আদা সাধারণত মসলা এবং ঔষধী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আদা মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে অন্যতম। পানীয় তৈরি, খাদ্য শিল্প, ঔষধ, আচার ও সুগন্ধি তৈরিতে আদা ব্যবহার করা হয়। এশিয়া থেকে ইউরোপে রপ্তানিকৃত মসলার মধ্যে আদা ও একটি যা সর্বপ্রথম রপ্তানি করা হয়েছিল। সর্বপ্রথম গ্রীস এবং রোমানরা আদা ব্যবহার করত।
[Adsense]বিবরণ
ছোট রাইজম জাতীয় বিরুৎ হলো আদা। এটা ফিকে হলুদ এর মতো রং এবং সুগন্ধি ও ঝাঝালো। আদা গাছের পাতা গুলো ২-৩ ফুট লম্বা হয়ে থাকে এবং সুন্দরভাবে সাজানো থাকে এর পাতাগুলি।
[Adsense]ঔষধি ব্যবহার
আদা একটি ভেষজ ঔষধ। আদা শুকিয়ে চিবিয়ে খেলে মুখের রুচি বাড়ে এবং বদ হজম রোধ করে। এছাড়াও আদার রস বা চিবিয়ে খেলে, সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাপা ইত্যাদি অসুখ রোধ করা যায়। এছাড়াও জানা যায় যে, আদা আমাদের গোপন সমস্যা ও সমাধান করে থাকে।
[Adsense]চাষাবাদ
উচু বেলে- দো-আঁশ মাটি যেখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে আদা চাষ করা উত্তম। সাধারণত ১-২ টি অঙ্কুর বিশিষ্ঠ ১২-১৫ গ্রাম ওজনের বীজ লাগানো হয়।আদার বীজ ফাল্গুন থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত লাগানো যায়। একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব অবলম্বন করে নির্দিষ্ট গভীরে আদার বীজ লাগানো হয়। আদা লাগানোর পরে প্রায় ৯-১০ মাস সময় লাগে আদা সংগ্রহের উপযোগী হতে। সাধারণত জানুয়ারি তে আদা উত্তলন করা হয়।
[Adsense]গুণাগুণ
- আদা জ্বর, শরদি, কাশির জন্য উপকারী।
- আদা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- আদার রস খেলে বসন্ত রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
- আদার রস খেলে শরীর ঠান্ডা হয়।
- আদা খেলে হৃদপিন্ড ভালো থাকে।
বর্তমান বাজারে আদার মূল্য [datetoday]
আদা একটি কাঁচামাল। আদা বিভিন্ন সময়ে চাহিদা অনুযায়ী মূল্য কমতে ও বাড়তে থাকে। প্রায় সকল কাঁচা মাল এর মূল্য স্থীর থাকে না। সব সময় বাড়তে ও কমতে থাকে। বর্তমান বাজার অনুযায়ী আদার মূল্য হলো-
|
আদা -১ কেজি |
৮০ টাকা |
উপসংহার
বিভিন্ন ধরণের রান্নার কাজে এবং ঔষধি হিসেবে আদা বহুল ব্যবহৃত একটি পণ্য। যে কোন ধরণের রান্নায় মসলা হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়। আদা দিলে রান্নায় স্বাধ বাড়ে। আদা যে কোন ধরণের মাছ-মাংশের সাথে ব্যবহার করা হয়।
