0

ব্যবসায় উদ্যোগ সৃষ্টিতে আত্ম-কর্মসংস্থানের ভূমিকা নিরূপণ, এসএসসি শ্রেণীর ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্ট ২০২২ সমাধান।

ব্যবসায় উদ্যোগ সৃষ্টিতে আত্ম-কর্মসংস্থানের ভূমিকা নিরূপণ

ব্যবসায় উদ্যোগ সৃষ্টিতে আত্ম-কর্মসংস্থানের ভূমিকা নিরূপণ

ক. ব্যবসায় উদ্যোগ এর ধারণা

যেকোনো বিষয়ের ব্যাপারে উদ্যোগ হতে পারে কিন্তু লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করাই হল ব্যবসায় উদ্যোগ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, মনে করো তুমি বাঁশ ও বেত দিয়ে সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করতে পারো। এখন নতুন এক ধরনের বেতের চেয়ার দেখে সেটা বানানোর চেষ্টা করলে, এটি তোমার উদ্যোগ। এখন তুমি যদি অর্থ সংগ্রহ করে বাঁশ ও বেতের সামগ্রী তৈরীর দোকান স্থাপন করে সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করো, তখন এটি হবে ব্যবসায় উদ্যোগ।

তাই বলা যায় যে, নতুন ব্যবসায় গঠন বা নতুন পণ্য, সেবা পদ্ধতি বা বাজার সামনে রেখে একজন ব্যবসায়ীর নতুন উদ্যোগকে ব্যবসায় উদ্যোগ বলে। 

খ. ব্যবসায় উদ্যোগ এর বৈশিষ্ট্য

ব্যবসায় উদ্যোগ এর বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হল:

  • ঝুঁকি আছে জেনেও লাভের আশায় ব্যবসায় পরিচালনা করা। ব্যবসায় উদ্যোগ সঠিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ করতে এবং পরিমিত ঝুঁকি নিতে সহায়তা করে।
  • ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে পরিচালনা করা।
  • ব্যবসায় উদ্যোগ এর অন্য একটি ফলাফল হলো একটি পণ্য বা সেবা।
  • অন্যদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা নিজের উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারেন।

গ. আত্মকর্মসংস্থান এর ধারণা

সাধারণ অর্থে নিজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিজেই করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। আত্মকর্মসংস্থান এর মাধ্যমে একজন মানুষ নিজের পাশাপাশি অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে অধিক চাহিদাকৃত চাকরির ওপর চাপ কম পড়ে এবং বেকারত্ব হ্রাস পায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বিভিন্ন খুচরা বিক্রয়, রেডিও ও টেলিভিশন মেরামত ইত্যাদি।

ঘ. আত্মকর্মসংস্থান ও উদ্যোগের মধ্যে সম্পর্ক

আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগ এর মধ্যে সম্পর্ক ব্যাপক। কেউ যখন নিজস্ব পুঁজি অথবা ঋণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব চিন্তা, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ন্যূনতম ঝুঁকি নিয়ে আত্ম প্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা করে তখন তাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। আত্মকর্মসংস্থানে বিনিয়োগ থাকে একই সাথে এবং থাকে ঝুঁকি। অন্যদিকে লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে অর্থ শ্রম বিনিয়োগ করাই হল ব্যবসায় উদ্যোগ সেখানেও ঝুঁকি থাকে এবং বিনিয়োগ একসাথে থাকে। এছাড়াও ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে আত্ম-কর্মসংস্থানের সম্পর্ক খুব নিবিড়। আত্মকর্মসংস্থান এর ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের চিন্তা করে কাজে হাত দেন। একজন আত্মকর্মসংস্থান কারী ব্যক্তি তখনই একজন উদ্যোক্তা এ পরিণত হবেন, যখন তিনি নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমাজের আরও কয়েকজনের কর্মসংস্থানের চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করেন, ঝুঁকি জেনেও এগিয়ে যান এবং একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। সে ক্ষেত্রে সফল ব্যবসায় উদ্যোক্তা কে আত্মকর্মসংস্থান কারী বলা গেলেও সকল আত্মকর্মসংস্থান কারীকে ব্যবসায় উদ্যোক্তা বলা যায়না।

ঙ. ব্যবসায় উদ্যোগ এর কার্যাবলী

ব্যবসায় উদ্যোগ এর আর্থিক কার্যাবলি নিচে দেয়া হল:

  1. একটি ব্যবসায় স্থাপনের কর্ম উদ্যোগ। ব্যবসায় স্থাপন সংক্রান্ত সকল কর্মকান্ড সফল ভাবে পরিচালনা করতে ব্যবসায় উদ্যোগ সহায়তা করে।
  2. ঝুঁকি আছে জেনেও লাভের আশায় ব্যবসায় পরিচালনা করা।
  3. ব্যবসায় উদ্যোগ এর ফলাফল হলো একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। এর মানে হলো ব্যবসায় উদ্যোগ সম্পর্কে ধারণা কোন চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করে।
  4. ব্যবসায় উদ্যোগ এর অন্য একটি ফলাফল হল একটি পণ্য বা সেবা।
  5. ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে পরিচালনা করা।
  6. নিজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তার নিজের উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারেন।
  7. অন্যদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগ মালিকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন।
  8. নতুন সম্পদ সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে যেমন মানব সম্পদের উন্নয়ন হয় তেমনি মূলধনও গঠন হয়।

Get SSC Business Entrepreneurship Assignment 2021 Answer