বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট করার নিয়ম,

বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট করার নিয়ম, আপনারা অনেকে আছেন একটি সিম বহুদিন ধরে ব্যবহার করছেন। আপনার সিমটি পুরনো দিনের হওয়ায় আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ফোন ব্যবহারে চাহিদামত গতি পাচ্ছেন না। অর্থাৎ আপনার সিমটি 2g 3g কিন্তু বর্তমানে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট আমাদের দেশে বিদ্যমান। তাই আপনি চাচ্ছেন আপনার পুরনো মোবাইল সিম কে পরিবর্তন করে 4g সিম করে নিতে। তাই আপনাকে সিম রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে।

 

অনেকেই এই সিম রিপ্লেসমেন্ট পদ্ধতিটিকে ঝামেলার মনে করেন। তাই পুরনো নম্বরটি ফেলে দিয়ে নতুন সিম ক্রয় করেন। ফলে নতুন নম্বরের কারণে নানা রকমের বিড়ম্বনায় পড়েন। আপনাদের এই সমস্ত সমস্যায় যেন না পড়তে হয়। সেই বিষয়গুলো সমাধান করব আজকের এই আর্টিকেলে।

আজকে এখানে আলোচনা করব কিভাবে বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট করতে হয়। কিভাবে পুরনো বাংলালিংক সিম নতুন কে সিম তৈরি করা যায়। একই নাম্বার দিয়ে 3g 4g বাংলালিংক সিম কে 4g বাংলালিংক সিমে রূপান্তরিত করা যায়। এই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাই আপনার পুরনো বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট করার পদ্ধতি জানতে এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত করুন।

 

সিম রিপ্লেসমেন্ট করতে কি কি লাগে

আপনারা যারা 2g কিংবা 3g ভার্সনের বাংলালিংক সিম ব্যবহার করে আসছেন তাদের সিমটিকে নতুন ভার্সনে আপডেট করা প্রয়োজন। আপনারা যারা বাংলালিংক সিম আপডেট ভার্সন এ রূপান্তর করতে চান তারা আজকে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বাংলালিংক সিম রেপ্লেসমেন্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন।

 

আপনি কেন বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট করবেন

আপনি যে বাংলালিংক সিম টি ব্যবহার করছেন তা রিপ্লেসমেন্ট করার অনেক কারণ রয়েছে। কেউ এমনি এমনি সিম রিপ্লেসমেন্ট করেনা। তেমনি বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট করার কিছু কারন নিচে তুলে ধরা হলোঃ

  • বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট করার প্রথম ও প্রধান কারণ হলো সিম হারিয়ে যাওয়া।
  • এছাড়াও আরেকটি বড় কারণ রয়েছে 3g থেকে 4g করা।
  • অনেক ধরনের রিপ্লেসমেন্ট অফার এর জন্য।

 

 

সিম রিপ্লেসমেন্ট করার নতুন নিয়ম

দিন দিন বাংলালিংক সিমের গ্রাহক সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেড়েই চলেছে। এর অন্যতম কারণ হলো তাদের শক্তিশালী ডিজিটাল নেটওয়ার্ক এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা। তাই আপনারা যারা বাংলালিংক পুরনো সিম ব্যবহার করেন তাদের দৈনন্দিন জীবনকে গতিময় করে তোলার জন্য বাংলালিংক সিমের রিপ্লেসমেন্ট করা প্রয়োজন। কারণ এদেশের অন্যান্যরা যখন ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে এবং উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করছে তাহলে আপনি কেন সবার থেকে পিছিয়ে থাকবেন? যারা জানেন না যে কিভাবে বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে তারা আজকে আমাদের এই পোস্ট থেকে জেনে নিন।

 

 

 

আপনার ব্যবহৃত বাংলালিংক সিম টি 4.5 জি কিনা তা কিভাবে জানবেন

আপনি যে বাংলালিংক সিম নিয়মিত ব্যবহার করছেন সেই সিম টি 4.5 জি কিনা সেটি জানার একটি অফিশিয়াল পদ্ধতি রয়েছে। যারা এখনো এ বিষয়টি জানেন না তারা খুব সহজে আমাদের এই পোস্ট থেকে জানতে পারবেন। আপনাকে সর্বপ্রথম বাংলালিংক অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এবং সেখানে সার্চ দিতে হবে 4.5 জি চেক। এরপরে আপনার মোবাইলে যে ইন্টারফেসটি চলে আসবে সেখানে আপনার বাংলালিংক সিম নম্বরটি দিয়ে ওকে করলে আপনি দেখতে পারবেন আপনার সিমটি 4.5 জি কিনা।

 

 

বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট করতে কত টাকা লাগে

আপনি যদি আপনার নিকটস্থ কাস্টমার কেয়ার অথবা নিকটস্থ বায়োমেট্রিক রিটেইলার পয়েন্ট বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট করেন। তাহলে আপনাদেরকে দুইশত টাকা প্রদান করতে হবে। আর আপনারা যদি । বাংলালিংক ডোর স্টপ সার্ভিস থেকে সিম সংগ্রহ করতে চান তাহলে আপনাদেরকে 250 টাকা প্রদান করতে হবে। এখানে সিমের দাম 200 টাকা এবং ডেলিভারি ম্যান এর চার্জ 50 টাকা। সব মিলিয়ে যদি আপনি বাড়িতে বসে বাংলালিংক সিম রিপ্লেসমেন্ট করতে চান তাহলে আপনার 250 টাকা খরচ পড়বে।

 

 

কিভাবে বাংলালিংক সিম রিপ্লেস করতে পারবেন

বাংলালিংক, নেদারল্যান্ডসের ভিওন এর মালিকানাধীন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম জিএসএম ভিত্তিক মুঠোফোন নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান । ২০০৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ছিল প্রায় ৩.৬৪ মিলিয়ন।প্রতিষ্ঠানটি ওরাসকম টেলিকম বর্তমান গ্লোবাল টেলিকম লিমিটেড এর মালিকানাধীন একটি কোম্পানি ছিল। ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে বাংলালিংক বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারী মোবাইল ফোন সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিটিবি সংযোগ থেকে মোবাইল ফোনে বিনামূল্য টেলিফোন কল ধরার সুযোগ করে দেয়।

২০০৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা ছিল প্রায় ১.০৩ মিলিয়ন। পরবর্তী বছরে এসংখ্যা ২৫৩ শতাংশ বেড়ে দাড়ায় ৩.৬৪ মিলিয়ন গ্রাহকে। ২০০৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬.০৪ মিলিয়নে।

২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করার এক যুগ পর বাংলাদেশে বাংলালিংক সংযোগ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মোবাইলে যোগাযোগকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী করে তোলার ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। বাংলালিংক-এর সাফল্যের মূলে ছিল একটি সাধারণ মিশন, ‘মোবাইলে যোগাযোগকে সবার নাগালে আনা’, যেটি বাংলালিংক-এর ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে।

আশা করি এই পোষ্ট থেকে আপনার উপাকার হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের আজকের এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment