নিজের জীবন উপভোগ করতে চাইলে কোন কোন বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার?

আপনি কি জানেন নিজের জীবন উপভোগ করতে চাইলে কোন কোন বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার? যদি না জানেন, তাহলে জেনে নিতে পারেন। এখানে “নিজের জীবন উপভোগ করতে চাইলে কোন কোন বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার?” এই প্রশ্নের কোরা (Quora) ব্যবহারকারী কয়েকজন মানুষের উত্তর তুলে ধরা হলো।

Avie Alan এর মতে জীবন উপভোগ করতে চাইলে যেসকল বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার:

২। অন্যের মতামতকে যত কম গুরুত্ব দিবেন ততটা ঝামেলামুক্ত থাকবেন।

৩। জীবনের সবকিছুই আপেক্ষিক, কোন কিছুই আজীবনের নয়।

৪। সবকিছু ফেসবুকে পোষ্ট করা বন্ধ করুন।

৫। সম্পর্ক, যোগাযোগ, আড্ডা এসব জোর করে জমেনা।

৬। আপনি কারো জন্য সবকিছুই কোরবানি দিতে পারেন, কিন্তু তারপরেও তারা আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে।

৭। আপনার আবেগ দরকারে ব্যবহার করুন। আবেগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবেন না।

৮। বৃদ্ধ বয়সে স্মৃতিগুলোই আপনার সম্বল তাই সময়কে স্মৃতিময় করে তুলুন।

৯। মনের মধ্যেই সবকিছু ঘটে।

১০। নিজেকে ভালবাসুন, অন্যকে ভালবাসতে ভুলে যাবেন না।

শাহরিয়ার কবীর এর মতে জীবন উপভোগ করতে চাইলে যেসকল বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার:

১। আপনি পুরোপুরি স্বাধীন তখনি যখন আপনি অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন। টাকা-পয়সা সত্যিকারের সুখ দেয়না. সুধু সুখের মরীচিকা দেখায়। বেশিরভাগ মানুষ জানেও না সুখ আসলে কী।

২। অন্যের মতামতকে যত কম গুরুত্ব দিবেন ততটা ঝামেলামুক্ত থাকবেন।

৩। জীবনের সবকিছুই আপেক্ষিক, কোন কিছুই আজীবনের নয়।

৪। সবকিছু ফেসবুকে পোষ্ট করা বন্ধ করুন।

৫। সম্পর্ক, যোগাযোগ, আড্ডা এসব জোর করে জমেনা।

৬। আপনি কারো জন্য সবকিছুই কোরবানি দিতে পারেন, কিন্তু তারপরেও তারা আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে।

৭। আপনার আবেগ দরকারে ব্যবহার করুন। আবেগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবেন না।

৮। বৃদ্ধ বয়সে স্মৃতিগুলোই আপনার সম্বল তাই সময়কে স্মৃতিময় করে তুলুন।

৯। মনের মধ্যেই সবকিছু ঘটে।

১০। নিজেকে ভালবাসুন, অন্যকে ভালবাসতে ভুলে যাবেন না। অন্যরা আপনার সাথে নির্দয় ব্যবহার করলেও তাদের সাথে দয়াশীল হোন। দয়াশীলতাই শক্তি।

১১। অন্যের ভাল করুন এবং বিনিময়ে কিছুই আশা করবেন না। এটা ব্যবসা নয়।

১২। সব সময় মন ও শরীর পরিষ্কার রাখুন। শরীর ও মনে নোংরা কিছুই স্থান দেবেন না।

১৩। ঘন ঘন বেশি করে পানি পান করুন।

১৪। সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খান। ফলমূল, শাক-সবজি, এগুলো।

১৫। প্রায়শ ব্যয়াম করুন। দৌড়ান নাহয় জিম করুন।

১৬। কারো পেছনে সময় ব্যয় করবেন না যে আপনার জন্য করবে না।

১৭। হয়তো কখনোই জীবনে কিছু অর্জন করতে পারবেন না, তাই জীবন উপভোগ করুন।

শুভেন্দু পুরকায়স্থ এর মতে জীবন উপভোগ করতে চাইলে যেসকল বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার:

নিজের জীবন কে উপভোগ করতে চাইলে, মনে রাখতে হবে :

১। জীবনে যা ই পেয়েছি, সেগুলো না পেলে, কেমন হতো ?

২। অন্যের সার্থকতার সাথে, নিজের তুলনা করে, দু:খ পাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

৩। নিজের জীবন “ব্যর্থ” বা “অর্থহীন” ভাবার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

৪। জীবনে “চাহিদা” থাকবেই, কিনতু, সেটা যেন “অবাস্তব চাওয়া” না হয়।

৫। জীবনে সব আশা পূর্ণ না ও হতে পারে। কিনতু, হতাশা যেনো পাথরের মতো চেপে না বসে।

“জীবন” কে উপভোগ করতে চাইলে, “জীবন” কখনোই প্রত্যাখান করে না। ফলে, কেউ বিদেশ ভ্রমণ করে ভাবেন, জীবনকে উপভোগ করছি, আবার কেউ কুঁড়েঘরে থেকে, নিজের স্ত্রী, পুত্র, কন্যাকে নিয়ে, গ্রামের মেলায় গিয়ে, “জিলিপি” খেয়ে, ভাবেন, জীবন কতো সুন্দর।

“জীবন”কে উপভোগ, চাইলেই করা যায়। প্রয়োজন শুধু, জীবনের প্রতি “কৃতজ্ঞতা বোধ”। ধন্যবাদ।

নীল ধ্রুব এর মতে জীবন উপভোগ করতে চাইলে যেসকল বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার:

নিজের জীবন উপভোগ করতে চাইলে নিজেকে বধির হতে হবে এবং কোনো ধরণের টেনশন করা যাবেনা!

