0

বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয় কর। বাংলাদেশের সাথে উল্লিখিত দেশসমূহের স্থানীয় সময় ও ঋতুগত পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা কর। Class 9 Bangladesh & Global Studies 5th Week Assignment question solution. নবম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর।

ক্লাস ৯ এর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্নটি তৃতীয় অধ্যায় সৌরজগৎ ও ভূমণ্ডল থেকে করা হয়েছে। প্রশ্নে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয় করতে হবে। একই সাথে, বাংলাদেশের সাথে উল্লিখিত দেশসমূহের স্থানীয় সময় ও ঋতুগত পার্থক্যের কারণও ব্যাখ্যা করতে হবে। সুতরাং প্রশ্নটির উত্তর করতে হলে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই সৌরজগৎ, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের সময় নির্ণয়, পৃথিবীর গতি, জোয়ার-ভাটা সম্পর্কে জানতে হবে। এই সমস্ত জ্ঞান নবম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বইয়ের তৃতীয় অধ্যায় ”সৌরজগৎ ও ভূমণ্ড“ এ রয়েছে। তাই প্রশ্নটির উত্তর করার আগে অধ্যায়টি ভালো করে পড়তে ও বুঝতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় পঞ্চম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্নে উত্তরটি করার জন্য ৪টি নির্দেশনা দেওয়া আছে। উল্লেখিত নির্দেশনা মোতাবেক প্রশ্নটির উত্তর করতে পারলে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে তথা উত্তরটি অতি উত্তম বলে বিবেচিত হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী, সময়ের পার্থক্যের ক্ষেত্রে দ্রাঘিমা রেখার ভূমিকা উল্লেখ করতে হবে। স্থানগুলাের স্থানীয় সময় নির্ণয় করতে হবে। ঋতু পরিবর্তনের একটি চিত্র অঙ্কন করতে হবে। এবং বার্ষিক গতির ফলাফল ও অবস্থানের ভিত্তিতে উল্লিখিত দেশগুলির ঋতুর পার্থক্য ব্যাখ্যা করতে হবে।

বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয় কর

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ

বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয় কর। বাংলাদেশের সাথে উল্লিখিত দেশসমূহের স্থানীয় সময় ও ঋতুগত পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা কর।

বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০ টার সময়ে জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয় এবং দেশসমূহের স্থানীয় সময় ও ঋতুগত পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা

নবম শ্রেণীর পঞ্চম অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এর উত্তর

পৃথিবীর সময় ও স্থান নির্ণয়ের জন্য দ্রাঘিমা রেখার প্রয়োজন হয়। পুরো পৃথিবী 360 ডিগ্রী এর অন্তর্ভুক্ত। এই 360˚ কে কেন্দ্র করে গ্রিনিচ মান মন্দির কে ০ ডিগ্রি ধরে ১৯৮০ সালে সমগ্র পৃথিবীর জন্য একটি আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই 360˚ থেকে কোনো দেশের দ্রাঘিমা জেনে সেদেশের সময় নির্ধারণ করা যায়। তেমনিভাবে কোন দেশের জিএমটি সময় জেনে দ্রাঘিমার সাহায্যে সে দেশ কোথায় অবস্থিত তা জানা যায়। তাই বলা যায় সময়ের পার্থক্য এর ক্ষেত্রে বা সময় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দ্রাঘিমা রেখার গুরুত্ব অপরিসীম।

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও কানাডার স্থানীয় সময় নির্ধারণ :

কোন দেশের সময়ের পার্থক্যের জন্য দ্রাঘিমারেখা অথবা আন্তর্জাতিক প্রমাণ সময়ের প্রয়োজন হয়। আর পৃথিবীতে একটি স্বীকৃত প্রমাণ সময় হল জিএমটি (GMT- Greenwich Mean Time Zone) অর্থাৎ গ্রিনিচ মান মন্দির কে ০ ডিগ্রী ধরে যে সময় নির্ধারণ করা হয়। নিচে উল্লেখিত দেশগুলির দ্রাঘিমা রেখার সাহায্যে তাদের সময় বের করা হলো –


আমরা জানি,
বাংলাদেশে = ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত
যুক্তরাষ্ট্র = -৬০ ডিগ্রী দ্রাঘিমা রেখা অবস্থিত
কানাডা = -৬০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত
জাপান = ১৩৫ ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত।

সুতরাং, উল্লেখিত ডিগ্রী দ্রাঘিমা থেকে জিএমটি সময় বের করলে আমরা জানতে পারব বাংলাদেশে যখন দশটা বাজে তখন অন্য দেশগুলোর সময় কত।
যুক্তরাষ্ট্র = -৬০ ডিগ্রী
আমরা জানি,
১˚ = ৪ মিনিট
সুতরাং, ৬০˚ = ৬০ X ৪
বা, ২৪০ মিনিট।

আবার, ২৪০÷৬০ = ৪ ঘণ্টা (৬০ মিনিট = ১ ঘণ্টা)
সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্র জিএমটি – ৪ ঘণ্টা পিছিয়ে (যেহেতু -৬০˚ ছিল, তাই ‘-‘ মাইনাস হবে)।

