0

বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে কৃষি উন্নয়নে গৃহীত ব্যবস্থাদি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব বিশ্লেষণ। এইচএসসি অর্থনীতি ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ সমাধান।

বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে কৃষি উন্নয়নে গৃহীত ব্যবস্থাদি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব বিশ্লেষণ।

বিষয়: অর্থনীতি ২য় পত্র পত্র, বিষয় কোড: ১১০; স্তর: এইচএসসি, মোট নম্বর: ১৬, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৪, অধ্যায়-দ্বিতীয়; বাংলাদেশের কৃষি।

অ্যাসাইনমেন্ট: বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে কৃষি উন্নয়নে গৃহীত ব্যবস্থাদি এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব বিশ্লেষণ।

(বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের অন্যান্য অংশের ন্যায় বাংলাদেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ; এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবনাক্ততা এবং উত্তরাঞ্চলে মরুময়তা বান্ধব উফশী বীজ উদ্ভাবনসহ কৃষির আধুনিকীকরণে পারমানবিক শক্তি, জৈব প্রযুক্তি এবং আইসিটি ব্যবহারের গুরুত্ব বিশ্লেষণ);

বিষয়বস্তু

  • ক) বাংলাদেশের কৃষিতে পরিবেশ দূষণ, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব চিহ্নিত করে বিদ্যমান সংকট উত্তরণ এবং অভিযােজনের উপায় অনুসন্ধান করতে পারবে;
  • খ) বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে পারমানবিক শক্তি, বায়ােটেকনােলজি পদ্ধতি এবং আইসিটি ব্যবহারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে;
  • গ) বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে কৃষি প্রযুক্তি বিশেষ করে উন্নত বীজ উদ্ভাবনের ফলাফল মূল্যায়ন করতে পারবে;
  • ঘ) কৃষি উন্নয়নে গৃহীত নীতি ও কর্মসূচির প্রতি সমর্থন দানে উদ্বুদ্ধ হবে;

নির্দেশনা

  • (ক) কৃষি ও পরিবেশ
  • (খ) কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
  • (গ) কৃষি উন্নয়নে গৃহীত ব্যবস্থাদি
  • (ঘ) কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন – ও গুরুত্ব

বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে কৃষি উন্নয়নে গৃহীত ব্যবস্থাদি ও প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব

HSC 2021 অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্রের পঞ্চম সপ্তাহের নমুনা উত্তর

এসাইনমেন্ট এর ক্রমিক নংঃ 04

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে কৃষি উন্নয়নে গৃহীত ব্যবস্থাদি ও প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব।

বিষয় কোডঃ 110

বিষয়ঃ Economics. 

ক)  কৃষি ও পরিবেশের সম্পর্ক

কৃষিকাজে প্রকৃতির ভূমিকা মুখ্য এবং মানুষের ভূমিকা গৌণ। কারণ কৃষির সাফল্য বা ব্যর্থতা প্রকৃতি দ্বারা প্রভাবিত। মৃত্তিকা, জলবায়ু, প্রাণী ও উদ্ভিদের জৈবিক প্রক্রিয়া এ তিনটি প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর কৃষিকাজ মূলত নির্ভরশীল। তাই প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা কৃষির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।

কৃষি পরিবেশের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।পরিবেশ যদি কৃষির অনুকূলে থাকে তবে প্রচুর পরিমাণ কৃষি দ্রব্য উৎপাদন করা সম্ভব কিন্তু পরিবেশ যদি প্রতিকূলতাকে তবে  কৃষির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।কারণ কৃষি পরিবেশ ধারা সবসময় প্রভাবিত থাকে।উদাহরণস্বরূপ বলা যায় কৃষক যখন ধান চাষ করে তখন তাকে পরিবেশের উপর নির্ভর করতে হয়।যেমন,  সঠিক সময়ে বৃষ্টি হওয়া, জোয়ার ভাটার পানি পাওয়া, আবহাওয়া ঠিক থাকা, বন্যা মুক্ত থাকা ইত্যাদি।কিন্তু কোন কারণে যদি এগুলোর বিপরীত দেখা যায় তাহলে ফসলের মারাত্মক ক্ষতিসাধন হয়। আবার পরিবেশের কারণে কৃষিপণ্যের দাম ওঠানামা করে এবং ফলন কম বেশি হয়।তাই বলা যায়,  কৃষি এবং পরিবেশ একে অন্যের সাথে সম্পর্কিত। 

