0

চারি মহাতীর্থস্থান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত লিখ। Class 8 Buddhism 5th Week Assignment Answer, 5th Soptaher Boddho Dhormo Assignment Somadhan, অষ্টম শ্রেণীর ৫ম সপ্তাহের বৌদ্ধ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা সমাধান। 2nd Buddhism and Moral Education Assignment Solution 5th Week For Class Eight. Assignment Task 2.

চারি মহাতীর্থস্থান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত লিখ।

এ্যাসাইনমেন্ট / নির্ধারিত কাজ

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:

৬। চারি মহাতীর্থস্থান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত লিখ।

উত্তর: চারি মহাতীর্থস্থান সম্পর্কে নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করা হলাে:

১) লুম্বিনী: লুম্বিনী ছিল প্রাচীন কপিলাবস্তু ও দেবদহ নগরীর মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি সর্ববৃহৎ মনােরম উদ্যান। গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান হিসেবে বিশ্বব্যাপী এ স্থানের পরিচিত রয়েছে। সম্রাট অশােক সিদ্ধার্থের জন্মস্থান লুম্বিনী ভ্রমন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত এই পুন্যস্থানটি স্মরনীয় করে রাখার জন্য একটি স্তুপ নির্মান করান। চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং লুম্বিনী ভ্রমণকালে স্তুপটি দেখতে পান। তার সন্নিকটে শীর্ষদেশে অশ্বমুর্তিযুক্ত একটি প্রজ্ঞখন্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ১৮৯৬ সালে স্তুপটি আবিস্কৃত হয়। এটি ‘অশােক স্তম্ভ’ নামে পরিচিত। সম্রাট অশােক লুম্বিনী উদ্যান দর্শনের স্বারক এবং বুদ্ধের স্মৃতির প্রতি সম্মানার্থে এ স্থানকে করমুক্ত করেছিলেন। প্রাচীনকালে এখানে একটি বৃহৎ সঙ্রাম ছিল। বিহারের অনতিদুরে অতীত ইতিহাসের সাক্ষী সরু একটি ছােট পুকুর আছে।

২) বুদ্ধগয়া: বুদ্ধগ্যা বৌদ্ধদের প্রধান তীর্থস্থান৷ বুদ্ধগয়ার বােধিবৃক্ষ মূলে সিদ্ধার্থ গৌতম বােধিজ্ঞান লাভ করে বুদ্ধ হিসেবে খ্যাত হয়েছিলেন। তিনি যে অশ্বথ গাছের নিচে মহাজ্ঞান লাভ করেছিলেন সেই অশ্বথ । গাছের নাম হয মহাবােধি বৃক্ষ। যে আসনে বসে তিনি বুদ্ধত্ব লাভ করেন সেই আসনের নাম বজ্রাসন’ বা বােধিপালঙ্ক। [newresultbd.com] বুদ্ধগয মন্দির জগত বিখ্যাত। মন্দিরের উত্তর পাশে বুদ্ধের পদচিহ্ন খােদাই করা পাথর বৌদ্ধরা সেখানে মা-বাবা ও পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করেন। অনেকে শ্রামণ্যধর্মে দীক্ষিত হন। ভারতের বিহার রাজ্যের রাজধানী গযা থেকে ১১ কিলােমিটার দূরে বুদ্ধগ্য। বুদ্ধগয়া নৈরঞ্জনা নদীর তীরে অবস্থিত। নৈরঞ্জনার বর্তমান নাম ফন্ধু। বুদ্ধ এ স্থানে বুদ্ধত্ব লাভ করেছিলেন। তাই এ স্থানের নাম হয় বুদ্ধগয়া ।

৩) সারনাথ: সারনাথ বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসি শহরের অনতিদূরে বরুণা নদীর তীরে অবস্থিত। বুদ্ধত্ব লাভের পর বুদ্ধ এ স্থানে পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের নিকট প্রথম ধর্ম প্রচার করেন। সেদিন ছিল শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথি। পঞ্চবর্গীয় শিষ্যগণ হলেন : কৌন্ডিন্য, বন্ধু, ভদ্দীয়, মহানাম ও অশ্বজিৎ। বুদ্ধ এ পাঁচজন শিষ্যের কাছে প্রথম যে ধর্ম দেশনা করেন তা বৌদ্ধ সাহিত্যের ইতিহাসেধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র’ নামে পরিচিত। পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের ধর্মদেশনা করার পর বারানসির শ্রেষ্ঠীপুত্র যশ ও তার চুয়ান্নজন বন্ধুকে বুদ্ধ এ স্থানে প্রব্রজ্যা দিয়েছিলেন। এই একান্নজন পঞ্চবর্গীয় শিষ্যবৃন্দ এবং আরাে চারজনসহ মােট ষাটজন ভিক্ষু নিয়ে প্রথম ভিক্ষুসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম বিধিবদ্ধ সংঘ।

৪) কুশীনগর: কুশীনগর বৌদ্ধদের অন্যতম পবিত্র তীর্থভূমি। এখানে গৌতম বুদ্ধ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। প্রাচীনকালে কুশীনগর বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। এটি বৌদ্ধদের চার মহাতীর্থস্থানের এক ধনী পুত্র চন্দ গৌতম বুদ্ধকে প্রথম দেথেই স্রোতাপত্তি ফল লাভ করেছিলেন। তিনি তার নিজের আমবাগানে বিহার নির্মাণ করে বুদ্ধকে দান করেছিলেন। পরিনির্বাণের আগের দিন বুদ্ধ সেখানে পৌছলে চুল ভাঁকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। সে সময় বুদ্ধ চুন্দের ঘরে আহার করেন। এটিই তাঁর শেষ আহার।

Class 8 Buddhism 5th Week Assignment Answer