পরিবারের একজন সদস্যের পালস রেট বিভিন্ন অবস্থায় পরিমাপ করে পাঠসমূহের ব্যাখ্যা প্রদান। এসএসসি ২০২২ জীববিজ্ঞান পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান।
শ্রেণিঃ দাখিল ১০ম, বিভাগঃ বিজ্ঞান, বিষয়ঃ জীব বিজ্ঞান, এ্যাসাইনমেন্ট নং-১, সর্বমোট নম্বরঃ ২০, অধ্যায় ও শিরোনামঃ ৬ষ্ঠ (জীবে পরিবহন)
অ্যাসাইনমেন্টঃ পরিবারের একজন সদস্যের পালস রেট অবস্থায় পরিমাপ করে পাঠসমূহের ব্যাখ্যা প্রদান।
শিখনফল ও বিষয়বস্তুঃ
- ১. সঠিকভাবে রক্তচাপ ও পালস রেট পরিমাপ করতে পারব;
- ২. বিশ্রামরত অবস্থায় এবং শরীরচর্চার পর রক্তচাপ ও পালস রেট পরিমাপ করতে এবং দুই অবস্থানে পরিমাপকৃত রক্তচাপ ও পালস রেট বিশ্লেষণ করতে পারব।
নির্দেশনা ও সংকেতঃ
১. পালস রেট বা নাড়িস্পন্দন পরিমাপের পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ কর (জীববিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তকের পৃষ্ঠা ১৫০-১৫১ দ্রষ্টব্য)।
২. প্রথমে খাতায় নিচের মতাে ছক আঁকতে হবে :
অবস্থা/ধাপ | পালস রেট (প্রতি মিনিটে) |
১) শােয়া অবস্থায় | |
২) বসা অবস্থায় | |
৩) দাঁড়ানাে অবস্থায় | |
৪) পাঁচ মিনিট | |
৫) দ্রুতবেগে হাঁটার পরে |
৩. পরিবারের একজন সুস্থ্য সদস্যকে তােমার পরীক্ষণে অংশ নিতে অনুরােধ করবে। তােমার নির্দেশনা বুঝতে সক্ষম এমন ব্যক্তি হতে হবে। তাঁকে পুরাে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তিনি সম্মতি দিলে পরীক্ষণ শুরু করা যাবে।
৪. সাবধানতা: অনুমতি ছাড়া কারাে উপর পরীক্ষণ করা যাবে না। নিজের উপর পরীক্ষণ করা যাবে না।
৫. পরীক্ষণাধীন ব্যক্তিকে পরীক্ষণের পূর্বে ৬ ঘন্টা চা-কফি বা ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। তাঁকে পরীক্ষণের সময় শান্ত ও শিথিল (relaxed) থাকতে হবে। তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরপর পরীক্ষণটি করার আদর্শ সময়।
৬. উপরের ছক অনুসারে প্রথমে শােয়া অবস্থায় পালস রেট নির্ণয় করে ছকে পাঠ লিখতে হবে। তারপর যথাক্রমে বসা ও দাঁড়ানাে অবস্থায় পাঠ নিতে হবে এবং ছকে লিখতে হবে।
৭. সবশেষে পাঁচ মিনিট দ্রুতবেগে হীটার পরে দাঁড়ানাে অবস্থায় পালস রেট নির্ণয় করে ছকে পাঠ লিখতে হবে। উল্লিখিত ছক ব্যবহার করে লেখচিত্র আঁকতে হবে। উদাহরণ: শােয়া, বসা, দাঁড়ানাে এবং হাঁটার পরে প্রতি মিনিটে পালস রেট যদি যথাক্রমে ৭০, ৭৫, ৮৫ এবং ১০০ হয় তাহলে তার লেখচিত্রটি উপরে প্রশ্নে দেওয়া আছে;
৮. বিভিন্ন অবস্থায় পালস রেটের পার্থক্য কেন হয় তা ব্যাখ্যা করতে হবে। [সর্বনিম্ন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ শব্দে]
পরিবারের একজন সদস্যের পালস রেট বিভিন্ন অবস্থায় পরিমাপ করে পাঠসমূহের ব্যাখ্যা
Get SSC Biology Assignment Answer
