0

দেনাপাওনা গল্পের বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর

 
১. রামসুন্দর কোন মাসে মেয়েকে ঘরে আনার প্রতিজ্ঞা করেন ?
 ক. ভাদ্র খ.  আশ্বিন✓
 গ. কার্তিক ঘ. অগ্রহায়ণ
 
২. ‘শাস্ত্রশিক্ষা, নীতিশিক্ষা একেবারে নাই’ একথা বলার কারণ কী ?
 ক. মুখে মুখে কথা বলায়
 খ. ধর্মীয় বিধিনিষেধ না মানায়
 গ. পণের টাকা উপেক্ষা করায়✓
 ঘ. বাবার অমতে বিয়ে করায়
 
উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দাও: 
গনি মিয়া একজন কৃষক। ইতোমধ্যে চাষাবাদ করে আর্থিক অবস্থার অনেক উন্নতি করেছে। একমাত্র ছেলের বিয়ে দেয়ার চিন্তা করার সাথে সাথে চারদিক থেকে অনেক প্রস্তাব আসতে শুরু করল। গ্রামের লোকজন ধরল ধুমধামের সাথে বিয়ের উৎসব পালনের জন্য। আর এতে গনি মিয়াকে চড়া সুদে ধার করতে হলো মোটা অঙ্কের টাকা। একসময় সবকিছু হারিয়ে আবার সে নিঃস্ব হয়ে যায়।
[Ads]
 
৩. উদ্দীপকের গনি মিয়ার সাথে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রামসুন্দরের সাদৃশ্যপূর্ণ দিক হলো – 
 i. অদূরদর্শী পরিকল্পনা
 ii. ঋণগ্রস্ত অবস্থা
 iii. সন্তানবাৎসল্য
 
 নিচের কোনটি সঠিক?
 ক. i ও ii✓ খ. i ও iii
 গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
 
৪. রামসুন্দর কোন দিক দিয়ে গনি মিয়া থেকে স্বতন্ত্র?
 ক. ভূসম্পত্তি✓ খ. আধিপত্য
 গ. লোভ ঘ. আপ্যায়ন
 

দেনাপাওনা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর

দেনাপাওনা সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর ০১
 
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
হৈমুর বাবা পেশায় অধ্যাপক। তাঁর একমাত্র মেয়েকে বৌ করে ঘরে তুলতে অনেকের আগ্রহ। তাদের বিশ্বাস হৈমুর বাবার সমস্ত সম্পত্তির মালিক হবে হবু বর। এ লড়াইয়ে বিজয়ী হলো অপূর্বদের পরিবার। শ্বশুরবাড়িতে বউয়ের মর্যাদা অশেষ। একসময় তারা জানতে পেল, অগাধ ধনসম্পত্তি দূরে থাক, মেয়ের বিয়েতে বাবা মোটা অঙ্কের ঋণ করেছেন। এতে শ্বশুরবাড়িতে হৈমুর প্রতি ভালোবাসা এবং তার বাবার প্রতি শ্রদ্ধাভক্তির এতটুকু ঘাটতি কখনোই দেখা দেয় নি। বরং তাঁকে ঋণ থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য এগিয়ে যায় হৈমুর শ্বশুর।
ক. নিরুপমার বিয়েতে বরপক্ষ কত টাকা পণ চেয়েছিল? ১
খ. ‘বর্তমান শিক্ষার বিষময় ফল’ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকের হৈমুর বাবার সাথে দেনাপাওনা গল্পের নিরুপমার বাবার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের হৈমু ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমাকে একসূত্রে গাঁথা যায় কি? যুক্তিসহ প্রমাণ করো। ৪
 
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ ক
✍ নিরুপমার বিয়েতে বরপক্ষ ১০ হাজার টাকা পণ চেয়েছিল।
 
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ খ
✍ ‘বর্তমান শিক্ষার বিষময় ফল’ বলতে লেখক রায়বাহাদুরের পুত্রের যৌতুকের টাকার প্রতি ভ্রæক্ষেপ না করে বিয়ে করতে চাওয়াকে বুঝিয়েছেন।
 
✍ পণের টাকা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত বর সভাস্থ না করার সিদ্ধান্ত নেয় বরের পিতা রায়বাহাদুর। কিন্তু তার পুত্র আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ায় কেনাবেচা বা দরদামের কথা শুনতে চায়নি। সে পিতার মতের বিরুদ্ধেই বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়। রায়বাহাদুরের পুত্রের এরূপ আচরণকেই লেখক ব্যাঙ্গার্থে বর্তমান শিক্ষার বিষময় ফল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
 
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ গ
✍ উদ্দীপকের হৈমুর বাবার সাথে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার বাবার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হচ্ছে ঋণগ্রস্ততা।
[Ads]
 
✍ ‘দেনাপাওনা’ গল্পে নিরুপমার বাবা তাঁর একমাত্র কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য রায়বাহাদুরের পুত্রকে পছন্দ করেন। বরপক্ষ দশ হাজার টাকা পণ এবং বহু দানসামগ্রী দাবি করে। তবুও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তিনি রাজি হয়ে যান। সম্পত্তি বন্ধক ও বিক্রি করে এবং অতিরিক্ত সুদে টাকা ধার করে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেন।
 
✍ উদ্দীপকের হৈমুর বাবা মেয়ের কল্যাণচিন্তায় তার সাধ্যের বাইরে গিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ করেছেন। তার কাছে শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের সুখ পাওয়াটাই আসল। তাই একমাত্র মেয়ের বিয়েটা ধুমধাম করেই দিতে চেয়েছেন। এজন্য তাকে ঋণ করতে হয়েছে। ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার বাবা একই চিন্তা থেকে ঋণ করেছেন। বাবা হিসেবে মেয়ের প্রতি কর্তব্য পালনের জন্যই হৈমুর বাবা ও নিরুপমার বাবার এ কাজটি করেন।
 
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ ঘ
✍ উদ্দীপকের হৈমু ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমাকে একসূত্রে গাঁথা যায় না। কারণ শ্বশুরবাড়ির অনাদর অবহেলায় নিরুপমার জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলেও হৈমু পেয়েছে সম্মান ও মর্যাদা।
 
✍ ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির সবাই ছিল অর্থলোভী হীন মানসিকতার মানুষ। নিরুপমার বাবা পণের ধার্যকৃত সম্পূর্ণ টাকা বিয়ের সময় পরিশোধ করতে পারেননি বলে তারা বিয়েটাই ভেঙে দিতে চেয়েছিল। বিয়ের পরও যৌতুক না পাওয়ায় নিরুপমাকে তারা বৌয়ের মর্যাদা দেয়নি। তাকে কথায় কথায় অপমান-অবহেলা করেছে। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে নিরুপমার করুণ মৃত্যু হয়েছে।
 
✍ অন্যদিকে উদ্দীপকে হৈমুর শ্বশুরবাড়িতে সকলে তাকে মর্যাদা ও ভালোবাসার সাথে গ্রহণ করেছে। হৈমুর বাবা ধনী নন এবং তাঁর মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ আছে জেনেও হৈমুর প্রতি তাদের ভালোবাসা এতটুকু কমেনি। বরং বিষয়টি তারা অত্যন্ত মানবিকভাবে দেখেছেন। হৈমুর বাবার ঋণ পরিশোধে এগিয়ে এসেছেন হৈমুর শ্বশুর।
 
✍ ‘দেনাপাওনা’ গল্পে নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অর্থলোভী মানসিকতা ও নিষ্ঠুরতার কারণে তার জীবনটা তিলে তিলে নিঃশেষিত হয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকের হৈমুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছিল তার প্রতি সহানুভূতিশীল। সে সেখানে পুরোপুরি মর্যাদা লাভ করেছে। গল্পের নিরুপমা যৌতুকের বলি হলেও উদ্দীপকের হৈমু পেয়েছে মমতা ও মানবিক আচরণ। তাই উদ্দীপকের হৈমু ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমাকে একসূত্রে গাঁথা যায় না। পরিণতি বিবেচনায় দুজনের মাঝে বৈপরিত্য বিদ্যমান।
 
দেনাপাওনা সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর ০২
 
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের, গ্রামের নয়- আলো ঝলমলে শহরের। বিয়ের তিন মাসের মাথায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তৃষা এখন হাসপাতালে আর তার স্বামী বিপ্লব নারী নির্যাতনের মামলায় কারাগারে। বিপ্লব উচ্চশিক্ষিত ও সম্পদশালী- তৃষাও। শ্বশুরের কাছে বিয়ের পর থেকেই বিপ্লব একটি নতুন গাড়িপ্রাপ্তির জন্যে স্ত্রীর উপর ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল। তৃষার ইঙ্গিতে তার বাবা এ হীন চাপকে উপেক্ষা করে আসছিলেন। [ঢা.বো. ১৫]
ক. ‘দেনাপাওনা’ গল্পটি লেখকের কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত? ১
খ. ‘নিরু বাপের মুখ দেখিয়া সব বুঝিতে পারিল’- ব্যাখ্যা করো। ২
গ. সময়ের পরিবর্তন হলেও গ্রাম কিংবা শহরে সমস্যা আজও একই- উদ্দীপক ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের আলোকে সমস্যাটি চিহ্নিত করো। ৩
ঘ. “বিপ্লবের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপগুলোই পারে নিরু বা তৃষাদের করুণ পরিণতি থেকে মুক্তি দিতে।”- আলোচনা করো। ৪
 
২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. ‘দেনাপাওনা’ গল্পটি লেখকের ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত।
 
খ. মেয়ের সুখের জন্য নিজের অমানবিক কষ্ট শিকারের বিষয়টি বাবা মুখে প্রকাশ না করলেও তাঁর মুখ দেখে মেয়ে ঠিকই বুঝে গিয়েছিল।
[Ads]
 
✍ নিরুপমার জন্য পণের বাকি টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তার দরিদ্র পিতা ঘোর সংকটের আবর্তে পতিত হলেন। কোনো উপায় না পেয়ে অল্প অল্প সুদে নানা স্থান থেকে টাকা ধার করে জমাতে লাগলেন। ফলে সংসারের খরচ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো। এতসব দুঃখ-কষ্টের কথা নিরুপমার বাবা মেয়ের কাছে কিছুই বলেননি। কিন্তু বাবার মুখে মলিনতা ও দুশ্চিন্তার ছাপ দেখে মেয়ে ঠিকই বুঝে নিয়েছিল যে বাবা ভালো নেই।
 
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত শহর এবং ‘দেনাপাওনা’ গল্পে উল্লিখিত গ্রাম একই সমস্যায় আক্রান্ত। আর তা হলো-যৌতুকপ্রথা।
 
✍ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘দেনাপাওনা’ গল্পে যৌতুকের মর্মস্পর্শী পরিণতির চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। যৌতুকের লেলিহান শিখা কেড়ে নেয় নিরুপমা নামের একটি নিরপরাধ জীবন। নিরুপমার বাবাকে সহ্য করতে হয় সীমাহীন মানসিক নির্যাতন।
 
✍ উদ্দীপকের তৃষা শহরের বাসিন্দা। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী শ্বশুরের কাছে একটি নতুন গাড়ি দাবি করে। তৃষা বাধা দেওয়ায় তার বাবাও এই অন্যায়ের কাছে নতি স্বীকার করেন নি। কিন্তু তৃষার স্বামী বিপ্লবের লালসার কারণে নির্যাতন ভোগ করতে হয় তৃষাকে। উদ্দীপকের বর্ণিত শহরের যৌতুকের এই ভয়াবহতার দিকটি প্রকাশিত হয়েছে ‘দেনাপাওনা’ গল্পেও। গল্পের প্রেক্ষাপট গ্রামাঞ্চল হলেও সামাজিক ব্যাধি উভয় ক্ষেত্রে একই।
 
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিপ্লবের যৌতুকের লালসার বিরুদ্ধে তৃষার শক্ত অবস্থান এবং সুবিচার নিশ্চিত করার যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা এই ঘৃণ্য সামাজিক ব্যাধির প্রকোপ কমাতে সাহায্য করবে।
 
✍ ‘দেনাপাওনা’ গল্পে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বার্থান্ধ মানুষের অর্থলিপ্সার স্বরূপ তুলে ধরেছেন। যৌতুকের টাকা বাকি পড়ার কারণে শ্বশুরবাড়িতে নিরুপমাকে পদে পদে গঞ্জনা, অবহেলা সহ্য করতে হয়। নিরুপমা একসময় যৌতুকের ঘৃণ্যতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হলেও তার বাবা যথার্থ অবস্থান নিতে পারেননি। সামাজিকভাবে যৌতুকপ্রথার স্বীকৃতি থাকায় এটি প্রতিরোধের পথটিও ছিল প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ। ফলে যৌতুকের বলি হয়ে অকালেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয় নিরুপমাকে।
 
