বেদ হচ্ছে হিন্দুদের আদি ধর্মগ্রন্থ। হিন্দুধর্ম যার পুরাতন নাম সনাতন ধর্ম। সনাতন ধর্ম। বেদ হল প্রাচীন ভারতে লিপিবদ্ধ তত্ত্বজ্ঞান-সংক্রান্ত একাধিক গ্রন্থের একটি বৃহৎ সংকলন। বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদই সংস্কৃত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং সনাতন ধর্মের সর্বপ্রাচীন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। সনাতনরা বেদকে অপৌরুষেয় এবং নৈর্বক্তিক ও রচয়িতা শূন্য মনে করেন।
[Tapos]বেদকে শ্রুতি (যা শ্রুত হয়েছে) সাহিত্যও বলা হয়। এইখানেই সনাতন ধর্মের অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলির সঙ্গে বেদের পার্থক্য। কারণ, সনাতন ধর্মের অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলিকে বলা হয় স্মৃতি (যা স্মরণধৃত হয়েছে) সাহিত্য। প্রচলিত মতে বিশ্বাসী সনাতন ধর্মতত্ত্ববিদদের মতে, বেদ প্রাচীন ঋষিদের গভীর ধ্যানে প্রকাশিত হয়েছিল এবং প্রাচীনকাল থেকেই এই শাস্ত্র অধিকতর যত্নসহকারে রক্ষিত হয়ে আসছে। সনাতন মহাকাব্য মহাভারতে ব্রহ্মাকে বেদের স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও বৈদিক স্তোত্রগুলিতে বলা হয়েছে, একজন সূত্রধর যেমন নিপূণভাবে রথ নির্মাণ করেন, ঠিক তেমনই ঋষিগণ দক্ষতার সঙ্গে বেদ গ্রন্থনা করেছেন। বেদে মোট মন্ত্র সংখ্যা ২০৪৩৪টি। বেদের সংখ্যা চার: ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ।
বেদ পাঠের মাধ্যমে আমি যে শিক্ষা লাভ করেছি তা হলো
- হিন্দুধর্ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে পেরেছি।
- হিন্দুধর্মের উৎপত্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
- ঈশ্বর সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
- ঈশ্বরের কোন আকার নেই। ঈশ্বর নিরাকার।
- পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস জানতে পেরেছি।
- ঈশ্বরের লীলা লেখা সম্পর্কে জানতে পারি।
- জীব বৈচিত্র্য সম্পর্কে পেরেছি।