অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্পেসিফিকেশন

আজকে আমরা অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর বিষয়ে আলোচনা করব। সুতরাং যে সকল স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা অ্যাপল আইফোন ব্যবহারের ইচ্ছে পূরণ করতে চান তারা আমাদের অনুসরণ করুন। কেননা আমরা অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ফোনের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাতে করে আপনাদের অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স  কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সুবিধা হয়। যেহেতু অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স মোবাইল টির দাম অনেক বেশি সেতু মোবাইলটি কেনার পূর্বে অনেক চিন্তা ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।

অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্পেসিফিকেশন

বেসিক ইনফরমেশন অফ অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স 

অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স অ্যাপল ব্র্যান্ডের একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্মার্ট ফোন। এই  মোবাইল ফোনটির মডেল নাম্বার হিসেবে অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ব্যবহার করা হয়েছে। আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স বর্তমানে অ্যাপল ব্র্যান্ডের সবচেয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন স্মার্ট ফোন। অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স 202১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাজারে আসবে। সে কারণে যে সকল স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা অ্যাপেলের মোবাইল পছন্দ করেন তারা এখন থেকে অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স কেনার জন্য  প্রস্তুত হয়ে আছেন।

অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স বডি স্ট্রাকচার

এখন আমরা অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর বাহ্যিক গঠন সম্পর্কে আলোচনা করব। এই স্মার্টফোনটি বাইরে থেকে দেখতে কেমন হবে এবং কি ধরনের রং ব্যবহার করা হয়েছে সেই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ১৬0.৮ x ৭৮.১ x ৭.৪ mm সাইজে তৈরি করা হয়েছে। এই স্মার্টফোনটির মোট ওজন ২২৮ গ্রাম। অন্যান্য মোবাইলের তুলনায় স্মার্টফোনের ওজন একটু বেশি। এর কারণ হিসেবে ব্যাটারিকে দায়ী করা হয়েছে।কেননা অ্যাপল এর অন্যান্য মোবাইল এর তুলনায় অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর ব্যাটারি একটু বড়। ব্যাটারি বড় হওয়ার কারণে স্মার্টফোনটির ওজন একটু বেশি হয়ে গেছে। অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্মার্টফোনটি মোট পাঁচটি রংয়ের বাজারজাত করা হবে। যেমন, সিলভার, গ্রাফাইট, গোল্ড, প্যাসিফিক ব্লু এবং সাদা।

অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ডিসপ্লে 

ডিসপ্লে হিসেবে অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স  স্মার্টফোনে ৬.৭ ইঞ্চি সুপার রেটিনা XDR OLED ব্যবহার করা হয়েছে। ডিসপ্লেটি ১20 হার্জ রিফ্রেশ রেট প্রদান করতে সক্ষম এবং এইচডিআর টেন প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও ডিসপ্লেটি ১০০০  নিটস ব্রাইটনেস প্রদান করতে সক্ষম। ১2৮৪ x 2৭৭৮ pixels, ১৯.৫:৯ ratio রেজুলেশনের ডিসপ্লে যেখানে ৪৫৮ ppi density দেওয়া হয়েছে।

অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স নেটওয়ার্ক

অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স বর্তমান প্রযুক্তির সকল নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে  সক্ষম।  চায়না ভার্সন অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর জন্য ডুয়েল সিম ডুয়েল স্ট্যান্ডবাই সংযুক্ত রয়েছে। এছাড়াও অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্মার্টফোনটি ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করতে সক্ষম।

অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্পেসিফিকেশন

অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ক্যামেরা

অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্মার্টফোনে মোট তিনটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। তিনটি ক্যামেরাতেই ১2 মেগাপিক্সেল সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাইমারি ক্যামেরাতে 2৬ মিলিমিটার ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও ডুয়েল পিক্সেল অটোফোকাস এবং সেনসর্শিপ স্ট্যাবিলাইজেশন প্রযুক্তি সংযুক্ত করা রয়েছে। এছাড়াও ৭৭ মিলিমিটারের একটি টেলিফটো লেন্স সংযুক্ত রয়েছে যাতে ৩X অপটিক্যাল জুম ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও ৩৩ মিলিমিটারের এর একটি আল্ট্রা ওয়াইড লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে যার দ্বারা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ছবি সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব হবে। ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবে ১2 মেগাপিক্সেল 2৩ মিলিমিটারের ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্মার্টফোনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৪k ভিডিও ধারণ করা যাবে। ৪k ভিডিও ধারণ করার সময় সর্বোচ্চ ৬০ fps এ ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। এছাড়াও  ভিডিও করার সময় এই স্মার্টফোনটিতে HDR, Dolby Vision HDR (up to ৬0fps), ProRes, Cinematic mode, stereo sound rec এর সুবিধা সমূহ পাওয়া যাবে।

অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ব্যাটারি

অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর জন্য একটি বড় সাইজের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ব্যাটারি ক্যাপাসিটি হলো ৪৩৫২ mAh. যা যেকোনো ধরনের ব্যবহারকারীর জন্য অনায়াসে একদিন সচল রাখবে। তবে অন্যান্য আইফোন এর মত অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্মার্টফোনেও ব্যাটারি খোলার কোন অপশন নেই। অর্থাৎ নন রিমুভেবল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। স্মার্ট ফোনটি চার্জ করার জন্য ২০ ওয়াটের চার্জার রিকমেন্ট করা হয়েছে যারা ৩০ মিনিটে ৫০% চার্জ সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে।এছাড়াও ইউএসবি ২.০ ব্যবহার করে স্মার্টফোনটি চাষ করা যাবে এবং ১৫ ওয়াটের ওয়ারলেস চার্জার ব্যবহার করা যাবে।

অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এ ব্যবহৃত সেন্সর সমূহ

এই স্মার্টফোনটিকে প্রায় সব ধরনের সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে।  যেমন, Face ID, accelerometer, gyro, proximity, compass, barometer, Siri natural language commands and dictation, Ultra Wideband (UWB) support.

অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্পেসিফিকেশন

অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্পেসিফিকেশন

অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্মার্টফোনে কি ধরনের হার্ডওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে?

চিপসেট হিসেবে Apple A১৫ Bionic (৫ nm) ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত উচ্চ গতিসম্পন্ন একটি প্রসেসর। যা হাইরেজুলেশন গ্রাফিক্স প্রদর্শনে সক্ষম। স্মার্টফোনটির এ এক চাকর সিপিইউ এবং জিপিইউ হিসেবে অ্যাপেল জিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে যেখানে পাঁচটি  core সংযুক্ত রয়েছে। চারটি ভেরিয়েন্টে অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স বাজারে পাওয়া যাবে। যেমন, ১2৮GB, 2৫৬GB, ৫১2GB & ১TB। এই স্মার্টফোনটিকে কোন প্রকার মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা হয়নি। 

অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর বাহ্যিক আবরণ কেমন হবে?

অন্যান্য অ্যাপল স্মার্টফোনের মত অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স মোবাইলটিতে অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম ব্যবহার করার ফলে স্মার্টফোনটি অত্যন্ত টেকসই এবং আকর্ষণীয় হবে। অ্যাপলের চেয়ে কোন স্মার্টফোন বাজারজাত করার পূর্বে কোম্পানি পণ্যের মান সম্পর্কে যাচাই করে। তারা সব সময় ভোক্তাদের মানসম্মত পণ্য প্রদান করার চেষ্টা করে। সেজন্য তারা অ্যাপল এর সকল স্মার্টফোনগুলোতে অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম ব্যবহার করে।

অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্মার্ট ফোনে কয়টি সিম ব্যবহার করা যাবে?

