0

মুন্নার সমস্যা উত্তরণের উপায় বিশ্লেষণ কর। Class 8 Home Science 6th Week Assignment Answer. ক্লাস ৮ এর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান। Oshtom Srenir (Class8) Garhosto Biggan 6 Soptaher Assignment Er Uttor ba Somadhan. Class Eight 2nd & Last Domestic Science Assignment Solve 2020.

Munna is a fourth grader and she loves to eat. The foods she likes or eats are extremely harmful to her health. The foods on his list of favorites play a helpful role in storing body fat. This question is taken from the eighth chapter of the eighth grade home science subject food plan. Lesson 5 of this chapter will answer the question from the part of “Overweight Baby Food Plan”. This section explains the disease to children who are overweight and how to cure it.

There is a correlation of body weight with age for every child and adult. It is normal for body weight to increase with age. But if the body weight increases more than the age then it is a serious problem. If this problem occurs, the affected child cannot move normally. With a little effort, he gets tired. As a result, he became different from other normal boys and girls. This disrupted his mental development. However, there are many ways for us to overcome this problem. If we follow the ways we can get rid of this problem. In the same way Munna will be able to get rid of his problems. Below we have tried to answer this question appropriately.

মুন্নার সমস্যা উত্তরণের উপায় বিশ্লেষণ কর।

মুন্না একজন চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র এবং সে খেতে খুব পছন্দ করে। সে যে সকল খাবার পছন্দ করে বা খায় সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তার পছন্দের তালিকায় থাকা খাবারগুলো শরীরের চর্বি জমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ প্রশ্নটি অষ্টম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ের অষ্টম অধ্যায় খাদ্য পরিকল্পনা থেকে নেওয়া হয়েছে। এই অধ্যায়ের পাঠ-৫ এ “ওজনাধিক্য শিশুর খাদ্য পরিকল্পনা” এ অংশ থেকেই প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। এই অংশে যেসকল শিশুরা ওজনাধিক্য সমস্যাতে ভুগতেছে তাদের এই রোগ সম্পর্কে ও এই রোগ থেকে নিরাময় পাওয়ার উপায় সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

প্রত্যেকটি শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য বয়সের সাথে শরীরের ওজনের একটি সম্পর্ক রয়েছে। মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বয়সের তুলনায় শরীরের ওজন যদি বেশি বেড়ে যায় তাহলে এটি গুরুতর সমস্যা। এই সমস্যা হলে আক্রান্ত শিশুটি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না। সামান্য পরিশ্রম করলেই সে ক্লান্ত হয়ে ওঠে। ফলে সে অন্যান্য স্বাভাবিক ছেলে মেয়েদের থেকে আলাদা হয়ে যায়। এর ফলে তার মানসিক বিকাশে বিঘ্ন ঘটে। তবে এই সমস্যা থেকে আমাদের উত্তরণের অনেক উপায় রয়েছে। উপায় গুলো মেনে চললে আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। একই ভাবে মুন্নাও তার সমস্যগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারবে। নিচে আমরা এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর করার চেষ্টা করেছি।

এ্যাসাইনমেন্ট / নির্ধারিত কাজ ২

সৃজনশীল প্রশ্ন: মুন্না চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। সে খেতে খুব পছন্দ করে। চকলেট, চিপস, ড্রিংকস তার খুব পছন্দ। ইদানীং সে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলে হাঁপিয়ে যায়৷ বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলতে যায়না। অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তার মা পুষ্টিবিদের শরণাপন্ন হলেন।

৪। খ) মুন্নার সমস্যা উত্তরণের উপায় বিশ্লেষণ কর।

উত্তর

মুন্নার সমস্যার উত্তরণের উপায়: উদ্দীপকের মুন্নার অবশ্যই খাদ্য সংক্রান্ত নিম্নলিখিত নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। 

  • শস্য ও শস্য জাতীয় খাদ্য যেমন ভাত রুটি চিড়া-মুড়ি ইত্যাদি নির্ধারিত পরিমাণে খেতে হবে পোলাও খিচুড়ি পরোটা খেতে হলে ভাত বা রুটির অর্ধেক পরিমাণ খেতে হবে। 
  • প্রতি বেলার খাদ্য তালিকা থেকে যথেষ্ট পরিমাণে শাকসবজি মৌসুমী ফসল ও টক ফল খেতে হবে এই খাবারগুলো বেশি খাওয়া যাবে। 
  • প্রতিদিন প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য ডালপা দাম মাছ মাংস ও ডিম পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে।
  • নাস্তা হিসেবে সব সময় কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে যেমন শাকসবজি ফল ইত্যাদি।
  • ক্যালরিবহুল খাদ্য যেমন কেক বিস্কুট চিপ্স চকলেট সফট ড্রিংকস আইসক্রিম ইত্যাদি বাদ দিতে হবে। 
  • ওজন কমানোর জন্য শাক সবজি মাছ মাংস ডিম ইত্যাদি কম তেল দিয়ে রান্না করতে হবে।
  • ক্ষুধা লাগলে প্যাকেট জাত খাদ্যের পরিবর্তে মৌসুমী ফসল খেতে হবে।
  • প্রতিদিন ব্যায়াম বা পরিশ্রম ও খেলাধুলা করতে হবে।

Class 8 Home Science 6th Week Assignment Answer

আপনি চাইলে পাঠ্যবই থেকে এই অধ্যায় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে পারেন।

পাঠ ৫-ওজনাধিক্য শিশুর খাদ্য পরিকলনা

একবিংশ শতাব্দিতে শিশুদের ওজনাধিক্য একটা মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এই সমস্যাটি বর্তমানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলােতেও দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে।

ওজনাধিক্য কাকে বলে?

