0

চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামার চাহিদা ও যােগানের পরিবর্তন নির্ণয়। এইচএসসি অর্থনীতি প্রথম পত্র চতুর্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ সমাধান।

চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামার চাহিদা ও যােগানের পরিবর্তন নির্ণয়।

স্তর: এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১, বিভাগ: মানবিক, বিষয়: অর্থনীতি ১ম পত্র, বিষয় কোড: ১০৯, মোট নম্বর: ১৬, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০৩, অধ্যায় দ্বিতীয়: ভােক্তা ও উৎপাদকের আচরণ।

অ্যাসাইনমেন্ট: চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামার চাহিদা ও যােগানের পরিবর্তন নির্ণয়।

(“অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে দাম বাড়লে চাহিদা কমে কিন্তু যােগান বাড়ে আবার দাম কমলে চাহিদা বাড়ে কিন্তু যােগান কমে”- এ উক্তিটির আলােকে বিভিন্ন দামে চাহিদা ও যােগানের পরিমাণ দেখিয়ে সূচি ও চিত্রের সাহায্যে ভারসাম্য অবস্থা বিশ্লেষণ)

শিখনফল/বিষয়বস্তু

চাহিদার ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে চাহিদাবিধিকে সূচি এবং রেখাচিত্রে রূপ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারবে যােগানের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে যােগানবিধিকে সূচি ও রেখাচিত্রে রূপ দিতে পারবে সূচি, রেখাচিত্র এবং গাণিতিকভাবে ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ নির্ধারণ করা এবং ভারসাম্য দামের উপর চাহিদা ও যােগানের। পরিবর্তনের। প্রভাব বিশ্লেষণ করতে পারবে;

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/ পরিধি)

  • চাহিদা ও যােগানের ধারণা;
  • চাহিদাবিধি ও যােগানবিধি;
  • ভারসাম্য অবস্থা;
  • মের ওঠা-নামায় চাহিদা ও যােগানের পরিমাণ নির্ণয়;

এইচএসসি অর্থনীতি প্রথম পত্র চতুর্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট ২০২১ সমাধান

চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামা চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামা

চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামা চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামা

চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামা চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামা

চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামা চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামা চাহিদা এবং যােগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামা

Get HSC Economics Assignment Answer

[Join]
Read More About HSC Economics 4th Week Assignment Answer

চাহিদা ও যোগান বিধির প্রেক্ষিতে ভারসাম্য দাম নির্ধারণ এবং দামের ওঠা নামার চাহিদা ও যোগানের পরিবর্তন নির্ণয়

 ক)  চাহিদা ও যোগানের ধারণা

চাহিদা

সাধারণত চাহিদা শব্দের অর্থ হচ্ছে কোন দ্রব্য পাওয়ার আকাক্সক্ষা বা ভোগ করার ইচ্ছা। তবে অর্থনীতিতে চাহিদা শব্দটি বিশেষ অর্থ বহন করে। এখানে আকাক্সক্ষার সাথে সামর্থ্য বিশেষভাবে জড়িত। চাহিদা হচ্ছে কোনো দ্রব্য পাওয়ার ইচ্ছা বা আকাক্সক্ষা যা নির্ভর করে ক্রয়ক্ষমতা এবং অর্থ খরচ করে ঐ দ্রব্যটি ক্রয় করার ইচ্ছার উপর। শুধুমাত্র কোনো দ্রব্য পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেই তা চাহিদা হবে না। একজন দিনমজুর কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিতে গিয়ে পাশে রাখা দামি গাড়িটি পাওয়ার ইচ্ছা হলো। কিন্তু গাড়িটি কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তার কাছে নেই। তাহলে ইহাকে চাহিদা বলা যাবে না। আবার, ধরুন আপনার আইসক্রীম খেতে ইচ্ছে করল এবং আইসক্রীম কেনার জন্য অর্থ আছে। কিন্তু অর্থ খরচ কওে আইসক্রীম কেনার ইচ্ছা নেই। এটিকেও চাহিদা বলা যাবে না। সুতরাং অর্থনীতিতে চাহিদা হতে হলে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। যথা- (১) কোনো দ্রব্য পাওয়ার ইচ্ছা বা আকাক্সক্ষা (২) দ্রব্যটি কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ (৩) অর্থ খরচ করে দ্রব্যটি কেনার ইচ্ছা। সুতরাং কোন দ্রব্য বা সেবার দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে । আর চাহিদার পরিমাণ হচ্ছে কোন একটি দ্রব্য বা সেবার পরিমাণ যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দামে ক্রেতা ক্রয় করার ইচ্ছা পোষণ করে।

