ইসলামে নারীর অধিকার এবং নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ব্যাখ্যা করণ। এইচএসসি ইসলাম শিক্ষা ৭ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ সমাধান।
বিষয়: ইসলাম শিক্ষা ১ম পত্র, বিষয় কোড: ২৪৯, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৫, স্তর: এইচএসসি, দ্বিতীয় অধ্যায়: ইসলাম ও ব্যক্তি জীবন।
অ্যাসাইনমেন্ট: ইসলামে নারীর অধিকার এবং নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ব্যাখ্যা করণ।
বিষয়বস্তু
- ১. নারীর অধিকার ও নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রয়ােজনীয়তা উপলদ্ধি করতে পারব এবং পরস্পর পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে অনুপ্রাণিত হব।
নির্দেশনা
নিচের বিষয়গুলাে বিবেচনায় রেখে লিখতে হবে-
- নারীর অধিকার সম্পর্কে ধারণা
- ইসলামে নারীর অধিকারসমূহ
- কুরআন ও হাদিসের আলােকে নারীর প্রতি সম্মান পদর্শনের সঠিক ধারণা
- নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পন্থাসমূহ
- নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রয়ােজনীয়তা
- নারী-পুরুষ পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে অনুপ্রাণিত হওয়া
এইচএসসি ইসলাম শিক্ষা ৭ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ উত্তর
ক) নারী অধিকার সম্পর্কে ধারণাঃ
নারী অধিকার পরিভাষাটি বলতে বোঝায় এক ধরনের স্বাধীনতা, যা সকল বয়সের মেয়ে ও নারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। এই অধিকার হতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক, আইনানুগ, আঞ্চলিক সংস্কৃতি দ্বারা সিদ্ধ, বা কোনো সমাজের আচরণের বহিঃপ্রকাশ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই অধিকারকে অস্বীকার করতেও দেখা যায়। সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন দেশে এই অধিকারের বিভিন্ন রকম সংজ্ঞা ও পার্থক্য দেখা যায়, কারণ এটি পুরুষ ও ছেলেদের অধিকারের থেকে ভিন্ন। এবং এই অধিকারের স্বপক্ষে আন্দোলনকারীদের দাবী যে, নারী ও মেয়েদের অধিকারের প্রচলনের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দুর্বলতা রয়েছে।
যেসব বিষয়ের ক্ষেত্রে নারী অধিকার প্রযোজ্য হয়, তা সুনির্দিষ্ট না হলেও এগুলো মূলত সমতা ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা কেন্দ্রিক। যেমন: ভোটদানের অধিকার, অফিস-আদালতে একসাথে কাজ করার অধিকার, কাজের বিনিময়ে ন্যায্য ও সমান প্রতিদান (বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি) পাবার অধিকার, সম্পত্তি লাভের অধিকার, শিক্ষার্জনের অধিকার, সামরিক বাহিনীতে কাজ করার অধিকার, আইনগত চুক্তিতে অংশগ্রহণের অধিকার, এবং বিবাহ, অভিভাবক ও ধর্মীয় অধিকার। নারী ও তাদের সহযোগীরা কিছু স্থানে পুরুষের সমান অধিকার আদায়ের স্বপক্ষে বিভিন্ন প্রকার ক্যাম্পেইন ও কর্মশালা চালিয়ে যাচ্ছে।
খ) ইসলামে নারীর অধিকার সমূহঃ
কন্যা হিসেবে ইসলাম কিভাবে নারীকে সম্মান দিয়েছে সে বিষয়ে আলোকপাত করে দেখা যায়, ‘আবু সাঈদ খুদরী হতে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান আছে, সে তাদেরকে আদব শিক্ষা দিয়েছে এবং বিবাহ দিয়েছে এবং তাদের সাথে সদাচরন করেছে, তার জন্য রয়েছে জান্নাত।” (সুনানে আবু দাউদ)। মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘মেয়েশিশু বরকত ও কল্যাণের প্রতীক। [newresultbd.com] যে ব্যক্তির তিনটি, দুটি বা একটি কন্যাসন্তান থাকবে; আর সে ব্যক্তি যদি তার কন্যাসন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত ও সুপাত্রস্থ করেন তবে তার জান্নাত নিশ্চিত হয়ে যাবে।’ মহানবী (সা.) ঘোষণা করেন, ‘যার রয়েছে কন্যাসন্তান, সে যদি তাকে অবজ্ঞা ও অবহেলা না করে এবং পুত্রসন্তানকে তার ওপর প্রাধান্য না দেয়; আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’
স্ত্রী হিসেবে নারীর গুরুত্ব সম্পর্কে পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। ‘তারা তোমাদের আবরণস্বরূপ আর তোমরা তাদের আবরণ।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৭)। ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সদাচরণ করো।’ (সূরা-৪ নিসা, আয়াত: ১৯)। ‘নারীদের ওপর যেমন অধিকার রয়েছে পুরুষের, তেমনি রয়েছে পুরুষের ওপর নারীর অধিকার।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত ২২৮)। ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে উত্তম আচরণ করো ও উত্তম আচরণ করার শিক্ষা দাও।’ (সূরা-৪ নিসা, আয়াত: ১৯)। স্ত্রীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘উত্তম স্ত্রী সৌভাগ্যের পরিচায়ক।’ (মুসলিম শরিফ)। তিনি বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।’ (তিরমিজি)।
