0

বিনিয়ােগ ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ। এসএসসি ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ষষ্ঠ সপ্তাহের ২০২১ সমাধান।

বিনিয়ােগ ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ

বিষয়: ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, বিষয় কোড: ১৫২, মোট নম্বর: ২০, স্তর: এসএসসি, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৪, অধ্যায়-চতুর্থ: ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা।

অ্যাসাইনমেন্ট: বিনিয়ােগ ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ।

বিষয়বস্তু

  • ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে
  • বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার উৎস চিহ্নিত করতে পারবে
  • আদর্শ বিচ্যুতি ব্যবহার করে আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারবে

নির্দেশনা

  • অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়নের ক্ষেত্রে উদাহরণসহ ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে
  • উদাহরণসহ ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার পার্থক্য ব্যাখ্যা করতে হবে
  • ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়ােগকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকির শ্রেণি ব্যাখ্যা করতে হবে
  • নিম্নের তথ্যের আলােকে আদর্শ বিচ্যুতির মান নির্ণয় করে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়ােগ ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ করতে হবে

বিনিয়ােগ ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ

SSC 2021 ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের ষষ্ঠ সপ্তাহের নমুনা উত্তর

এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 04

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ বিনিয়োগের ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতি মানের প্রভাব।

বিষয় কোডঃ 152

বিষয়ঃ Finance and Banking

ক) ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার ধারণা 

ব্যবসায়ের আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাকে এক কথায় ঝুঁকি বলা হয়। জারিফ দশম শ্রেণির ছাত্র। সে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়ার প্রত্যাশা করে। আলী সাহেব একজন কৃষক। তিনি তার জমি থেকে এ বছর ভালো ফলন প্রত্যাশা করেন। আল গাফফার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র। সে তার বিবিএ ডিগ্রি শেষ করে একটি ভালো চাকুরি পাওয়ার আশা করে। এখানে জারিফের জিপিএ ৫ পাওয়া, আলী সাহেবের জমি থেকে ভালো ফলন পাওয়া এবং আল গাফফার এর ভালো চাকরি পাওয়া প্রতিটি বিষয় ভবিষ্যতের সাথে জড়িত। আর ভবিষ্যৎ সবসময় অনিশ্চিত। যেহেতু ভবিষ্যৎ এর কোন বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না তাই একে অনিশ্চয়তা বলে। 

জারিফ জিপিএ ৫ পেতে পারে, নাও পেতে পারে, আলী সাহেবের জমিতে এ বছর ভালো ফলন হতে পারে, আবার নাও হতে পারে এবং আল গাফফার ভালো চাকরি পেতেও পাওে আবার নাও পেতে পারে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অনিশ্চয়তা বিদ্যমান। মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে যেমন অনিশ্চয়তা রয়েছে তেমনিভাবে ব্যবসায়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম অনিশ্চয়তা বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ ভবিষ্যতে কোম্পানির পণ্যের আশানুরূপ বিক্রয় হবে কি না, প্রত্যাশিত অনুযায়ী

মুনাফা অর্জন করতে পারবে কি না, প্রত্যাশিত মূল্যে পণ্য তৈরির কাঁচামাল ক্রয় করতে পারবে কি না-এরূপ অসংখ্য অনিশ্চয়তা রয়েছে। অনুরূপভাবে একজন বিনিয়োগকারী কোম্পানির শেয়ার ক্রয় ও বিক্রয় করে প্রত্যাশিত লভ্যাংশ অর্জন করতে পরিবে কি না, একটি কোম্পানি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পে বিনিয়োগ থেকে প্রত্যাশিত নগদ প্রবাহ পাবে কি না এসব অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হয়। 

একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান প্রথমত অর্থ সংগ্রহ করে এবং বিভন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে প্রত্যাশা অনুযায়ী মুনাফা অর্জন করার

লক্ষে। কিন্তু বিভিন্ন অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত মুনাফা প্রত্যাশিত মুনাফার চেয়ে কম বা বেশি হয়।

