মাশরুম একটি ইংরেজী শব্দ (Mushroom)। এবং এটি এক ধরনের ছত্রাক। এছাড়া ও এদের অধিকাংশই ব্যাসিডিওমাইকোটা এবং কিছু অ্যাসকোমাইকোটার অন্তভুক্ত। অন্যান্য উদ্ভিদের মতো মাশরুম ও সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে। তবে এদের খাদ্য তৈরীর জন্য সূর্য থেকে আলোর প্রয়োজন পড়ে না। বাংলাদেশে আধুনিক খাবার হিসেবে মাশরুমের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
[Adsense]বিশ্বের সর্ববৃহৎ খাবার উপযোগী মাশরুম উৎপাদনকারী হিসেবে চীন পরিচিতি পেয়েছে। এই দেশটি বিশ্বের মোট উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক মাশরুম উৎপাদনকারীরূপে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রতি বছর এক বিলিয়নেরও অধিক জনগোষ্ঠীর জন্য মাথাপিছু ২.৭ কিলোগ্রাম (৬.০ পা) উৎপাদন করে।
[Adsense]মাশরুমের প্রকারভেদ
১. এগারিক্স – একাধারে এ জাতীয় মাশরুম খাবার উপযোগী বা ভক্ষণযোগ্য, বিষাক্ত এবং মাদক প্রকৃতির হয়ে থাকে।
২. বোলেটস/Boletes – এই গ্রুপের আধিকাংশই ভক্ষণযোগ্য এবং অনেকের কাছে সুস্বাদুকর খাদ্যরূপে বিবেচনা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে Borofutus (বড়ফুটুস) নামের একটি গণের/জেনাসের মাশরুম প্রথমবারের মতো ২০১২ সালে আবিস্কৃত হয়েছে এবং এটি Borofutus dhakanus (বড়ফুটুস ঢাকানুস) নামে প্রকাশ হয়েছে।[৫]
৩. ব্র্যাকেট ফাঙ্গি
৪. চান্টারেলেস – ভক্ষণযোগ্য।
৫. কোরাল ফাঙ্গি – ভক্ষণযোগ্য।
৬. কাপ ফাঙ্গি – সচরাচর খাবার উপযোগী।
৭. জেলি ফাঙ্গি – সচরাচর খাবার উপযোগী হলেও খেতে তেমন সুস্বাদু নয়।
৮ পলিপোরেস – বোলেটেসের অনুরূপ অর্থাৎ ভক্ষণযোগ্য এবং অনেক লোকের কাছে সুস্বাদুকর খাদ্যরূপে বিবেচিত।
৯. সাইকেডেলিক – এটি শ্রুমস নামেও পরিচিত।
১০. পাফবলস – সচরাচর খাবার উপযোগী।
১১. স্টিঙ্কহর্নস – খাবার উপযোগী হলেও গন্ধ তেমন চমকপ্রদ নয়।
১২. টুথ ফাঙ্গি – বিষাক্ত না হলেও, খাবার উপযোগী না
[Adsense]মাশরুম এর বৈশিষ্ঠ্য
এই পর্যন্ত পৃথিবীতে প্রায় চৌদ্দ হাজার প্রজাতির মাশরুমের কথা জানা যায়। এর মধ্যে অনেক প্রজাতির মাশরুম এক রাতের মধ্যেই উৎপাদিত হয়। অর্থাৎ খুব দ্রুততার সাথে এর বৃদ্ধি ঘটতে পারে। তবে এর অধিকাংশ জাত ধীরে ধীরে বড় হয়। এছাড়া ও আবাদকৃত মাশরুম আকারে ক্ষুদ্রাকৃতির হয়ে থাকে। তবে খাবার উপযোগী অংশটি অল্প কিছুদিন সতেজ থাকে। এছাড়া বিশ্বের অধিকাংশ মাশরুমেই একটি দণ্ড এবং ছাতার ন্যায় একটি টুপি থাকে।
[Adsense]মাশরুম এর পুষ্টি উপাদান
মাশরুম কাঁচা অথবা রান্নাকৃত যে ধরণেরই হোক তা স্বল্প-ক্যালরীযুক্ত খাদ্য হিসেবে পরিচিত। কারণ কাঁচা অবস্থায় এতে ভিটামিন বি খাদ্যপ্রাণ থাকে যাতে রিবোফ্লোবিন, নায়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক এসিড থাকে। এছাড়াও, প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান যেমন – সেলেনিয়াম, কপার এবং পটাসিয়াম থাকে। তবে চর্বি, শর্করা এবং ক্যালরীযুক্ত উপাদানের মাত্রা কম রয়েছে। এছাড়া ও এতে ভিটামিন সি এবং সোডিয়ামজাতীয় উপাদানের অনুপস্থিতি রয়েছে।
[Adsense]মাশরুম এর ব্যবহার
মাশরুম সাধারণত রান্নার কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে রান্নার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন ধরণের কাজে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পশমে রংকরণসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক তন্তুতে মাশরুমের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। মাশরুমের রঙে রাসায়নিক যৌগিক উপাদান রয়েছে যা শক্ত ও উজ্জ্বল রঙ উৎপাদনে সক্ষম। সকল ধরনের রঙের বর্ণালি মাশরুমের রঙে বিদ্যমান। কৃত্রিম রঙ আবিষ্কারের পূর্বে মাশরুম ছিল অনেক টেক্সটাইলে রঙের প্রধান উৎসস্থল।
[Adsense]বর্তমান [datetoday] বাজারে মাশরুম এর মূল্য
আমরা সাধারণত বাজার থেকে মাশরুম কিনে থাকি। মাশরুম এর বাজার মূল্য হলো-
Tan Whole Mushroom Can 400g |
৯০ টাকা |
Whole Mushroom Central Valley- 425g |
৮৮ টাকা |
Royal Whole Mushroom Can – 425g |
১৩০ টাকা |
Canned Mushroom Whole – 400 gm__Champion |
১১৫ টাকা |
উপসংহার
সাধারণত আমরা রান্নার কাজে মাশরুম ব্যবহার করে থাকি। কারণ এটি রান্নায় ব্যবহার করলে স্বাধ বৃদ্ধি হয়। তবে রান্নার পাশাপাশি আরো অনেক কাজে মাশরুম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আমাদের মাশরুম সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে।