0

বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামাে (কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসন) বিশ্লেষণ। এসএসসি পৌরনীতি ও নাগরিকতা ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ সমাধান।

বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামাে (কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসন) বিশ্লেষণ

বিষয়: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, বিষয় কোড: ১১০, স্তর: এসএসসি, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৪, অধ্যায়-ষষ্ঠ; বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা।

অ্যাসাইনমেন্ট: বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামাে (কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসন) বিশ্লেষণ।

বিষয়বস্তু

  • ক) সরকারের স্বরূপ উল্লেখ করতে পারব
  • থ) বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামাে বর্ণনা করতে পারব

নির্দেশনা

পাঠ্যপুস্তক/শিক্ষক (মােবাইলে/অনলাইনে) যােগাযােগ করে নেয়া যেতে পারে; প্রয়ােজনে ইন্টারনেট থেকেও সহায়তা নেয়া যেতে পারে

  • ক) বাংলাদেশে প্রশাসনিক কাঠামাে বিশ্লেষণ করতে হবে
  • খ) কেন্দ্রীয় প্রশাসন বিশ্লেষণ করতে হবে
  • গ) বিভাগীয় প্রশাসনের গঠন ও কার্যাবলী বর্ণনা করতে হবে
  • ঘ) জেলা প্রশাসনের কার্যাবলি বর্ণনা করতে হবে
  • ঙ) উপজেলা প্রশাসনের কার্যাবলি বর্ণনা করতে হবে

বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামাে (কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসন) বিশ্লেষণ

SSC-2021 পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের ষষ্ঠ সপ্তাহের নমুনা উত্তর

এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো।

বিষয় কোডঃ 140

বিষয়ঃ Civics and Citizenship.

ক) বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো বিশ্লেষণ 

রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্ব প্রশাসনের। রাষ্ট্রের ভিতরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও রাষ্ট্রের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সুষ্ঠু প্রশাসনের কোনাে বিকল্প নেই। প্রশাসনকে তাই বলা হয় রাষ্ট্রের হৃৎপিণ্ড। প্রশাসন একটি নির্দিষ্ট কাঠামাের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। নিচে বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামাে ছকের সাহায্যে তুলে ধরা হলাে।

বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো

উপরের ছকে লক্ষ করা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামাে স্তরভিত্তিক। এর দুটি প্রধান স্তর আছে। প্রথম স্তরটি হলাে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের দ্বিতীয় স্তরটি হলাে মাঠ প্রশাসন। মাঠ প্রশাসনের প্রথম ধাপ হলাে বিভাগীয় প্রশাসন। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার পর আছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত।

দেশের সব ধরনের প্রশাসনিক নীতি ও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়। আর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গৃহীত নীতি ও সিদ্ধান্ত মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে সারা দেশে বাস্তবায়িত হয়। মাঠ প্রশাসন মূলত কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়ে থাকে। এছাড়া প্রতি মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত আছে বিভিন্ন বিভাগ বা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের/দপ্তরের প্রধান

হলেন মহাপরিচালক/পরিচালক। মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরও আছে বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, বাের্ড ও কর্পোরেশন। এসব দপ্তর ও অফিসের কোনাে কোনােটির কার্যকলাপ আবার বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত । দপ্তর/অধিদপ্তরগুলাে সচিবালয়ের লাইন সংস্থা হিসেবে বিভিন্ন সরকারি কাজ বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করে।

খ) বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশাসন বিশ্লেষণ 

সচিবালয় কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু। দেশের সকল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এখানে গৃহীত হয়। সচিবালয় কয়েকটি মন্ত্রণালয় নিয়ে গঠিত। এক একটি মন্ত্রণালয় এক একজন মন্ত্রীর অধীনে ন্যস্ত। প্রতিটি

মন্ত্রণালয়ে একজন সচিব আছেন। তিনি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক প্রধান এবং মন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা। মন্ত্রণালয়ের সকল প্রশাসনিক ক্ষমতা সচিবের হাতে। মন্ত্রীর প্রধান কাজ প্রকল্প প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণ ।

আর মন্ত্রীকে নীতি নির্ধারণে ও শাসনকার্যে সহায়তা করা এবং এসব নীতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব সচিবের।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রশাসন

অতিরিক্ত সচিব মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তিনি সচিবকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সহায়তা করেন। কোনাে মন্ত্রণালয়ে সচিব না থাকলে তিনি সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি অণুবিভাগ জন্য একজন করে যুগ্ম সচিব থাকেন। তিনি সচিবকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করেন। মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী এবং অফিস ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেন। 

মন্ত্রণালয়ের এক বা একাধিক শাখার দায়িত্বে থাকেন একজন উপসচিব । তিনি বিভিন্ন বিষয়ে নীতি নির্ধারণে যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিবকে পরামর্শ দেন ও সহযােগিতা করেন। প্রতি শাখায় একজন সিনিয়র সহকারী সচিব ও একজন সহকারী সচিব রয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উপসচিবের সাথে পরামর্শ করে তারা দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রণালয়ে আরও বিভিন্ন ধরনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। [সকল এসাইনমেন্ট সমাধান সবচেয়ে দ্রুত পেতে ভিজিট করুন newresultbd.com] তারাও মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কার্য পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। উল্লেখ্য, সরকারের কয়টি মন্ত্রণালয় থাকবে এবং একটি মন্ত্রণালয়ে কতজন অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপসচিব এবং সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিব থাকবেন তার নির্দিষ্ট কোনাে সংখ্যা নেই। সরকার ও মন্ত্রণালয়ের কাজের পরিধি অনুযায়ী তাদের সংখ্যা নির্ধারিত হয়ে থাকে।

গ) জেলা প্রশাসনের কার্যাবলী

জেলা প্রশাসন মাঠ বা স্থানীয় প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন জেলাপ্রশাসক। দেশের সব জেলায় একজন করে জেলা প্রশাসক আছেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন অভিজ্ঞ সদস্য। তাকে কেন্দ্র করে জেলার সকল সরকারি কাজ পরিচালিত হয়। নিচে তার কাজগুলাে সম্পর্কে জানব। 

১. প্রশাসনিক কাজ: জেলা প্রশাসক কেন্দ্র থেকে আসা সকল আদেশ-নির্দেশ ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন। জেলার বিভিন্ন অফিসের কাজ তদারক ও সমন্বয় করেন। জেলার বিভিন্ন শূন্য পদে লােক নিয়ােগ করেন। 

২. রাজস্বসংক্রান্ত ও আর্থিক কাজ: জেলা প্রশাসক জেলা কোষাগারের রক্ষক ও পরিচালক। জেলার সব ধরনের রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব তার, সে কারণে তিনি কালেকটর নামে পরিচিত। এ ছাড়া তিনি ভূমি উন্নয়ন, রেজিস্ট্রেশন ও রাজস্বসংক্রান্ত বিবাদ মীমাংসা করে থাকেন।

৩. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত কাজ: জেলার মধ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জীবনের নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব তার উপর ন্যস্ত। তিনি পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে এ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। 

৪. উন্নয়নমূলক কাজ: জেলা প্রশাসক জেলার সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি। জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ (শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, রাস্তাঘাট ও যােগাযােগব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদি) বাস্তবায়নের দায়িত্বও তাঁর। তিনি জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন। 

৫. স্থানীয় শাসনসংক্রান্ত কাজ: জেলা প্রশাসক স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলাের (উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন) কাজ তত্ত্বাবধান করেন। তিনি জেলার অধীনস্থ সকল বিভাগ ও সংস্থার কাজের সমন্বয় করেন। 

জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে তিনি আরও অনেক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেলার সংবাদপত্র ও প্রকাশনা বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করেন। বিভিন্ন জিনিসের লাইসেন্স দেন। জেলার বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য সংগ্রহ করেন এবং সে সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেন। জেলা প্রশাসকের ব্যাপক কাজের জন্য তাকে জেলার মূল স্তম্ভ’ বলা হয়। তিনি শুধু জেলা প্রশাসক নন। তিনি জেলার সেবক, পরিচালক এবং বন্ধুও বটে।

Get SSC Civics Assignment Answer

[Join]

https://youtu.be/QHeLS7vOfnw