0

উদ্দীপকে কোন রােগের সচেতনতার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে- ব্যাখ্যা। Class 8 Home Science 6th Week Assignment Answer. ক্লাস ৮ এর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান। Oshtom Srenir (Class8) Garhosto Biggan 6 Soptaher Assignment Er Uttor ba Somadhan. Class Eight 2nd & Last Domestic Science Assignment Solve 2020.

উদ্দীপকে কোন রােগের সচেতনতার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে- ব্যাখ্যা।

 

এ্যাসাইনমেন্ট / নির্ধারিত কাজ ২

সৃজনশীল প্রশ্ন: সম্প্রতি করিম চাচা বিদেশ থেকে এসে দুই সপ্তাহ তাঁর ঘরে একা অবস্থান করলেন। কোনাে সমস্যা না হওয়ায় এরপর থেকে পরিবারের অন্যদের সাথে মেলামেশা করতে শুরু করলেন।

১। ক) উদ্দীপকে কোন রােগের সচেতনতার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে- ব্যাখ্যা।

উত্তরঃ

আলোচ্য অংশে কভিড – ১৯ নামক রোগের সচেতনতা প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে ।

ব্যাখ্যা: বর্তমানে আমরা সকলেই কভিড – ১৯ ভাইরাসের শ্রেষ্ঠ মহামারী দ্বারা আক্রান্ত। আলোচ্য অংশে উক্ত রোগের দ্বারা সৃষ্ট মহামারীর কথা বলা হয়েছে। এখানে করিম চাচা নামক এক ব্যক্তি বিদেশ থেকে এসে তার ঘরে দুই সপ্তাহ একা অবস্থান করবেন। অর্থাৎ তিনি যেহেতু অন্য একটি দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছেন এখন তিনি নিশ্চিত নয় যে তার শরীর ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কি না। যেহেতু তিনি নিশ্চিৎ নন যে তিনি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত বা আক্রান্ত নন এই বিষয়ে। তাই তিনি বিদেশ থেকে এসে আলাদাভাবে তার ঘরে অবস্থান করছেন।

আবার এখানে আরেকটি বিষয় রয়েছে, এই ভাইরাসটি কারো শরীরে আক্রমণ করেছে কিনা তা তাৎক্ষণিক জানার কোন উপায় নেই। তাই এই ভাইরাসটি যাতে অন্য কারো শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তাকে অন্তত ১৪ দিন আলাদা ভাবে থাকতে হবে । ১৪ দিনের মধ্যে যদি তার কোনো সমস্যা না হয় তাহলে বুঝতে হবে তিনি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত নন । আর যদি জ্বর সর্দি-কাশি দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।

এই প্রশ্নের বিকল্প আরেকটি উত্তর।

উত্তর:  উদ্দীপকে করিম চাচা বিদেশ থেকে বাসায় এসে দুই সপ্তাহ তার ঘরে একা অবস্থান করলেন এবং দুই সপ্তাহ পর কোন সমস্যা না থাকায় তিনি তার পরিবারের সাথে স্বাভাবিক মেলামেশা শুরু করলেন উদ্দীপকে করোনাভাইরাস যার পোশাকি নাম covid-19 রোগের তার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে এই ভারাস মানুষের ফুসফুসে মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে যা পূর্বে বিজ্ঞানের অজানা ছিল এটি একটি সংক্রামক ভাইরাস ভারতের আরেক নাম 2019 নভেল করোনা ভাইরাস এই ভাইরাস এর অনেক রকম প্রজাতি আছে। 

বই থেকে

আমাদের চারপাশে নানা ধরনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণু ঘুরে বেড়ায়, যা খালি চোখে দেখা যায় না। এর মধ্যে কতকগুলি জীবাণু ক্ষতিকর। এই ক্ষতিকর জীবাণু খাদ্য, শ্বাস গ্রহণ, চামড়া ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং রােগ সৃষ্টি করে। তবে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করলেই আমরা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ি না। কারণ জীবাণুকে প্রতিরােধ করার জন্য আমাদের শরীরে নানারকম প্রতিরােধমূলক ব্যবস্থা আছে। এই প্রতিরােধমূলক ব্যবস্থা যদি শক্তিশালী না হয় তবে জীবাণু জয়ী হয়, আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমরা জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদি নানা রােগে আক্রান্ত হই। তাই বিভিন্ন রােগ সম্পর্কে সতর্কতা এবং সংক্রমণমুক্তকরণ টিকা ও ইনজেকশন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান থাকা প্রয়ােজন।

