আমরা প্রতিদিন যে সকল খাদ্য খায় সে সকল খাদ্যের আলাদা আলাদা পুষ্টি গুণ এবং আলাদা স্বাধ রয়েছে। খাদ্যের স্বাধ বাড়ানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরণের মসলা ব্যাবহার করে থাকি। এর মধ্যে আমাদের সবচেয়ে পরিচিত এবং বহুল ব্যাবহৃত মসলা হলো হলুদ। যে কোন তরকারির সাথে এটি সহজেই মিশানো যায়। হলুদ ব্যাবহারের ফলে তরকারিতে রং এবং স্বাধ হয়। হলুদ আমাদের দেশে রান্নার কাজে ব্যাপকভাবে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে।
[Adsense]ইতিহাস
হলুদ এর নামকরণ এর উৎস আমাদের কাছে আজ পর্যন্ত অজানা। Genus নাম Curcuma হলুদ নাম আরবি শব্দ থেকে এসেছে। হাজার হাজার বছর ধরে হলুদ রান্নার কাজে বহুলভাবে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে। তবে হলুদ এবকি ঔষধি গাছ হিসেবে ও আমাদের কাছে পরিচিত।
[Adsense]হলুদ গাছ সম্পর্কিত বর্ণনা
হলুদ একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এটি ৬০-৯০ সে. মি. উচু এবং এর পাতা গুলা ও অনেক বড় হয়ে থাকে। এই উদ্ভিদ টি ১ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য ২০-৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রা এবং প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাতের প্রয়োজিন।
[Adsense]রান্নার কাজে হলুদ এর ব্যাবহার
আমরা জানি হলুদ রান্নার কাজে বহুল ব্যাবহৃত একটি মসলা। হাজার হাজার বছর ধরে রান্নার কাজে হলুদ ব্যাবহার হয়ে আসছে। বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি, মাছ-মাংশ ইত্যাদি রান্নার জন্য হলুদ ব্যাবহার হয়। যে কোন ধরণের শাক-সবজি বা মাছ-মাংশের সাথে এই হলুদ খুবই অনায়াসে মিশে যায়। এটি মেশানোর ফলে আলাদা রং এবং স্বাধ যোগ হয়। হলুদ যে কোন সময় মিশানো যায়। রান্না শুরু করার সময় এবং রান্নার শেষ এর সময় দুই সময়ই হলুদ ব্যাবহার করা যায়।
[Adsense]উপকারীতা
হলুদ ব্যাবহার করে যেসকল উপকারীতা পাওয়া যায় তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
১। হলুদ একটি প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক। মানব দেহে কাটা-ছেড়া যায়গায় হলুদ ব্যাবহার করা যায়। এতে খুব দ্রুত কাটা বা ছেড়া যায়গা শুকিয়ে যায়।
২। ফুলকপি এবং হলুদ দুইটি একসাথে মিলে গেলে শরীরে ক্যান্সারের প্রতিরোধ করে।
৩। হলুদ শিশুদের লিউকেমিয়া ঝুকি কমিয়ে দেয়।
৪। হলুদ নতুন রক্ত উৎপাদন এবং টিউমার হওয়া বন্ধ করতে পারে।
৫। হলুদ ওজন নিয়ন্ত্রণ করে এবং চর্বি বিপাকে সাহায্য করে।
৬। কাঁচা হলুদ এর সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে শরীরে মাখলে যে কোন ধরণের চর্ম রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
[Adsense]বাজারে যেসকল হলুদ কিনতে পাওয়া যায় তার মূল্য তালিকা
হলুদ একটি কৃষিজাত দ্রব্য। কৃষি খাত থেকে এটি সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। সাধারণত আমরা বাজারে দুই ধরণের হলুদ কিনে থাকি।
১। প্যাকেট জাত হলুদ গুড়া।
২। কাঁচা হলুদ।
[Adsense]প্যাকেট জাত হলুদ গুড়া
বাজারে আমরা প্যাকেট জাত হলুদ গুড়া দেখে থাকি। কাঁচা হলুদি এক ধরণের বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গুড়া করে তা প্যাকেট জাত করে বাজারে আমদানি করা হয়। এটি কিনে খুব সহজেই রান্নার কাজে ব্যাবহার করা হয়। এর বাজার মূল্য হলো-
Wild Turmeric Powder-Kasturi Holud Gura-100gm |
৫৩ টাকা |
[Adsense]
কাঁচা হলুদ
বাজারে আমরা যেসকল কাঁচা হলুদ দেখতে পায় তা সরাসরি কৃষক এর থেকে সংগ্রহ করা হয়। কৃষক জমিতে হলুদ চাষ করে তা বাজার জাত করা হয়। সাধারণত দুই ধরণের কাঁচা হলুদ আমরা বাজারে লক্ষ করে থাকি। দেশি হলুদ এবং হাইব্রিড বা বিদেশি হলুদ। এই দুইটি পণ্যের দাম বাজার স্থীর থাকে না। বিভিন্ন সময় এর দাম কম বেশি হতে থাকে। এর বর্তমান বাজার মূল্য হলো-
দেশি কাঁচা হলুদ- ১ কেজি |
৩০ টাকা |
বিদেশি/হাইব্রিড হলুদ- ১ কেজি |
১৫ টাকা |
উপসংহার
যে কোন ধরণের রান্নার কাজে হলুদ ব্যাবহার হয়ে থাকে। এতে আলাদা রং এবং স্বাধ যুক্ত হয়। মাছ-মাংশ বা বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি রান্নার জন্য হলুদ ব্যাবহার করা হয়। রান্নার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের ঔষধ তৈরীর কাজে ও হলুদ ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। তাই আমাদের হলুদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা অত্যন্ত জরুরী।