একটি প্রাণিকোষ ও একটি উদ্ভিদকোষ এর চিহ্নিত চিত্র অংকন করে উপস্থাপন করা হলো:
উদ্ভিদ কোষ | প্রাণী কোষ |
(1) কোষপ্রাচীর উপস্থিত। | (1) কোষপ্রাচীর অনুপস্থিত। |
(2) কোষপ্রাচীর দ্বারা আবৃত। | (2) প্লাজমা পর্দা দ্বারা আবৃত। |
(3) প্লাস্টিড উপস্থিত। | (3) প্লাস্টিড অনুপস্থিত। |
(4) বড় কোষগহ্বর থাকে। | (4) ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষগহ্বর থাকে। |
(5) নিজের আকার পরিবর্তন করতে পারে না। | (5) প্রায় সময় নিজের আকার পরিবর্তন করতে পারে। |
(6) সেন্ট্রিওল থাকে না। | (6) সেন্ট্রিওল থাকে। |
(7) লাইসোজোম খুবই কম থাকে। | (7) লাইসোজোম সবসময় উপস্থিত থাকে। |
(8) আকারে সাধারণত বৃহত্তর হয়। | (8) আকারে তুলনামূলক ছোট হয়। |
(9) নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজমের এক কোণায় থাকে। | (9) নিউক্লিয়াস সাধারণত কেন্দ্রে থাকে। |
(10) গ্লাইঅক্সিজোম উপস্থিত থাকতে পারে। | (10) গ্লাইঅক্সিজোম অনুপস্থিত থাকে। |
পেশী (Muscle) হলো প্রাণীদেহের বিশেষ এক ধরনের নরম কিন্তু স্থিতিস্থাপক কলা যার উদ্দেশ্য প্রাণীর নড়ন, চলন ও বলপ্রয়োগে সহায়তা করা। প্রাণীদেহের অভ্যন্তরেও পেশীসমূহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ পালন করে, যেমন হৃৎপিণ্ডের সংকোচন-প্রসারণ, পৌষ্টিকনালীর ভেতর দিয়ে খাদ্য পরিবহন, ইত্যাদি। ভ্রূণ মেসোডার্ম থেকে তৈরি সংকোচন প্রসারণশীল বিশেষ ধরনের টিস্যুকে পেশি টিস্যু বলে।
মানবদেহের যে যে অঙ্গাণু ঐচ্ছিক পেশি এবং অনৈচ্ছিক পেশি তার একটি তালিকা তৈরি করা হলো-
ঐচ্ছিক পেশি অঙ্গাণু :
যে পেশি আমরা ইচ্ছামতো সংকুচিত ও প্রসারিত করে ও দেহের বিভিন্ন অঙ্গ সঞ্চালন করতে পারি, তাকে ঐচ্ছিক পেশি বলে। মানবদেহে ঐচ্ছিক পেশির সংখ্যা বেশি। এ পেশি হাড়ের সাথে লেগে থেকে আমাদের অঙ্গ নড়াচড়া করতে সাহায্য করে।
ঐচ্ছিক পেশি অঙ্গাণুর তালিকা-
১. হাত,
৩. হাতের আঙ্গুল,
৪. পা,
৫. হাঁটু,
৬. পায়ের আঙ্গুল ইত্যাদি।
অনৈচ্ছিক পেশি অঙ্গাণু :
যেসব পেশি আমাদের ইচ্ছামতো সংকুচিত ও প্রসারিত হয় না, তাদের অনৈচ্ছিক পেশি বলে। যেমন-
১. অন্ত্রের পেশি,
২, হৃৎপেশি।
প্রাণিদেহের যে কলা উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে উপযুক্ত প্রতিবেদন সৃষ্টি করতে পারে সে কোষটি হলো স্নায়ু কোষ। স্নায়ুকোষের সচিত্র বর্ণনা করা হলো-
স্নায়ুতন্ত্রের গঠনমূলক ও কার্যকরী একককে নিউরন বা স্নায়ুকোষ বলে। মস্তিষ্ক কোটি কোটি স্নায়ুকোষ (নিউরন) দিয়ে তৈরি। এই একটি মাত্র মানব মগজে রয়েছে ১,০০০ কোটি স্নায়ুকোষ বা নার্ভ সেল। আর এগুলো একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত রয়েছে তেমনি শত শত কোটি স্নায়ুতন্তু দিয়ে।
প্রতিটি নিউরনে তিনটি অংশ থাকে। যথা :
১. কোষদেহ,
২. ডেনড্রন এবং
৩. অ্যাক্সন।
নিউরন বা স্নায়ুকোষ তথা স্নায়ুকলার (Nervous Tissue) কাজ :
১. নিউরন বিভিন্ন উদ্দীপনা গ্রহণ করে এবং তদনুযায়ী প্রতিবেদন সৃষ্টি করে।
২. এটি মস্তিষ্কে যাবতীয় স্মৃতি সংরক্ষণ করে।
৩. এটি দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
৪. এটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং তার বাস্তবায়ন করে।
৫. উদ্দীপনা বা ঘটনাকে স্মৃতিতে ধারণ করে।