0
পাঠ্য বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় ' ধর্মগ্রন্থ ' পাঠ করে যেভাবে নিজ পরিবার ও সমাজ সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারব
আমার পাঠ্য বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় ‘ ধর্মগ্রন্থ ‘ পাঠ করে আমি যেভাবে নিজ পরিবার ও সমাজ সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারব তার ওপর একটি প্রবন্ধ নিচে উল্লেখ করা হলাে: 
 
যে সকল গ্রন্থে ধর্মের কথা বলা হয়েছে এবং ধর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে, তাকে ধর্মগ্রন্থ বলা হয়। যেমন: বেদ, পুরাণ, গীতা, শ্রীশ্রীচণ্ডী, রামায়ণ ইত্যাদি। আমাদের নিজ পরিবার ও সমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে ধর্ম গ্রন্থের ভূমিকা অপরিহার্য।
 
নিম্নে কয়েকটি ধর্ম গ্রন্থ সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে:
 
ধর্মাচরণ ও নৈতিকতা পুরাণ: 
 
পুরান শব্দের অর্থ হলাে পুরাতন ও প্রাচীন মূল পুরাণ কে অনুসরণ করে রচিত হয়েছে উপপুরাণ। বিষ্ণুপুরাণ কে অনুসরণ করে রচিত হয়েছে বিষ্ণুধমোত্তর পুরাণ নামে উপপুরাণ। মূলত প্রধান আঠারােটি পুরাণকে কেন্দ্র করেই উপরের বিষয়গুলাে রচিত হয়েছে। পুরাণ শুধু একটি গ্রন্থই নয়, এটি হচ্ছে বহু গ্রন্থের সমষ্টি।
 
শ্রী শ্রী চন্ডীর মাহাত্ম ও ঘটনাসমূহ: 
 
শীশ্রীচণ্ডী মূলত দেবীর মাহাত্ম বর্ণিত হয়েছে। দেবতাদের তেজ থেকে সৃষ্ট দেবী দুর্গা মহিষাসুরসহ অসুরদের হত্যা করেন। দেবী দুর্গা ঈশ্বরের শক্তির রূপ ধারণ করেছেন। এতে নারী শক্তির উত্থান ঘটেছে। দেবী দুর্গা ছাড়াও অম্বিকা ও কালীর শক্তির মহিমাও বর্ণিত হয়েছে। শ্রীশ্রীচণ্ডী তে রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্যের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। 
 
পুরাণ ও শ্রীশ্রী চণ্ডীর শিক্ষা ও প্রভাব: 
 
আমাদের প্রাত্যহিক এবং সামাজিক জীবনে পুরাণের ও শ্রী শ্রী চন্ডীর গুরুত্ব অপরিসীম। পুরাণ সত্য, অহিংসা, ক্ষমা, শান্তি ও ত্যাগের শিক্ষা দেয় যা মানুষকে ধর্মের পথে পরিচালিত করে। এর নৈতিক উপদেশ আমাদের নীতিবােধ কে সজাগ করে।
 
শ্রীশ্রীচণ্ডীর মাহাত্ম অনেক, কারণ এতে দেবী দুর্গা মাতৃশক্তি রূপে অধিষ্ঠিত হয়েছে। দেশ ও সমাজকে শত্রুর কবল থেকে রক্ষা করার জন্য অন্যতম প্রধান উৎসাহ আমরা শ্রী শ্রী চন্ডী পাঠের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। আমরা শ্রী শ্রী চন্ডী পাঠের মাধ্যমে সমাজের মঙ্গল সাধন করতে পারি। 
 
আর তাই বলা যায় যে, আমার পাঠ্য বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায় ‘ ধর্মগ্রন্থ ‘ পাঠ করে আমি নিজ পরিবার ও সমাজ সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারবাে।