0

১। শিশুর বয়সের উপর ভিত্তি করে শিশুকালের বিভিন্ন নামকরণ করা হয়েছে। নিম্নোক্ত ছকে নাম অনুযায়ী শিশুকালের বয়সসীমা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য লিখ।

শিশুকালের নাম বয়স সীমা বৈশিষ্ট্য
১. নবজাতককাল    
২. অতি শৈশবকাল    
৩. প্রারম্ভিক শৈশব    
৪. মধ্য শৈশব    

তুমি কী সব বয়সের শিশুর সাথে একই ধরনের আচরণ করবে? যুক্তি দিয়ে বােঝাও।

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৬ষ্ঠ অ্যাসাইনমেন্ট গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এর সমাধান

প্রত্যেক ধাপের যেমন নিজস্ব বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে তেমনি বিভিন্ন ধাপের বিকাশমূলক কাজও ভিন্ন রকম। মনোবিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন বয়সের বৈশিষ্ট্য ও বিকাশমূলক পরিবর্তনের ধারা অনুযায়ী জন্মমুহূর্ত থেকে বয়ঃসন্ধিক্ষণ পর্যন্ত এবং মৃত্যু পর্যন্ত বয়সকে কতগুলো ভাগে বিভক্ত করেছেন:-

শিশুর বয়সের উপর ভিত্তি করে শিশুকালের বিভিন্ন নামকরণ করা হয়েছে। নিম্নোক্ত ছকে নাম অনুযায়ী শিশুকালের বয়সসীমা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য-

শিশুকালের নাম : নবজাতককাল

বয়স সীমা : ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে ২ সপ্তাহ বা ১৪ দিন

বৈশিষ্ট্য-

 
  • প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা ঘুমায়।
  • দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর ঘুম থেকে জেগে উঠে,
  • ঠোঁটের কাছে কিছু রাখলে চুষে খেতে চায়,
  • হঠাৎ কোন শব্দ হলে শিশুর চমকে উঠে,
  • মলমূত্র ত্যাগের পর আবার ঘুমায়।

শিশুকালের নাম : অতি শৈশবকাল

বয়স সীমা : ২ সপ্তাহ থেকে ২ বছর

বৈশিষ্ট্য-

  • শিশুর বিকাশ দূরত্ব হয়,
  • শিশু হাঁটতে পারে,
  • কথা বলতে শিখে,
  • শিশুর ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়,
  • শিশু খেলাধুলা করে।

শিশুকালের নাম : প্রারম্ভিক শৈশব

বয়স সীমা : ২ বছর থেকে ৬ বছর

বৈশিষ্ট্য-

  • শিশু অনেক বেশি প্রশ্ন করে,
  • স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়,
  • শিশু অনেক বেশি শিখতে চায়,
  • প্রচুর পরিমাণে কথা বলে।

শিশুকালের নাম : মধ্য শৈশব

বয়স সীমা : ৬ বছর থেকে ১০ বছর

বৈশিষ্ট্য-

  • শিশুর শারীরিক বিকাশ ধীর গতিতে চলে,
  • সকল শিশু স্কুলে যায়,
  • শিশুদের মধ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা তৈরি হয়,
  • নিজের কাজ নিজে করতে চায়,
  • বন্ধুসভাব বৃদ্ধি পায়।

সব বয়সের শিশুর সাথে একই ধরনের আচরণ করবো কি না? যুক্তি

সব বয়সের শিশুর সাথে একই ধরনের আচরণ করা উচিৎ। কারন বিভিন্ন বয়সের শিশুর মধ্যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য থাকলেও সকলেই শিশু।

যেকোন বয়সের শিশু হোক না কেন তাদের সাথে আমি যদি ভাল আচরণ করি, তাহলে তারা ছোট হোক বা বড় হোক সকলের সাথে ভালো আচরণ করবে।

কিন্তু আমরা যদি কম বয়সী শিশুদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করি কিন্তু বেশি বয়সের শিশুদের তেমন আচরণ না করি, আর বড় শিশুরা ভুল করলে তা শুধরে না দিয়ে শাসন করি, তাহলে তাদের মন মানসিকতা ভেঙে যাবে, যার ফলে তারা নানা রকমের বিপদের বা খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়বে ।

তাই আমাদের সকলের উচিত সকল শিশুদের সাথে ভালো আচরণ প্রদর্শন করা। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এভাবেই, সব শিশুরা একদিন দেশের নাম সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করবে।

Class 6 Assignment Answer

Class 6 Home Science 6th Week Assignment Answer