দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের জন্য পদ্ম সেতু আর্শীবাদ স্বরূপ। তাই এই সেতু হওয়ার ফলে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের জন্য ঢাকা সহ সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হল। এই কারণে দক্ষিনাঞ্চলে উৎপাদিত ফসল ও কারখানার মালামাল সারাদেশের বানিজ্যে যুক্ত হবে।
[Adsense]
বর্তমানে পদ্মা নদী পার হতে বিভিন্ন যানবাহনে ৭০ টাকা থেকে ৩,৯৪০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। তবে বর্তমানে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় প্রত্যেকটি যানবাহনকে ১০০ থেকে ৬ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু এখন সময় শাস্রয় হবে এবং অর্থনীতিতে গতি আসবে। পদ্মা সেতুর টোল ভাড়া অনুযায়ী বড় বাসের ক্ষেত্রে ২৪০০ টাকা এবং মাঝারি ট্রাক ২,৮০০ টাকা পর্যন্ত টোল ভাড়া দিতে হবে। যদিও ভাড়া বা টোল খরচ বেড়ে গেল কিন্তু সময়ের দ্রুততা আপনাকে এগিয়ে রাখবে।
[Adsense]
পদ্মা সেতু
বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু হলো পদ্মা সেতু। আর এই সেতুর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়।
[Adsense]
দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এই সেতুর উপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।
[Adsense]
পদ্মা সেতুর টোল ভাড়া
পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর পুরো টাকাই সরকারি অর্থায়ন। এতে করে ব্যয়ের সাথে আয়ের সামঞ্জস্যতার কারণেই টোল হার ফেরি থেকে একটু বেশি করা হয়েছে।
[Adsense]
পদ্মা সেতু পার হতে টোল হার ২০২২
- মোটর সাইকেলের জন্য টোল দিতে হবে ১০০ টাকা
- ছোট ট্রাকের জন্য (৫ টন পর্যন্ত) ১,৬০০ টাকা
- মাঝারি ট্রাক (৫ থেকে ৮ টন) ২,১০০ টাকা
- মাঝারি ট্রাক (৮ থেকে ১১ টন) ২,৮০০ টাকা
- বড় ট্রাক (তিন এক্সেল পর্যন্ত) ৫,৫০০ টাকা
- টেইলারের জন্য ৬,০০০ টাকা
- কার ও জিপের জন্য ৭৫০ টাকা
- মাঝারি বাসের টোল দু’হাজার টাকা
- বড় বাসের জন্য ২,৪০০ টাকা
- মাইক্রোবাস ১,৩০০ টাকা
- নিবাসের জন্য ১,৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।
[Adsense]
শুরুর দিকে পদ্মা সেতুর নির্মান ব্যয় কত নির্ধারিত ছিল
পদ্মা সেতু নির্মাণ এর জন্য ২০০৭ সালে ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন পায়। এর পরে নকশা পরিবর্তন হয়ে দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ ব্যয় আরো অনেক বাড়ে। পরবর্তিতে ২০১১ সালে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকার সংশোধিত প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়। এর পর ২০১৬ সালে আরও আট হাজার ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ালে মোট ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তবে সর্বশেষ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে।