0

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের প্রতি আমাদের করণীয়। ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের প্রতি আমাদের করণীয়

Assignment: বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের প্রতি আমাদের করণীয়।

প্রতিবন্ধিতার ধারণা

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন, ২০০১-এ বলা হয়েছে যে, ” প্রতিবন্ধী অর্থ এমন এক ব্যক্তি যিনি জন্মগতভাবে বা রােগাক্রান্ত হয়ে বা দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বা অপচিকিৎসায় বা অন্য কোনাে কারণে দৈহিকভাবে বিকলাঙ্গ বা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন এবং উক্তরুপ বৈকল্য বা ভারসাম্যহীনতার ফলে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম”।

বয়স, লিঙ্গ, জাতি, সংস্কৃতি বা সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী আর দশজন যে কাজগুলাে করতে পারে ইমপেয়ারমেন্টের কারণে সে কাজগুলাে প্রাত্যহিক জীবনে করতে না পারার অবস্থাটাই হল। ডিসএবিলিটি বা প্রতিবন্ধিতা৷ ইমপেয়ারমেন্ট হল দেহের কোন অংশ বা তন্ত্র যদি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে, ক্ষনস্থায়ী বা চিরস্থায়ী ভাবে তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায় সে অবস্থাটিকেই বােঝায়।

প্রতিবন্ধীদের জন্য আমি যে কাজ করতে পারি

১) রাস্তা পারাপারের সহযােগিতা করা।

২) তাদের পড়াশােনায় সহযােগিতা করা।

৩) কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে বুঝিয়ে দেওয়া।

৪) তাদের সাথে ভালাে ব্যবহার করা।

৫) তাদেরকে উৎসাহ দেওয়া।

প্রতিবন্ধীদের জন্য আমি যে কাজ করতে পারিনা

১) তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া।

২) তাদের স্বাস্থ্যের চিকিৎসা করা।

৩) তাদের জন্য আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে দেওয়া।

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর অসুবিধা

প্রথমত, এদের প্রতিবন্ধকতার প্রধান কারণ হলাে পরিবার। যত শীঘ্র সম্ভব শিশুর জন্য পরিবারকে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে পিতা-মাতার সাথে শিশুর পারস্পরিক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখাে।

সমাজে বিকশিত হওয়ার দ্বিতীয় প্রতিবন্ধকতা হলাে সমাজ। কারণ সামাজিক ধ্যান ধারণার উপর নির্ভর করে এইসব শিশুদের ভবিষ্যৎ। সমাজ যদি এদের অযােগ্য ও অবাঞ্ছিত মনে করে, এদের উঠে দাঁড়ানাের কোন স্থান থাকবে না। তাই এইসব শিশুদের পক্ষে জনমত গড়ে তােলা আবশ্যক।

সমবয়সীরা আরেকটা প্রতিবন্ধকতা। দেখা যায়, সমবয়সীরা তাদের সাথে মিশতে চায় না। যা সমাজে বিকশিত হতে বাধা সৃষ্টি করে।

প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য দায়িত্ব

শিক্ষার ব্যবস্থা: বাংলাদেশে ৯৭% শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও মােট প্রতিবন্ধী শিশুদের মাত্র ১১% স্কুলে ভর্তির সুযােগ পায়। যা সময়ের প্রেক্ষাপটে খুবই নগণ্য। এ জন্য প্রতিবন্ধীদের প্রতিবন্ধীতার ভিত্তিতে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

চলার পথে সহায়তা করা: আমাদের চলার পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী দেখতে পাই। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদেরকে রাস্তা পারাপারে, শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরকে হাত ধরে বা অন্যভাবে সহযােগিতা করা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব।

স্বীকৃতিদান: প্রতিবন্ধীদেরকে সমাজের অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে। সামগ্রিক সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধীদের স্বীকৃতি দিতে হবে। সমাজের যাবতীয় সুযােগ সুবিধা ভােগের ক্ষেত্রে তাদেরকে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।