খ)  জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব

কৃষি ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ খাত, কারণ এর উৎপাদনশীলতা পুরোপুরি তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত, হালকা তীব্রতা, বিকিরণ ও রৌদ্রের সময়কাল, যেমন জলবায়ুর কারণ গুলোর উপর নির্ভর করে। শস্য উৎপাদনের ওপর তাপমাত্রার প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতি ফসলের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য তাপমাত্রার পরিসীমা থাকে। যখন তাপমাত্রার সীমা নিচে পড়ে বা ওপরের সীমা অতিক্রম করে, তখন ফসলের উৎপাদনের সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হয়। বৃষ্টিপাত শস্য উৎপাদনকে প্রভাবিত করে থাকে। বৃষ্টিপাত হলো শস্য উৎপাদনের অন্যতম প্রধান জলবায়ু, কারণ সব ফসলের বিকাশের জন্য জলের প্রয়োজন হয়; কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, বন্যা ও জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি ফসলের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেখা গেছে, উদ্ভিদ, প্রজনন ও পাকা পর্যায়ে বৃষ্টিপাতের ফলে এক মিমি বৃদ্ধিতে আমন ধানের উৎপাদন যথাক্রমে ০.০৩৬, ০.২৩০ এবং ০.২৯২ টন হ্রাস পেয়েছে। পানির ঘাটতি ফসলের উৎপাদন সীমাবদ্ধ করে যখন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) দ্বারা সরবরাহ করা সেচের কাভারেজ মাত্র পাঁচ শতাংশ।

শস্য উৎপাদনের ওপর সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধির প্রভাব: সমুদ্র স্তর বৃদ্ধি কৃষিকে তিনটি উপায়ে, যেমন লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ দ্বারা, বন্যার দ্বারা ও ঘূর্ণিঝড়ের ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি করে এবং এর ক্ষয়কে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এই তিনটি কারণের সংযুক্ত প্রভাব উপকূলীয় অঞ্চলে কৃষি ক্ষেত্র হ্রাস করে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থানের কারণে লবণাক্ততার অনুপ্রবেশে মিঠা পানির অভাব এবং মাটির অবক্ষয়ের ফলে কৃষি ক্ষেত্র হ্রাস পাবে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে লবণাক্ততা ভবিষ্যতে আরও তীব্র সমস্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। [সকল এসাইনমেন্ট সমাধান সবচেয়ে দ্রুত পেতে ভিজিট করুন newresultbd.com] লবণাক্ততা কিছু গাছের পরিমিত শক্তি ও অঙ্কুরোদগমের হারও হ্রাস করে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা যায় সাতক্ষীরায় একটি গ্রামে ধানের উৎপাদন হ্রাস তদন্ত করে জানা যায় ২০০৩ সালে ধানের উৎপাদন ১৯৮৫ সালের তুলনায় এক হাজার ১৫১ মেট্রিক টন কম ছিল। মোট হ্রাসপ্রাপ্ত উৎপাদনের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ধান ক্ষেতে চিংড়ি পুকুরে রূপান্তর করার কারণে এবং ২৩ শতাংশ ফলন হ্রাসের কারণে হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের দ্বারা এরই মধ্যে জানা গেছে যে, আরও বেশি ক্ষেত্র স্তর বৃদ্ধির কারণ। সুতরাং ভবিষ্যতে কৃষি ফসলের ক্ষতি আরও বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শস্য উৎপাদনে বন্যার প্রভাব: বাংলাদেশের ফসল উৎপাদনে সবচেয়ে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেছে বন্যা। ১৯৮৮ সালের বন্যার ফলে কৃষিক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ উৎপাদন হ্রাস ঘটেছে। প্রতি বছরই বন্যার ফলে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে বন্যা-পরবর্তী সময়ে খাদ্যদ্রব্যের দাম তুলনামূলক হারে বৃদ্ধি পায়।

