0

বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর। দ্রুত শিপ্লোন্নয়নে কোন ধরণের শিল্প স্থাপন করা যুক্তিযুক্ত- মতামত দাও। এইচএসসি ২০২২ অর্থনীতি ৭ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান।

HSC Economics 7th Week Assignment 2022

অ্যাসাইনমেন্ট: বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস কর। দ্রুত শিপ্লোন্নয়নে কোন ধরণের শিল্প স্থাপন করা যুক্তিযুক্ত- মতামত দাও

বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পের শ্রেণিবিন্যাস

বাংলাদেশের শিল্পের শ্রেণীবিন্যাস করণ 

(ক) আকার অনুযায়ী শিল্পের শ্রেণীবিভাগ (Classification of industry according to size):

বাংলাদেশের শিল্পসমূহ আকার অনুযায়ী বা আকারের ভিত্তিতে মূলত তিন প্রকার। নিচে এগুলো ব্যাখ্যা করা হল:

১। বৃহৎ শিল্প (Large scale industries): বৃহৎ শিল্প বলতে বড় শিল্প বোঝায় অর্থাৎ যে শিল্পে অধিক মূলধন, অনেক শ্রমিক ও প্রচুর পরিমান কাঁচামাল ব্যবহার করে আধুনিক তথা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে বিপুল পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন করা হয় তাকে বৃহৎ অথবা বৃহদায়তন শিল্প বলা হয়। এখানে উল্লেখ্য বাংলাদেশ শিল্প আইন অনুযায়ী যে শিল্প কারখানায় ২৩০ জনের অধিক শ্রমিক কাজ করে তাকে বৃহৎ শিল্প বলে। পাট, বস্ত্র, সিমেন্ট, কাগজ, সার ইত্যাদি বাংলাদেশের শিল্পের উদাহরণ।

২। মাঝারি শিল্প  (Medium scale industries): বাংলাদেশে শিল্প আইন বা কারখানা আইন অনুযায়ী যে কারখানায় ২০ জনের বেশি কিন্তু ২৩০ জনের কম শ্রমিক নিয়োজিত আছে তাকে মাঝারি শিল্প বলে। মাঝারি শিল্প মূলত: বৃহৎ ও ক্ষুদ্র শিল্পের মাঝামাঝি অবস্থান করে। মাঝারি শিল্প, বৃহৎ শিল্পের ন্যায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তবে মূলধন তুলনামূলক ভাবে বৃহৎ শিল্প অপেক্ষা কম ব্যবহার করে। বাংলাদেশে বহু সংখ্যক মাঝারি শিল্প গড়ে উঠেছে এবং উঠছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো চামড়া শিল্প, সিগারেট শিল্প, সাবনশিল্প, দিয়াশলাই শিল্প ইত্যাদি।

৩। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (Small and cottage industries): সাধারণ অর্থে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প একই অর্থে ব্যবহৃত হয় তবে সুক্ষ¥ অর্থে এ দুয়ের পার্থক্য আছে। বাংলাদেশে কারখানা ও শিল্প আইন অনুযায়ী যে কারখানায় সর্বোচ্চ ২০ জন শ্রমিক কাজ করে তাকে ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্প বলে। তবে এখানে উল্লেখ্য ক্ষুদ্র শিল্পে ভাড়া করা শ্রমিক ও বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে উন্নত প্রযুক্তিও ব্যবহার হয়।

কুটির শিল্প মূলত পারিবারিক শ্রমিক দ্বারা পরিচালিত হয় এবং বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয় না। মোট কথা স্থানীয় কাঁচামাল কম মূলধন ও পারিবারের সদস্য দ্বারা কুটির শিল্প বিভিন্ন দ্রব্য উৎপাদন করে থাকে। বাংলাদেশে তাত শিল্প, বাঁশ ও বেত শিল্প, বিড়ি শিল্প, লবন শিল্প ইত্যাদি হল কুটির শিল্প।

(খ) কাঠামো অনুযায়ী শিল্পের শ্রেণী বিভাগ (Classification of industry according to structure):

কাঠামো অনুযায়ী বাংলাদেশের শিল্পসমূহকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। নিচে এগুলো ব্যাখ্যা করা হল: 

১। ভোগ্য দ্রব্য শিল্প: সে সব শিল্পকারখানা সরাসরি মানুষের ভোগ উপযোগী দ্রব্য তৈরি করে তাকে ভোগ্য দ্রব্য শিল্প বলে। যেমন- সাবান শিল্প,চিনি শিল্প, সিগারেট শিল্প ইত্যাদি। বাংলাদেশ একটি অতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশ। তাই এখানে ভোগ্য শিল্পের গুরুত্ব অত্যাধিক।

২। মাধ্যমিক দ্রব্য শিল্প: যে সকল উৎপাদিত পণ্য পুনরায় অন্য দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় তাকে মাধ্যমিক দ্রব্য বলে। আর এই মাধ্যমিক দ্রব্য যে সকল কারখানায় তৈরি হয় তাকে মাধ্যমিক দ্রব্য শিল্প বলে। যেমন- সুতা একটি উৎপাদিত দ্রব্য যা বস্ত্র শিল্পে উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই সুতা শিল্পকে মাধ্যমিক শিল্প বলে।