যোগান

সাধারণ অর্থে যোগান হচ্ছে কোনো দ্রব্যের মজুদ পরিমাণ। কিন্তু অর্থনীতিতে যোগান বলতে বোঝায় বাজারে একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট দামে কোনো দ্রব্যের যে পরিমাণ সরবরাহ থাকে। কোনো দ্রব্যের মজুদ বলতে বোঝায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে ও একটি নির্দিষ্ট দামে বাজারে ঐ দ্রব্যটির কি পরিমাণ সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু যোগান হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট দামে ও সময়ে বিক্রেতা কোনো দ্রব্যের কি পরিমাণ মজুদ বিক্রি করতে প্রস্তুত। অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দামে বিক্রেতা বাজারে কোন দ্রব্য বা সেবার যে পরিমাণ বিক্রি করার সামর্থ্য রাখে তা হচ্ছে যোগানের পরিমাণ। অর্থনীতিতে যোগান শব্দটি দাম ও যোগানের পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ককে নির্দেশ করে। চাহিদার মত যোগানও স্থির সংখ্যা নয়। যোগান দেখায়, কিভাবে দামের সাথে সাথে যোগানের পরিমাণ পরিবর্তিত হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রেতা বাজারে যে পরিমাণ যোগান দেয় তা নির্ভর করে দ্রব্যটির দামের উপর এবং যোগানের উপর প্রভাব বিস্তারকারী অন্যান্য উপকরণসমূহের উপর।

খ)  চাহিদা  বিধি ও যোগান বিধি

চাহিদার সাথে দ্রব্যের দামের একটি সম্পর্ক রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট দামে নির্দিষ্ট সময়ে ভোক্তা নিজের ইচ্ছায় কি পরিমাণ দ্রব্য কিনতে চায় তাকে চাহিদা বলে। আমরা দ্রব্যের দাম না জানা পর্যন্ত বলতে পারি না কি পরিমাণ দ্রব্য কিনতে পারবো। চাহিদা বিধি দ্রব্যের দামের সাথে চাহিদার পরিমাণের সম্পর্ক দেখায়। চাহিদা বিধি অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়ে, অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় দ্রব্যের দাম যখন কম থাকে তখন দ্রব্যটির চাহিদার পরিমাণ বেড়ে যায়। বিপরীতভাবে, এই বিধি দেখায়, অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় যখন দ্রব্যের দাম বাড়ে তখন দ্রব্যটির চাহিদা কমে। অর্থাৎ, দ্রব্যের দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যে বিপরীত সম্পর্কই হচ্ছে চাহিদা বিধি। এখানে ‘অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত’ বলতে বোঝানো হচ্ছে ক্রেতার রুচি, পছন্দ, অভ্যাসের কোনো পরিবর্তন হবে না এবং ক্রেতার আয় ও বিকল্প দ্রব্যের দাম অপরিবর্তিত থাকবে ইত্যাদি।

চাহিদা সূচি ও চিত্র

অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় কোন দ্রব্যের দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ককে যে সারণির মাধ্যমে দেখানো হয় তা হচ্ছে চাহিদা সূচি। সারণি-১ এ চিনির কাল্পনিক চাহিদা সূচি দেখানো হয়েছে। প্রতিটি দামে ভোক্তা যে পরিমাণ চিনি ক্রয় করে তা নির্ধারণ করতে পারি। সারণিতে, প্রতি কেজি ২৫ টাকা দামে ভোক্তা প্রতি মাসে ২৫ কেজি চিনি ক্রয় করে, ২০ টাকা দামে ৩০ কেজি

সারণি ১ : চিনির চাহিদা সূচি

Image

চিনি ক্রয় করে। এভাবে সারণি থেকে দেখা যায়, প্রতি কেজি চিনির দাম যত কমছে চিনির চাহিদার পরিমাণ তত বাড়ছে। চাহিদা সূচি অনুযায়ী আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে চাহিদার অন্যান্য নির্ধারণসমূহ স্থির থাকা অবস্থায় দ্রব্যের দামের উপর দ্রব্যটির প্রকৃত ক্রয়ের পরিমাণ নির্ভর করে।

