0

বংশমর্যাদা নয় কর্মই মানুষকে সমাজে প্রকৃত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে – তোমার সমাজের কয়েকজন মানুষের উদাহরণ দিয়ে এই মন্তব্যের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করো। 

Class 8 Hinduism 7th Week Assignment Question

বংশমর্যাদা নয় কর্মই মানুষকে সমাজে প্রকৃত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে যুক্তি উপস্থাপন

বংশমর্যাদা নয় কর্মই মানুষকে সমাজের পর তিন প্রকৃত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে আমার সমাজের কয়েকজন মানুষের উদাহরণ দিয়ে এই মন্তব্যের পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হলাে :

ভগবান মানুষকে সমানভাবে সৃষ্টি করেছেন। তবুও তাঁর দৃষ্টিতে সমাজে চারটি বর্ণ রয়েছে। সেগুলাে হচ্ছে: ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ ও ‘শূদ্র। ব্রহ্মজ্ঞানে জ্ঞানী ব্যক্তি হচ্ছেন । ব্রাহ্মণ; তিনি সত্ত্ব : গুণ দ্বারা প্রভাবিত। শাসক। কিংবা যুদ্ধকারী সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তি হচ্ছেন। ক্ষত্রিয় যিনি রজ: গুণ দ্বারা প্রভাবিত।ব্যবসায় সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তি হচ্ছেন বৈশ্য যিনি রজঃগুণ ও তমঃগুণ দ্বারা প্রভাবিত।

আর শ্রমজীবী সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিরাই। হচ্ছেন শূদ্র, যিনি তম : গুণ দ্বারা প্রভাবিত। এই যে বর্ণ বিভাজন এটি কিন্তু জন্মভেদে নয়, কর্মভেদে সৃষ্টি। যে যে রকম কর্ম করে | তার বর্ণটি সে অনুসারেই হয়ে থাকে। এই। প্রসঙ্গে শ্রীমদভগবদগীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন: ‘প্রকৃতির গুণ ও কর্মের বিভাগ অনুসারে আমিই চারটি বর্ণ সৃষ্টি করেছি। ব্রাহ্মণের সন্তান হলেই যে একজন ব্রাহ্মণ হবে এমনটি কিন্তু। ‘নয়। সত্ত্বগুণ দ্বারা প্রভাবিত হলে সে শূদ্র। বলে গণ্য হবে। আমাদের সমাজে এমন। কয়েকজন ব্যক্তি রয়েছেন যাদের পিতা ব্রাহ্মণ। কিন্তু তারা ক্ষত্রিয়। আবার এমন কয়েকজন ব্যক্তি রয়েছেন যারা | বৈশ্য কিন্তু তাদের পিতা হলেন ক্ষত্রিয়।

এককথায়, যার মধ্যে যে গুণ রয়েছে, তাদের নামকরণ সেই গুণ অনুযায়ীই হবে। আর এই বর্ণভেদ পেশাগত; জন্মগত কিন্তু নয়। হিংসা না করা, চুরি না করা , পবিত্র থাকা। সত্যবাদী হওয়া এবং সংযমী হওয়া এই পাঁচটি গুণ যার মধ্যে রয়েছে তারাই আদর্শ মানুষ বলে। বিবেচিত হবে। জন্মগতভাবে মানুষের। কোনাে স্বভাব ও চরিত্র নির্ধারণ করা যায় না।

তার বংশ মর্যাদা কখনাে তাকে সমাজের প্রতিষ্ঠিত। করতে পারে না। আর তাই জাতি বা বর্ণভেদ। বংশগত নয়, এটি হচ্ছে গুণ ও কর্মগত। সুতরাং বলা যায় যে, ” বংশমর্যাদা নয় কর্মই মানুষকে সমাজের প্রকৃত মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে থাকে ।