প্রব্রজ্যা গ্রহণের নিয়মগুলাে ব্যাখ্যা কর। Class 8 Buddhism 5th Week Assignment Answer, 5th Soptaher Boddho Dhormo Assignment Somadhan, অষ্টম শ্রেণীর ৫ম সপ্তাহের বৌদ্ধ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা সমাধান। 2nd Buddhism and Moral Education Assignment Solution 5th Week For Class Eight. Assignment Task 2.
অষ্টম শ্রেণীর বৌদ্ধ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট রয়েছে “প্রব্রজ্যা গ্রহণের নিয়মগুলাে ব্যাখ্যা কর।”। প্রশ্নটি করা হয়েছে সপ্তম অধ্যায় “ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব” থেকে। এই অধ্যায়টি ভালোভাবে পড়লেই প্রব্রজ্যা গ্রহণের নিয়মগুলাে সম্পর্কে জানা যাবে এবং এই প্রশ্নের উত্তর করা যাবে। প্রব্রজ্যা গ্রহণ করার কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। সেগুলো জানা থাকলেই এই প্রশ্নের উত্তর করা সম্ভব। আমরা চেষ্টা করবো প্রব্রজ্যা গ্রহণের নিয়মগুলাে ব্যাখ্যা করার। যেন আনারা সহজেই সমাধান করতে পারেন।
Eighth grade Buddhism and Moral Education 5th week assignment is “Explain the rules of wandering.” The question is asked from the seventh chapter “Religious Rites and Festivals”. If you read this chapter carefully, you will know about the rules of adoption and this question can be answered. There are some rules and regulations for accepting migration. It is possible to answer this question only if you know them. We will try to explain the rules of adoption. So that Anara can solve it easily.
এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন:
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন:
২। প্রব্রজ্যা গ্রহণের নিয়মগুলাে ব্যাখ্যা কর।
২নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রব্রজ্যার অর্থ হলো সকল প্রকার পাপকরুন্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার। পালি ভাষায় বলা হয়–পাপকানং মলং পব্বাজেতী’তি পব্বজিতো। অর্থাৎ নিজের পাপমল বর্জনে সংকল্পবদ্ধ হন বলেই তাঁকে প্রব্যজিত বলা হয়।
প্রব্রজ্যা গ্রহণ গৃহীদের সর্বোৎকৃষ্ট মঙ্গল কাজ। বুদ্ধের মতে, গর্তে পতিত হলে মানুষের মুক্তি যেমন কষ্টকরুন, সেরূপ সংসারে আবদ্ধ হলে সেখান তেকে নিস্কৃতি পাওয়াও দুস্করুন। মানুষ সহজে লোভ-দ্বেষ-মোহ থেকে মুক্ত হতে পারে না। সেজন্য বুদ্ধ সংসারকে করাগার এবং প্রব্রজ্যাকে উন্মুক্ত আকাশের সাথে তুলনা করেছেন। তাই অনেকে ধন-সম্পদ, পরিবার-পরিজন এবং ভোগ-ঐশ্বর্য পরিত্যাগ করে নির্বাণের সন্ধানে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন। সেজন্য কমপক্ষে এক সপ্তাহের জন্য হলেও সন্তানদের প্রব্রজ্যা দেওয়া প্রত্যেক মাতাপিতার করুন্তব্য। প্রব্রজ্যা প্রদানের মাধ্যমে মাতাপিতা সন্তানকে ধর্মীয় নীতি-আদর্শ শেখার এবং বিশুদ্ধ জীবন যাপন করার সুযোগ করে দেন।
প্রব্রজ্যা গ্রহণের নিয়ম
প্রব্যজ্যা প্রার্থীকে প্রথমে মাতা-পিতার অনুমতি নিতে হয়। প্রব্রজ্যা গ্রহণের দিন মস্তক মুন্ডন করতে হয়। তারপর ভিক্ষু শ্রমণদের ব্যবহার্য অষ্টপরিষ্কার নিয়ে বিহারে উপস্থিত হতে হয়। অষ্টপরিষ্কার বা আটটি প্রয়োজনীয় দ্রব্য হলো:
১। সঙ্ঘাটি, যাকে দোয়াজিকও বলা হয়। এ চীবরটি ভাঁজ করে কাঁধে রাখা হয়;
২। উত্তরাসঙ্ঘ, যাকে একাজিক বা বর্হিবাস বলা হয়। এ চীবরটি দ্বারা শরীরের উর্ধ্বংশ আবৃত করা হয়;
৩। অন্তর্বাস – এ চীবর শরীরের নিম্নাংশ আবৃত করার জন্য পরিধান করা হয়;
৪। ভিক্ষাপাত্র;
৫। ক্ষুর;
৬। সূঁচ সূতা;
৭।কটিবন্ধনী (কোমরবন্ধনী) এবং
৮। জলছাঁকনি।
এগুলােসহ বিহারাধ্যক্ষের কাছে প্রব্রজ্যা প্রার্থনা করতে হয় অষ্টপরিস্কারসমূহ সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে হয়। চীবরের চূড়াটি কটিবন্ধনী দিয়ে বাধতে হয়। তারপর ভিক্ষাপাত্রে রাখতে হয়। সাত বয়সের কম ছেলেকে প্রব্রজ্যা দেয়ার নেয়ম নেই। কারণ এই বয়সে মানুষের উপলব্ধিবােধ পরিপক্ক হয়না। আবার যে ভিক্ষু কমপক্ষে দশ বছর ভিক্ষুজীবন পূর্ণ করেননি তিনি প্রব্রজ্যা প্রদান করতে পারেন না। সুতরাং প্রব্রজ্যা প্রার্থীকে আগেই আচার্য ঠিক করে নিতে হয়। আচার্যকে গুরুও বলা হয়। প্রব্রজ্যা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভিক্ষুদের মধ্যে যিনি জ্যেষ্ঠ তার পরামর্শে অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। তাকে বরা হয় উপাধ্যায়। উপাধ্যায় প্রব্রজিতকে নতুন নাম প্রদান করেন। প্রব্রজিত ব্যক্তি প্রব্রজ্যার পর হতে নতুন নামেই পরিচিত