✍ উদ্দীপকের তৃষার স্বামী বিপ্লব যৌতুক আদায়ের জন্য তৃষার বাবাকে চাপ দেয়। তৃষা তার বিরুদ্ধাচরণ করলে তাকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এ অবস্থায় সুষ্ঠু বিচারের জন্য তারা আইনের আশ্রয় নেয়। ফলে বিপ্লবকে যেতে হয় কারাগারে। ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া গেলে নিরুপমাকে করুণ পরিণতি বরণ করতে হতো না।
 
✍ যৌতুক একটি ঘৃণ্য সামাজিক অপরাধ। যৌতুকের লোভ মানুষকে মনুষ্যত্ববোধ ভুলিয়ে দেয়। ফলে মানুষ হয়ে ওঠে নির্মম। যেমনটা হয়ে উঠেছিল ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এবং উদ্দীপকে বর্ণিত তৃষার স্বামী। নিরুপমা ও তৃষা উভয়ের ওপরই নেমে এসেছিল নির্যাতন। এমন জঘন্য মানসিকতার মানুষদের অপকর্ম ঠেকাতে প্রয়োজন ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রতিরোধ। যা গল্পের নিরুপমা ও উদ্দীপকের তৃষার মাঝে লক্ষ করা যায়। আর সামাজিক প্রতিরোধের বিষয়টি উদ্দীপকে লক্ষ করা গেলেও গল্পে তা অনুপস্থিত। সেটি করা সম্ভব হলে রক্ষা পেত নিরুপমার প্রাণ। উদ্দীপকেও তৃষার স্বামীর বিরুদ্ধে আরও আগে ব্যবস্থা নেওয়া হলে তৃষাকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হতো না। বিপ্লবদের মতো যৌতুকলিপ্সুদের সর্বাত্মকভাবে বর্জন করলেই তৃষা বা নিরুপমার মতো হাজারো নারী রক্ষা পাবে।
 
দেনাপাওনা সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর ০৩
[Ads]
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
মকবুল বুড়োর তিন স্ত্রী। তবুও সে সম্পত্তির লোভে আম্বিয়াকে বিয়ে করতে চায়। আম্বিয়ার একটি বসতবাড়ি, নৌকা ও এক টুকরো জমি আছে। আম্বিয়ার পরিবারে হাঁপানী রয়েছে জেনেও লোভী মকবুল ভাবে, “আগে বিয়ে করে সম্পত্তি হাত করি, পরে না হয় তালাক দিব। [চ.বো. ১৫]
ক. নিরুপমার বিয়েতে বরপক্ষ কত টাকা পণ চেয়ে বসল? ১ 
খ. ‘বাপও কাঁদে মেয়েও কাঁদে’- কেন?  ২
গ. উদ্দীপকের বুড়ো মকবুলের ভাবনাটি ‘দেনাপাওনা’ গল্পের কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ভাবগত পার্থক্য থাকলেও মকবুল বুড়ো ও রায়বাহাদুরের মানসিকতার মধ্যে ভিন্নতা নেই।- মূল্যায়ন করো। ৪
 
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. নিরুপমার বিয়েতে বরপক্ষ দশ হাজার টাকা পণ চেয়ে বসল।
 
খ. দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবার সাক্ষাৎলাভের আনন্দে নিরুপমা ও তার বাবা রামসুন্দর উভয়ই কাঁদে।
✍ ‘দেনাপাওনা’ গল্পে রামসুন্দর তাঁর মেয়ে নিরুপমাকে যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেন। কিন্তু যৌতুকের সম্পূর্ণ টাকা শোধ না করতে পারায় নিরুপমাকে শ্বশুরবাড়িতে নানা গাল-গঞ্জনা সহ্য করতে হয়। তাই রামসুন্দর যৌতুকের সমস্ত টাকা জোগাড় করে মেয়েকে দেখতে যাওয়ার পণ করেন। এতে দীর্ঘদিন বাপ মেয়ের সাক্ষাৎ হয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাবা ও মেয়ের মনে অনেক কষ্টের অনুভূতি চাপা থাকে। এজন্য অনেক দিন পরে রামসুন্দর মেয়েকে দেখতে গেলে বাবা মেয়ে উভয়ই সাক্ষাৎলাভের আনন্দে কাঁদে।
 
গ. উদ্দীপকের বুড়ো মকবুলের ভাবনাটি ‘দেনাপাওনা’ গল্পে বর্ণিত নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অর্থলিপ্সাকেই মনে করিয়ে দেয়।
 
✍ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘দেনাপাওনা’ গল্পে বর্ণিত হয়েছে নিরুপমা নামের এক দুঃখিনীর করুণ পরিণতির কথা। যৌতুকের টাকা না পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নির্মম মানসিক নির্যাতন চালায়। স্বার্থপর মানুষের অমানবিকতার দরুন একজন নিষ্পাপ মানুষের জীবন কিভাবে তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আলোচ্য গল্পটি।
 
✍ উদ্দীপকে দেখা যায়, বৃদ্ধ মকবুলের তিনজন স্ত্রী থাকার পরও সম্পত্তি হাত করার লালসায় সে আম্বিয়াকে বিয়ে করতে চায়। আম্বিয়ার হাঁপানির সমস্যা থাকলেও সে চিন্তিত নয়। কেননা বিয়ের পর সম্পত্তি করায়ত্ত করে আম্বিয়াকে তালাক দেওয়া তার কাছে মামুলি একটা ব্যাপার। অথচ তার অর্থলিপ্সার কারণে একজন নারীর জীবনে যে অন্ধকার নেমে আসবে সেই বোধ তাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করে না। লোভী, স্বার্থপর মানুষের এই হীন মানসিকতা প্রকাশের দিক থেকে উদ্দীপকের মকবুল বুড়োর ভাবনা ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির লোকদের ভাবনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
[Ads]
ঘ. ভাবগত পার্থক্য থাকলেও উদ্দীপকের মকবুল বুড়ো ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রায়বাহাদুর চরম অর্থলিপ্সু ও স্বার্থপর।
 
✍ ‘দেনাপাওনা’ গল্পে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যৌতুকলোভী মানুষদের ঘৃণ্য মানসিকতার স্বরূপ তুলে ধরেছেন। তাদের যৌতুকের দাবির কাছে মানুষের জীবনের দাম অতি নগণ্য। যৌতুকের সম্পূর্ণ টাকা হাতে না পাওয়ায় গল্পের নিরুপমার শ্বশুর রায়বাহাদুর নিরুপমা ও তার বাবাকে মানুষ বলে মনে করেন না। নানাভাবে উভয়ের ওপর মানসিক নির্যাতন চালান।
 
✍ উদ্দীপকের মকবুল বুড়োর ঘরে রয়েছে তিন তিনটি বউ। তারপরও তার ইচ্ছে আম্বিয়াকে বিয়ে করার। আম্বিয়ার সামান্য সম্পত্তিটুকু নিজের দখলে নিতে চায় সে। আর তারপর প্রয়োজনে সে আম্বিয়াকে ছুড়ে ফেলতে চায় আঁস্তাকুড়ে। অর্থ ও সম্পদের প্রতি প্রবল লোভ উদ্দীপকের মকবুল বুড়ো ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রায়বাহাদুর বাবুকে এক বিন্দুতে স্থাপন করেছে।
 
✍ অর্থ-সম্পদের লোভ মানুষের মন থেকে মনুষ্যত্ববোধ ভুলিয়ে দেয়। তখন মানুষের আচরণ হয়ে ওঠে নির্মম। ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রায়বাহাদুরের কাছে টাকাই সব। তাই ছেলের বউ কিংবা বেয়াই কেউই তার আপন হয়ে উঠতে পারেনি। মানসিক নির্যাতনে তাদেরকে প্রতিনিয়ত জর্জরিত করেছেন। উদ্দীপকের মকবুল বুড়ো গল্পের রায়বাহাদুর বাবুর মতো নির্মমতা প্রদর্শন করেনি। তবে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা একজন মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রকৃতপক্ষে মকবুল বুড়ো কিংবা রায়বাহাদুর বাবু একই মানসিকতা পোষণ করেন। অর্থ ও সম্পদের লালসা চরিতার্থ করার জন্য তাঁরা অন্যের সুখ কেড়ে নিতে দ্বিধা করেন না। তাঁরা দুজনেই প্রচণ্ডভাবে স্বার্থান্ধ ও নির্মম মানসিকতার অধিকারী।
 