পাঠ ১- শিশুর সাধারণ রােগব্যাধি সঠিক যত্নের অভাবে অতি শৈশবে শিশুরা নানা সংক্রামক রােগে আক্রান্ত হতে পারে। যে সকল কারণে শিশুরা সহজেই সংক্রামক রােগে আক্রান্ত হয় সেগুলাে হচ্ছে –

  • জন্মের সময় ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম
  • নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে জন্ম গ্রহণ
  • শিশু মাতৃগর্ভে থাকার সময় মায়ের অসুস্থতা বা পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবারের অভাব
  • জন্মের পরই শিশুকে মায়ের প্রথম দুধ বা শালদুধ না খাওয়ানাে
  • জনের ছয় মাস পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার বা পরিপূরক খাবার না দেওয়া
  • সময়মতাে রোগ প্রতিরােধক টিকা ইনজেকশন না দেওয়া

উপযুক্ত কারণে শিশুরা শারীরিকভাবে দুর্বল থাকে, ফলে সহজেই রােগাক্রান্ত হয়। শিশুরা যে সকল সংক্রমিক রােগে আক্রান্ত হয় সেগুলাে আলােচনা করা হলাে

জ্বর – জ্বর সম্পর্কে সকলেরই নিশ্চয় ধারণা আছে। আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে ৯৮.৪° ফারেনহাইট। তবে ছােট শিশুদের দেহের তাপমাত্রা থাকে ৯৯° ফারেনহাইট। তাপমাত্রা যদি এর চেয়ে বৃদ্ধি পায় তবেই জ্বর বলে ব্রা হয়। জ্বর নানা কারণে হতে পারে। যেমন- ইনফেকশন, অ্যালার্জি ইত্যাদি।

অল্প অল্প হলে যা করণীয় –

পাতলা সুতির জামা পরিধান করা আলাে বাতাসপূর্ণ ঘরে থাকা মাথা ধুয়ে শরীর ভিজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলা

স্যালাইন, ফলের রস, শরবত, সুপ, পাতলা দুধ ইত্যাদি তরল খাবার বেশি করে খাওয়া • চিকিৎসকের পরামর্শ মতাে চলা

কাজ – দেহের তাপমাত্রা হঠাৎ অনেক বেড়ে গেলে ভােমার করণীয় বর্ণনা কর ।

উচ্চ জ্বর হলে করণীয় – ১-৫ বছরের শিশুর মধ্যে উচ্চ জ্বরের প্রবণতা দেখা যায়। এতে দেহের তাপমাত্রা ১০৫° ফা. পর্যন্ত হতে পারে, যা শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।

উচ্চ স্কুরে শিশুর যে লক্ষণগুলাে দেখা দিতে পারে সেগুলাে হচ্ছে

  • খিচুনি, চেহারায় অস্বাভাবিকতা
  • শ্বাসক্রিয়া ও নাড়ির গতি বৃদ্ধি
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
  • ঘনঘন বমি ও পাতলা মলত্যাগ

এই ক্ষেত্রে যা করতে হবে –

  • জ্বর না কমা পর্যন্ত মাথায় পানি ঢালতে হবে এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে সমস্ত শরীর বারবার ভালাে করে মুছে দিতে হবে। দেহের তাপমাত্রা কমে আসলে শুকনা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে জামা পরাতে হবে।
  • জ্বর যদি ১০৪°ফা-১০৫° ফা.হয় তবে জামা খুলে গােসল করাতে হবে। এতে তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি কমে আসবে।
  • ঘরে মুক্ত আলাে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে, শিশুকে হাল্কা সুতির জামা পরাতে হবে।
  • দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

করে খাদ্য ব্যবস্থা –

  • জ্বর হলে বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি পায়, কোষকলা ক্ষয় হয়। ফলে দেহের প্রােটিন ও অন্যান্য খাদ্যউপাদানের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তাই মাছ, ছােট মুরগি, দুধ-বুটি, পাতলা করে দুধ-সুঞ্জি, সুপ, নরম ভাত, পাতলা ডাল, নরম খিচুরি ইত্যাদি সহজ পাচ্য খাবার দিতে হবে।
  • জুরে ঘামের সাথে শরীর থেকে প্রচুর পানি, সােডিয়াম ও পটাশিয়াম লবণ বের হয়ে যায় এবং ব্লোগ প্রতিরােধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই ফলের রস, সবজির সুপ, শরবত, ডাবের পানি, স্যালাইন ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে।

Class 8 Home Science 6th Week Assignment Answer