[Join]
এসএসসি ২০২২ জীববিজ্ঞান পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর
পরিবারের একজন সদস্যের (আমরা বড় ভাইয়ের) পালস রেট বিভিন্ন অবস্থায় পরিমাপ করে পাঠসমূহের ব্যাখ্যা প্রদান করা হলোঃ
রক্তপ্রোভবাহের সময় ধমনির গায়ে যে চাপ সৃষ্টি হয়, তাকে রক্তচাপ বলে। হৎপিন্ডর সংকোচন বা সিস্টোল অবস্থায় ধমনির গায়ে রক্তচাপের মাত্রা সর্বাধিক থাকে। একে সিস্টোলিক চাপ (Systolic Presswre)বলে। হৃৎপিন্ডেন(প্রকৃতপক্ষে নিরয়ের) প্রসারন বা ডায়াস্টোল অবস্থায় রক্তচাপ সবচেয়ে কম থাকে একে ডায়াস্টোলিক চাপ (Diastolic Presswre) বলে।
আর্দশ রক্তচাপঃ চিকিৎসকদের মতে পরিনত বয়সে একজন মানুষের আর্দশ রক্তচাপ (Blood Presswre) সাধারণত ১২০/৮০ মিলিমিটার মানের কাছাকাছি রক্তচাপকে দুটি সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়। প্রথমটি উচ্চমান এবং দিতীয়টি নিম্নমান। রক্তের উচ্চ চাপকে সিস্টোলিক (Systolic) চাপ বলে যার আর্দশ মান ১২০ মিলিমিটারের নিচে নিম্নচাপকে ডায়াস্টোলিক(Diastolic) চাপ বলে।এই চাপটি হৃৎপিন্ডের দুটি বিটের মাঝামাঝি সময় রক্তনলিতে সৃষ্টি হয়।দুধরনের রক্তচাপের পার্থককে ধবনিঘাত বা নড়িঘাত চাপ (Palse presswre) বলা হয় সাধারণত সুস্থ অবস্থায় হাতের কব্জিতে রেট তথা হৃৎস্পন্দনের মান প্রতি মিনিটে ৬০-১০০ হাতের কব্জিতে হালকা করে চাপ দিয়ে ধরে পলস রেট বের করা যায়। স্ফিগমোম্যানোমিটার (Sphygmomanometer) বা সংক্ষেপে বিপি যন্ত্রের সাহায্য রক্তচাপ মাপা যায়। এই যন্ত্র দিয়ে ডায়াস্টোলিক ও সিস্টোলিক চাপ দেখে রক্তচাপ নির্ণয় করা যায়।
নিচে আমরা পরিবারের একজন সদস্যের (আমরা বড় ভেইয়ের) হাতের পালস রেট নির্ণয় করা হলোঃএই পরিক্ষাটি তার ঘুম থেকে ওঠার পর করেছিলাম ।কারণ পরীক্ষাটি করার সময় ব্যক্তিকে পরীক্ষন এর পূর্বে ৬ ঘন্টা চা, কফি,ধুমপান এগুলো মানুষের রক্তচাপ বাড়ায়।
নিচে আমার বড় ভাইয়ের বিভিন্ন সময়ে তথা শোয়া হাঁটা, বসা, ৫ মিনিট পর পালস রেট নির্ণয় করে উল্লেখ করা হলোঃ- দ্রুতবেগে হাঁটার
শারীরিক অবস্থা |
পালস রেট (প্রতি মিনিট) |
১. শোয়া |
৭৫ |
২. বসা |
৭৮ |
৩. দাঁড়ানো |
৮২ |
৪. ৫মিনিট দ্রুতবেগে হাঁটা |
১২০ |
উল্লেখিত ছক ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অবস্থায় প্রতি মিনিটে পালস রেট এর নেম্বচিত্র নিম্নরূপঃ
বিভিন্ন সময় তার পালস রেট বিভিন্ন রকম। এর কারণ শোয়া অবস্থায় তার মৌলবিপাক ছাড়া অন্য কোনোভাবে শক্তি ব্যায় হয়নি। যখন উঠে বসল তখন তার নড়াচড়ার কারনে শক্তি ব্যায় হয়েছে। এবং তার পালস রেট বেড়েছে। এভাবে দাঁড়ানো, ৫মিনিট ধরে দ্রুতবেগে হাঁটার কারনে শক্তি ব্যায় হয়েছে এবং শারীরিক কর্মকান্ড বেড়েছে এবং এর ফলে পালস রেট বেড়েছে।