0

স্কার্ভি, রিকেট, রক্তাল্পতা, গলগন্ড প্রভৃতি রােগের প্রতিকার ও প্রতিরােধে অণুপুষ্টি উপাদানের ভূমিকা উপস্থাপন। এইচএসসি খাদ্য ও পুষ্টি ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ সামধান।

স্কার্ভি, রিকেট, রক্তাল্পতা, গলগন্ড প্রভৃতি রােগের প্রতিকার ও প্রতিরােধে অণুপুষ্টি উপাদানের ভূমিকা উপস্থাপন

বিষয়: খাদ্য ও পুষ্টি ২য় পত্র, বিষয় কোড: ২৮০, স্তর: এইচএসসি, মোট নম্বর: ১৬, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৪, অধ্যায়-তৃতীয়; অণুপুষ্টি উপাদান।

অ্যাসাইনমেন্ট: স্কার্ভি, রিকেট, রক্তাল্পতা, গলগন্ড প্রভৃতি রােগের প্রতিকার ও প্রতিরােধে অণুপুষ্টি উপাদানের ভূমিকা উপস্থাপন।

বিষয়বস্তু

  • ক. অণুপুষ্টি উপাদানের নাম ও প্রকারভেদ বর্ণনা করতে পারবে
  • খ. ভিটামিনের অভাবজনিত রােগের নাম ও লক্ষণ উল্লেখ করতে পারবে
  • গ. খনিজপদার্থের উৎস,প্রকারভেদ অভাবজনিত রােগ ও লক্ষণ এবং কাজ ব্যাখ্যা করতে পারবে

নির্দেশনা

  • ক) অণুপুষ্টির ধারণা ও নাম উল্লেখ করতে হবে
  • খ) অণুপুষ্টির অভাবজনিত রােগের তালিকা তৈরি করতে হবে
  • গ) স্কার্ভি রিকেট, রক্তাল্পতা,গলগন্ড প্রতিকারে অণুপুষ্টির ভূমিকা উল্লেখ করতে হবে
  • ঘ) স্কার্ভি রিকেট, রক্তাল্পতা,গলগন্ড প্রতিরােধে অণুপুষ্টির ভূমিক উল্লেখ করতে হবে

স্কার্ভি, রিকেট, রক্তাল্পতা, গলগন্ড প্রভৃতি রােগের প্রতিকার ও প্রতিরােধে অণুপুষ্টি উপাদানের ভূমিকা

newresultbd.com

ক) অণুপুষ্টির নাম

স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য যেসব উপাদান অত্যন্ত সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন হয় তাদেরকে অনুপুষ্টি বলে।

যেমন – দস্তা, ম্যাঙ্গানিজ, মলিবডেনাম, বোরন ইত্যাদি।

খ) অণুপুষ্টির অভাবজনিত রোগ

দস্তার অভাবজনিত রোগ

জিঙ্ক একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ যা আমরা খাদ্য এবং খাদ্যে বরাদ্দ সম্পূরক থেকে সংগ্রহ করি। প্রোটিন ও ডিএনএ সংশ্লেষণ, গর্ভাবস্থা ও শৈশবকালীন বৃদ্ধি ও বিকাশ, উপযুক্ত স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি, ক্ষতের নিরাময় এবং রোগ প্রতিরোধের মতো একাধিক শারীরিক ক্রিয়াকলাপে জিঙ্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক শরীরে গ্রহণ করা প্রয়োজন কারণ মানুষের দেহে এর কোন সঞ্চয় ব্যবস্থা নেই। শরীরে জিঙ্ক গ্রহণ ও জিঙ্কের উপস্থিতি কমে যাওয়ার সমস্যাকে জিঙ্কের অভাব বলে।

জিঙ্কের অভাবজনিত সবথেকে পরিচিত উপসর্গগুলি হল:

খিদে কমে যাওয়া, বিলম্বিত বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।

এই সমস্যার বিরল ও গুরুতর উপসর্গগুলি হল:

ডায়রিয়া বা অতিসার, চুল পড়া, যৌন অক্ষমতা, বিলম্বিত বয়ঃসন্ধি, ত্বক ও চোখের ক্ষত, পুরুষদের মধ্যে হাইপোগোনাডিজম। ক্ষত সারতে বেশি সময় লাগা, ওজন হ্রাস, লেথার্জি বা অতিরিক্ত আলস্য, স্বাদের অনুভূতি কমে যাওয়া প্রভৃতি উপসর্গও জিঙ্কের অভাবে ঘটতে পারে।