নিজের জীবনকে আমরা সকলেই আসলে উপভোগ করতে চাই ।কিন্তু আমাদের চাওয়ার যেমন শেষ নাই আর পাওয়া এবং পাওয়ার ইচ্ছারও কোনো শেষ নাই! আমরা যদি কোনো বিষয় নিয়ে বা নিজের কোনো কিছু না পাওয়ার কথা নিয়ে চিন্তিত থাকি তাহলে তো জীবন উপভোগ করা যায় না ! কারো আমরা তখন ই জীবন কে পূর্ণ রূপে উপভোগ করতে পারি যখন আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের কে সুখী বা টেনশন ফ্রি ভাবে ।

আমরা যখন নিজের জীবন কে উপভোগ করতে যাবো তখন আমাদের মন যে কাজে আনন্দ অনুভব করে তাই করতে হয়! যা অনেক সময় আমাদের চারপাশের মানুষের মাথাব্যাথার কারণ হয়! পাঁচ জন্যে ১০ রকম কথা বলে ! এ সব বিষয়ে কর্ণপাত করলে নিজের প্যাশন অনুযায়ী নিজের জীবনের উপভোগের কাজ করতে সমস্যা হতে পারে! তাই পাঁচ জনের কোথায় কান দেওয়া চলবেনা! আরেকটি বিষয় হলো জীবন কে উপভোগ করতে চান কোন ভাবে সেটি আপনাকে খতিয়ে দেখতে হবে! মানুষে মানুষে সুখ, আনন্দ, স্বাদের ভিন্নতা রয়েছে! তাই কোন টেনশন না করে কারো কোথায় কর্ণপাত না করে নিজের যা খুশি করা, পাছে কি হবে এই না ভেবে জীবন কে হেসে- খেলে উপভোগ করা যায়!

মুরাদুল ইসলাম এর মতে জীবন উপভোগ করতে চাইলে যেসকল বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার:

১। হ্যাপিনেস হইল একটা চয়েজ।

২। কিছু জিনিস নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিছু জিনিস থাকে না। এ বিষয়ে ক্লিয়ার থাকা।

৩। ডেজায়ার হইল কোন জিনিস পাওয়ার ইচ্ছা, এবং ঐ জিনিস না পাওয়া পর্যন্ত আমি আনহ্যাপি থাকব বা হ্যাপি হব না, এমন এক চুক্তি। যার ডেজায়ার কম সে হ্যাপি হবার পসিবিলিটি বেশি।

৪। আমরা নাথিং। মহাবিশ্ব সম্ভবত ১০ বিলিয়ন বছর ধইরা আছে, এবং হয়ত আরো ১০ বিলিয়ন বছর ধইরা থাকবে। সেখানে মানুষের সময়কাল, যে আসলে এক ধরনের বান্দর, খুবই তুচ্ছ। খুবই অল্প। আপনি নাই হবেন, আপনার কাজ নাই হবে, আপনার চিন্তা নাই হবে, এবং আপনার বাচ্চারাও নাই হয়ে যাবে। ইভেন এই গ্রহ, এই সূর্য, এভ্রিথিং।

৫। পুরান সভ্যতা, যেগুলা অনেক সমৃদ্ধ ছিল তাদের সম্পর্কে আমরা এখন খুব অল্পই জানি। তারা নাই হইয়া গেছে। আমরা ‘সুমেরিয়ান’ ‘মায়ান’ ইত্যাদি শব্দে এদের সামারাইজ করতে যাই। এইসব মানুষেরা কি তাদের জীবনকাল বাড়াইয়া অনন্তকাল বাঁচতে পারল? না।

৬। আপনে যদি আফটার লাইফের আশা না করেন তাইলে জাইনা রাখবেন আপনার এই লাইফ খুবই ছোট, ও খুবই মূল্যবান। এই জীবনে আপনে আনহ্যাপি না থাকেন।

রন্তিদেব এর মতে জীবন উপভোগ করতে চাইলে যেসকল বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার:

জীবনকে উপভোগের আগে জীবনেকে উপলব্ধি করতে জানতে হবে। নিজের জীবনকে উপলব্ধি করতেই পারলেই আপনি জীবনকে উপভোগ করতে পারবেন।

Sayed Arman এর মতে জীবন উপভোগ করতে চাইলে যেসকল বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার:

আসলে জীবন উপভোগ করার মত কিছু নাই, জীবন আপনাকে উপভোগ করবে এটাই বাস্তবতা।

তারপরো যদি বলেন উপভোগ করতে চাই। সেক্ষেত্রে বলব এটা নির্ভর করবে ব্যাক্তির উপর।ব্যাক্তিভেদে জীবন উপভোগের প্রকাশ আলাদা। যেমন ধরুন কেউ ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে আবার কেউ ঘরকুনো হয়ে থাকাকে উপভোগ করে।

কারো কাছে নারী,বাড়ি,গাড়ি উপভোগ্য কারো কাছে তা সম্পূর্ণ মূল্যহীন। উপভোগের কোন বস্তুই নয়।

এখন আপনি ঠিক করুন আপনার কাছে কোন বিষয়টি উপভোগ্য? তারপর বলা যাবে তা উপভোগ করার জন্য আপনার কিকি বিষয় মনে রাখতে হবে।

ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।