প্রকৃত মুনাফা প্রত্যাশিত মুনাফার চেয়ে ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনাকেই ঝুঁকি বলা হয়। অর্থাৎ ঝুঁকি বলতে আর্থিক ক্ষতি হওয়ার

সম্ভাবনাকে বুঝায়। যেমন: একটি কোম্পানি আশা করছে, আগামী বছর ১০% নিট মুনাফা লাভ করবে, কিন্তু প্রকৃত লাভ

হলো ৫%। এই যে মুনাফার ৫% বিচ্যুতি, একেই ঝুঁকি বলে।

J.C Van Horne (ভ্যান হর্ন) এর মতে “কোন প্রকল্পের সম্ভাব্য আয়ের পরিবর্তনশীলতাকেই ঝুঁকি বলে।”

J.J Hampton (হ্যাম্পটন) এর মতে, “কোন বিনিয়োগ হতে প্রত্যাশিত রিটার্ন অপেক্ষা প্রকৃত রিটার্ন কম হওয়ার সম্ভাবনাকে ঝুঁকি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে।” 

খ) ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার পার্থক্য

ঝুঁকির সৃষ্টি হয় অনিশ্চয়তা থেকে, তারপরেও ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত, সব অনিশ্চয়তা ঝুঁকি নয়। অনিশ্চয়তা পরিমাপ করা যায় না অন্যদিকে ঝুঁকি পরিমাপ করা যায়। অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কাই হচ্ছে অনিশ্চয়তা। কিন্তু অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা কেমন তা যদি জানা না থাকে, তবে সেই অনিশ্চয়তাকে ঝুঁকি বলা যায় না। অন্যভাবে বলা যায়, অনিশ্চয়তার যে অংশটুকু পরিমাপ করা যায় সে অংশকে ঝুঁকি বলা হয়। কিছু কিছু অনিশ্চয়তা আছে, যা পরিমাপ করা যায়না। উদাহরণস্বরূপ, একটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহির মৃত্যু হতে পারে, এটা একটা অনিশ্চয়তা, কিন্তু এই অনিশ্চয়তাকে পরিমাপ করা যায় না। ফলে এই রকম অনিশ্চয়তাকে ঝুঁকি বলা যায় না। 

দ্বিতীয়ত, ঝুঁকি পরিমাপ করা যায় বলে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে ঝুঁকির পরিমাণ কমানো যায়। কিন্তু অনিশ্চয়তাকে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে কমানো বা পরিহার করা যায় না। উদাহরণস্বরূপ, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোনো কোম্পানির দালান ভেঙে যেতে পারে, কিন্তু ঘূর্ণিঝড় কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে নেই বলে এই অনিশ্চয়তাকে কোম্পানি পরিহার করতে পারে না। পক্ষান্তরে, ভবিষ্যতে কোম্পানির বিক্রয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা একটি ঝুঁকি। কারণ, এই ঝুঁকি পরিমাপ করা যায় এবং এই ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য কোম্পানি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে পারে। 

গ) ঝুঁকির শ্রেণীবিভাগ

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকির প্রকারভেদ:

ক. আর্থিক ঝুঁকি (Financial Risk) 

খ. ব্যবসায়িক ঝুঁকি (Business Risk) 

ক. আর্থিক ঝুঁকি (Financial Risk):

কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূলধন কাঠামোতে ঋণকৃত মূলধন ব্যবহারের ফলে যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয় তাকে আর্থিক ঝুঁকি বলা হয়। অর্থাৎ কোন বিনিয়োগ হতে ঋনকৃত মূলধনের সুদ এবং আসল করার মতো পর্যাপ্ত নগদ প্রবাহ পাওয়ার সম্ভাবনাকে আর্থিক ঝুঁকি বলা হয়। সাধারনত ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে আর্থিক ঝুঁকির সৃষ্ঠি হয়। যদি কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ঋণকৃত মূলধন ব্যবহার করা না হয় তাহলে ঐ প্রতিষ্ঠেিন কোন আথিক ঝুঁকি থাকে না।