অ্যাপল সাধারণত তাদের স্মার্টফোনে একটি সিম ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান করে। কিন্তু অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্মার্টফোনটির এ শুধুমাত্র চীন দেশের ব্যবহারকারীদের জন্য দুইটি সিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এ nano-sim অথবা ইলেকট্রনিক সিম ইউজ করা হতে পারে।

কি ধরনের প্রটেকশন অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এ ব্যবহার করা হয়েছে?

অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর প্রটেকশন হিসেবে ফ্রন্ট এবং ব্যাক গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। যা স্মার্টফোনটিকে যেমন সুরক্ষা প্রদান করবে তেমনি দেখতে আরো সুন্দর করে তুলবে। অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর প্রটেকশন হিসেবে scratch-resistant গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। এবং  গ্লাসের উপর অলেওফোবিক কোটিং ব্যবহার করা হয়েছে। 

স্পেশাল ফিচার অফ অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স 

স্পেশল ফিচার হিসেবে অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্মার্টফোনে ডাস্ট এবং water-resistant প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যাপেল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ৬ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে পারবে।স্মার্টফোনটির এ ৩2-bit/৩৮৪kHz audio আউটপুট হিসেবে পাওয়া যাবে। এছাড়াও একটি নয়েজ ক্যান্সলেশন ডেডিকেটেড মাইক ব্যবহার করা হয়েছে। 

আইফোন ১৩ মিনি vs আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স

এখন আমরা আইফোন ১৩ মিনি vs আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স  এর মধ্যে কি ধরনের পার্থক্য রয়েছে তা বিশ্লেষণ করবো। সুতরাং যে সকল ব্যবহারকারীরা  এই দুইটি মডেল এর মধ্যে কি ধরনের পার্থক্য রয়েছে তা জানতে চান তারা আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আইফোন ১৩ মিনি এবং আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স একি ফিচার সমৃদ্ধ স্মার্টফোন হলেও দুটোর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন,  আইফোন ১৩ মিনি স্মার্টফোনে ৫.৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে অপরদিকে আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর ডিসপ্লে সাইজ হল ৬.৭ ইঞ্চি। আইফোন ১৩ মিনি এর জন্য চারকোলের জিপিইউ ব্যবহার করা হলেও আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স  এর জন্য পাস করে জিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে।আইফোন তেন মিনিতে ৪gb রেম ব্যবহার করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ ৫১2 জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ রয়েছে। এছাড়া আইফোন ১৩ মিনি এবং আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর মধ্যে তেমন কোনো বড় পার্থক্য দেখা যায়নি।

আইফোন ১৩ vs আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স 

আইফোন ১৩ এবং আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এরমধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন দুইটি স্মার্টফোন এর ডিসপ্লে সাইজে কিছু পরিবর্তন এনেছে। আইফোন ১৩  ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে এবং আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ৬.৭ ইঞ্চি ডিসপ্লে ব্যবহার করেছেন।আইফোন ১৩ স্মার্টফোনটির এ ৪ জিবি  এবং ১2৮ থেকে ৫১2 জিবি স্টোরেজ দেওয়া রয়েছে। অপরদিকে আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর সাথে ৬ জিবি র্যাম এবং সর্বোচ্চ ১TB স্টোরেজ ব্যবহার করা হয়েছে।তবে ক্যামেরা বা অন্যান্য সেন্সর সময়ের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখা যায়নি। 

আইফোন ১৩ প্রো vs আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স

আইফোন ১৩ প্রো  এবং আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। খুবই সামান্য কিছু পার্থক্য রয়েছে যা আমরা এখন আলোচনা করব। আইফোন ১৩ প্র এবং আইফোন ১৩ এই দুটি স্মার্টফোনে একই ধরনের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু আইফোন ১৩ প্র ৬gb রেম এর সাথে ১TB পর্যন্ত স্টোরেজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আইফোন ১৩ প্র এর জিপিও হিসেবে ৫ core গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সকল ফিচার সমুহ একই রয়েছে। 

বাংলাদেশে কোথায় আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স পাওয়া যাবে?

