0

বারিমন্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন। এসএসসি ভূগোল ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ সমাধান।

বারিমন্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন

বিষয়: ভূগোল ও পরিবেশ, বিষয় কোড: ১১০, স্তর: এসএসসি, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৪, অধ্যায়-ষষ্ঠ অধ্যায়: বারিমন্ডল।

অ্যাসাইনমেন্ট: বারিমন্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন।

বিষয়বস্তু

  • ১। বারিমণ্ডলের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • ২। মহাসাগর,সাগর ও উপসাগর বণর্না করতে পারবে
  • ৩। সমুদ্র তলদেশের ভূমিরূপ ও সামুদ্রিক সম্পদ বণর্না করতে পারবে

নির্দেশনা

  • ক) বারিমণ্ডল,মহাসাগর, সাগর ও উপসাগরের বণর্না
  • খ) সমুদ্র তলদেশের ভূমিরূপ চিহ্নিতকরণ ও এদের বর্ণনা
  • গ) বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদের বর্ণনা

বারিমন্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন

SSC 2021 ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের ষষ্ঠ সপ্তাহের নমুনা উত্তর

এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বিনিয়োগের ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতি মানের প্রভাব।

বিষয়ঃ Geography and Environment

বিষয় কোডঃ 110

ক) বারিমন্ডল, মহাসাগর, সাগর, উপসাগর এর বর্ণনা 

বারিমণ্ডলের ধারণা (Concept of Hydrosphere)

Hydrosphere’-এর বাংলা প্রতিশব্দ বারিমণ্ডল। Hydro’ শব্দের অর্থ পানি এবং Sphere’ শব্দের অর্থ মণ্ডল। আমরা জানি পৃথিবীর সর্বত্র রয়েছে পানি। এ বিশাল জলরাশি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় থাকে যেমন কঠিন (বরফ), গ্যাসীয় (জলীয়বাষ্প) এবং তরল। বায়ুমণ্ডলে পানি রয়েছে জলীয়বাষ্প হিসেবে, ভূপৃষ্ঠে রয়েছে তরল ও কঠিন অবস্থায় এবং ভূপৃষ্ঠের তলদেশে রয়েছে ভূগর্ভস্থ তরল পানি। সুতরাং বারিমণ্ডল বলতে বােঝায় পৃথিবীর সকল জলরাশির অবস্থানভিত্তিক বিস্তরণ (সারণি ১)। পৃথিবীর সকল জলরাশির শতকরা ৯৭ ভাগ পানি রয়েছে সমুদ্রে (মহাসাগর, সাগর ও উপসাগর)। মাত্র ৩ ভাগ পানি রয়েছে নদী, হিমবাহ, ভূগর্ভস্থ, হ্রদ, মৃত্তিকা, বায়ুমণ্ডল ও জীবমণ্ডলে। পৃথিবীর সমস্ত পানিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন- লবণাক্ত ও মিঠা পানি। পৃথিবীর সকল মহাসাগর, সাগর ও উপসাগরের জলরাশি লবণাক্ত এবং নদী, হ্রদ ও ভূগর্ভস্থ পানি মিঠা পানির উৎস।


মহাসাগর, সাগর ও উপসাগর বারিমণ্ডলের উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ বিশাল লবণাক্ত জলরাশিকে মহাসাগর (Ocean) বলে। পৃথিবীতে পাঁচটি মহাসাগর রয়েছে, এগুলাে হলাে প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, উত্তর মহাসাগর এবং দক্ষিণ মহাসাগর (চিত্র ৬.১)। এর মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগর বৃহত্তম ও গভীরতম (সারণি ২)। আটলান্টিক মহাসাগর ভগ্ন উপকূলবিশিষ্ট এবং এটি অনেক আবদ্ধ সাগরের (Enclosed sea) সৃষ্টি করেছে। ভারত মহাসাগর এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত। ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে এন্টার্কটিকার হিমভাগ পর্যন্ত দক্ষিণ মহাসাগরের অবস্থান। দক্ষিণ মহাসাগরের দক্ষিণে এন্টার্কটিকা মহাদেশ বছরের সকল সময় বরফে আচ্ছন্ন থাকে। উত্তর গােলার্ধের উত্তর প্রান্তে উত্তর মহাসাগর অবস্থিত এবং এর চারদিক স্থলবেষ্টিত।