একদিকে ঋণকৃত মূলধন ব্যবহার করা হলে প্রতিষ্ঠানের মালিকদের যেমন আয় বৃদ্ধি পায় অন্যদিকে আর্থিক দায় বৃদ্ধি পায়। যে সকল প্রতিষ্ঠানে ঋণকৃত মূলধনের পরিমাণ বেশি, সে সকল প্রতিষ্ঠানে আর্থিক ঝুঁকি ও বেশি। কারণ ঋণকৃত মূলধনের জন্য সুদ প্রদান করা বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে, অভ্যন্তরীণ উৎস হতে অর্থ সংগ্রহ করা হলে মুনাফা প্রদান বাধ্যতামূলক নয়। ঋণকৃত মূলধন ব্যবহার করা হলে সুদ এবং উক্ত ঋণকৃত অর্থ পরিশোধের দায় সৃষ্টি হয়। 

উদাহরণস্বরূপ, কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যদি সোনালী ব্যাংক হতে ১৫% হারে ৫০ লক্ষ টাকা ৫ বছরের জন্য ঋণ গ্রহণ করে, তাহলে প্রতিবছর ৭৫০,০০০ টাকা সুদ এবং পাঁচ বছর শেষে ৫০ লক্ষ টাকা পরিশোধের দায় সৃষ্টি হয়। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সাধারণত ঋণকৃত মূলধন বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত নগদ প্রবাহ দিয়ে ঋণকৃত মূলধনের দায় পরিশোধ করে। কোনো কারণে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকৃত অর্থ থেকে পর্যাপ্ত নগদ প্রবাহ না পেলে দায় পরিশোধে ব্যর্থ হতে পারে। দীর্ঘসময় দায় পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে ঋণ সরবরাহকারী ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান ঋণগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে এবং প্রতিষ্ঠনিটি দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে আর্থিক দায় পরিশোধের ব্যর্থতা থেকে যে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, তাকে আর্থিক ঝুঁকি বলে।

J.J Hampton এর মতে “কোন বিনিয়োগ হতে ঋনকৃত অর্থের সুদ পরিশোধ অথবা সুদসহ ঋণের অর্থ পরিশোধ অথবা ফার্মো জন্য মুনাফার ব্যবস্থা করার মতো পর্যাপ্ত নগদ প্রবাহ না পাওয়ার সম্ভাবনাকে আর্থিক ঝুঁকি বলা হয়।”

খ. ব্যবসায়িক ঝুঁকি (Business Risk):

ব্যবসায়িক ঝুঁকি সাধারনত আয়-ব্যয়ের অনিশ্চয়তা থেকে সৃষ্টি হয়। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন রকম পরিচালনা ব্যয়ের দরকার হয়। উদাহরণস্বরূপ, কাঁচামাল ক্রয়, বিক্রয় খরচ, কর্মচারিদের বেতন, অফিস ভাড়া, বিমা খরচ ইত্যাদি। এসব পরিচালনা খরচ পরিশোধের অক্ষমতা থেকে ব্যবসায়িক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। কোনো কোম্পানির পরিচালনা ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা নির্ভর করে বিক্রয় থেকে আয়ের স্থতিশীলতা এবং পরিচালনা খরচের মিশ্রণ অর্থাৎ স্থায়ী এবং চলতি খরচের অনুপাতের উপর।

বিক্রয় আয়ে যদি স্থিতিশীলতা না থাকে অর্থাৎ কোনো সময় আয় বেশি হলে আবার কোনো সময় আয় কম হলে, ব্যসায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ব্যয় মেটানোর ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। আবার পরিচালন ব্যয়ে স্থায়ী খরচ যেমন: অফিস ভাড়া, বিমা খরচ ইত্যাদির পরিমাণ বেশি হলে ব্যবসায়িক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। 

কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান যদি সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে অর্থাৎ কোম্পানি কোনো বহিস্থ অর্থায়ন না করে তখন মুনাফা সংক্রান্ত এই অনিশ্চয়তাকে ব্যবসায়িক ঝুঁকি বলে। ব্যবসায়িক ঝুঁকির অন্যতম উৎস হলো বিক্রয়মূেল্যর পরিবর্তন, বিক্রয়ের পরিমাণ পরিবর্তন, উৎপাদনের উপকরণের মূল্য পরিবর্তন, চাহিদার পরিবর্তন, অতিরিক্ত স্থায়ী খরচের প্রবণতা ইত্যাদি।

Weston and Brigham এর মতে “যদি কোন ব্যসায় প্রতিষ্ঠান ঋণ করা অর্থ ব্যবহার না করে শুধুমাত্র নিজস্ব মূলধন বা সম্পত্তি ব্যবহান করে এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশিত মুসাফার অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তাহলে তাকে ব্যবসায ঝুঁকি বলা হয়।”

ঘ) আদর্শ বিচ্ছেদ এর মান নির্ণয়

আদর্শ বিচ্ছেদ এর মান নির্ণয়

অরন্যের ক্ষেত্রে আদর্শ বিচ্যুতি 

অরন্যের ক্ষেত্রে আদর্শ বিচ্যুতি 

অনন্য এর ক্ষেত্রে আদর্শ বিচ্যুতি 

অনন্য এর ক্ষেত্রে আদর্শ বিচ্যুতি 

ঙ) আদর্শ বিচ্যুতি মানের প্রভাব ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নির্বাচন

প্রথমে বিগত ৪ বছরের আয় যোগ করে ৪ দিয়ে ভাগ করলে গত ৪ বছরের গড় আয় পাওয়া যাবে। উপরের টেবিলে দেখা যাচ্ছে গড় আয় ১৫%। এবার ঝুঁকি পরিমাপ করার জন্য আদর্শ বিচ্যুতি প্রয়োগ করবো। প্রথমে আমরা প্রতিবছরের আয় থেকে গড় আয় বা ১৫%-এর ব্যবধান বের করব। এর পরের কলামে এটাকে বর্গ করতে হবে। এবার উক্ত বর্গসমূহের যোগফল হলো ২৫০ এবং ৩৮। একে (n-১) বা (৪-১) বা ৩ দিয়ে ভাগ করতে হবে। যত বছরের আয় তা থেকে সর্বদাই ১ কম দিয়ে ভাগ করতে হবে। ভাগফলকে বর্গমূল করলে আমরা আদর্শ বিচ্যুতি পাব। ছকে এটা ৯.১২৮৭% এবং ৩.৫৫৯%। সুতরাং ৪ বছরের আয়ের ভিত্তিতে আমাদের গড় আয় ১৫% এবং ১৫% আর ঝুঁকির পরিমাণ ৯.১২৮৭% এবং ৩.৫৫৯%। এই আয় ও ঝুঁকি ব্যবহার করে আমরা ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারব। 

সিদ্ধান্ত গ্রহণ: 

অরণ্য প্রকল্পে যদি আমরা ১৫% আয় পাই এবং আদর্শ বিচ্যুতি ৯.১২৮৭% এবং অনন্য প্রকল্পে যদি আমরা ১৫% আয় পাই এবং আদর্শ বিচ্যুতি ৩.৫৫৯%, তবে বিকল্প প্রকল্প থেকে আমাদের দ্বিতীয় প্রকল্প বেশি গ্রহণযোগ্য। কারণ সমপরিমাণ আয় কিন্তু ঝুঁকি কম হওয়ায় দ্বিতীয় প্রকল্প গ্রহণযোগ্য। 

সাধারণত আদর্শ বিচ্যুতির মান যত বেশি ঝুঁকিও তত বেশি এবং আদর্শ বিচ্যুতির মান যত কম বা ছোট তার কম ঝুঁকি নির্দেশ করে। সমান আয়ে কম ঝুঁকি বেশি গ্রহণযোগ্য এবং সমান ঝুঁকিতে অধিক লাভ বেশি গ্রহণযোগ্য। 

Get SSC Finance and Banking Assignment Answer

[Join]

https://www.youtube.com/watch?v=ZDwNrPCj_j4