ডিজিটাল বাংলাদেশ ই-সার্ভিস, ই-গভর্ন্যান্স ও ই-কমার্স আমাদের জীবনকে করেছে সহজতর – এর উপর ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর। নবম শ্রেণীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ১৬তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ সমাধান।
অ্যাসাইনমেন্ট: ডিজিটাল বাংলাদেশ ই-সার্ভিস, ই-গভর্ন্যান্স ও ই-কমার্স আমাদের জীবনকে করেছে সহজতর – এর উপর ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
৯ম শ্রেণীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ১৬তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর
“ডিজিটাল বাংলাদেশ ই-সার্ভিস, ই-গভর্নেন্স এবং ই-কমার্স আমাদের জীবনকে করেছে সহজতর।”
একুশ শতকের সম্পদ হলো জ্ঞান। এবং এই জ্ঞানের কল্যাণেই মানুষ আবিষ্কার করেছে নিত্য নতুন প্রযুক্তি। সৃষ্টি হয়েছে ই-কমার্স , ই গভর্নেন্স ই সার্ভিস এর মত বিষয়গুলো যা আমাদের জীবনকে করেছে সহজতর।
ই-সার্ভিসঃ
ই-সার্ভিস এর পূর্ণরূপ হলো ইলেকট্রনিক সার্ভিস। বর্তমানে ই-সার্ভিস বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সেবামূলক সংস্থা সার্বক্ষণিকভাবে অথবা স্বল্প সময়ে দেশের জনগণকে বিভিন্ন সেবা প্রদান করছে। কুইক-উইন, ই-পর্চা, ইএমটিএস, ই-পুর্জি, ই-স্বাস্থ্যসেবা, ই-টিকেটিং এই সেবার অর্ন্তভুক্ত। ই সার্ভিসের কয়েকটি কার্যক্রম নিচে উল্লেখ করা হল যা আমাদের জীবনকে সহজ করেছে।
(সকল এসাইনমেন্ট সমাধান সবচেয়ে দ্রুত পেতে ভিজিট করুন newresultbd.com)
ই-স্বাস্থ্যসেবা: মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনগণ এখন সহজেই সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসকের কাছ থেকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ নিতে পাচ্ছেন।
কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র: কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র হলো-মাঠপর্যায়ে স্থাপিত কৃষকদের দ্বারা পরিচালিত একটি আইসিটিভিত্তিক তথ্য সেবা কেন্দ্র।
ই-পুর্জি: দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত চিনিকলসমূহের তথ্য এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাওয়া যায়।
ই-পর্চা সেবা: বর্তমানে জমি সংক্রান্ত তথ্যাদি ই-সেবার আওতায় আসায় আবেদনকারী এখন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জেলা ই-সেবা কেন্দ্রের পাশাপাশি, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে এমনকি অনলাইনে দেশ-বিদেশের যে কোন স্থান থেকেই নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে পর্চা সংগ্রহ করতে পারছে।
ই-গভর্নেন্সঃ
ই-গভর্নেন্স (E-governence) এর পূর্ণরূপ হলো- ইলেকট্রনিক গভর্নেন্স (Electronic Governence)। এটা এমন একটি পদ্ধতি বা ব্যবস্থা যা সরকারের কর্মকান্ড ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাইজড আকারে রূপান্তরিত করে এবং জনগণের সাথে সরকারের সরাসরি যোগসূত্র স্থাপন করে। ডিজিটাইজড ইনফরমেশন তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শেয়ার করতে পারে। ই-গভর্নেন্স কয়েকটি কার্যক্রম নিচে উল্লেখ করা হল যা আমাদের জীবনকে সহজ করেছে।
(সকল এসাইনমেন্ট সমাধান সবচেয়ে দ্রুত পেতে ভিজিট করুন newresultbd.com)
সরকারী কার্যক্রমে ও প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগই হচ্ছে ই-গভর্ন্যান্স। অতীতে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বিশেষ করে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করা পরীক্ষার্থী এবং অবিভাবকদের একটি বিড়ম্বনা ব্যাপার ছিল। কিন্তু বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট এমনকি মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যায়। আবার পরীক্ষার ফলাফল পুন:মূল্যায়ন করার জন্যও এখন অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করা হচ্ছে এবং ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশে ই-গভর্ন্যান্স চালুর ফলে সরকারি দপ্তরসমূহের মধ্যে আন্ত:সংযোগ সহ কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দ্রুত সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। তবে এখনও অনেক ক্ষেত্রে ই-গভর্ন্যান্স চালু হাওয়ার বাকি রয়েছে। সকল ক্ষেত্রে ই-গভর্ন্যান্স চালু হলে দেশ আরও অনেক উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
ই-কমার্সঃ
ই-কমার্স এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে ইলেকট্রনিক কমার্স । ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য, সেবা ও তথ্য ক্রয়-বিক্রয়, হস্তান্তর বা বিনিময় কার্যকেই বলা হয় ই-কমার্স (E-commerce)। ই-কমার্স একটি বাণিজ্য ক্ষেত্র যেখানে কোন ইলেকট্রনিক সিস্টেমের মাধ্যমে পণ্য বা সেবার লেনদেন সম্পূর্ণ হয়ে থাকে।
ই-কমার্সের সুবিধা সমূহ জীবনকে সহজতর করেছেঃ
১. ব্যবসার মান বিশেষভাবে উন্নয়ন করা যায়।
২. ই-কমার্স কোন প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক বাজারে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।
৩. ই-কমার্সের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের বিভিন্ন খরচাদি যেমন- তৈরী করা, বিতরণ করা, সংরক্ষণ করা এবং পড়া ইত্যাদি কার্যক্রমের খরচ ব্যাপকভাবে কমায়।
৪. ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সহজে সম্পর্ক তৈরী করে।
৫. ই-কমার্স সময় বাঁচায় এবং অতি দ্রুত ভোক্তার কাছে পণ্য পৌঁছায়।
৬. যোগাযোগ খরচ কমায়।
৭. পণ্য ও সেবার মান উন্নয়ন করা যায়। (সকল এসাইনমেন্ট সমাধান সবচেয়ে দ্রুত পেতে ভিজিট করুন newresultbd.com)
একুশ শতক হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। পূর্বে সম্পদের যে ধারণা ছিল, বর্তমানে সেটি পুরোপুরি পাল্টে গেছে। পৃথিবীর সবাই মেনে নিয়েছে যে, জ্ঞানই হচ্ছে একুশ শতকের সম্পদ। যার অর্থ কৃষি, খনিজ সম্পদ, শিল্প কিংবা বাণিজ্য নয়; বর্তমানে পৃথিবীর সম্পদ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তার কারণ একমাত্র মানুষই জ্ঞান সৃষ্টি করতে পারে, জ্ঞান ধারণ করতে পারে এবং জ্ঞান ব্যবহার করতে পারে। সম্পদের এই নতুন ধারণাটি পুরো পৃথিবীর মানুষের চিন্তার জগতে একটি বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়েছে। একুশ শতকের মানুষ তাই সম্পূর্ণ নতুনভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
সূত্রঃ বাংলাদেশের উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রথম বর্ষের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পাঠ্যবই। Unit-1, পাঠ 1.3 এবং 1.4 পৃষ্ঠা নম্বর 8 থেকে 13 ।
[Join]