পৃথিবীর মহাসাগর সমূহের অবস্থান

চিত্র: পৃথিবীর মহাসাগর সমূহের অবস্থান

মহাসাগর অপেক্ষা স্বল্প আয়তনবিশিষ্ট জলরাশিকে সাগর (Sea) বলে। যথা— ভূমধ্যসাগর, লােহিত সাগর, ক্যরিবিয়ান সাগর, জাপান সাগর ইত্যাদি। তিনদিকে স্থলভাগ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং একদিকে জল তাকে উপসাগর (Bay) বলে। যথা— বঙ্গোপসাগর, পারস্য উপসাগর ও মেক্সিকো উপসাগর ইত্যাদি। চারদিকে স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত জলভাগকে হ্রদ (Lake) বলে। যথা— রাশিয়ার বৈকাল হ্রদ, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্তে অবস্থিত সুপিরিয়র হ্রদ ও আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া হ্রদ ইত্যাদি।

খ) সমুদ্রের তলদেশের ভূমিরূপ 

ভূপৃষ্ঠের উপরের ভূমিরূপ যেমন উঁচুনিচু তেমনি সমুদ্র তলদেশও অসমান। কারণ সমুদ্রতলে আগ্নেয়গিরি, শৈলশিরা, উচ্চভূমি ও গভীর খাত প্রভৃতি বিদ্যমান আছে। শব্দতরঙ্গের সাহায্যে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয়। এ শব্দতরঙ্গ প্রতি সেকেন্ডে পানির মধ্য দিয়ে প্রায় ১,৪৭৫ মিটার নিচে যায় এবং আবার ফিরে আসে। ফ্যাদোমিটার (Fathometer) যন্ত্রটি দিয়ে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয়। সমুদ্রের তলদেশের ভূমিরূপকে পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করা হয় । যথা—

(১) মহীসােপান (Continental shelf)

(২) মহীঢাল (Continental slope)

(৩) গভীর সমুদ্রের সমভূমি (Deep sea plains)

(৪) নিমজ্জিত শৈলশিরা (Oceanic ridges)

(৫) গভীর সমুদ্রখাত (Oceanic trench)

(১) মহীসােপান: পৃথিবীর মহাদেশসমূহের চারদিকে স্থলভাগের কিছু অংশ অল্প ঢালু হয়ে সমুদ্রের পানির মধ্যে নেমে গেছে। এরূপে সমুদ্রের উপকূলরেখা থেকে তলদেশ ক্রমনিম নিমজ্জিত অংশকে মহীসােপান বলে। মহীসােপানের সমুদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫০ মিটার। এটি ১° কোণে সমুদ্র তলদেশে নিমজ্জিত থাকে ।

মহীসােপানের গড় প্রশস্ততা ৭০ কিলােমিটার। মহীসােপানের সবচেয়ে উপরের অংশকে উপকূলীয় ঢাল বলে। মহীসােপানের বিস্তৃতি সর্বত্র সমান নয়। উপকূলভাগের বন্ধুরতার উপর এর বিস্তৃতি নির্ভর করে। উপকূল যদি বিস্তৃত

সমভূমি হয়, তবে মহীসােপান অধিক প্রশস্ত হয়। মহাদেশের উপকূলে পর্বত বা মালভূমি থাকলে মহীসােপান সংকীর্ণ হয়। ইউরােপের উত্তরে বিস্তীর্ণ সমভূমি থাকায় উত্তর মহাসাগরের মহীসােপান খুবই প্রশস্ত (প্রায় ১,২৮৭ কিলােমিটার)।

তবে ইউরােপের উত্তর-পশ্চিমে পৃথিবীর বৃহত্তম মহীসােপান অবস্থিত। [সকল এসাইনমেন্ট সমাধান সবচেয়ে দ্রুত পেতে ভিজিট করুন newresultbd.com] মহীসােপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম উত্তর অংশ উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে দেখতে পাওয়া যায়। অথচ এর পশ্চিমে উপকূল বরাবর উত্তর-দক্ষিণ ভঙ্গিল রকি পর্বত অবস্থান করায় সেখানে মহীসােপান খুবই সংকীর্ণ। আফ্রিকা মহাদেশের অধিকাংশ স্থান মালভূমি বলে এর পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের মহীসােপান খুবই সরু। স্থলভাগের উপকূলীয় অঞ্চল নিমজ্জিত হওয়ার ফলে অথবা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তারতম্য হওয়ার কারণে মহীসােপানের সৃষ্টি হয়। এছাড়া সমুদ্রতটে সমুদ্রতরঙ্গও ক্ষয়ক্রিয়ার দ্বারা মহীসােপান গঠনে সহায়তা করে থাকে।

(২) মহীঢাল: মহীসােপানের শেষ সীমা থেকে ভূভাগ হঠাৎ খাড়াভাবে নেমে সমুদ্রের গভীর তলদেশের সঙ্গে মিশে যায়। এ ঢালু অংশকে মহীঢাল বলে। সমুদ্রে এর গভীরতা ২০০ থেকে ৩,০০০ মিটার। এটা অধিক খাড়া হওয়ার জন্য খুব প্রশস্ত নয়। এটি গড়ে প্রায় ১৬ থেকে ৩২ কিলােমিটার প্রশস্ত। মহীঢালের উপরিভাগ সমান নয়। অসংখ্য আন্তঃসাগরীয় গিরিখাত অবস্থান করায় তা খুবই বন্ধুর প্রকৃতির। এর ঢাল মৃদু হলে জীবজন্তুর দেহাবশেষ, পলি প্রভৃতির অবক্ষেপণ দেখা যায়।

(৩) গভীর সমুদ্রের সমভূমি: মহীঢাল শেষ হওয়ার পর থেকে সমুদ্র তলদেশে যে বিস্তৃত সমভূমি দেখা যায় তাকে গভীর সমুদ্রের সমভূমি বলে। এর গড় গভীরতা ৫,০০০ মিটার। এ অঞ্চলটি সমভূমি নামে খ্যাত হলেও প্রকৃতপক্ষে তা বন্ধুর। কারণ গভীর সমুদ্রের সমভূমির উপর জলমগ্ন বহু শৈলশিরা ও উচ্চভূমি অবস্থান করে।

সকল এসাইনমেন্ট সমাধান সবচেয়ে দ্রুত পেতে ভিজিট করুন newresultbd.com

আবার কোথাও রয়েছে নানা ধরনের আগ্নেয়গিরি। এ সমস্ত উচ্চভূমির কোনাে কোনােটি আবার জলরাশির উপর দ্বীপরূপে অবস্থান করে। সমুদ্রের এ গভীর অংশে পলিমাটি, সিন্ধুমল, আগ্নেয়গিরি থেকে উথিত লাভা ও সূক্ষ্ম ভস্ম প্রভৃতি সঞ্চিত হয়। এ সকল সঞ্চিত পদার্থ স্তরে স্তরে জমা হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি করে।

(৪) নিমজ্জিত শৈলশিরা: সমুদ্রের অভ্যন্তরে অনেকগুলাে আগ্নেয়গিরি অবস্থান করছে। ঐসব আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বেরিয়ে এসে সমুদ্রগর্ভে সঞ্চিত হয়ে শৈলশিরার ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করেছে। এগুলােই নিমজ্জিত শৈলশিরা নামে পরিচিত। নিমজ্জিত শৈলশিরাগুলাের মধ্যে মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য।

(৫) গভীর সমুদ্রখাত: গভীর সমুদ্রের সমভূমি অঞ্চলের মাঝে মাঝে গভীর খাত দেখা যায়। এ সকল খাতকে গভীর সমুদ্রখাত বলে। পাশাপাশি অবস্থিত মহাদেশীয় ও সামুদ্রিক প্লেট সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রখাত প্লেট সীমানায় অবস্থিত। এ প্লেট সীমানায় ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি অধিক হয় বলেই এ সকল খাত সৃষ্টি হয়েছে। এ খাতগুলাে অধিক প্রশস্ত না হলেও খাড়া ঢালবিশিষ্ট। এদের গভীরতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫,৪০০ মিটারের অধিক।

প্রশান্ত মহাসাগরেই গভীর সমুদ্রখাতের সংখ্যা অধিক। এর অধিকাংশই পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এ । সকল গভীর সমুদ্রখাতের মধ্যে গুয়াম দ্বীপের ৩২২ কিলােমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত মারিয়ানা খাত (Mariana trench) সর্বাপেক্ষা গভীর। এর গভীরতা প্রায় ১০,৮৭০ মিটার এবং এটাই পৃথিবীর গভীরতম খাত। এছাড়া আটলান্টিক মহাসাগরের পাের্টোরিকো খাত (৮,৫৩৮ মিটার), ভারত মহাসাগরের শুন্ডা খাত প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য।