জিঙ্কের অভাব ঘটার প্রধান কারণগুলি হল:

পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক গ্রহণ না করা, ত্রুটিপূর্ণ শোষণ, শরীরে জিঙ্কের চাহিদা বৃদ্ধি, শরীর থেকে অতিরিক্ত জিঙ্ক বেরিয়ে যাওয়া।

নীচে দেওয়া বিষয়গুলি জিঙ্কের অভাবের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়:

অপর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ, মদ্যপান, পৌষ্টিক তন্ত্রের বিভিন্ন রোগ যা খাদ্য থেকে জিঙ্কের শোষণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, যেমন ক্রোন’স ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম, ট্রপিক্যাল স্প্রূ ইত্যাদি। গর্ভাবস্থা ও দুগ্ধক্ষরণ যার ফলে শরীরে জিঙ্কের চাহিদা বেড়ে যায়।

রক্তপরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে উপস্থিত জিঙ্কের মাত্রা দেখে শরীরে জিঙ্কের গুরুতর অভাব নির্ণয় করা হয়। এলকালাইন ফসফাটেজ এঞ্জাইম ও এলবুমিনের মাত্রাও এই নির্ণয়করণে সাহায্য করে।

জিঙ্কের অভাবের মূল চিকিৎসা হল কমে যাওয়া জিঙ্কের সরবরাহ করা। সমস্যাটির অন্তর্নিহিত কারণের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ডোজের জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়।

জিঙ্কের অভাবের ফলে ত্বকে সৃষ্ট ক্ষতগুলির চিকিৎসায় ময়শ্চারাইজার এবং টপিক্যাল স্টেরয়েড ব্যবহার করা যায়না।

এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণের একটি কার্যকরী উপায় হল জিঙ্কযুক্ত খাদ্য বেশি খাওয়া। ঝিনুক (অয়েস্টার), ছাগলের মাংস, পোলট্রি, বাদাম, বিন, দানাশস্য এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের মত খাদ্যগুলিতে জিঙ্কের পর্যাপ্ত মাত্রা উপস্থিত থাকে যা খেলে শরীরে জিঙ্কের চাহিদা পূরণ হয়।

ম্যাঙ্গানিজের অভাবজনিত রোগ

হাড়ের দুর্বল বৃদ্ধি বা কঙ্কালের ত্রুটি, ধীর বা দুর্বল বৃদ্ধি, কম উর্বরতা, দুর্বল গ্লুকোজ সহনশীলতা, স্বাভাবিক গ্লুকোজ রক্ষণাবেক্ষণ এবং ডায়াবেটিসের মধ্যে একটি অবস্থা কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বির অস্বাভাবিক বিপাক।

তামার অভাবজনিত রোগ

তামা বিভিন্ন প্রকার আমিষ, এনজাইম এবং শ্বাসতন্ত্র সংক্রান্ত কোষকলার মধ্যস্থ এনজাইমগুলোর একটি উপাদান যা শারীরিক বিকাশ এবং বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উপাদানটি রক্তের হিমোগ্লোবিনের লোহা সংযুক্তিতে, ত্বকের স্বাভাবিক রং ধরে রাখতে, স্নায়ুর সংকেত আদান-প্রদানে, পরিপাকতন্ত্র, বিপাকীয় কার্যক্রম এবং রোগ-প্রতিরোধক কার্যক্রম পরিচালনায় অবদান রাখে। অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুরা এবং রক্তশূন্যতায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রে তামার স্বল্পতা দেখা যায়। উপাদানটির অভাবে রক্তে শ্বেতকণিকার স্বল্পতা, অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন, হাড়ের সমস্যা, রোগ-প্রতিরোধক তন্ত্রের সমস্যা এবং চুল ও নখের বৃদ্ধিতে সমস্যা দেখা দেয়। সামুদ্রিক খাদ্য, বাদাম, শিম বা মটরজাতীয় বীজ, শাক-সবজি, ফলমূল, গরু বা খাসির যকৃত ইত্যাদিতে এই উপাদানটি পাওয়া যায়। প্রতিদিনের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৯০০ মাইক্রোগ্রাম। গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্য মাত্রাটা একটু বেশি হওয়া ভালো।

