাজেট পরিকল্পনা করতে। তবে প্রতিবছর সুষম বাজেট প্রণয়ন সব দেশের পক্ষে সম্ভব হয়না। অর্থনীতিবিদেরা মনে করে নিয়মিতভাবে সুষম বাজেট তৈরি করা ভালো না, বরং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বাজেট ঠিক করা উচিৎ। কারণ, সুষম বাজেট সুদের হার কমায়, সঞ্চয় ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে। এছাড়া বাণিজ্য ঘাটতিও কমিয়ে আনে। এই ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতি এগিয়ে যায়।

বাংলাদেশের বাজেট ইতিবৃত্ত

বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ৫০ টি বাজেট প্রনয়ন হয়েছে। প্রতিবরই বাজেট বাড়তেই দেখা গেছে। গত বছরের তুলনায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরেও বাংলাদেশের বাজেটের আকার বড় হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হ্ওয়ার পরে ৫০টি অর্থবছরে ১১জন অর্থমন্ত্রী ও অর্থ উপদেষ্টা মিলিয়ে মোট ১৩ জন বাজেট পেশ করেছেন। অতীতের বাজেটের আকার দেখলেই বুঝা যায় বাংলাদেশের কতটা অগ্রগতি হয়েছে। ১৯৭২ সালে প্রথম বাজেটের পরিমান ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। ৪৯তম বাজেট ২০২০-২১ অর্থবছরে তার পরিমান ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা এবং সর্বশেষ ৫০ তম বাজেট ২০২১-২২ অর্থবছরে তা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।

স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালের ৩০ জুন তাজউদ্দীন আহমদ প্রথম বাজেট ঘোষণা করেন। একই দিনে এক সঙ্গে তিঁনি ১৯৭১-৭২ এবং ১৯৭২-৭৩ (দুই) অর্থবছরের বাজেট দিয়েছিলেন। তারপর তিঁনি আরও দুইবার বাজেট দেন এবং সব শেষে তাঁর ঘোষিত বাজেটের পরিমান দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকা। প্রথম বাজেটের পরে বাজেটের পরিমান এক হাজার পার করতে ৩ বছর সময় লেগেছে।

আমরা জানি যে এই পর্যন্ত মোট ১৩ জন বাজেট পেশ করেছে, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বার বাজেট দিয়েছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এম সাইফুর রহমান। দুজনেই এই পর্যন্ত ১২টি করে বাজেট দিয়েছেন।তবে টানা ১০ বার বাজেট দিয়েছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিঁনি সর্বপ্রথম বাজেট দেন ১৯৮২-৮৩ সালে এবং সর্ব শেষ ২০১৮-১৯ সালে। সর্বপ্রথম তাঁর বাজেটের পরিমান ছিল ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা এবং প্রায় ৪ লাখ কোটি বৃদ্ধি পেয়ে সর্বশেষে তার পরিমান দাড়ায় ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।

বাজেটের বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান বা উদ্ধৃতি ব্যবহার করে থাকেন। একই স্লোগান দুইজন অর্থমন্ত্রী ব্যবহার করেন না। তবে বাংলাদেশের বাজেট ঘোষণার ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে একবার। ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে এম সাইফুর রহমান বাজেট ঘোষণা শেষে তাঁর বক্তব্য শেষ করেছিলেন এভাবে—‘পৃথিবীর একটি সুপ্রাচীন দেশের একটি উক্তির কথা মনে পড়ে: “হাজার মাইলের যাত্রা শুরু হয় একটি পদক্ষেপ দিয়েই।” আসুন আমরা সমবেত হয়ে সেই একটি পদক্ষেপ নেই।’ এরপরে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্য শেষে অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াও প্রায় একই কথা বলেছিলেন, ‘চীনা ভাষায় একটি প্রবাদে যথার্থই বলা হয়েছে, “হাজার মাইলের ভ্রমণ শুরু হয় একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপের মাধ্যমেই।” আমাদের গন্তব্য যত দুর্গমই হোক না কেন আমরা চলতে শুরু করেছি।’

বাজেট ২০২১-২২

বাংলাদেশে প্রতি বছর জুন মাসে বাজেট ঘোষণা করা হয়। আজ, ৩ জুন ২০২১ তারিখ বেলা ৩টার সময় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনা করেছেন। এই প্রস্তাবিত বাজেটের পরিমান ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। উক্ত বাজেটটি দেশের ৫০তম বাজেট। তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের ২১ তম বাজেট। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এর তৃতীয় বাজেট। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের শিরোনাম ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’। তাহলে চলুন বাংলাদেশের ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।

তামাকজাত দ্রব্যের দাম ও শুল্ক

ধূমপায়ীদের খরচ বাড়তে যাচ্ছে। কেননা ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী সিগারেটের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে তামাকযাত দ্রব্যের ব্যবহার কমাতে এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এধরনের পণ্যের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। যেমন:

