গুড় বা চিনির রসে ভেজানো ময়দার গোলা কিংবা দুধ- চিনি মিশিয়ে তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ছানার অথবা ময়দার টুকরো করা খাবার হলো মিষ্টি। খাওয়া-দাওয়ায় বাঙালির মিষ্টি একটি অতি জনপ্রিয় খাদ্য। বাঙালির কোন অনুষ্ঠানই মিষ্টি ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। বাংলাদেশে মিষ্টিকে উন্নত পণ্য হিসেবে গড়ে তুলেছে বিভিন্ন নামী-দামী মিষ্টি-বিক্রয়কেন্দ্র। আদিযুগ এর লাড্ডু থেকে শুরু করে সন্দেশ, কালোজাম পেরিয়ে আজ মিষ্টির প্রকারভেদ শিল্পের পর্যায়ে চলে গেছে। বিভিন্ন রকমের মিষ্টির স্বাদ আলাদা হয়। আকারে ছোট বড় এমনকি নামকরণে ও ভিন্নতা নিয়ে জনপ্রিয়। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং মায়ানমার এই অঞ্চলে মিষ্টির প্রচুর ব্যবহার করা হয়। সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে মিষ্টির ব্যবহার অনেক বেশি হয় । এই সকল অঞ্চলে যে পরিমাণ মিষ্টি মানুষ ব্যবহার করে এই পরিমাণ মিষ্টি কখনো বিশ্বের অন্য কোন দেশে ব্যবহার করা হয় না।
[Adsense]মিষ্টির প্রকারভেদ
বিভিন্ন প্রকার মিষ্টি আমরা বাজারে লক্ষ করে থাকি। এ সকল মিষ্টির আলাদা আলাদা নাম এবং স্বাধ রয়েছে। বাজারে সাধারণত যে মিষ্টি গুলো দেখা যায় সেগুলো হলো-
- রসগোল্লা
- রাজভোগ
- কালোজাম
- চমচম
- রসমালাই
- প্রাণহরা
- সন্দেশ
- ছানামুখী
- মণ্ডা
- বুরিদান
- মতিচুর লাড্ডু
- আমিট্টি বা আমৃতি
- মালাইকারী
- কাঁচাগোল্লা
ভারতীয় উপমহাদেশে মিষ্টির ইতিহাস
ভারতবর্ষের মতিচূর এর লাড্ডু হলো সবচেয়ে প্রাচীন মিষ্টি । প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি বছর আগে থেকে এটি রয়েছে। আধুনিক সন্দেশ-রসগোল্লার বয়স মাত্র ২ থেকে ২.৫ শত বছর। পর্তুগিজদের থেকে বাঙালিরা ছানা তৈরি করতে শিখেছে । বাঙালি ময়রারা ছানা ও পনির তৈরির কৌশল শেখে তাদের কাছ থেকে। ১৪৯৮ সালে, ভাস্কো ডা গামা কালিকট বন্দরে এসেছিলেন। ভারত ত্যাগ করেন ১৫০৩ সালে। উপমহাদেশে ছানা তৈরির শিক্ষাবিস্তার অনেক পরের ঘটনা।
[Adsense]মিষ্টি নির্মাতা/ মিষ্টির দোকান
একটি বিশেষ ধরণের কলা হলো মিষ্টি নির্মাণ করা। মিষ্টি যারা তৈরি করে থাকেন তাদের ময়রা বলা হয়।এলাকাভিত্তিক মিষ্টির প্রসিদ্ধি ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবেও অনেক মিষ্টিশিল্পী খ্যাতিমান হয়েছেন বিশেষ কোনো মিষ্টি তৈরির জন্য।
[Adsense]মিষ্টি খেতে বারণ
যে সকল মানুষ ডায়াবেটিস রোগী তাদের মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ডাক্তাররা নিষেধ করে থাকেন। তবে, এ ধরনের রোগীদের যখন গ্লুকোজের মাত্রা খুব কমে যায় তখন মিষ্টি কিংবা মিষ্টিজাতীয় খাবার অল্প পরিমাণে দেয়া যেতে পারে।
[Adsense]বর্তমান বাজারে মিষ্টের মূল্য
বাজারে আমরা অনেক ধরণের মিষ্টি দেখে থাকি। এ সকল মিষ্টি গুলোর মূল্য হলো-
স্পঞ্জ মিষ্টি – ১ কেজি |
২২০ টাকা |
রসমালাই- ১ কেজি |
৪০০ টাকা |
সাদা রসগোল্লা ১ কেজি |
২২০ টাকা |
গোলাপ জামুন ১ কেজি |
২২০ টাকা |
সাদা চম চম ১ কেজি |
৩২০ টাকা |
কালোজাম ১ কেজি |
২২০ টাকা |
উপসংহার
মিষ্টি বাঙালির অতি প্রিয় একটি খাদ্য। যে কোন ধরণের অনুষ্ঠান মিষ্টি ছাড়া সম্পন্ন হয় না। অনেক গুলো মিষ্টি আমরা দেখে থাকি। এর মধ্যে প্রতিটির রয়েছে আলাদা আলাদা স্বাধ এবং নাম। তবে মিষ্টি অতিরিক্ত খেলে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় ডাক্তার রা রোগী কে মিষ্টি থেকে একদম দুরে থাকতে বলে।