গ) স্কার্ভি, রিকেট, রক্তাল্পতা, গলগন্ড রোগের প্রতিকার

স্কার্ভি প্রতিকার

  • ডেন্টাল সার্জনের সহায়তা নিতে হবে। সাথে আরো যা করতে হবে
  • চিকিৎসকের নির্দেশমতো ওষুধ সেবন করতে হবে।
  • নিয়মিত স্কেলিং পলিশিং করতে হবে। .
  • নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
  • প্রতিবার খাবার পর কুলি করতে হবে।
  • মাঢ়ি ম্যাসাজ করতে হবে।
  • দুই দাঁতের মাঝে জমে থাকা পচা খাবার ফসিং করতে হবে।
  • উপযুক্ত মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।

রিকেটস প্রতিকার

রিকেটস হলে ক্যালসিফেরল ট্যাবলেট ১৬০০-২০০০ আই.ইউ দৈনিক একবার অথবা ১-আলফা (১.২৫ ডিহাইড্রোক্সি কলিক্যালসিফেরল) ০.৫-২.০ মাইক্রোগ্রাম দৈনিক একবার খেতে দিতে হবে। দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত এ রকম চলবে। এরপর ক্যালসিফেরল ৪০০ আই.ইউ দৈনিক খেতে হবে দুই মাস। বর্তমানে উন্নত শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে বাঁকা হাড় কেটে সোজা করা যায়।

রক্তাল্পতা প্রতিকার

  • শরীরে আয়রনের ঘাটতিজনিত কারণে রক্তাল্পতা হলে আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে।
  • রক্তাল্পতায় অনেকে আয়রন ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। তবে ইচ্ছামতো আয়রন ট্যাবলেট না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শমতো আয়রন খাওয়াই ভালো।
  • পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওষুধ ছাড়াই রক্তাল্পতা দূর করা সম্ভব। যেমন, দুধ, শাক-সবজি, মধু, বিভিন্ন ফল ইত্যাদি। যারা ফল খেতে ভালোবাসেন না তারা প্রাণিজ উৎস থেকে আয়রন শরীরের কাজে লাগাতে পারে।
  • মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় এবং শিশুকে স্তন্যপান করানোর সময় শরীরে আয়রনের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এ সময় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খাওয়া দরকার। পাশাপাশি আয়রন সমৃদ্ধ ওষুধও খেতে পারে।

গলগণ্ড প্রতিকার

রোগীর লক্ষণ, গলগণ্ডের আকার এবং এর কারণের ওপর চিকিৎসার প্রয়োজন ও ধরন নির্ভর করে। আকারে ছোট, চোখে পড়ে না এমন উপসর্গহীন নিরীহ ধরনের (ক্যানসার নয় এমন) গলগণ্ডের সাধারণত কোনো চিকিৎসার দরকার হয় না। থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা বেশি (হাইপোথাইরয়েডিজম) বা কম (হাইপোথাইরয়েডিজম) হতে পারে; সে অনুযায়ী ওষুধ দিতে পারেন চিকিৎসক।

এ ছাড়া থাইরয়েডের প্রদাহ কমাতে ব্যথার ওষুধ, এমনকি কোনো কোনো জটিল অবস্থায় স্টেরয়েড সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। গলগণ্ডের আকার বড় হলে শুধু ওষুধে কাজ না–ও হতে পারে, এ রকম ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আয়োডিন বা থাইরয়েড সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

মনে রাখবেন, বেশির ভাগ গলগণ্ডেরই সার্জারি লাগে না, বরং অপ্রয়োজনীয় থাইরয়েডের সার্জারি পরবর্তী সময়ে নানাবিধ সমস্যার কারণ হতে পারে।

প্রয়োজনে সার্জারি

অনেক বড় আকারের গলগণ্ড যা শ্বাসনালি, খাদ্যনালি, গলার স্নায়ু বা রক্তনালির ওপর চাপ প্রয়োগ করে শ্বাসকষ্ট, খাবার গিলতে অসুবিধা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন বা অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষায় থাইরয়েডের ক্যানসার ধরা পড়লে বা সন্দেহ হলে।