৩। মূলধনী দ্রব্যের শিল্প: বাংলাদেশে মূলধনী বা ভারী শিল্প নেই বললেই চলে। তবে একটি দেশের অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত করতে হলে অবশ্যই প্রয়োজন মূলধনী শিল্প। মূলধনী দ্রব্য যে কারখানায় তৈরি হয় তাকে মূলধনী শিল্প বলে।

রপ্তানিমুখী শিল্পের তালিকা 

পাট: বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। পাট বাংলাদেশের প্রধান একটি অর্থকরী ফসল। দেশে ও বিদেশে পাটের চাহিদা ব্যাপক। পাট থেকে বিভিন্ন রকমের পণ্য উৎপন্ন করা হয়। এগুলো রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এ পাটের চাহিদা, গুরুত্ব ও মর্যাদা রয়েছে বিশ্বব্যাপী। পাট উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় এবং কাঁচা পাট রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে প্রথম।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা যায় যে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৯১ কোটি (৩.৯১ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে দেশ। এর মধ্যে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে পাট ও পাট পণ্য থেকে।বাংলাদেশে দেশি, তোষা ও মেসতা এই তিন জাতের পাটের চাষ হয়। দেশি পাটের আঁশ সাদা, তোষা পাটের আঁশ লালচে এবং মেসতা পাটের আঁশ অপেক্ষাকৃত মোটা হয়ে থাকে।

বস্ত্র: বস্ত্র শিল্পের ৪টি অংশ − সুতা উৎপাদন, বস্ত্র উৎপাদন, রংকরণ ও প্রিন্টিং এবং তৈরি পোশাক। বিভিন্ন পর্যায়ের সমস্যার মধ্যে বিভিন্নতা রয়েছে এবং সমাধানের মধ্যেও এজন্য পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে সুতা উৎপাদনের পরিমাণ বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯১-৯২ সালে বাংলাদেশে ৫৯.৮ মিলিয়ন কেজি সুতা উৎপাদিত হয়। ১৯৯৬-৯৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০৯.৯ মিলিয়ন কেজিতে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সুতা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। মোট চাহিদার শতকরা ৪০ ভাগ সুতা দেশে উৎপাদিত হয়। অবশিষ্ট সুতা আমদানি করা হয়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে বস্ত্র উৎপাদনের পরিমাণ বিপুলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই সময়ে রাষ্ট্রীয় খাতে পরিচালিত বৃহদায়তন মিলগুলোর উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়া  সত্বেও তা দেশের চাহিদা সম্পূর্ণ মেটাতে সক্ষম নয়। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বস্ত্রের ব্যবহার দ্বিবিধ। প্রথমত, দেশের মানুষের বস্ত্রের চাহিদা পূরণ। দ্বিতীয়ত, দেশের রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের চাহিদা আংশিকভাবে পূরণ। বস্ত্র উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বিধায় বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বস্ত্র আমদানি করে। বাংলাদেশ রপ্তানীমুখী পোশাক শিল্পের জন্য গড়ে ২ − ৩ বিলিয়ন গজ বস্ত্র আমদানি করে। 

চা: চা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ও রপ্তানী ফসল। চা শিল্প গ্রামীণ কর্মনিয়োগের সুযোগ বিশেষতঃ মহিলাদের কর্মনিয়োগের সুযোগ দেয় এবং গ্রাম অঞ্চলে দারিদ্র বিমোচনে অবদান রাখে। বাংলাদেশে চা উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। গত ১০ বছরে এই বৃদ্ধির গড় বার্ষিক হার শতকরা ৩ ভাগ। বাংলাদেশে ১৯৯৭ − ৯৮ সালে মোট ৫৮.৬১ হাজার মেট্রিক টন চা উৎপাদিত হয়। সাম্প্রতিককালে দেশে উৎপাদনের তুলনায় অভ্যন্তরীণ চাহিদার পরিমাণ বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য রপ্তানির পরিমাণ কমে গেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫৮ টি চা বাগান আছে। এর অধিকাংশই বৃহত্তর সিলেট জেলায় অবস্থিত। 

তৈরি পোশাক: তৈরি পোশাক ও নীট ওয়্যার শিল্প বাংলাদেশের একটি দ্রুত বিকাশমান শিল্প। এটি পুরোপুরি রপ্তানিমুখী শিল্প। ১৯৭৭ − ৭৮ সালে তৈরি পোশাক কারখানার সংখ্যা ছিল মাত্র ৯টি। বর্তমানে এই সংখ্যা ৩ হাজারের কাছাকাছি। ১৯৮১ − ৮২ সালে দেশে ০.১৩ মিলিয়ন ডজন পোশাকে তৈরি হয় এবং ১৯৯৮ − ৯৯ সালে প্রায় ৭৪ মিলিয়ন ডজন তৈরি পোশাক উৎপাদিত হয় এবং এ থেকে ৩.২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়। একই বছরে নীট ওয়্যার দ্রব্য রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১.১৫ বিলিয়ন ডলার। এই উভয় উৎস থেকে দেশের শতকরা ৭৫ ভাগ রপ্তানি আয় হয়। [সবার প্রথমে সকল এসাইনমেন্ট সমাধান পেতে ভিজিট করুন newresultbd.com] বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। নীটওয়্যার দ্রব্যের প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ। বাংলাদেশী রপ্তানি পণ্য এসব দেশে কিছু বাণিজ্যিক সুবিধা ভোগ করে। এটি একটি আমদানি নির্ভর শিল্প। এই শিল্পের প্রয়োজনীয় উপাদান আমদানি করতে এই শিল্পের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৭০ ভাগ ব্যয়িত হয়। উলে−খ করা প্রয়োজন যে, এ শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বোতাম, জিপার, কার্টন ইত্যাদির বেশির ভাগ এখন দেশে তৈরি হয়। 