বাংলাদেশ =৯০˚
৯০ X ৪ = ৩৬০ (১˚=৪ মিনিট)
আবার,
৩৬০÷৬০=৬ ঘণ্টা (৬০ মিনিট=১ ঘণ্টা)
অর্থাৎ, বাংলাদেশ জিএমটি ৬ ঘণ্টা এগিয়ে।
সুতরাং, জিএমটি ঘড়ি অনুযায়ী বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০ ঘণ্টা আগে। তাই এটা প্রমাণিত যে, বাংলাদেশে জুলাই মাসে যখন সকাল ১০ টা বাজে তখন যুক্তরাষ্ট্রে রাত ১২ টা বাজে।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্রাঘিমা রেখা সমান হওয়ায় বলা যায়, কানাডাতেও রাত ১২ টা বাজে।

জাপান =১৩৫˚
১৩৫ X ৪=৫৪০ মিনিট (১ডিগ্রি =৪ মিনিট)
আবার,
৫৪০÷৬০=৯ ঘণ্টা

অর্থাৎ, জাপান জিএমটি অনুযায়ী ৯ ঘণ্টা এগিয়ে।
যেহেতু, বাংলাদেশ জিএমটি থেকে ৬ ঘণ্টা এগিয়ে অর্থাৎ জাপান বাংলাদেশ থেকে ৩ ঘণ্টা এগিয়ে, তাই বাংলাদেশে যখন জুলাই মাসের সকাল ১০ টা, তখন জাপানের সময় দুপুর ১টা।

পঞ্চম অ্যাসাইনমেন্ট নবম শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এর উত্তর

ঋতু পরিবর্তনের চিত্র অংকন :

স্থানীয় সময়ের পার্থক্যের কারণ :

পৃথিবীটা গোলাকার হওয়ার কারণে সূর্যের আলো পৃথিবীর চারপাশে সমানভাবে পড়ে না। যার ফলে পৃথিবীর কোথাও সকাল হলে, অন্য পাশে রাত। আবার কোথাও ভোর হলে, অন্য পাশে সন্ধ্যা হয়। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশগুলোতে একদেশে ভোর পাঁচটা হলে, অন্য দেশের সন্ধ্যা ছয়টা।

আবার এক দেশে সকাল আটটা হলে, আরেক দেশে সন্ধ্যা নেমে আসে। আর পৃথিবীর এই রাতদিন হওয়ার কারণ হল আহ্নিক গতি। যদি পৃথিবীর আহ্নিক গতি না থাকতো, তাহলে দেখা যেত পৃথিবীতে এক পাশে সর্বদা দিন থাকতো, আরেক পাশে রাত থাকতো।

তাই বুঝা যায়, এই আহ্নিক গতির কারণে স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হয়ে থাকে।

ঋতুর পার্থক্যের কারণ :

সময়ের পার্থক্য যেমন আহ্নিক গতির কারণে হয়ে থাকে, তেমনই ঋতুর পার্থক্য হওয়ার কারণ হলো বার্ষিক গতি। পৃথিবী নিজ অক্ষে অবিরাম ঘুরতে ঘুরতে নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে একবার পরিক্রম করার নাম বার্ষিক গতি।

নিচে বিভিন্ন দেশের ঋতুর পার্থক্য হওয়ার কারণ তুলে ধরা হলো-

  • কোন স্থানে দিবাভাগের পরিমাণ রাতের পরিমাণ হতে দীর্ঘ হলে, সেই স্থানে বায়ুমণ্ডল অধিকতর উষ্ণ থাকে। যার ফলে ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র তাপের তারতম্য হয় এবং ঋতুর পরিবর্তন ঘটে।
  • সূর্যকে পরিক্রমণ কাল পৃথিবীর সব সময় ৬৬.৫° কোণে হেলে ঘুরতে থাকে। যার কারণে বিভিন্ন স্থানে সূর্য রশ্মির পতনে কৌণিক তারতম্য ঘটে এবং ঋতু পরিবর্তন হয়।
  • সূর্য ও পৃথিবীর দূরত্বের বৃদ্ধির ফলে সূর্যতাপে তারতম্য হয় এবং ঋতুর পরিবর্তন ঘটে। এই সকল কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ঋতুর পার্থক্য দেখা দেয়।

পৃথিবীতে বহু দেশ রয়েছে। এই দেশগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে রয়েছে এবং এদের সময় এর ভিন্নতা রয়েছে। পাশাপাশি সকল দেশে ভিন্ন ভিন্ন মৌসুম হয়ে থাকে।

হয়তোবা অনেক দেশে গ্রীষ্মকাল থাকে। কিন্তু সে গ্রীষ্মকালের মধ্যেও পার্থক্য থাকে। কোথাও বা বর্ষাকাল হয়। আবার কোথাও বা একদমই বৃষ্টি হয় না অথবা নাতিশীতোষ্ণ হয়। আবার কোথাওবা বরফ শীতল হয়ে থাকে।

Get All: 5th Week Assignment 2021 For Class 6, 7, 8, 9

Class 9 Assignment 2021