0

ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি কাকে বলে? ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণ ও ফলাফল বর্ণনা কর। What are earthquakes and volcanoes? Describe the causes and consequences of earthquakes and volcanic eruptions. is a question of Class 9 Geography 5th Week Assignment. So do you want the Answer of ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি কাকে বলে? ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণ ও ফলাফল বর্ণনা কর। 5th Soptaher Vugol Assignment Somadhan, নবম শ্রেণীর ৫ম সপ্তাহের ভূগোল সমাধান। 2nd Geography Assignment Solution 5th Week For Class Nine. Assignment Task 2.

Chapter 4 of the ninth grade geography and environment book: This question needs to be answered from the internal and external structure of the earth. The skills that need to be demonstrated in the answer are- Knowledge of earthquakes and volcanoes, complete explanation of earthquakes and volcanoes, ability to answer questions according to demand, combination of geographical interpretations of earthquakes and volcanoes.

ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি কাকে বলে? ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণ ও ফলাফল বর্ণনা কর।

নবম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়: পৃথিবীর অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক গঠন থেকে এই প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। উত্তরে যেসকল বিষয়ের দক্ষতা দেখাতে হবে তা হলো- ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে জ্ঞান, ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা, প্রশ্নের চাহিদা অনুযায়ী উত্তর প্রদানের সক্ষমতা, ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে ভৌগলিক ব্যাখ্যার সমন্বয়।

এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন:

১। ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি কাকে বলে? ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণ ও ফলাফল বর্ণনা কর।

[LinkAds]

১নং প্রশ্নের উত্তর: [ লেখা হোক বা ছবি, যে কোনো ভাবেই উত্তর কপি করে অন্য ওয়েবসাইটে দিবেন না ]

ভূমিকম্প

ভূঅভ্যন্তর শীলায় পিড়নের জন্য যে শক্তির সঞ্চয় ঘটে, সেই শক্তির হঠাৎ মুক্তি ঘটলে ভূপৃষ্ঠ ক্ষনিকের জন্য কেঁপে ওঠে এবং ভূত্বকের কিছু অংশ আন্দোলিত হয়। এই রূপ আকস্মিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভূমিকম্প বলে। কম্পন তরঙ্গের থেকে যে শক্তির সৃষ্টি হয় তা ভূমিকম্পের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্প সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে ১ বার ২ মিনিট পযন্ত স্থায়ী হয়। কখনো কখনো এত মৃদু হয় যে কম্পন টের পাওয়ায় যায় না। আবার কখনো কখনো এমন আকার ধারন করে যার জন্য ভবন গাছপালা ইত্যাদির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। এমনকি মানুষহ অন্যান্য প্রাণীর প্রাণহানি ঘটে।

আগ্নেয়গিরি

ভূত্বকের শিলাস্তর সবত্র একই ধরনে কঠিন বা গভীর নয়। কোথাও নরম আবার কোথাও কঠিন। কোনো কোনো সময় ভূগর্ভের চাপ প্রবল হলে শিলাস্তরের কোনো দুবল অংশ ফেটে যায় বা সুড়ঙ্গের সৃষ্টি করে। ভূপৃষ্ঠের দুবল অংশে ফাঁটল বা সুড়ঙ্গ দিয়ে ভূগর্ভের উষ্ণ বায়ু, গলিত শিলা, ধাতু ভষ্ম, জলীয়বাষ্প উত্তপ্ত পাথরপিন্ড, কাঁদা, ছাই প্রভৃতি প্রবল বেগে উদ্ধে উৎক্ষিপ্ত হয়। ভূপৃষ্ঠে ঐ ছিদ্রপথ বা ফাটলের চারপাশে ক্রমশ জমাট বেঁধে যে উচুঁ মোচাকৃতি পবর্ত সৃষ্টি করে তাকে আগ্নেয়গিরি বলে। আগ্নেয়গিরি মুখকে জ্বালামুখ এবং নির্গত গলিত পদার্থকে লাভা বলে।

ভূমিকম্পের কারণ

ভূমিকম্পের প্রধানত ২ ধরনের কারণ আছে। যথাঃ ১। প্রধান কারণ ও ২। অপ্রধান কারণ

১। ভূমিকম্পের প্রধান কারণ:

  • পৃথিবীর উপরিভাগ কতকগুলো ফলক প্লেট দ্বারা গঠিত। এই প্লেটসমূহের সঞ্চালন ভূমিকম্প ঘটিয়ে থাকে।
  • অগ্নুৎপাতের ফলে প্লেটসমূহের উপর ভূমিকম্পন সৃষ্টি হয়।

২। ভূমিকম্পের অপ্রধান কারণ:

  • শিলাচ্যুতি বা শিলাতে ভাঁজের সৃষ্টি: কোনো কারণে ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে বড় ধরনের শিলাচ্যুতি ঘটলে বা শিলাতে ভাঁজের সৃষ্টি হলে ভূমিকম্প হয়।
  • তাপ বিকিরন: ভূত্বক তাপ বিকিরণ করে সংকুচিত হলে ফাটল ও ভাঁজের সৃষ্টি হয়ে ভূমিকম্প হয়।
  • ভূগভস্থ বাষ্প: পৃথিবীর অভ্যন্তরে অত্যাধিক তাপের কারণে বাষ্পের সৃষ্টি হয়। এই বাষ্প ভূত্বকের নিম্নভাগ ধাক্কা দেওয়ার ফলে প্রচন্ড ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
  • ভূগভস্থ চাপের বৃদ্ধি বা হ্রাস: অনেক সময় হঠাৎ ভূগর্ভে চাপের হ্রাস বা বৃদ্ধি হলে তার প্রভাব ভূমিকম্প হয়।
  • হিমবাহের প্রভাব: হঠাৎ করে হিমবাহ পবর্তগাত্র থেকে নিচে পতিত হলে ভূপৃষ্ঠ ফেঁপে ওঠে এবং ভূমিকম্প হয়।

