কামরাঙ্গার উপকারীতা/ কামরাঙ্গার দাম কত

কামরাঙ্গা এক ধরনের ফল হিসেবে পরিচিত। এই ফল মিষ্টি এবং টক। আর আমাদের দেশে কামরাঙ্গা গাছ বেড়ে ওঠে মানুষের বাড়ির আশেপাশে। এ কারণেই এই ফলটি আমাদের কাছে এত পরিচিত। আর বাংলাদেশে এই ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও এই ফলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই কামরাঙ্গা খাওয়া উচিত।

বর্ণনা

কামরাঙ্গা একটি চিরহরিৎ ছোট থেকে মাঝারি আকারের গাছের মিষ্টি ফল। গাছ 15-25 ফুট লম্বা। ঘন ডালপালা পাতা দিয়ে আবৃত, পাতার যৌগ, 1-3 ইঞ্চি লম্বা। বাকল মসৃণ কালো। ফল 3-6 ইঞ্চি ব্যাস এবং ভাঁজ হয়। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ হয়। কামরাঙ্গা টক বা মিষ্টি হতে পারে। কিছু গাছে একাধিকবার বা সারা বছর ফল ধরে। এটি ভিটামিন এ এবং সি এর একটি ভালো উৎস। ফল সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া যায়।

কামরাঙ্গার ব্যবহার 

3

পাতলা ত্বক সহ পুরো ফল খাওয়া যায়। ফল খাস্তা ও রসালো। ফলে ফাইবার নেই এবং এর প্রকৃতি অনেকটা আঙুরের মতো। কামরাঙ্গা পাকার পরপরই খাওয়া ভালো; হলুদ রঙের হলে। এর বাদামী প্রান্তগুলি কিছুটা শক্ত এবং রেখাযুক্ত। ফল পাকার ঠিক আগে রাখা হয় এবং বাড়ির ভিতরে রাখলে হলুদ হয়ে যায়। যদিও এতে মিষ্টতা বাড়ে না। পাকলে এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। পাকা কামরাঙ্গা প্রায়ই রান্না করে খাওয়া হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় আপেল ও চিনি রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। চীনে এটি মাছ দিয়ে রান্না করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় সবজি হিসেবে রান্না করা হয়, আচার তৈরি করা হয়। জ্যামাইকায় কামরাঙ্গা শুকিয়ে খাওয়া হয়। হাওয়াই এবং ভারতে কামরাঙ্গার রস থেকে শরবত তৈরি করা হয়।

ঔষধি গুণাবলী

এই গাছের ফলের বাকল ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। এর এলার্জিক এসিড খাদ্যনালীর ক্যান্সার প্রতিরোধ করে পাতা ও কচি ফলের রসে ট্যানিন থাকে তাই এর রস রক্ত ​​জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এর মূল একটি প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহৃত হয় শুকনো ফল জ্বরের জন্য ব্যবহার করা হয় ঠাণ্ডা এবং টক তাই এটি অ্যান্টিপারস্পিরান্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে কামরাঙ্গা ম্যাশ ক্ষুধা ও হজমশক্তি বাড়ায়। 

কামরাঙ্গার ক্ষতিকর দিক

1

কামরাঙ্গা খেলে কিডনির বেশি ক্ষতি হয়। যাদের কিডনি ভালো, স্বাভাবিক পরিমাণে কামরাঙ্গা খেলে তাদের কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু দীর্ঘদিন কামরাঙ্গা খেলে কিডনি বিকল হতে পারে। যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তারা যদি অল্প পরিমাণে কামরাঙ্গা বা জুস বা এক বা কয়েক টুকরো কামরাঙ্গা খান, তাহলে কিডনি বিকল হয়ে যায়।

কামরাঙ্গার উপকারীতা 

কামরাঙ্গায় কিছু ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। প্রতি 100 গ্রাম কামরাঙ্গায় 6.1 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, 0.4 গ্রাম খনিজ পদার্থ, 1.20 মি. লোহা গ্রাম এবং ক্যালসিয়াম 11 মিলিগ্রাম। কামরাঙ্গা মানুষের শরীরে ওষুধের মতো কাজ করে। এর কিছু সুবিধা হল-

কামরাঙ্গা একটি আঁশযুক্ত ফল হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। যাদের হজমের সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী একটি ফল। এই ফল শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে কিছু পরিমাণ পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামও রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কামরাঙ্গায় রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক শক্তি যা ত্বকের বিভিন্ন জটিলতা যেমন ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমাধানে সাহায্য করে ত্বক ভালো রাখে।

যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা নিয়মিত কামরাঙ্গা খেলে উপকার পাবেন। ভিটামিন সি স্কার্ভি প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি দাঁত, মাড়ি ও হাড় সুস্থ রাখে। প্রদাহ বিরোধী গুণের কারণে এই ফলটি জ্বর, সর্দি, কাশি এবং ঠান্ডাজনিত অন্যান্য সমস্যার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। * এতে রয়েছে ইলাজিক অ্যাসিড, যা খাদ্যনালীর (অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

কামরাঙ্গারও অনেক গুণ রয়েছে। এর পাতা, কচি ফল সবই ওষুধে কাজ করে। কামরাঙ্গা পাতা এবং কচি ফলের রসে ট্যানিন থাকে, যা রক্ত ​​জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। কামরাঙ্গা জ্বাল দিয়ে খেলে সর্দির সমস্যা সহজে সেরে যায়। এই ফলের পাল্প ক্ষুধা ও হজমশক্তি বাড়ায়। কামরাঙ্গা একটি ঠাণ্ডা ও টক ফল। তাই এটি অ্যান্টিপারস্পিরান্ট, এক্সপেক্টোর্যান্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। তবে খালি পেটে কামরাঙ্গা না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ফারাহ মাসুদা। কারণ এতে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। এর ফলে পেটে ব্যথা বা বমি হতে পারে।

আজকের 3 May 2024 বাজারে কামরাঙ্গার দাম

1

সাধারণত আমরা কামরাঙ্গা খুব কমই কিনে থাকি। কারণ এটি আমাদের বাড়ির আশেপাশে জন্মায়। তবে অনেকেই এই ফল বাজার থেকে সংগ্রহ করেন। এই ফলের বাজার মূল্য হল-

কামরাঙ্গা ১ কেজি  ৪০ টাকা

উপসংহার

আমাদের প্রতিদিন নিয়মিত ফল খাওয়া উচিত। কারণ ফল মানবদেহে খুবই উপকারী। এর প্রধান কারণ হল, ফলের মধ্যে মানবদেহের জন্য প্রচুর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কামরাঙ্গার ওপারে নয়। এই ফল খেলে আমাদের শরীরের জন্য নানাভাবে উপকার পাওয়া যায়। তবে সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও রয়েছে। তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

 

Leave a Comment