0

বাবা-মা ও শিক্ষককে কীভাবে সম্মান করা উচিত? Class 6 Home Science 6th Week Assignment Answer. ক্লাস ৬ এর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান। Garhosto Biggan 6 Soptaher Assignment Er Uttor ba Somadhan. 2nd & Last Domestic Science Assignment Solve 2020.

Class 6 6th Week Assignment Short Questions Asked How Should Parents and Teachers Be Respected? The question has been asked from the fifth chapter of Krishishiksha textbook from the etiquette education of the children. One instruction given to answer the question is to identify at least five correct ways.

We know adults have to be respected. Parents, teachers, they are adults and elders. They must be respected. I made my argument.

বাবা-মা ও শিক্ষককে কীভাবে সম্মান করা উচিত?

ষষ্ঠ শ্রেণীর ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের বলা হয়েছে বাবা-মা ও শিক্ষক কে কিভাবে সম্মান করা উচিত? প্রশ্নটি কৃষিশিক্ষা পাঠ্যবইয়ের পঞ্চম অধ্যায় ছোটদের শিষ্টাচার শিক্ষা থেকে করা হয়েছে। প্রশ্নটির উত্তর করতে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেটি হচ্ছে কমপক্ষে পাঁচটি সঠিক উপায়ে চিহ্নিতকরণ করতে হবে। 

আমরা জানি বড়দের সম্মান করতে হয়। মা-বাবা, শিক্ষক-শিক্ষিকা এরা হচ্ছে বড় এবং গুরুজন। এদের সম্মান করা অবশ্যই উচিত। আমার যুক্তি তুলে ধরলাম।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

২। ক) বাবা-মা ও শিক্ষককে কীভাবে সম্মান করা উচিত?

উত্তর:

বাবা মায়ের প্রতিসম্মান: বাবা মায়ের কাছে সন্তান অনেক আদরের অতি শৈশব থেকে মা বাবা আমাদের আদর যত্ন দিয়ে লালন পালন করেন আমাদের জন্য দোয়া করেন। সুতরাং বাবা মা যেন কোন কষ্ট না পায় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। তাদের প্রতি আমাদের সৌজন্যমূলক আচরণ, শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।

শিক্ষকের প্রতি সম্মান: শিক্ষক হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। পিতা-মাতার পরেই শিক্ষকের স্থান। শিক্ষকের প্রতি প্রকৃত সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ নিয়েই আমাদের পাঠ গ্রহণ করতে শ্রদ্ধাবোধ নিয়েই আমাদের পাঠ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষকের আদর্শ মেনে চলব। শিক্ষক যখন পাঠ দান করবে। তখন মনোযোগী হব। নম্র ও ভদ্র আচরণ করব। এগুলো আমাদের কর্তব্য।

Class 6 Home Science 6th Week Assignment Answer

বয়ােজ্যষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শিক্ষকের প্রতি সম্মান

পাঠ ২-বয়ােজ্যষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শিক্ষকের প্রতি সম্মান

তােমাদের চেয়ে বয়সে যারা বড় তারাই তোমাদের শ্রদ্ধার পাত্র। বয়ােজ্যষ্ঠদের মধ্যে মা-বাবা, বড় ভাইবােন, দাদা-দাদি, নানা-নানি, খালা-খালু, ফুফু-ফুফা, চাচা-চাচি, মামা-মামি সবাই তােমাদের আত্মীয়স্বজন। এছাড়া শিক্ষক, পাড়া-প্রতিবেশী সে যে পেশারই হােক না কেন যারা তােমাদের চেয়ে বয়সে বড় তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখানাে তােমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং এটা দ্ৰতামূলক আচরণ। বড়দের আদেশ উপদেশ মেনে চলাকেই তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া বুঝায়। তােমরা যদি শ্রদ্ধাশীল হও তা হলেই। বড়রা তােমাদের ভালােবাসবে। শ্রদ্ধা হতেই ভালােবাসার জন্ম।

তােমরা হয়তাে বলতে পারাে শ্রদ্ধা ও সম্মান কিভাবে দেখাব ?