সিগারেট

  • নিম্নস্তরের ১০ শলাকার দাম ৩৯ টাকা বা তারও বেশি এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ।
  • মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার দাম ৬৩ টাকা বা তারও বেশি এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ।
  • উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১০২ টাকা বা তারও বেশি এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ।
  • অতি উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার দাম ১৩৫ টাকা বা তারও বেশি এবং সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ।

বিড়ি

স্থানীয় তৈরি ফিল্টার বিযুক্ত (যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত) বিড়ি প্রস্তুতকারকদের জন্য পূর্ববর্তী বছরের মতোই দাম ও শুল্ক রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

  • ফিল্টার বিযুক্ত ২৫ শলাকার দাম ১৮ টাকা, ১২ শলাকার দাম ৯ টাকা ও ৮ শলাকার দাম ৬ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ সতাংশ।
  • ফিল্টার সংযুক্ত বিড়ির ২০ শলাকার দাম ১৯ টাকা ও ১০ শলাকার দাম ১০ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৪০ শতাংশ।

জর্দা ও গুল

  • ১০ গ্রাম জর্দার দাম ৪০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ।
  • ১০ গ্রাম গুলের দাম ২০ টাকা ও সম্পূরক শুল্ক ৫৫ শতাংশ।

বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে কর দিতে হবে

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের প্রস্তাব অনুযায়ী বেসরকারি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালকে আয়ের ১৫% কর দিতে হবে। যদিও ২০১০ সাল থেকেই বেসরকারী এইসকল প্রতিষ্ঠানের ওপর করে আরোপ করা হয়েছিল। তবে কিছু মামলার কারনে বেসরকারী কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর আদায় করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে যেহেতু মামলা নিস্পত্তি হয়েছে তাই অর্থমন্ত্রী নতুন করে এই সকল বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের আয়ের ওপর ১৫% কর আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে।

বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রযোজ্য সাধারণ করহার হ্রাস করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বা কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদানে নিয়োজিত বেসরকারি কলেজ থেকে উদ্ভূত আয়ের ১৫ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করা হয়েছিল। মহান এ সংসদে আমি এ করহার অর্থ আইনের মাধ্যমে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।’

কোম্পানির কর হার প্রস্তাব

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে কোম্পানির করহার হ্রাসের প্রস্তাব দিয়েছেন। শেয়ার বাজারে নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত কোম্পানির ক্ষেত্রে আগের থেকে কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বর্তমানে প্রস্তাবিত কোম্পানির করের পরিমান হলো:

  • বর্তমানে শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত কোম্পানির কর হার ২২.৫ শতাংশ যা আগে ছিল ২৫ সতাংশ।
  • শেয়ারবাজারে অনিবন্ধিত কোম্পানির কর হার ৩০ শতাংশ যা আগে ছিল ৩২.৫ সতাংশ।
  • এক ব্যক্তিভিত্তিক কোম্পানির কর হার ২৫ শতাংশ যা আগে ছিল ৩২.৫ সতাংশ।

শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানির কার হার বেড়ে গেছে।

  • নিবন্ধিত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানির কর হার ৩২.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৭.৫ সতাংশ।
  • অনিবন্ধিত কোম্পানির কর হার ৩২.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ সতাংশ।

তছাাড়া, শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত ব্যাংক ও বিমা কোম্পানি, অনিবন্ধিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে, মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এদের কর হার যথাক্রমে ৩৭.৫%, ৪০%, এবং ৩৭.৫%।

‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্রান্ডগুলোর কর মুক্তি

‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্রান্ডগুলো সর্ত সাপেক্ষে ১০ বছরের কর মুক্ত হতে পারে, এমনটিই বাজেট ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘দেশে মেগা শিল্পের বিকাশ এবং আমদানি বিকল্প শিল্পোৎপাদনকে ত্বরান্বিত করার স্বার্থে মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে অটোমোবাইল-থ্রি হুইলার এবং ফোর হুইলার উৎপাদনকারী কোম্পানিকে শর্ত সাপেক্ষে ১০ বছর মেয়াদে কর অব্যাহতি এবং আরও কিছু শর্ত সাপেক্ষে আরও ১০ বছর কর অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করছি।

এ ছাড়া কতিপয় হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস পণ্য এবং হালকা প্রকৌশলশিল্পের পণ্যের উৎপাদনকারী কোম্পানিকে শর্ত সাপেক্ষে ১০ বছর মেয়াদি কর অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করছি।’

দুই লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন লাগবেই

সঞ্চয়পত্র কিনে রাখা একটি লাভজনক ব্যবসা। এজন্য অনেকেই বিভিন্ন মূল্যের সঞ্চয়পত্র কিনে রাখে। এইবার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে দুই লাখ টাকার ঊর্ধ্বে সঞ্চয়পত্র কিনতে ও পোস্টাল সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে টিআইএন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।