এই পরীক্ষণের মাধ্যমে আমরা জানবো-
- ১. এ পরীক্ষণে কোন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে?
- ২. কাজের ধারাবাহিক বর্ণনা কর;
- ৩. পরীক্ষণের উপর তোমার পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা কর।
- ৪. এ পরীক্ষণে তুমি কী কী সাবধানতা অবলম্বন করেছ?
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
উপরের পরীক্ষণটি করার জন্য আমাদের যে সকল উপকরণ লাগবে- ১. বরফ খন্ড, ২. ঢাকনা, ৩. বিকার, ৪. তারজালি, ৫. বুনসেন বার্নার, ৬. বালি ও লবনের দ্রবণ, ৭. পানি।
পদ্ধতির ব্যবহার:
এই পরীক্ষণটি করার জন্য আমাদের দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে- ১. উর্ধ্বপাতন ও ২. ঘণীভবন
পরীক্ষণের বিবরণ: পরীক্ষা নং ৮
- কিছু পরিমাণ কঠিন বালি মিশ্রিত অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড (Alcl3) লবন নাও;
- একটি বিকারের মধ্যে বালি মিশ্রিত অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড (Alcl3) লবন রাখি;
- এর খোলা মুখ একটি কাচের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দাও;
- কাচে ঢাকনার উপর কিছু বরফ লাখ। এরপর ধীরে ধীরে বিকারটিতে তাপ প্রদান করো।
পর্যবেক্ষণ:
তাপ প্রদানে দেখা যাবে কঠিন অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড (Alcl3), গ্যাসীয় অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড (Alcl3), এ পরিণত হচ্ছে।
সেটি উপরে উঠে ঢাকলায় পিয়ে শীতল হয়ে কঠিন অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড (Alcl3), হিসাবে ঢাকনার নিচে জমা হয়েছে।
কোনাে কঠিন পদার্থের মিশ্রণের মধ্যে একটি উধ্বপাতিত পদার্থ মিশ্রিত থাকলে ঐ উপাতিত পদার্থকে মিশ্রণ থেকে পৃথক করা যায়।
[LinkAds]সিদ্ধান্ত-১: এখানে কঠিন অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড (Alcl3) থেকে গ্যাসীয় অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড (Alcl3), এ পরিণত হচ্ছে উর্ধ্বপাতন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে
সিদ্ধান্ত-২: আর গ্যাসীয় অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড (Alcl3) থেকে শীতল হয়ে কঠিন অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড (Alcl3) কাচের ঢাকনায় জমা হচ্ছে ঘণীভবন এর মাধ্যমে।
সাবধানতা:
এই পরীক্ষণটি করার সময় অবশ্যই তাপ প্রয়োগে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।