0

অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১৬তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

অষ্টম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১৬তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

৮ম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ১৬তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

newresultbd.com

সাধারণত সমাজের মানুষের জীবন-যাপনের ধারাকে সংস্কৃতি বলা হয়। অর্থাৎ সংস্কৃতি হলো আমাদের জীবন প্রণালি। বিশদভাবে বলতে গেলে, মানুষ তার অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে এবং তার মৌলিক প্রয়োজনগুলো পূরণের লক্ষ্যে যা কিছু সৃষ্টি বা তৈরি করে তাই হলো সংস্কৃতি। সংস্কৃতি ০২ ভাগে বিভক্ত। যথা—

০১) বস্তুগত সংস্কৃতি এবং ০২) অবস্তুগত সংস্কৃতি।

ঘরবাড়ি, তৈজসপত্র, আসবাবপত্র, উৎপাদন হাতিয়ার ইত্যাদি হলো বস্তুগত সংস্কৃতি। অন্যদিকে মানুষের দক্ষতা, জ্ঞান, চিন্তা ভাবনা, আচার ব্যবহার, বিশ্বাস, সংগীত, সাহিত্য ও শিল্পকলা ইত্যাদি হলো অবস্তুগত সংস্কৃতি। আর এই সকল বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির মধ্যে পরিবর্তন লক্ষিত হলে তাকে মানুষের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন বলা হয়। [newresultbd.com] যা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন বলেও বিবেচিত। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, পূর্বে বিনোদনের জন্য সকলে জারিসারির গান, পালাগান ইত্যাদি শুনত কিন্তু বর্তমানে ইউটিউব, সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের বিনোদন চাহিদা পূূূরণ করে নিচ্ছে। আবার পূর্বে শিল্পকারখানায় শ্রমিক হিসেবে মানুষ কাজ করত কিন্তু বর্তমানে শ্রমিকের পরিবর্তে রোবট ব্যবহৃত হচ্ছে। 

সংস্কৃতির ধর্মই হলো পরিবর্তনশীলতা। তবে এর পেছনে কিছু কারণ বিদ্যমান। যেমন—

১) সমাজ ভেদে সংস্কৃতি ভিন্ন হয়ে থাকে তবে এক সমাজের সংস্কৃতি অন্য সংস্কৃতির সংস্পর্শে এসে প্রভাবিত হতে পারে। যা সাংস্কৃতিক ব্যাপ্তি নামে পরিচিত।

২) নিজের সংস্কৃতিকে ঠিক রেখে পাশাপাশি অন্য সংস্কৃতির উপাদানকেও নিজের সংস্কৃতির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হলো সংস্কৃতায়ন। এর ফলেও সংস্কৃতির পরিবর্তন সাধিত হয়।

৩) মানুষ যখন এক সংস্কৃতি হতে অন্য সংস্কৃতি বা সাংস্কৃতিক পরিবেশে বাস করতে শুরু করে তখন তারা সেই সমাজের সংস্কৃতি আয়ত্ত করার মাধ্যমে নিজেদের মানিয়ে নেয় যাকে সাংস্কৃতিক আত্তীকরণ বলে। এর মাধ্যমেও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ঘটে।

৪) বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে সংস্কৃতি।

বর্তমান করোনা মহামারীকালীন সময়ে অনেকে চাকরি হারিয়ে সম্পূর্ণ বেকার হয়ে গিয়েছে আবার অনেকের বেতন পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে। [newresultbd.com] এতে করে মানুষ পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি মিতব্যয়ী হতে শুরু করেছে। যদিও এর পেছনে বেশ কিছু কারণ বিদ্যমান। নিম্নে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো: 

১) করোনার প্রকোপ বাড়ায় শিল্পকারখানাগুলো বন্ধ, ফলে কর্মীরা বেতন পাচ্ছে না কিংবা কম পাচ্ছে। তাই তাদের আয় কমার পাশাপাশি তারা মিতব্যয়ীও হচ্ছে।

২) মহামারীকালীন সময়ে লকডাউন দেওয়ায় যানবাহন চালকরা ঠিকভাবে গাড়ি চালাতে না পারায় তাদের আয় কমেছে আর তারা অতিরিক্ত ব্যয়ও পরিহার করছে।

এছাড়াও বিভিন্ন কারণে মানুষের আয় কমায় মানুষ মিতব্যয়ী হয়ে গিয়েছে।

অন্যদিকে সমাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিসরও সীমিত হয়ে গিয়েছে। পরিবর্তিত হয়েছে নিয়ম কানুন ও রীতিনীতি। [newresultbd.com] পূর্বে কোনো বিয়েতে ২ দিন ব্যাপি নানা ঝমকালো আয়োজন করা হতো কিন্তু বর্তমানে একদম সামান্য পরিসরে সামান্য মানুষজন নিয়ে কয়েকঘন্টার মধ্যেই শেষ করা হচ্ছে বিবাহ কার্য। এতেও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের আবাস দেখা দিচ্ছে।

মহামারীকালীন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে যেহেতু প্রতিরোধ গড়া অসম্ভব, তাই এমন পরিস্থিতির সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়া উচিত। আমরা সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাক্স পরিধান করে এবং জনসমাগম এড়িয়ে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারি। [newresultbd.com] এছাড়া নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পুষ্টি সম্পন্ন খাবার গ্রহণ, সপ্তাহে একবার অন্তত পুরো ঘর পরিষ্কার করা ইত্যাদি মাধ্যমে। এছাড়াও যেকোনো জিনিস ধরার পর কিংবা বাইরে হতে এসে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিব। এভাবেই আমরা পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারি।

[Join]