0

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকের ভূমিকা এবং ব্যাংকের শ্রেণিবিভাগকরণ। এইচএসসি ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র ৮ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকের ভূমিকা এবং ব্যাংকের শ্রেণিবিভাগকরণ

বিষয়: ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা ২য় পত্র, বিষয় কোড: ২৯৩, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০২, স্তর: এইচএসসি, প্রথম অধ্যায়: ব্যাংক ব্যবস্থার প্রাথমিক ধারণা।

অ্যাসাইনমেন্ট: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকের ভূমিকা এবং ব্যাংকের শ্রেণিবিভাগকরণ।

শিখনফল/বিষয়বস্তু:

  • ১. অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করতে পারবে
  • ২. ব্যাংক ব্যবসায়ের প্রকৃতি ও ধরন ব্যাখ্যা করতে পারবে

নির্দেশনা

  • ক. ব্যাংক, ব্যাংকিং ও ব্যাংকারের ধারণা ব্যাখ্যা
  • খ. অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাণিজ্যিক ব্যাংকের গুরুত্ব বর্ণনা
  • গ. বিভিন্ন ভিত্তিতে ব্যাংকের শ্রেণিবিভাগ ব্যাখ্যা

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকের ভূমিকা এবং ব্যাংকের শ্রেণিবিভাগকরণ

ব্যাংক, ব্যাংকিং ও ব্যাংকারের ধারণাঃ 

ব্যাংকের ধারণা

সাধারণভাবে ব্যাংক বলতে এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বুঝায় যার কাজ হলো এক পক্ষের কাছ থেকে আমানত হিসাবে অর্থ জমা রাখা এবং অন্য পক্ষকে ঋণ দেওয়া বা বিনিয়োগ করা। ব্যাপক অর্থে বলতে গেলে ব্যাংক হলো এমন একটি আর্থিক মধ্যস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যা আমানত গ্রহণ করা, ঋণ দেওয়া, ঋণ ও অর্থ সৃষ্টি করা সহ বিভিন্ন ধরনের আর্থিক কাজ সম্পন্ন করে থাকে।

বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে ব্যাংক এর সংজ্ঞা দিয়েছেন। নিচে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা দেওয়া হল।

১৯৪৯ সালে ভারতীয় ব্যাংক ব্যবসায় সংক্রান্ত আইন অনুসারে ব্যাংক হল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা ঋণ দেওয়া বা বিনিয়োগ করার উদ্দেশ্যে জনগণের কাছ থেকে আমানত হিসাবে অর্থ গ্রহণ করে, যে অর্থ দাবী করা মাত্র বা অন্যভাবে ফেরত দিতে হয় এবং যা চেক, ড্রাফ্ট্ বা অন্যভাবে উঠিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।

ব্যাংক এমন একটি আর্থিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যা বিভিন্ন হিসেবের মাধ্যমে আমানত হিসাবে কম সুদে অর্থ সংগ্রহ করে এবং ঐ অর্থ বেশি সুদে অন্যপক্ষকে ঋণ দিয়ে মধ্যবর্তী মূনাফাআয় করে।

ব্যাংকিং এর ধারণা

সাধারণভাবে বলতে গেলে ব্যাংকের অর্থ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং বলে। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক একাউন্টে যেমন, চলতি, সঞ্চয়ী ও মেয়াদী একাউন্টে অর্থ গ্রহণ করা, চেক গ্রহণ করা, দাবী পরিশোধ করা, ঋণ দেওয়া, বিলবাট্টা করা, গ্রাহকদের অর্থ একস্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তরে সাহায্য করা এই সকল কাজই সমষ্টিগতভাবে ব্যাংকিং। এককথায় বলতে গেলে ব্যাংক যে কাজ করে তাই ব্যাংকিং। নিচে ব্যাংকিং এর কিছু সংজ্ঞা দেওয়া হল। 