যদি ওষুধ বা তেজস্ক্রিয় আয়োডিন দিয়ে হাইপারথাইরয়েডিজম রোগ না সারে অথবা ওষুধ বা তেজস্ক্রিয় আয়োডিন দেওয়ার পর জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় বা রোগী এ ধরনের চিকিৎসা গ্রহণের জন্য সার্বিক বিচারে উপযোগী না হন। রোগী ওষুধ বা তেজস্ক্রিয় আয়োডিন দিয়ে চিকিৎসায় রাজি না থাকলেও বিকল্প হিসেবে থাইরয়েড সার্জারি করা হয়।

এটি যদি আপনার জীবনযাত্রার স্বাভাবিকতাকে ব্যাহত করে বা আপনার সৌন্দর্যহানির কারণ বলে মনে করেন।

তাই গলগণ্ড হয়েছে বলে মনে করলে আতঙ্কিত না হয়ে হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। খুব অল্প ক্ষেত্রেই গলগণ্ডের চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এবং সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে আরও অল্পসংখ্যক রোগীর।

ঘ) স্কার্ভি, রিকেট, রক্তাল্পতা, গলগন্ড প্রতিরোধ

স্কার্ভি প্রতিরোধ

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের মাধ্যমে স্কার্ভি প্রতিরোধ করা সম্ভব। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো আমলকী, মিষ্টি মরিচ বা ক্যাপসিকাম, ব্ল্যাককারেন্ট, ব্রকলি, মরিচ, পেয়ারা, কিউয়িফল ও পার্সলি। এছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যান্য ফলের মধ্যে রয়েছে লেবু, জামির, কমলা, পেঁপে ও স্ট্রবেরি। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শাকসবজির মধ্যে রয়েছে ব্রাসেলস স্প্রাউট, বাঁধাকপি, আলু ও পালং শাক কিছু প্রাণীজ খাদ্য যেমন কলিজা, মাকটাক ((তিমির চামড়া), ঝিনুক, মস্তিষ্ক, সুষুম্নাকাণ্ড ইত্যাদি। যেসকল প্রাণী নিজে নিজেই ভিটামিন সি তৈরি করতে পারে তাদের সতেজ মাংস স্কার্ভি প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট ভিটামিন সি ধারণ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে শুধু মাংস, এমনকি আংশিক রান্না করা মাংসও স্কার্ভি উপশম করতে পারে। অপরপক্ষে, অন্যান্য ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে শুধু মাংস নির্ভরশীল খাদ্যাভ্যাস স্কার্ভি করতে পারে।

রিকেটস প্রতিরোধ

রিকেটস যাতে না হয় তার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেমন-

  • শিশুকে সূর্যালোকে রাখতে হবে।
  • মুখে ভিটামিন ডি খাওয়াতে হবে।
  • শিশু অপরিণত হলে তার জন্ম নেয়ার দুই সপ্তাহ পর থেকে তাকে ভিটামিন ডি দিতে হবে।
  • গর্ভবতী মহিলা ও স্তন্যদানরত মাকে ভিটামিন ডি দিতে হবে।
  • শিশুর প্রথম বছরেই ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ দুধ খাওয়াতে হবে।
  • শিশুকে ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে।
  • শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত অবশ্যই মায়ের দুধ দিতে হবে।

রক্তাল্পতা প্রতিরোধ

১. ভিটামিন সি খাদ্য থেকে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। টমেটো, লেবু, টক জাতীয় ফল, ক্যাপসিকাম এগুলো ভিটামিন সি এর ভালো উৎস।

০২. খাদ্যতালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। যেমন মাংস, মাছ, বাদাম, সবুজ শাকসবজি, কচু, কলিজা এসব খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।

০৩. ইস্পিরিলুনা একটি নীলাভ সবুজ algae যা অ্যানিমিয়ার চিকিৎসার জন্য উপকারী। ডেইলি ১ চা চামচ রসই যথেষ্ট। তবে আজকাল ক্যাপসুল আকারেও ইস্পিরিলুনা পাওয়া যায়।