Image

চিত্র ১: চিনির চাহিদা রেখা

রেখাচিত্রের মাধ্যমে চাহিদা সূচির প্রকাশই হচ্ছে চাহিদা রেখা। চিত্র ১ এ OY বা লম্ব অক্ষে চিনির দাম ও OX বা ভূমি অক্ষে চিনির চাহিদার পরিমাণ দেখানো হয়েছে। DD হচ্ছে ভোক্তার চিনির চাহিদা রেখা। এই রেখার a, b, c, d, e বিন্দুগুলোতে বিভিন্ন দামে চাহিদার বিভিন্ন পরিমাণ প্রকাশ পায়। যেমন, C বিন্দু দ্বারা বোঝা যায়, ১৫ টাকা দামে ভোক্তার মাসে চিনি চাহিদার পরিমাণ ৩৫ কেজি। আবার d বিন্দুতে ১০ টাকা দামে চিনির চাহিদা পরিমাণ ৪০ কেজি। অর্থাৎ দাম ও চাহিদার মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক বিদ্যমান। দাম কমার সাথে সাথে চাহিদার পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং চাহিদা রেখাটি বাম থেকে ডান দিকে নিম্নগামী হয়ে থাকে।

যোগান বিধি

আমরা দেখেছি, কোন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেলে বিক্রেতাদের ঐ দ্রব্যটি বিক্রয়ে বেশি আগ্রহ দেখা যায়। কেননা, দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রব্যটি বিক্রয় লাভজনক হয়ে থাকে এবং দ্রব্যটির যোগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। দ্রব্যের দাম ও যোগানের পরিমাণ এর মধ্যে ধনাত্মক সম্পর্ককে ‘যোগান বিধি’ বলা হয়। যোগানের অন্যান্য নির্ধারকসমূহ অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায়, যখন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় তখন দ্রব্যটির যোগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং যখন দ্রব্যের দাম হ্রাস পায় তখন যোগানের পরিমাণও হ্রাস পায়। সুতরাং যোগান বিধি দেখায়, বাজারে দ্রব্যের দামের সাথে বিক্রেতা দ্রব্যটির কি পরিমাণ বিক্রি করতে চায় এ দুয়ের মধ্যে সম্পর্ক।

যোগান সূচি ও চিত্র

চাহিদা সূচির মত যোগান সূচিকে একটি ছকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যা দ্রব্যের দাম ও যোগানের পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ক দেখায়। সারনি ২ এ চিনির যোগান সূচি দেখানো হলো

সারনি ২: চিনির যোগান সূচি

Image

Image

চিত্র: ২: চিনির যোগান রেখা

সারনি ২ এর যোগানসূচিকে আমরা যোগান রেখার সাহায্যে উপস্থাপন করতে পারি। চিত্র ২ এ OX অক্ষে চিনির দাম ও OY অক্ষে চিনির যোগানের পরিমাণ দেখানো হয়েছে। চিনির দাম ও চিনির যোগানের পরিমাণ- এই দুইয়ের বিভিন্ন সংমিশ্রণ a, b, c, d, e এই বিন্দুগুলোর মাধ্যমে প্রকাশ পায়। a, b, c, d, e এই বিন্দুগুলো যোগ করে বাম থেকে ডানদিকে উর্ধ্বগামী যোগান রেখা পাই। সুতরাং যোগান রেখা দ্রব্যের দাম ও যোগানের পরিমাণের মধ্যে সমমুখী সম্পর্ককে প্রকাশ করে। অর্থাৎ, দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেলে যোগান বৃদ্ধি পায় এবং দ্রব্যের দাম হ্রাস পেলে যোগান হ্রাস পায়।

গ) ভারসাম্য অবস্থা

কিভাবে চাহিদা ও যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বাজারে দ্রব্যের দাম ও পরিমাণ নির্ধারিত হয়। বাজারে কিভাবে দাম নির্ধারিত হয় তা বিশ্লেষণের জন্য ভোক্তার চাহিদা ও বিক্রেতার যোগানের মধ্যে তুলনা করতে হবে এবং দেখতে হবে কোথায় চাহিদা ও যোগান পরস্পর সমান। সারণি ৩ ও চিত্র ৩ এ ব্যাপারে আমাদেরকে সাহায্য করবে।