ব্যাংকার এর ধারণা

ব্যাংকার (Banker) শব্দটির ব্যবহার ১৬৫৪ সালের দিকে প্রথম শুরু হয়। শব্দটি ফ্রেঞ্চ banquier, banque বা ইতালিয়ান banca, মধ্যযুগীয় ল্যাটিন banca, bancus শব্দ মূল থেকে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ হলাে মহাজন বা পােদ্দার বা ব্যাংকের মালিক বা যার নিকট ধন সম্পদ জমা থাকে।

আর পারিভাষিক অর্থে ব্যাংকার বলতে বুঝায়, যিনি ব্যাংকিং কার্যাবলী পরিচালনা বা সম্পাদন করেন। তাহলে এখানে দেখা যাচ্ছে যে, একটি ব্যাংকের মালিক যেমন ব্যাংকার, তেমনি উক্ত ব্যাংকের কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণও একজন ব্যাংকার। সুতরাং বলা যায় যে, ব্যাংকার বলতে ব্যাংকিং কার্যে নিয়ােজিত ব্যক্তিবর্গকে বুঝানাে হয়ে থাকে। যারা ব্যাংকের কার্যাবলী যেমন- আমানত গ্রহণ, ঋণদান, গ্রাহকদের বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য ও সহযােগিতা ইত্যাদি সম্পাদন করে থাকেন। [সকল এসাইনমেন্ট সমাধান সবচেয়ে দ্রুত পেতে ভিজিট করুন newresultbd.com] তবে ব্যাংক শব্দের পরিপূরক হিসেবে ব্যাংকার শব্দটির ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে করা হয়ে থাকে। ব্যাপক অর্থে বলতে গেলে- যে ব্যক্তি, ব্যক্তিবর্গ বা প্রতিষ্ঠান প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে ব্যাংকিং ব্যবসায় জড়িত থাকে তাকে ব্যাংকার বলা হয়। নিম্নে বিভিন্ন মনিষীদের প্রদত্ত ব্যাংকারের সংজ্ঞাগুলাে তুলে ধরা হলাে অধ্যাপক জি ক্রাউথার এর মতেA Banker is a dealer in debts is on & of other people. অর্থাৎ ব্যাংকার হল সেই ব্যক্তি যিনি নিজের এবং অন্যের জন্য ঋণের ব্যবসায় নিয়ােজিত থাকেন।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকের গুরুত্বঃ 

১) সঞ্চয় সংগ্রহ, মুলধন গঠন ও বিনিয়োগ: ব্যাংকগুলো বিভিন্নভাবে জনগণের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় সংগ্রহ করে বড় ধরনের মুলধন গঠন করে এবং তা কৃষি, শিল্প, প্রযুক্তি ও বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বিশেষায়িত ব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও এই দায়িত্ব পালন করে থাকে।

২) ঋণ প্রদান: ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বড় ব্যবসায়ীদের স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিয়ে দেশের আভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যে সহযোগিতা করে।

৩) বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি: ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের বিনিময় মাধ্যম সৃষ্টি করে আর্থিক বিনিময়কে সহজ ও ঝুঁকিমুক্ত করায় খুব সহজেই দেশ থেকে দেশে অল্প সময়ে ব্যবসায়ীক দেনা পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে। যেমন চেক, পে-অর্ডার, ড্রাফ্ট্ ইত্যাদি অর্থের মতোই বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

৪) ব্যাংকের বিশেষায়ণ: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের বিশেষায়িত ব্যাংক বহুমূখী বিশেষায়িত সেবা দিয়ে থাকে। যেমন কৃষি ব্যাংক কৃষি খাতের উন্নয়নে স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ দিয়ে থাকে, বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক সহজ শর্তে শিল্প ঋণ দিয়ে থাকে এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদেরকে স্বল্পকালীন বাণিজ্যিক ঋণ দিয়ে থাকে।