বোন হিসেবে নারীর সম্মান নিয়ে হজরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘কারও যদি কন্যাসন্তান ও পুত্রসন্তান থাকে আর তিনি যদি সন্তানদের জন্য কোনো কিছু নিয়ে আসেন, তবে প্রথমে তা মেয়ের হাতে দেবেন এবং মেয়ে বেছে নিয়ে তারপর তার ভাইকে দেবে।’ হাদিস শরিফে আছে, বোনকে সেবাযত্নকরলে আল্লাহ প্রাচুর্য দান করেন।
এছাড়া বিধবা নারীর অধিকার ও সম্মান নিয়ে ইসলামের রয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশনা। বিধাব নারীর অধিকার ও সম্মান নিয়ে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যিনি বা যারা বিধবা নারীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেয়, তারা যেন আল্লাহর পথে জিহাদকারী এবং নিরলস নামাজি ও সদা রোজা পালনকারী। (বুখারি ও মুসলিম)।
গ) কোরআন ও হাদিসের আলোকে নারী অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সঠিক ধারণাঃ
মা হিসেবে নারীর সম্মান
ইসলাম নারীদের সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা দিয়েছে মা হিসেবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত’। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার এক লোক মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দরবারে এসে জিজ্ঞেস করলেন, আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার বেশি অধিকারী কে? নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমার মা’। ওই লোক জিজ্ঞেস করলেন, তারপর কে? তিনি উত্তর দিলেন ‘তোমার মা’। ওই লোক আবারও জিজ্ঞেস করলেন, তারপর কে? এবারও তিনি উত্তর দিলেন ‘তোমার মা’। (বুখারি)।
মহানবী (সা.)-এর জামানার বিখ্যাত এক ঘটনার কথা আমরা জানি। মায়ের সেবা করার কারণে হজরত ওয়াইস করনি (রা.) প্রিয় নবীর জামানায় থেকেও সাহাবি হতে পারেননি। একবার ওয়াইস করনি (রা.) নবীজির কাছে খবর পাঠালেন ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনার সঙ্গে আমার দেখা করতে মন চায়; কিন্তু আমার মা অসুস্থ, এখন আমি কী করতে পারি?’ নবীজি (সা.) উত্তর পাঠালেন, ‘আমার কাছে আসতে হবে না। [newresultbd.com] আমার সঙ্গে সাক্ষাতের চেয়ে তোমার মায়ের খেদমত করা বেশি জরুরি।’ নবীজি (সা.) তাঁর গায়ের একটি মোবারক জুব্বা ওয়াইস করনির জন্য রেখে যান। তিনি বলেন, মায়ের খেদমতের কারণে সে আমার কাছে আসতে পারেনি। আমার ইন্তেকালের পরে তাকে আমার এই জুব্বাটি উপহার দেবে। জুব্বাটি রেখে যান হজরত ওমর (রা.)-এর কাছে। এবং প্রিয় নবী (সা.) বলেন, হে ওমর! ওয়াইস করনির কাছ থেকে তুমি দোয়া নিয়ো।
কন্যা হিসেবে নারীর সম্মান
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মেয়েশিশু বরকত (প্রাচুর্য) ও কল্যাণের প্রতীক।’ হাদিস শরিফে আরও আছে, ‘যার তিনটি, দুটি বা একটি কন্যাসন্তান থাকবে; আর সে ব্যক্তি যদি তার কন্যাসন্তানকে সুশিক্ষিত ও সুপাত্রস্থ করে, তার জান্নাত নিশ্চিত হয়ে যায়।’
বোন হিসেবে নারীর সম্মান
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কারও যদি কন্যাসন্তান ও পুত্রসন্তান থাকে আর তিনি যদি সন্তানদের জন্য কোনো কিছু নিয়ে আসেন, তবে প্রথমে তা মেয়ের হাতে দেবেন এবং মেয়ে বেছে নিয়ে তারপর তার ভাইকে দেবে।’ হাদিস শরিফে আছে, বোনকে সেবাযত্ন করলে আল্লাহ প্রাচুর্য দান করেন।
স্ত্রী হিসেবে নারীর সম্মান
ইসলামের দৃষ্টিতে নারী-পুরুষ একে অন্যের পরিপূরক। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে রয়েছে, ‘তারা তোমাদের আবরণস্বরূপ আর তোমরা তাদের আবরণ।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৭)। স্ত্রীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘উত্তম স্ত্রী সৌভাগ্যের পরিচায়ক।’ (মুসলিম শরিফ)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে–ই উত্তম, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম।’ (তিরমিজি)। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সদাচরণ করো।’ (সূরা-৪ নিসা, আয়াত: ১৯)। কোরআনে আরেক জায়গায় বলা হয়েছে, ‘নারীদের ওপর যেমন অধিকার রয়েছে পুরুষের, তেমনি রয়েছে পুরুষের ওপর নারীর অধিকার।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াত ২২৮)।
