0

আমার বাড়ি কবিতায় বন্ধুকে আপ্যায়নের জন্য কি কি আয়োজন ও খাবারের কথা উল্লেখ আছে? কবিতায় বর্ণিত আপ্যায়নের সাথে বর্তমান সময়ের অতিথি আপ্যায়নের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য নিজের পারিবারিক অভিজ্ঞতার আলোকে লিখ।

আমার বাড়ি কবিতায় বন্ধুকে আপ্যায়নের জন্য কি কি আয়োজন ও খাবারের কথা উল্লেখ আছে? কবিতায় বর্ণিত আপ্যায়নের সাথে বর্তমান সময়ের অতিথি আপ্যায়নের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য নিজের পারিবারিক অভিজ্ঞতার আলোকে লিখ।

‘আমার বাড়ি’ কবিতায় বন্ধুকে আপ্যায়নের জন্য যে যে আয়োজন ও খাবারের কথা উল্লেখ আছে তা নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ

কবি জসীমউদ্দীনের ‘হাসু’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘আমার বাড়ি’ কবিতায় কবি তার বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আপ্যায়ন করার জন্য। এটি হচ্ছে তার শহরের বন্ধুকে গ্রামের বাড়িতে আপ্যায়ন করার আমন্ত্রণ। তিনি মূলত তার বন্ধুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি তাকে বিভিন্নভাবে আপ্যায়ন করবেন বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি তার বন্ধুকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিতে চেয়েছেন। তিনি তার বন্ধুকে পিঁড়িতে বসতে দিতে চান এবং গাছপালার ডালের মাধ্যমে বাতাস করতে চান। এছাড়াও অতিথিকে আপ্যায়ন করতে চান পানি বা শরবত খাইয়ে এবং শাইল ধানের খই, শবরী কলা এবং গামছা বাঁধা দই দিয়ে।

প্রকৃতির সান্নিধ্যে কেমন করে অতিথির প্রাণ জুড়াবে এর এক নিবিড় পরিচয় আছে পল্লী কবি জসীম উদ্দীন রচিত এই কবিতাটিতে। কবি তার বন্ধুকে ছায়াময় গাছের নিচে শান্ত নিরিবিলি জায়গা ঘুমাতে দিবেন। কবি তার বন্ধুর সাথে সারাদিন খেলাধুলা করবে, গল্পগুজব করবে। কবির সাথে সাথে যেন অতিথি আপ্যায়ন করতে গাছ, ফুল এবং পাখিরাও উন্মুক্ত হয়ে আছে ।

নিজের পারিবারিক অভিজ্ঞতার আলোকে বর্তমান সময়ে অতিথি আপ্যায়নের ক্ষেত্রে সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিম্নে উপস্থাপন করা হলোঃ

কবিতায় উল্লিখিত আপ্যায়নের সাথে আমার নিজের পারিবারিক জীবনের আপ্যায়নের অভিজ্ঞতার তেমন একটা সাদৃশ্য নেই বললেই চলে।

কারন, আমার বাড়িতে অতিথি আসলে সাধারণত চা-বিস্কুট, চানাচুর, নুডলস, বিরিয়ানি, পাস্তা, মিষ্টি, পিঠা, ফলমূল যেমন-আপেল, কমলা ইত্যাদি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মাছ-মাংস, শাক-সবজি ও ফলমূল এর ব্যবস্থা করে থাকি।

সাদৃশ্য বলতে গেলে বলা যায় যে, বর্তমান সময়ে আমরা অতিথিকে বিভিন্ন ধরনের ফুলের মালা বা ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নিই।

আর বৈসাদৃশ্য বলতে গেলে বলা যায় যে,বর্তমান সময়ে আমরা অতিথি বন্ধুর সাথে বেশি খেলাধুলা করি না বরং টিভি দেখি কিংবা ভার্চুয়াল জগত নিয়ে থাকি। ফলে প্রকৃতি দেখার সুযোগ আমাদের হয় না।

উপরিউক্ত সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য থেকে বলতে পারি যে, পূর্বে বাঙ্গালীদের অতিথি বন্ধুকে আপ্যায়নের যে একটা ঐতিহ্য ছিল সেটা এখনো কিছুটা বিদ্যমান রয়েছে। পূর্বের মত অতিথি আপ্যায়ন না করা হলেও অতিথি আপ্যায়নে কোনো কিছুর ত্রুটি রাখা হয় বলে আমার মনে হয় না।