৫) বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণ: বাংলাদেশের আমদানী ও রপ্তানি বাণিজ্যের স¤প্রসারণে বিভিন্ন ব্যাংক নানাবিধ সহযোগিতা প্রদান করে থাকে যেমনঃ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অর্থ সংস্থান, আন্তর্জাতিক দেনা পাওনা পরিশোধে সহযোগিতা করা, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় ও বৈদেশিক বাজার বিশ্লেষণে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ প্রদান। 

৬) অর্থ স্থানান্তরে সহায়তা: আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্থা এক স্থান থেকে অন্য নিরাপদে ও দ্রুত তম সময়ে অর্থ-স্থানান্তরের মাধ্যমে লেনদেন ও ব্যবসা বাণিজ্য সহজতর করেছে।

৭) কৃষি উন্নয়ন: ব্যবসায়ীক ভিত্তিতে কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে ব্যাংক কৃষকদের বিভিন্ন মেয়াদী ঋণ দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বিশেষায়িত।

৮) শিল্প উন্নয়ন: বাংলাদেশের শিল্প খাতে বিনিয়োগ ও ঋণ দানের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক, বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ব্যাংক উল্লেখযোগ্য।

তালিকাভুক্তির ভিত্তিতে ব্যাংকের শ্রেণীবিভাগঃ 

১। বাণিজ্যিক ব্যাংকঃ 

যে ব্যাংক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে অল্প সুদে জনগণের অর্থ আমানত হিসাবে সংগ্রহ করে এবং বেশি সুদে ঐ অর্থ অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয় তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে। শুধুমাত্র আমানত গ্রহণ ও ঋণ দেওয়া ছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মক্কেলের পক্ষে অর্থ আদায় ও পরিশোধ করে, অর্থ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর ও বিলবাট্টা করে। বাণিজ্যিক ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হতে পারে অথবা নাও হতে পারে। বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ইত্যাদি এ জাতীয় ব্যাংক।

২। সমবায় ব্যাংকঃ 

যে ব্যাংক সমবায় আইনের আওতায় গঠিত ও পরিচালিত হয় এবং সদস্যদের বিক্ষিপ্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় আমানত হিসাবে গ্রহণ করে মুলধন গঠন করে এবং সমিতির সদস্যদের অর্থনৈতিক কল্যাণে অল্প সুদে তাদের ঋণ দেয় তাকে সমবায় ব্যাংক বলে। সমবায় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের মত মুনাফা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হয় না, বরং সদস্যদের আর্থিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। ছোট ছোট সমবায় প্রতিষ্ঠান মিলে এরকম একটি সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করতে পারে তবে সমবায় ব্যাংকগুলো সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হয় না। কুমিল্লা কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ এদেশের একটি সমবায় ব্যাংক।

৩। কৃষি ব্যাংকঃ 

যে ব্যাংক দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে যে বিশেষায়িত ব্যাংক গঠিত ও পরিচালিত হয় তাকে কৃষি ব্যাংক বলে। কৃষি ব্যাংকের কাজ হলো কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতি, সার, কীটনাশক, বীজ ইত্যাদি কেনার জন্য কৃষকদের অর্থায়ণ করা। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশের বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংক।

৪। শিল্প ব্যাংকঃ 

শিল্প খাতের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে যে ব্যাংক গঠিত ও পরিচালিত হয় তাকে শিল্প ব্যাংক বলে। শিল্প ব্যাংকের মূল কাজ হলো শিল্প উদ্দোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেওয়া, পরামর্শ দেওয়া ও ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিনিধিত্বমূলক কাজ সম্পাদন করা। এছাড়াও শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয়ে শিল্প ব্যাংক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে।