শ্রদ্ধা দেখানাের উপায়

বয়ােজ্যষ্ঠদের দেখলে সালাম বা অভিবাদন জানাবে। কুশল বিনিময় করবে।

বড়রা যখন কথা বলবেন তখন মন দিয়ে শুনবে। কথার মাঝে কোনাে কথা বলবে না।

বড়দের আদেশ উপদেশ মেনে চলবে এবং প্রয়ােজনে সহযােগিতা করবে।

বড়দের কোনাে কথা বা কাজ তােমার পছন্দ না হলে সম্মানের সাথে তােমার মতামত জানাবে।

বাড়িতে বৃদ্ধ দাদা-দাদি, নানা-নানি থাকলে সেবা করবে এবং সঙ্গ দিবে, গল্প করবে। কারণ তারা বয়সের কারণে নিজের কাজ নিজে করতে পারেন না, একাকিত্বে ভােগেন। এছাড়া তাদের সাথে গল্পের মাধ্যমে তােমরাও অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।

তােমার বাবা-মা যেভাবে তােমাদের লালন-পালন করছেন, তােমার দাদা-দাদি/নানা-নানিও সেভাবেই তােমার বাবা-মাকে লালন-পালন করেছেন। তােমরা তাঁদের অনেক আদরের। অতি শৈশব থেকে তাঁরা তােমাদের অনেক আদর ও স্নেহ করেন, অনেক দোয়া করেন। সুতরাং বৃদ্ধ বয়সে তাঁরা যাতে কোনাে দুঃখ কষ্ট না পান সে দিকে খেয়াল রাখাও তােমাদের কর্তব্য। বড়দের প্রতি তােমাদের সৌজন্যমূলক আচরণ ও শ্রদ্ধাবােধ তাঁদের স্নেহ, ভালােবাসা অর্জনে তােমাদের জন্য সহায়ক হবে এবং সামাজিক জীবন সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হবে।

শিক্ষকের প্রতি সম্মান

শিক্ষক হচ্ছেন মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষক জ্ঞান দান করেন আর তােমরা সেই জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে জীবনকে গড়ে তোেল। পিতা-মাতার পরেই শিক্ষকের স্থান। শিক্ষকের প্রতি প্রকৃত সম্মান ও শ্রদ্ধাবােধ নিয়েই তােমাদের পাঠ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষকগণ সন্তানের মতাে কল্যাণ কামনা করে। ছাত্রদের গড়ে তােলার চেষ্টা করেন। তােমরা শিক্ষকের আদর্শ মেনে চলবে। শিক্ষক যখন পাঠ দেন তখন মনােযােগী হবে। নম্র ও ভদ্র আচরণ করবে। এগুলাে তােমাদের কর্তব্য।

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ফাহিম ক্লাসে শিক্ষকের উপস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাতে একটুও দেরি করে না। পাঠদানকালে সে অত্যন্ত মনােযােগর সাথে শিক্ষকের কথা শােনে। শিক্ষকের দেওয়া শ্রেণির কাজ, বাড়ির কাজ সে সময় মতাে সম্পাদন করে। এভাবে সে শিক্ষকের নির্দেশ পালন করার মাধ্যমে শিক্ষককে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে।

শুধু তাই নয়, সে শ্রেণিকক্ষ এবং স্কুলের বাইরেও শিক্ষকদের একই ভাবে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানায়। তার এই ধরনের আচরণে সবাই তার প্রশংসা করে। সুতরাং শিক্ষকের সাথে তােমাদের সম্পর্ক হবে ঘনিষ্ঠ ও সম্মানজনক। এতে উন্নত ও কাঙিক্ষত শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। যা সকলের কাম্য।