ভূমিকম্পের ফলাফল

  • ভূমিকম্পের ফলে ভূপৃষ্ঠের অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটে এবং বহু ধ্বংস লীলা সাধিত হয়। ঘরবাড়ি, ধনসম্পদ ও যাতযাত ব্যবস্থা বিনিষ্ঠ হয়। নিচে ভূমিকম্পের ফলাফল আলোচনা করা হলোঃ
  • ভূমিকম্পের ফলে ভূত্বকের মধ্যে অসংখ্য ভাজ, ফাটল বা ধসের সৃষ্টি হয়। নদীর গতিপথ পাল্পে যায়।
  • ভূমিকম্পের ফলে অনেক সময় সমুদ্রতল উপরে উত্থত হয়। পাহাড় পবর্ত বা দ্বীপের সৃষ্টি হয়্ আবার কোথাও স্থলভাগের অনেক স্থান সমুদ্রতলে ডুবে যায়।
  • প্রশ্নটি সমাধান করেছে newresultbd.com
  • ভূমিকম্পের সময় অনেক সময় নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়। আবার কখনো কখনো বন্ধ হয়ে যায়। আবার কখনো শুকিয়ে যায়। আবার সশয় সময় উচ্চভূমি অবনমিত হয়ে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়। ১৯৫০ সালে আসামের ভূমিকম্পের দিবং নদীর গতি পরিবর্তিত হয়।

আগ্নেয়গিরিরি অগ্ন্যুপাতের কারণ

  • ভূত্বকে দুবর্ল স্থান বা ফাটল দিয়ে ভূঅভ্যন্তরে গলিত ম্যাগমা, ভষ্ম, ধাতু প্রবলবেগে বের হয়ে অগ্ন্যাপাত ঘটায়।
  • যখন ভূপৃষ্ঠের চাপ কমে যায় তখন ভূগর্ভের শিলাসমূহ স্থিতিস্থাপক অবস্থা থেকে তরল অবস্তায় পরিণত হয়। এতে শিলার আয়তন বৃদ্ধি পায়। ফলে তরল পদার্থ দুবল স্থান ভেদ করে প্রবলবেগে উৎক্ষিপ্ত হয়ে অগ্ন্যাপাতের সৃষ্টি করে।
  • কখনো কখনো ভূত্বকের ফাটল দিয়ে নদীনালা, খালবিল এবং সম্রুদরে পানি ভূগর্ভে প্রবেশ করলে প্রচন্ড উত্তাপে বাষ্পীভূত হয়। ফলে আয়তন বৃদ্ধি পেয়ে ভূত্বক ফাটিয়ে দেয়। তখন ঐ ফাটলের ভেতর দিয়ে পানি বাষ্প তপ্ত শিলা প্রভৃতি নির্গত হয় অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
  • ভূগর্ভে নানা রাসায়নিক ক্রিয়া ও বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থরে প্রভাবে প্রচুর তাপ বৃদ্ধি পেয়ে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। তাতে ভূঅভ্যন্তরের চাপ বৃদ্ধি পায় এবং অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়।
  • ভূআন্দোলনের সময় পাশ্বচাপে ভূত্বকের দুবর্ল অংশ ভেদ করে এ উত্তপ্ত তরল লাভা উপরে উত্থিত হয়। এভাবে ভূআন্দোলনের ফলেও অগ্ন্যৎপাত হয়।

আগ্নেয়গিরির ফলাফল

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূপৃষ্ঠের অনেক পরিবর্তন সাধিত হয়। অন্যদিকে ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে সামান্য সুফলও পাওয়া যায়। নিম্নে আগ্নেয়গিরির ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলো।

  • অনেক সশয় আগ্নেয়গিরি থেকে নিগর্ত পদার্থ চারদিকে সঞ্চিত হয়ে মালভূমির সৃষ্টি করে।
  • সমুদ্র তলদেশে অনেক আগ্নেয়গিরি আছে। এ থেকে নির্গত লাভা সঞ্চিত হয়ে। এ থেকে নির্গত লাভা সঞ্চিত হয়ে দ্বীপের সৃষ্টি করে।
  • আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যোৎপাতের ফলে ভূপৃষ্ঠের কোনো অংশ ধসে গভীর গহ্বরের সৃষ্টি হয়।
  • মৃত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে পানি জমে আগ্নেয় হ্রদের সৃষ্টি করে।
  • আগ্নেয়গিরির নির্গত লাভা শিলা দ্রব্য প্রভৃতি দীর্ঘকাল ধরে একটা স্থানে সঞ্চিত হয়ে পবর্তরে সৃষ্টি করে। এ ধরনের পর্বতকে আগ্নেও পর্বত বলে।
  • অনেক সময় আগ্নেয়গিরির লাভা সঞ্চিত হতে হতে বিস্তৃত এলাকা নিম্ন সমভূমিতে পরিণত হয়।

আগ্নেয়গিরির কারণে অপকারের পাশাপাশি অনেক উপকারও হয়। এতে ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে অনেক খনিজ পদার্থ নিগত হয়। ফলে পরে অনেক খনিজ পদার্থও পাওয়া যায়।

Class 9 Geography 5th Week Assignment Answer