বিধবার অধিকার ও সম্মান
বিধবাদের অধিকার সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যারা বিধবা নারীর ভরণ–পোষণের দায়িত্ব নেয়, তারা যেন আল্লাহর পথে জিহাদকারী এবং নিরলস নামাজি ও সদা রোজা পালনকারী। (বুখারি ও মুসলিম)।
ঘ) নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পন্থা সমূহঃ
১. নারীরা সফরসঙ্গী হলে সকলেই ধীরে ধীরে চলা।
২. বিপদে পড়লে পুরুষের আগে নারীদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
৩. তাদেরকে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দেওয়া।
৪. তাদের পড়ালেখার সুযোগ করে দেওয়া।
৫. তাদের সঙ্গে সর্বদা উত্তম আচরণ করা।
৬. তাদের ভরণপোষণ এর ব্যবস্থা করা।
৭. নারীদের খরচ করার ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া।
৮.নারীরা যা অর্জন করবে সে সম্পদ নারীদের জন্য আলাদা রাখা।
৯. নারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেওয়া।
১০. তাদের ভুল ত্রুটির জন্য সংশোধনের সুযোগ দেওয়া।
ঙ) নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তাঃ
১. এতে নারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পায়।
২. সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসে।
৩. নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন রাসুল (সা) এর সুন্নত এবং শিক্ষা।
৪. নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা পুরুষদের জন্য কর্তব্য।
৫. নারী-পুরুষের মানুষ তার সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।
৬. নারীদের কে আমাদের নবী কাঁচের সাথে তুলনা করেছেন তাই এদের সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের যত্ন নেওয়া উচিত।
৭. প্রত্যেকটি মানুষের স্বাধীনতা রয়েছে তাই নারীদেরকে স্বাধীনতার মাধ্যমে সম্মান দেওয়া উচিত।
৮. আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী প্রত্যেক অর্জিত সম্পত্তি অর্জনকারীর ব্যক্তির তাই তাদের সম্পদের দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।
৯. প্রতিটি মানুষ অর্থাৎ নারী-পুরুষ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকলে সমাজের নানামুখী সমস্যার অবসান হবে।
১০. নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এটি আল্লাহর একটি বিধান যার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর প্রিয় পাত্র হতে পারব এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচতে পারবো।
চ) নারী পুরুষ পরস্পর পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে অনুপ্রাণিত হওয়াঃ
নারী ও পুরুষ পরস্পর পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা প্রয়োজন। কারণ একে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করলে পরিবারে সমাজে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হবে। এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। একে অন্যের সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারি। একজন পুরুষের যেমন কিছু অধিকার রয়েছে তেমনি কিছু অধিকার রয়েছে।
পুরুষ যেমন আল্লাহ তালার সৃষ্টি বা দাস। তেমনি নারীরাও আল্লাহতালার দাস। এখানে উভয়ই আল্লাহতালার বাবা গোলাম। নারী যেমন পুরুষের দাস নয়। পুরুষ যেমন নারীর দাস নয়। এজন্য উভয়ই একে অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।
এ ধরণীর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত নারী। মায়ের জাতি নারী। ইসলাম নারীকে দিয়েছে অনন্য মর্যাদা। অথচ এমন এক সময় ছিল যখন নারীর জীবন ও জীবিকা পরিবারের পুরুষ সদস্যদের মর্জির উপর নির্ভর করত। [newresultbd.com] সে জীবন থেকে নারীকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছে ইসলাম। বসিয়েছে সম্মানের আসনে। হাদিসে পাকে ঘোষণা করা হয়েছে, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।
নারী জাতি সঠিক পথে চললে পুরো পরিবার পাবে সঠিক পথের দিশা। এ কারণেই নেপালিয়ান বলেছিলেন, ‘তোমরা আমাকে শিক্ষিত মা দাও আমি শিক্ষতি জাতি দেব।’ এ কথা থেকে বুঝা যায়, আদর্শ, মার্জিত রুচিবোধ সম্পন্ন শিক্ষিত মা পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও সন্তানদের জন্য আদর্শ।
সেজন্য নারীদের প্রতি পুরুষের এবং পুরুষের প্রতি নারীদের সম্মান প্রদর্শনের প্রতি অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত এবং সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।
[Join]