এক কথায় ওজনাধিক্য হচ্ছে শরীরের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়া। অর্থাৎ বলা যায় যে, কারও শরীরের ওজন যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়, তখন সেই অবস্থাকে ওজনাধিক্য বলে। প্রত্যেক বয়সের জন্য স্বাভাবিক ওজনের নিম্ন সীমা ও উচ্চ সীমা আছে। দেহের ওজন যখন সেই বয়সের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করে যায় তখনই ওজনাধিক্য দেখা দেয়।

ওজনাধিক্যের কারণ

দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলাে প্রয়ােজনের চেয়ে বেশি খাওয়া। আমরা প্রতিদিন যদি ক্যালরি বহূল খাদ্য দেহের প্রয়ােজনের চেয়ে | বেশি গ্রহণ করি এবং পরিশ্রম কম করি ও অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করি তা হলে এই অতিরিক্ত ক্যালরি আমাদের দেহে ফ্যাট আকারে জমা হবে এবং ধীরে ধীরে দেহের ওজন বৃদ্ধি পাবে। এই ভাবে দেহের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ওজনাধিক্য দেখা দিবে।

শুধু খাদ্য গ্রহণ করলেই সুস্থ থাকা যাবে না। সুস্থ থাকতে হলে সুষম খাদ্য গ্রহণ যেমন প্রয়ােজন তেমনি প্রয়ােজন নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, খেলাধুলা ও নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন।

ওজনাধিক্যের কুফল

শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রােগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরােগ, স্ট্রোক, পিত্তথলির পাথর, রক্তে চর্বির আধিক্য ইত্যাদি। এই কারণে শরীরের ওজন কোনােভাবেই বাড়তে দেওয়া ঠিক নয়। শিশুকালে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া শরীরের জন্য একেবারেই ভালাে লক্ষণ নয় কারণ এর ফলে অল্প বয়সেই বিভিন্ন ব্রনের অসংক্রামক রােগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়।

ওজনাধিক্য শিশুর খাদ্য ব্যবস্থা

শরীরের ওজন বেশি হলে অবশ্যই খাদ্য সংক্রান্ত নিম্নলিখিত নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।

  • শস্য ও শস্য জাতীয় খাদ্য যেমন- ভাত, রুটি, চিড়া, মুড়ি ইত্যাদি নির্ধারিত পরিমাণে খেতে হবে। এই খাবারগুলাে বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাবে। মনে রাখতে হবে ভাত রুটির পরিবর্তে সমপরিমাণ পােলাও, খিচুরি, পরটা ইত্যাদি খাওয়া যাবে না। কারণ এই খাবারগুলােতে তেল বা ঘি থাকায় ভাত ও রুটির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ ক্যালরি পান্না যায়। তাই পোলাও, খিচুরি, পরটা ইত্যাদি খেতে হলে ভাত ও রুটির অর্ধেক পরিমাণে গ্রহণ করাই বাঞ্চনীয়।
  • প্রতিবেলার খাদ্য ছালিকাতে যথেষ্ট পরিমাণ শাকসবজি, মৌসুমী ফল ও টক ফল থাকতে হবে। এই খাবারগুলাে বেশি খাওয়া যাবে।
  • প্রতিদিন প্রয়ােজনীয় প্রােটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য ডাল, বাদাম, মাছ, মাংস ও ডিম পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে।
  • শিশুদের খাদ্য তালিকায় দুধ থাকা প্রয়োজন। তাই চিনি বা পুড় ছাড়া দুধ গ্রহণের অভ্যাস করতে হবে এবং দুধের তৈরি বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
  • নাশতা হিসাবে সব সময় কম ক্যালরিযুক্ত খাদ্য যেমন- শাকসবজি ও ফল বাছাই করতে হবে। যে সকল খাদ্যে ক্যালরি বেশি থাকে সেই খাদ্য গ্রহণে শরীরের ওজন আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তাই ক্যালরি বলে খাদ্য যেমন- তেলে ভাজা-ভুনা খাদ্য, ঘি, মাখন, চিনি ও গুড় দিয়ে তৈরি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য, বেকারির তৈরি খাদ্য, কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুট, সব ধরনের সফট ড্রিংকস, চকলেট, ক্যাভি, আইসক্রিম, ইত্যাদি বাদ দিতে হবে।
  • ওজন কমানোর জন্য শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম ও অন্যান্য খাবার রান্নার সময় অবশ্যই কম তেল দিয়ে রান্না করে খেতে হবে। ছেলের ব্যবহার কমাতে হবে। অর্থাৎ রান্নার সময় খুব কম তেল দিয়ে রান্না করতে হবে। দুবাে তেলে ভাজা সব ধরনের খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।
  • ক্ষুধা লাগলে বিজ্ঞি ভাজা, প্যাকেটজাত ও বেকারির খাবারের পরিবর্তে মৌসুমী ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • সফট ড্রিংকস ও বােতলজাত কেনা জুসের পরিবর্তে ডাবের পানি ও রসালাে ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে যেমন অর্থের সাশ্রয় হবে তেমনি বেশি পুষ্টি পাওয়া যাবে এবং শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
  • মনে রাখতে হবে শরীরের বাড়তি ওজন কমানাের জন্য অবশ্যই নিয়মিত প্রতিদিন ব্যায়াম বা পরিশ্রম করতে হবে। পরিমিত আহারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম বা পরিশ্রম, নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন ও পর্যাপ্ত ঘুম এবং সর্বোপরি সার্বিক সচেতনতা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে।