কাগজ, সুতা এবং রঙ ব্যবহার করে একটি আদর্শ উদ্ভিদকোষের মডেল প্রস্তুত কর।
উদ্ভিদকোষ ও প্রাণিকোষের মধ্যে প্রথম যে পার্থক্যটা চোখে পড়ে তা হল- উদ্ভিদকোষ বাইরে জড় কোষপ্রাচীর(cell wall) ও তার নিচে অবস্থিত সজীব প্লাজমামেমব্রেন নামক দুটি পর্দা পরিবেষ্টিত বা ঘেরা থাকে। কিন্তু প্রাণিকোষে কোন কোষপ্রাচীর থাকেনা। কোষ শুধু একটি সজীব প্লাজমামেমব্রেন দিয়ে আবৃত থাকে।
উদ্ভিদকোষে প্লাষ্টিড থাকে, আর প্লাষ্টিডের ভিতর থাকে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে। প্রাণিকোষে প্লাষ্টিড থাকেনা তাই ক্লোরোপ্লাস্ট ও থাকেনা।
[ArticleAds]উদ্ভিদকোষের ক্লোরোপ্লাস্টে ক্লোরোফিল নামক সবুজ বর্ণকনিকা থাকায় এরা সবুজ এবং এবং এই কণিকার সাহায্যে উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করে। কিন্তু প্রাণিকোষে প্লাষ্টিড নেই তাই ক্লোরোফিল নেই। সুতরাং এরা অসবুজ এবং সালোকসংশ্লেষন ঘটায় না।
উদ্ভিদকোষে সাধারনত কোষগহবর বড় থাকে, ফলে নিউক্লিয়াস আর কেন্দ্রে অবস্থান না করে সাইটোপ্লাজমের একপাশে অবস্থান করর। কিন্তু প্রাণিকোষে গহ্বর থাকেনা বা থাকলেও ছোট, তাই নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজমের ঠিক কেন্দ্রে অবস্থান করে।
[Join]উদ্ভিদকোষে গলগি বস্তু অপেক্ষাকৃত ছোট, তাই দৃষ্টিগোচর হয়না। প্রাণিকোষে দৃশ্যমান বৃহৎ আকৃতির গলগি বস্তু থাকে।
অন্যান্য পার্থক্য:
- উদ্ভিদকোষে জড় কোষপ্রাচীর থাকায় কোষের আকার পরিবর্তন
হয়না। প্রাণিকোষে কোষপ্রাচীর থাকেনা বলে কোষের আকার পরিবর্তিত হয়। - কোষবিভাজনের সময় উদ্ভিদকোষে এষ্টার-রে সৃষ্টি হয়না। প্রানিকোষে সৃষ্টি হয়।
- সাইটোকাইনেসিসের সময় উদ্ভিদকোষের মাঝখানে কোষপ্লেট সৃষ্টি হয়।
- প্রাণিকোষের ক্ষেত্রে প্লাজমামেমব্রেন গর্তের ন্যায় ভিতরের দিকে ঢুকে যায় এবং একত্রে মিলিত হলে কোষটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
- উদ্ভিদকোষে খাদ্য starch বা শেতসার হিসেবে জমা হয়। আর প্রাণিকোষে খাদ্য গ্লাইকোজেন (glycogen) হিসেবে জমা হয়।
- উদ্যম ও পরিশ্রম – মোহাম্মদ লুৎফর রহমান
- পল্লিসাহিত্য – মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
- নিরীহ বাঙালি – রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেন
- অভাগীর স্বর্গ – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
- বই পড়া – প্রমথ চৌধুরী
- দেনাপাওনা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- লাইব্রেরি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- সুভা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- Class 9 4th Week Assignment 2022 Answer
- Class 9 3rd Week Assignment 2022 Answer