৫। বিনিময় ব্যাংকঃ 

যে ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্যে অর্থ সংস্থান, বৈদেশিক বিনিময় ও লেনদেন নিষ্পত্তিতে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় তাকে বিনিময় ব্যাংক বলে। এসকল ব্যাংক আমদানী ও রপ্তানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য ঋণ দেয়, তাদের জন্য প্রত্যয়ন পত্র ইস্যু করে ও বৈদেশিক মূদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করে আমদানী রপ্তানির দেনা পাওনা পরিশোধে সহায়তা করে। আমাদের দেশে কোন বিশেষায়িত বিনিময় ব্যাংক নেই, তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বৈদেশিক বিনিময় শাখা এ ধরনের সেবা দিয়ে থাকে।

৬। বিনিয়োগ ব্যাংকঃ

দেশের শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দীর্ঘ মেয়াদী মুলধন সরবরাহ করার জন্য যে বিশেষায়িত ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় তাকে বিনিয়োগ ব্যাংক বলে। এ ধরনের ব্যাংকের আরেকটি কাজ হলো নতুন কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাংক নিজেই ঐ কোম্পানীর শেয়ার কিনে প্রারম্ভিব মুলধন সরবরাহ করে। এরপর প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে ব্যাংক ঐ সকল শেয়ার লাভে বিক্রয় করে। বাংলাদেশে ইনভেষ্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ বিনিয়োগ ব্যাংকের উদাহরণ। 

মালিকানার ভিত্তিতে ব্যাংকের শ্রেণীবিভাগঃ 

মালিকানার ভিত্তিতে ব্যাংকের শ্রেণীবিভাগ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সাথে মিল রেখে বিশ্বে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মালিকানায় ব্যাংক গঠিত হয়েছে। নিচে মালিকানার ভিত্তিতে ব্যাংকের ৪টি শ্রেণীবিভাগ আলোচনা করা হলো।

১। সরকারী ব্যাংকঃ 

যে ব্যাংক কোন একটি দেশের সরকারী মালিকানায় পরিচালিত, সংগঠিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে ঐ দেশের সরকারী ব্যাংক বলে। সরকারী ব্যাংক সরকারের নিজ উদ্দ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে অথবা অন্য কোনভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক জাতীয়করণের মাধ্যমে সরকারী মালিকানায় আনা হতে পারে। আমাদের দেশে কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ইত্যাদি সরকারী ব্যাংকের উদাহরণ।

২। বেসরকারী ব্যাংকঃ

যে ব্যাংক কোন ব্যক্তি বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্দ্যোগে ও মালিকানায় গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে বেসরকারী ব্যাংক বলে। বেসরকারী ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্তির মাধ্যমে সরকারের পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ, এবি ব্যাংক লিঃ, ইসলামী ব্যাংক লিঃ, দি সিটি ব্যাংক লিঃ ইত্যাদি এ জাতীয় ব্যাংক।

৩। যৌথ মালিকানাধীন ব্যাংকঃ

যে ব্যাংক সরকারী ও বেসরকারী যৌথ উদ্দ্যোগে ও মালিকানায় গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে সরকারী ও বেসরকারী যৌথ মালিকানাধীন ব্যাংক বলে। সাধারণত এসকল ব্যাংকের মোট শেয়ারের ন্যূনতম শতকরা ৫১ ভাগ শেয়ার সরকারী মালিকানায় থাকে। যার কারণে ব্যাংক পরিচালনায় সরকারের নিয়ন্ত্রণ বেশি থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম’ এমন ব্যাংকের উদাহরণ।

৪। স্বায়ত্তশাসিত ব্যাংকঃ

যে ব্যাংক সরকারের বিশেষ আইন বলে ও সংবিধানের বিশেষ অধ্যাদেশের মাধ্যমে গঠিত হয় এবং স্বাধীনভাবে সরকারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিয়ন্ত্রিত হয় তাকে স্বায়ত্তশাসিত ব্যাংক বলে। আমাদের দেশে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ইত্যাদি স্বায়ত্তশাসিত ব্যাংক। 

Get HSC Finance, Banking and Insurance Assignment Answer

[Join]