শস্য উৎপাদনে খরার প্রভাব: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শস্য উৎপাদনে খরার প্রভাব পড়ছে। বেশিরভাগ সময় প্রাক-বর্ষাকাল এবং বর্ষা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে প্রভাবিত করে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ প্রায় ২০টি খরা পরিস্থিতি ভোগ করেছে। ১৯৮১ ও ১৯৮২ সালে খরা শুধু বর্ষার ফসলের উৎপাদনকে প্রভাবিত করেছিল। নব্বইয়ের দশকে ৩৫ লাখ টন ধানের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। অন্যান্য ফসলের (সব রবি ফসল, আখ, তামাক, গম  প্রভৃতি) পাশাপাশি বহুবর্ষজীবী কৃষি সম্পদ, যেমন বাঁশ, সুপারি, লিচু, আম, কাঁঠাল, কলা ইত্যাদি ফল খরার দ্বারা প্রভাবিত হবে।

গ)  কৃষি উন্নয়নে গৃহীত  ব্যবস্থাদি 

কৃষি উন্নয়নে পারমাণবিক প্রযুক্তি: 

FAO এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বীকৃত খাদ্য ও কৃষি খাতে যেমন-প্রকৃতি, মাটি, শাকসবজি, বৃক্ষ, প্রাণী, বায়ু এমনকি খাদ্যসামগ্রীতে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ (radio isotopes) ব্যবহারের মাধ্যমে পরিমাণগত গুণগত বা রুপগত পরিবর্তন সাধন কে পারমাণবিক কৃষি প্রযুক্তি বলে। গত তিন দশকে বাংলাদেশে কৃষি খাতে পারমাণবিক কৃষি প্রযুক্তি উন্নত দেশের মতো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পারমাণবিক কৃষি প্রযুক্তির গুরুত্ব বা উল্লেখযোগ্য ব্যবহার সমূহ হলঃ

  1. gamma radiation উদ্ভিদ ও প্রাণীর রোগজীবাণু নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন উদ্ভিদ প্রাণী ও রোগের জন্য বিভিন্ন শ্রেণীর নিউক্লিয়ার মেডিসিন রয়েছে।
  2. রেডিও আইসোটোপ এর সাহায্যে উন্নত মানের শস্য বীজ সংরক্ষণ করা যায় এবং শস্য বীজের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করা যায়। সাধারণত শস্য বীজের গুণগত মান একবছর সঠিক থাকলেও রেডিও আইসোটোপ এর সাহায্যে এর স্থায়িত্ব পাঁচ বছর বা দশ বছর অর্থাৎ দীর্ঘস্থায়ী করা যায়।

বায়োটেকনোলজি পদ্ধতিঃ বায়োটেকনোলজি বা জৈব প্রযুক্তি হল এরূপ একটি বিষয় যা কোন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে জীব কোষের কোন উপাদান, কাঠামোকে পরিমিত পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি নতুন সৃষ্টিকে নির্দেশ করে। Bios শব্দের অর্থ জীবন এবং Technology শব্দের অর্থ প্রযুক্তি।কোন জীবকে মানব কল্যাণে প্রয়োগ যেকোনো প্রযুক্তিকে বলা হয় বায়োটেকনোলজি বা জৈব প্রযুক্তি।

কৃষি উন্নয়নে জৈবপ্রযুক্তি: 

সম্পদ সীমিত কিন্তু বিপুল জনসংখ্যার ভারে আক্রান্ত দেশ সমূহের প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। যেমনঃ

১. বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সমূহের নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত। ঘূর্ণিঝড় বন্যা দুর্ভিক্ষ মহামারী কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন উষ্ণতা বৃদ্ধি প্রভৃতি ফলে উক্ত দেশসমূহের যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেয়, এ কারণে সৃষ্টি হয় খাদ্য সংকট। বন্যা, খরা প্রভৃতি প্রতিকূল আবহাওয়া প্রতিরোধী শস্য উৎপাদন, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জৈব প্রযুক্তির গুরুত্ব রয়েছে।

২. উচ্চ ফলনশীল বীজ উদ্ভাবনে এর গুরুত্ব যথেষ্ট। প্রতিটি চাষের মাধ্যমে 30 – 40 শতাংশ ফলন অধিক বাড়ানো যায়। Hira, Aloron, jagoron, sonar Bangla, ময়না প্রভৃতি উচ্চ ফলনশীল ধানের উদাহরণ।

৩. অণুজীব বিজ্ঞানী মানুষের স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি-শিল্প পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে, মাছের পোনার কৃত্রিম প্রজননে,অধিক ও দ্রুত উৎপাদনের লক্ষ্যে জিন প্রতিস্থাপনে,পানিতে আর্সেনিক মুক্ত করনে জৈব শক্তির ব্যবহার করছেন।

কৃষি উন্নয়নে আইসিটি ব্যবহার 

বাংলাদেশ বিপুল জনসংখ্যার ভারে আক্রান্ত একটি কৃষি প্রধান দেশ হলেও এখনও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিবছরই আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমাগত কমে যাচ্ছে।এ প্রেক্ষিতে কৃষি বিভিন্ন উপখাত বা খাতের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে কৃষির বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য ও সেবা কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক ভূমিকা পালন করেছে, ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি। তথ্যপ্রযুক্তি বর্তমানে স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প ও সেবা প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কৃষিতে –

১. সাধারণ কৃষি সমস্যা সমাধান, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যার সমাধান, ফসলের রোগের আক্রমণ, কীটনাশক প্রয়োগ, পরিবেশবান্ধব কীটনাশক প্রকৃতি সম্বন্ধে ধারণা লাভ।

২. উদ্ভাবনী কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার যেমন- নতুন নতুন কৃষি যন্ত্রপাতি, উন্নত বীজ, সার ও কীটনাশক, সর্বোত্তম টেকসই প্রযুক্তি নির্বাচন প্রভৃতি সম্বন্ধে ধারণা লাভ করা যায়।

ঘ)  কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের গুরুত্ব 

১. সময়ের অপচয় রোধ: সাধারণত কৃষিকাজ করতে প্রচুর সময় এর প্রয়োজন হয়। এর অন্যতম কারণ হলো মানুষের আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব।সনাতন যন্ত্রপাতি দ্বারা কাজ করার জন্য অত্যাধিক সময় ব্যয় হয়।তাই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি কাজের সময় অপচয় রোধ করা সম্ভব।

২. শ্রম হ্রাস: কৃষিকাজ যেমন সময় সাপেক্ষ তেমনি কঠোর পরিশ্রমের। নতুন নতুন যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করার মাধ্যমে কৃষকের শ্রম কমিয়ে আনা সম্ভব।

৩. কাজের গতি বৃদ্ধি:  আধুনিক সরঞ্জাম ও মেশিনের মাধ্যমে কাজের গতি অনেক গুণ বাড়িয়ে নেওয়া যায়। এতে যেমন  সঠিক সময়ে বীজ রোপন করা যায় তেমনি কৃষিজাত পণ্যের গুণাগুণ নষ্ট করা ব্যতীত ঘরে ফসল তোলা যায়।

৪. ব্যয় হ্রাস:  কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি কাজ সহজ হয়ে যায়।পাশাপাশি গড় ব্যয় হ্রাস পেতে থাকে।

৫. জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন:  সর্বোপরি কৃষি প্রযুক্তি আবিষ্কার এর মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পায়। এতে তার পণ্য বা সেবা ভোগ করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।ফলশ্রুতিতে তার জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়।

Get HSC Economics Assignment Answer

[Join]