সারণি ৩: চিনির ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ নির্ধারণ

Image

Image

চিত্র ৩: চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য

চিত্র ৩ এ বাজার চাহিদা রেখা (DD) ও বাজার যোগান রেখা (SS) পরস্পরকে e বিন্দুতে ছেদ করেছে। এই e বিন্দুতে বাজার ভারসাম্য বিদ্যমান। ভারসাম্য হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যেখানে একটি নির্দিষ্ট দামে চাহিদার পরিমাণ ও যোগানের পরিমাণ সমতায় পৌঁছে। চাহিদা ও যোগানের ছেদবিন্দুতে যে দাম বিদ্যমান তা হচ্ছে ভারসাম্য দাম এবং দ্রব্যের পরিমাণ হচ্ছে ভারসাম্য পরিমাণ। চিত্রে, ভারসাম্য দাম ১৫ টাকা (প্রতি কেজি) এবং ভারসাম্য পরিমাণ ৬০ কেজি। ভারসাম্য দামে ভোক্তা বা ক্রেতা যে পরিমাণ দ্রব্য ক্রয় করতে ইচ্ছুক এবং বিক্রেতা যে পরিমাণ দ্রব্য বিক্রি করতে রাজি থাকে এ দু’য়ের পরিমাণ সমান থাকে। এই ভারসাম্য দামকে মাঝে মাঝে market clearing price ও বলা হয়। কারণ, এ দামে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই সন্তুষ্ট থাকে। সাধারণত ক্রেতা ও বিক্রেতা ক্রিয়া চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যকে ঘিরে আবর্তিত হয়। যখন বাজার দাম ভারসাম্য দামের সমান না হয় তখন কি হতে পারে। প্রথমে ধরে নেই, বাজার দাম ভারসাম্য দামের চেয়ে বেশি। চিত্রে বাজার দাম যখন ২০ টাকা তখন চিনির যোগানের পরিমাণ ৭৫ কেজি এবং চিনির চাহিদার পরিমাণ ৫০ কেজি। অর্থাৎ, চিনির উদ্বৃত্ত ২৫ কেজি। এখানে যোগানদার যে পরিমাণ দ্রব্য যোগান দিতে ইচ্ছুক চলতি দামে তার সবটুকু বিক্রি করতে পারে না। উদ্বৃত্ত অবস্থাকে ‘অতিরিক্ত যোগান’ (excess supply) বলা হয়। যখন চিনির বাজারে ‘উদ্বৃত্ত’ দেখা দেয় তখন চিনি বিক্রেতা উদ্বৃত্ত চিনি মজুদ করে রাখে। এ অবস্থায় চিনি বিক্রেতার উপর চিনির দাম হ্রাসের চাপ সৃষ্টি হয়। ফলস্বরূপ, দাম হ্রাস পায়। এতে চিনির যোগানের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং চিনির চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। চিনির দাম হ্রাস পেতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না বাজার ভারসাম্যে পৌঁছে। এখন ধরি, বাজার দাম ভারসাম্য দামের চেয়ে কম। চিত্রে চিনির দাম যখন ১০ টাকা তখন চিনির চাহিদার পরিমাণ ৭০ কেজি ও যোগানের পরিমাণ ৪৫ কেজি। এখানে চিনির ঘাটতি ২৫ কেজি। ক্রেতার যে পরিমাণ চিনি ক্রয় করতে ইচ্ছুক চলতি দামে তার সবটুকু ক্রয় করতে পারে না। মাঝে মাঝে এ ধরনের পরিস্থিতিতে ‘অতিরিক্ত চাহিদা’ (excess demand) বলা হয়। যখন দ্রব্যের প্রাপ্যতার তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অধিক থাকে তখন বিক্রেতা দ্রব্য বিক্রয়ে কোন ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন না হয়েই দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি করে। অর্থাৎ দ্রব্যের দামের উর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি হয়। যখন দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায় তখন দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ হ্রাস পায় এবং যোগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এভাবে বাজার পুনরায় ভারসাম্য অবস্থায় ফিরে আসে। ক্রেতা ও বিক্রেতার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বাজার দাম ভারসাম্য দামে উপনীত হয়। ভারসাম্য অবস্থায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই সন্তুষ্ট থাকে এবং দামের উপর উর্ধ্বমুখী ও নিম্নমুখী কোন ধরণের চাপ থাকে না।

ঘ) দামরে ওঠা নামায় চাহদিা ও যোগানরে পরমিাণ নর্ণিয়

সূচি ও রেখা চিত্রের মাধ্যমে দ্রব্যের ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ নির্ধারণ: নিম্নে একটি সমন্বিত চাহিদা ও যোগান সূচির সাহায্যে বাজারের ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ ধারণাটি ব্যাখ্যা করা হলো-

Image

ছক ৪: চাহিদা ও যোগান

ছক ৪ থেকে দেখা যায়, দ্রব্যের দাম যখন ১৫ টাকা তখন দ্রব্যের চাহিদা ৩০ একক এবং যোগানের পরিমাণ ৫০ একক। এক্ষেত্রে বাজারে দ্রব্যের যোগানের পরিমাণ চাহিদা অপেক্ষা বেশী হওয়ায় বাজারে দ্রব্যের উদ্বৃত্তের (Surplus) সৃষ্টি হবে। এবং অনেক দ্রব্যই অবিক্রিত থেকে যাবে। এমতাবস্থায় বিক্রেতারা দাম কমিয়ে দ্রব্যটি বিক্রয় করতে গেলে দাম নিম্নমূখী ও বাজার অস্থিতিশীল হবে। আবার দ্রব্যের দাম যখন ৫ টাকা তখন দ্রব্যটির চাহিদার পরিমাণ ৫০ একক এবং যোগানের পরিমাণ ৩০ একক। এ অবস্থায় দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ যোগানের পরিমাণ অপেক্ষা বেশী হওয়ায় বাজারে দ্রব্যটির ঘাটতি (Shortage) দেখা দিবে। তখন অনেক ক্রেতাই বেশী দাম দিয়েও দ্রব্যটি ক্রয় করতে চাইবে। ফলে দ্রব্যটির দাম উর্ধ্বমূখী ও বাজার অস্থিতিশীল হবে। আবার যখন দ্রব্যটির দাম ১০ টাকা তখন দ্রব্যটির চাহিদা ৪০ একক এবং যোগান ৪০ একক যা পরস্পর সমান। এমতাবস্থায় দ্রব্যের দামের নিচে নামা বা উর্ধ্বে উঠার কোন প্রবণতা থাকে না। অর্থাৎ আমরা বলতে পারি, যে দামে দ্রব্যের মোট চাহিদা এবং মোট যোগান পরস্পর সমান হয় তাকেই বাজার ভারসাম্য বলে। এখানে বাজার ভারসাম্য দাম হলো ১০ টাকা এবং পরিমাণ হলো ৪০ একক। রেখা চিত্রের সাহায্যে ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ র্নিধারণ:

কোন দ্রব্যের বাজার ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ রেখা চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায়:

চিত্র ৪ এ X অক্ষে দ্রব্যের চাহিদা ও যোগানের পরিমাণ এবং Y অক্ষে দ্রব্যের দাম নির্দেশিত। প্রদত্ত সম্বন্বিত যোগান ও চাহিদা সূচিতে বর্ণিত পারস্পরিত দ্রব্যের দাম ও পরিমাণের উপর ভিত্তি করে চাহিদা রেখা (DD) ও যোগান রেখা (SS) অংকন করা হয়েছে।

Image

চিত্র ৪ ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ নির্ধারণ

চিত্রে দেখা যায়, দ্রব্যের দাম যখন ৫ টাকা তখন চাহিদার পরিমাণ ৫০ একক এবং যোগানের পরিমাণ ৩০ একক। এক্ষেত্রে D> S হওয়ায় দ্রব্যটির দাম বাড়বে এবং তা বাজার ভারসাম্য হবে না। অপর দিকে, দ্রব্যটির দাম যখন ১৫ টাকা তখন চাহিদার পরিমাণ হলো ৩০ একক এবং যোগানের পরিমাণ হলো ৫০ একক। এক্ষেত্রে S >D এবং বাজার স্থিতিশীল হবে না। কিন্তুু দ্রব্যটির দাম যখন ১০ টাকা তখন চাহিদা ও যোগানের পরিমাণ ৪০ একক যা পরস্পর সমান। এক্ষেত্রে D=S এবং বাজার স্থিতিশীল হবে। এবং এই স্থিতিশীল অবস্থাকে বাজার ভারসাম্য বলে। এখানে বাজার ভারসাম্য দাম হলো ১০ টাকা এবং দ্রব্যের পরিমাণ হলো ৪০ একক।