গ) সামুদ্রিক সম্পদ ও বঙ্গোপসাগরের সম্পদের বিবরণ 

সামুদ্রিক সম্পদ

পরিসংখ্যানে আরও দেখা যায়, পৃথিবীতে মানবজাতির জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস ও জ্বালানি তেলের সিংহভাগ সমুদ্র থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। ব্লু-ইকোনমির ওপর ভিত্তি করে সমুদ্রে মৎস্য আহরণ, জাহাজ চলাচল, জৈবপ্রযুক্তি, খনিজ পদার্থ উৎপাদন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সামুদ্রিক পণ্য উৎপাদন কারখানা, পর্যটন ও অবকাশ কেন্দ্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন সম্ভাবনার ক্ষেত্র ক্রমেই বেড়ে চলছে।

খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের উপস্থিতিরও যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। অনেক সামুদ্রিক মাছ, উদ্ভিদ ও প্রাণীতে বিভিন্ন ধরনের দুর্লভ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। দৃশ্যমান জলাভূমি ও স্থলসীমায় বিদ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদের মাধ্যমে ওই পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব।

সামুদ্রিক জলজ উদ্ভিদ নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের শোষণ বাড়িয়ে অক্সিজেনের পরিমাণও বাড়াতে সাহায্য করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সমুদ্রে বিদ্যমান প্লাংটন ৫০ শতাংশের বেশি অক্সিজেন পৃথিবীতে সরবরাহ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে মানবসৃষ্ট কার্বনের প্রায় অর্ধেক সমুদ্রে বিদ্যমান জলজ উদ্ভিদ কর্তৃক শোষিত হচ্ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখছে। এ পদ্ধতিটি বৈজ্ঞানিকভাবে ‘ব্লু-কার্বন ইকোসিস্টেম’ নামে পরিচিত। 

বঙ্গোপসাগরের সম্পদের বিবরণ

বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমা মৎস্য সম্পদ ও জলজ প্রাণীর এক বিশাল ভাণ্ডার। এ জলসীমায় রয়েছে ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ও ৩৭ প্রজাতির চিংড়ি। আছে কাঁকড়া, কচ্ছপ, কুমির, হাঙর, সি-আরসিম, সি-কুকুমবার, জেলি ফিশ, শামুক, ঝিনুক। রয়েছে নানা পুষ্টিগুণসম্পন্ন আগাছা। কিন্তু এগুলো রক্ষণাবেক্ষণে নেই সরকারি কোনো উদ্যোগ। আহরণ, সংরক্ষণ ও আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এসব সামুদ্রিক সম্পদ রপ্তানি করে দেশ অর্জন করতে পারে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। আয় করতে পারে বিপুল রাজস্ব। শক্তিশালী হতে পারে দেশের অর্থনীতি। বঙ্গোপসাগরের তলদেশে যে খনিজ সম্পদ আছে তা পৃথিবীর অন্য কোনো সাগর, মহাসগর, উপসাগরে নেই।

মণি, মুক্তা, স্বর্ণ, লোহা, তামা, রুপা, প্রবালসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ এখানে রয়েছে বলে প্রাচীন ভারতবর্ষের পৌরাণিকে বঙ্গোপসাগরের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘রত্নাকার’। এরই মধ্যে বেশ কিছু গ্যাসের খনির সন্ধান মিলেছে। গ্যাস উত্তোলন করে জাতীয় গ্রিডে সংযোগ দেওয়ার কাজও চলছে। বাংলাদেশের জলসীমায় রয়েছে বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক আগাছা। এগুলো ব্যবহার হতে পারে মানুষের খাদ্য হিসেবে। কিংবা প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা যেতে পারে নানা ধরনের ওষুধ। বিদেশে এই আগাছার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ কচ্ছপ, কুমির ও হাঙর।

বিদেশে এগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সামুদ্রিক কচ্ছপ উচ্চ প্রোটিনসম্পন্ন। ফলে বিদেশিরা এটিকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। এ ছাড়া তেল ও ওষুধের কাঁচামাল হিসেবেও ব্যবহার করা হয় কচ্ছপ, কুমির ও হাঙর। সামুদ্রিক সম্পদের মধ্যে হাঙর হলো উল্লেখযোগ্য মূল্যবান একটি সম্পদ। হাঙরের পাখনা বেশ মূল্যবান। এর পাখনা বিদেশে স্যুপ ও বেকারির তৈরি খবারের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া হাঙরের লিভার অত্যন্ত মূল্যবান। এ ছাড়া সি-আরসিম ও সি-কুকুমবার দেশে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার না হলেও বিদেশে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। তারা এগুলোকে সুষম খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় থাকা আগাছা মানবদেহের জন্য পুষ্টিগুণসম্পন্ন।

Get SSC Geography Assignment Answer

[Join]

https://youtu.be/-tGMLCvuKx8