০৪. কফি, চা রেড ওয়াইন আয়রন শোষণে বাঁধা দান করে। তাই আমাদের যাদের অ্যানিমিয়া আছে তাদের এসব পানীয় পরিহার করাই স্বাস্থ্যসম্মত।

৫. আধা বালতি পানিতে ২ টেবিল চামচ ইপসম লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে ।

০৬. প্রতিদিন এক চা চামচ মধু আর এক চা চামচ ভিনেগার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে । চাইলে এই সবগুলো একসাথে মিশিয়েও খেতে পারে। মধুতে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন, মেঙ্গানিজ, কপার আছে।

০৭. প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন বি ১২ আর ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে । কমলা, কলা, মটরশুঁটি, দুদ্ধজাত খাদ্য, ডিম এইগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন বি১২ আর ফোলেট আছে।

০৮. অ্যানিমিয়ার রোগীর জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে সবচেয়ে উপকারী চিকিৎসা হলো হাত, পা ম্যাসাজ করা। এতে করে শরীরে রক্ত চলাচল সঠিক উপায়ে হবে।

০৯. আয়রন দিয়ে বানানো পাত্রে রান্না করার চেষ্টা করতে হবে । এটা প্রমাণিত হয়েছে এসব পাত্রে রান্না করা খাবারে আয়রনের পরিমাণ অনেকখানি বেড়ে যায়।

১০. এক কাপ আপেলের জুসের সাথে এক কাপ বিট রুটের জুস আর চিনি মিশিয়ে প্রতিদিন একবার করে খেতে হবে।

গলগণ্ড প্রতিরোধ

যেহেতু থাইরয়েড রোগীদের অভাবজনিত কারণে হয়ে থাকে সেই জন্য আয়োডিনযুক্ত খাবারগুলো অতিরিক্ত পরিমাণে আপনাকে খেতে হবে। যেমন গাজর দুধ সামুদ্রিক মাছ শাকসবজি এবং মৌসুমি ফল গুলিতেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে।

থাইরয়েডকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রোটিনের মাত্রা খুব বেশি থাকা দরকার সেই জন্য আপনার পাতে নিয়মিত মুরগির মাংস ডিম পনির ইত্যাদি খেলে থাইরয়েড সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

উচ্চ মানের টাইরোসিন আমিষযুক্ত খাবার খান। টাইরোসিন দরকার হয় থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে। এটি পেতে খেতে হবে লাল মাংস, মাছ, মুরগির ডিম ও মাংস, কলা ও মিষ্টি কুমড়ার বিচি।

গয়ট্রোজেনাস খাবার যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, চিনাবাদাম, সয়াসস, ইত্যাদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। রান্না করে খাবেন, কাঁচা খাবেন না। থাইরয়েডে সমস্যা থাকলে এসব খাবার খাওয়া উচিত নয়।

গ্লুটেন প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ঠিক রাখে। এইজন্য গম, শস্যদানা, যব, বার্লি খেতে হবে।

থাইরয়েড ঠিক রাখার জন্য লিভারের সুস্থতা দরকার। লিভারের সুস্থতার জন্য ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খেতে হবে। বিভিন্ন তেলযুক্ত মাছ, কাঁচা বাদাম, অলিভ অয়েল-এ এটা পাওয়া যাবে। আয়োডিনযুক্ত লবণ খাবেন।

কীটনাশক ও হেভিমেটাল যেমন মারকারি, ক্যাডমিয়াম, দস্তা ব্যবহারে সতর্ক হবেন।

থাইরয়েড সমস্যার মোকাবিলা করতে হলে আপনার ঘুমের খুবই প্রয়োজন সেই জন্য রাত জেগে যারা থাকে তাদের এই সমস্যা বেড়ে যাওয়ার বেশি আশঙ্কা দেখা যায়। তবে যাদের রাতে কাজ থাকে তারা দিনের বেলায় ঘুমিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি মেটাতে পারে।

থাইরয়েডের সমস্যা হলে আমরা বিভিন্নভাবে চিন্তায় পড়ি কিন্তু এই সময় নিজেকে শরীরচর্চা থেকে বিরত রাখলে হবে না। নিয়মিত সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার কাটা উচিত।

Get HSC Food and Nutrition Assignment Answer

[Join]