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্মার্টফোনটি পাওয়া যাবে।  তবে ঢাকা ছাড়াও অন্যান্য শহরে খুব একটা বিক্রি করা হয় না। এছাড়াও বাংলাদেশ অ্যাপেল এর স্মার্টফোন বিক্রির কোন অফিশিয়াল শোরুম নেই। সুতরাং বিভিন্ন স্মার্ট ফোন শোরুম থেকে আনঅফিসিয়ালি আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স কিনে নিতে হবে। আনঅফিসিয়াল হলেও কিছু কিছু স্মার্টফোন বিক্রেতারা অ্যাপল আইফোন এর সাথে কিছুদিন ওয়ারেন্টি প্রোভাইড করে। ঢাকা আর যে সকল স্থানে অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স পাওয়া যাবে তা দেওয়া হল। 

ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটিতে বেশকিছু আইফোন এর বিক্রেতা রয়েছে যারা সকল মডেলের অ্যাপল আইফোন বিক্রি করে থাকেন। এছাড়াও এলিফ্যান্ট রোড, ধানমন্ডি,  মিরপুর , খিলখেত, খিলগাঁও সহ প্রায় সব স্থানেই অ্যাপল আইফোন ১৩ প্র মেক্স কিনতে পাওয়া যাবে। এছাড়াও আরও একটি  শপিং মল রয়েছে যেখানে সকল ধরনের স্মার্টফোন বিক্রি করা হয়। সেটা হল যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং কমপ্লেক্স। এখানে বেশ কিছু আইফোন বিক্রেতা রয়েছে যাদের কাছে আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স স্মার্টফোনটি পাওয়া যাবে। বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স এবং যমুনা ফিউচার পার্ক এই দুইটি জায়গায় একটু বেশি দামে অ্যাপল আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স কিনতে হতে পারে।

আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর দাম (বাংলাদেশ প্রাইস) 

আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স অন্যান্য দেশে অনেক কম দামে বিক্রি হলেও বাংলাদেশে একটু বেশি দামে বিক্রি হবে। এর প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশে আইফোন এর কোন অফিশিয়াল সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ নেই। অ্যাপল আইফোনের কোন সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ বাংলাদেশের না থাকার কারণে বিভিন্ন আমদানিকারকরা বিভিন্ন দামে এই স্মার্টফোনগুলো বিক্রি করে থাকে। নিচে আইফোন ১৩, আইফোন ১৩ মিনি,  আইফোন ১৩ প্র এবং আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স এর দাম দেওয়া হল। 

আইফোন ১৩ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইস= ৯০০ ইউরো

আইফোন ১৩ মিনি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইস= ৮০০ ইউরো

আইফোন ১৩ প্রো ইন্টারন্যাশনাল প্রাইস= ১১৫০ ইউরো

আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ইন্টারন্যাশনাল প্রাইস= ১২৫০ ইউরো

আইফোন ১৩ বাংলাদেশি দাম (প্রাইস) = ৯০০০০ টাকা

আইফোন ১৩ মিনি বাংলাদেশি দাম (প্রাইস) = ৮০০০০ টাকা

আইফোন ১৩ প্রো বাংলাদেশি দাম (প্রাইস) = ১২০০০০ টাকা

আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স বাংলাদেশি দাম (প্রাইস) = ১৩০০০০ টাকা

সবশেষে একটি কথা বলব  আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স যে যেখান থেকে কিনো না কেন অফিশিয়াল ডকুমেন্ট সহ কেনার চেষ্টা করুন। আর যারা বাংলাদেশ থেকে কিনতে চান তারা ট্রাস্টেড শপ থেকে কিনবেন। কেননা বিভিন্ন জায়গায় কম দামে আইফোন বিক্রি করে,  যা কিনা আপনি প্রতারিত হতে পারেন। সুতরাং  আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স কেনার পূর্বে সর্তকতা অবলম্বন করুন।

 

Leave a Comment