চামড়া: চামড়া শিল্প একটি রপ্তানিমুখী শিল্প। বর্তমানে বাংলাদেশে ২০০টিরও অধিক চামড়াজাত দ্রব্য তৈরির কারখানা আছে। এর মধ্যে চামড়া পাকা করার কারখানা আছে ৪০টি। দেশে ১৪০ মিলিয়ন বর্গফুট চামড়া উৎপাদিত হয়। এর শতকরা ৮০ ভাগ গরুর চামড়া। 

সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের শিল্পোন্নয়নে সরকারি নীতি 

পিপিপি প্রকল্প গ্রহণ

১৩। (১) চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষ, ক্ষেত্রমত, পিপিপি কর্তৃপক্ষ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর যে কোন প্রকল্প অথবা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর বাইরে যে কোন প্রকল্প চিহ্নিতক্রমে উহা পিপিপির মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য পিপিপি প্রকল্প গ্রহণ করিতে পারিবে।

 (২) বোর্ড অব গভর্নরস, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর যে কোন প্রকল্প অথবা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর বাইরের যে কোন প্রকল্পকে পিপিপির ভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিতে পারিবে।

পিপিপি পকল্প অনুমোদন

১৪। পিপিপি প্রকল্পের নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক সম্পাদিত হইবে।

জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প

১৫।(১) দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করিবার বা জনসাধারণের বড় ধরনের কোন দূর্ভোগ দ্রুত নিরসনের প্রয়োজনে চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষ, ক্ষেত্রমত, পিপিপি কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে, যেকোন প্রকল্পকে জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প ঘোষণা করিতে পারিবে।

 (২) এই আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষ, ক্ষেত্রমত, পিপিপি কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে, জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প অনুমোদন, বেসরকারি অংশীদার নির্বাচন, নেগোসিয়েশন, ইত্যাদির জন্য আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটি বা সাব-কমিটি গঠন করিতে পারিবে।

 (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন গঠিত কমিটির কর্মপরিধি, কার্য পদ্ধতি ও সভা অনুষ্ঠানসহ জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প অনুমোদন, বেসরকারি অংশীদার নির্বাচন, নেগোসিয়েশন, ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

পিপিপি প্রকল্পে সরকারি আর্থিক অংশগ্রহণ

১৬। সরকার পিপিপি প্রকল্পের নিম্নবর্ণিত কর্মকাণ্ডের বিপরীতে অর্থ প্রদান করিতে পারিবে, যথা:-

(ক) কারিগরি সহায়তার বিপরীতে অর্থায়ন(Technical Assistance Financing);

(খ) আর্থিক সামর্থ্য ঘাটতির বিপরীতে অর্থায়ন (Viability Gap Financing); (গ) প্রকল্প কোম্পানিতে ইকুইটি ক্রয় বা ঋণের বিপরীতে অর্থায়ন (Financing against Equity and Loan); (ঘ) পিপিপি প্রকল্পের সহিত সংযুক্ত কম্পোন্যান্ট বাস্তায়নের বিপরীতে অর্থায়ন Financing against Linked Component); (ঙ) পিপিপি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন কর্মকাণ্ডের বিপরীতে অর্থায়ন।

প্রণোদনা প্রদানে সরকারের ক্ষমতা

১৭। পিপিপি প্রকল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করিবার জন্য সরকার, বোর্ড অব গভর্নরস এর সুপারিশের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, প্রণোদনা ঘোষণা করিতে পারিবে।

চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা ও কার্যাবলি

১৮। (১) এই আইন ও তদ্ধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধিমালার বিধানাবলি সাপেক্ষে, চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষ পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বীয় খাতের যে কোন অবকাঠামো নির্মাণ বা বিদ্যমান অবকাঠামো বিনির্মাণের জন্য বেসরকারি অংশীদারের সহিত অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে।

(২) পিপিপি প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিতকল্পে চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবে

(৩) প্রকল্পের অগ্রগতি ও কার্যক্রম বিষয়ে চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষ, নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময় অন্তর, পিপিপি কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করিবে।

(৪) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পিপিপি কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষের নিকট যে কোন প্রতিবেদন বা তথ্য-উপাত্ত যাচনা করিতে পারিবে এবং চুক্তিকারী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।

Get HSC Economics Assignment Answer

[Join]