দেনাপাওনা সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর ০৪
 
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
যৌতুকের বলি এক অসহায় কন্যার আর্তচিৎকার!….. “বাবা তুমি আইসা আমারে নিয়া যাইও, ওরা আমারে মাইরা ফালাইতাছে।” মুঠোফোনে এভাবে গীতারাণী বেঁচে থাকার জন্য আকুতি জানিয়েছিলেন তার বাবা নিতাই চন্দ্র পালের কাছে। আদরের মেয়েকে বাঁচাতে ঠিক তখনই বাড়ি থেকে ছুটে যান বাবা নিতাই চন্দ্র পাল। কিন্তু গীতার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দেখতে পান মেয়ের নিথর দেহ। নিতাই চন্দ্র পালের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। (সংগ্রহ-দৈনিক প্রথম আলো, ৩-৯-১৪)  [সি.বো. ১৫]
ক. ‘দেনাপাওনা’ গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে? ১
খ. ‘বর্তমান শিক্ষার বিষময় ফল’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের গীতারাণীর সাথে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “উদ্দীপক ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের বিষয়বস্তুর সাদৃশ্য থাকলেও দৃষ্টিভঙ্গিতে ভিন্নতা আছে”- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪
 
৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. ‘দেনাপওনা’ গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গল্পগুচ্ছ’ থেকে সংকলিত হয়েছে।
 
খ. ১নং প্রশ্নের (খ)-এর উত্তর দেখো।
 
গ. যৌতুকের কারণে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার দিক থেকে উদ্দীপকের গীতারাণীর সাথে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমা চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ।
✍ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘দেনাপাওনা’ গল্পটিতে মানুষের যৌতুকলিপ্সু ঘৃণ্য মানসিকতার স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে। গল্পের নিরুপমার বাবা বিয়ের সময় যৌতুকের টাকা পুরোপুরি শোধ করতে ব্যর্থ হন। এ কারণে নিরুপমার শ্বশুরবাড়িতে তার বা তার বাবার কোনো মর্যাদা থাকে না। শুধু তাই নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকদের নির্মম মানসিক নির্যাতনের শিকার নিরুপমা অকালে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
✍ উদ্দীপকের গীতারাণী যৌতুকের এক নির্মম বলি। যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার ওপর নিষ্ঠুর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে। যৌতুকের কারণে প্রায়ই এমন নিরপরাধ গৃহবধূদের জীবনে করুণ পরিণতি নেমে আসে। গল্পের নিরুপমা এবং উদ্দীপকের গীতারাণী তাদেরই প্রতিনিধি।
[Ads]
 
ঘ. উদ্দীপক ও ‘দেনাপাওনা’ গল্প উভয়ের বিষয়বস্তু যৌতুক সম্পর্কিত হলেও যৌতুক প্রদান ও শাস্তি দাবি করার ক্ষেত্রে ভিন্নতা লক্ষ করা যায়।
✍ ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার বিয়ে হয় বনেদি এক ঘরে। বিয়ের সময় যৌতুকের নগদ অর্থ বাকি পড়ে যায়। ফলে বিয়ের পর শুরু হয় নিরুপমা ও তার বাবার ওপর মানসিক নির্যাতন। নিরুপমার দরিদ্র বাবা যৌতুকের টাকা জোগাড় করার জন্য বসতবাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে দেন। কিন্তু নিরুপমা তার বাবাকে টাকা দিতে নিষেধ করলে নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর পরিণতিতে আমরা দেখি নিরুপমাকে অকালে হারিয়ে যেতে।
✍ উদ্দীপকের গীতারাণী যৌতুকপ্রথার এক অসহায় শিকার। যৌতুকের দাবিতে তার ওপর চলে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন। ফলে একপর্যায়ে প্রাণ হারায় সে। গীতারাণীর বাবা নিতাই চন্দ্র পালের কোনোরূপ যৌতুক দেওয়ার প্রমাণ নেই উদ্দীপকে। গীতারাণীর মৃত্যুর পর তিনি মেয়ের মৃত্যুর জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকদের দায়ী করেছেন। তার এই দৃষ্টিভঙ্গিগুলো ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার বাবা রামসুন্দরের তুলনায় ভিন্নতর।
✍ গল্পের নিরুপমার বাবা রামসুন্দর মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য মোটা অঙ্কের যৌতুকের দাবি মেনে মেয়ের বিয়ে দেন। যৌতুকের বাকি টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তিনি সর্বস্ব হারান। মেয়ের মৃত্যুর পর নীরবে চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে উদ্দীপকের গীতারাণীর বাবা মেয়ের মৃত্যুর জন্য মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকদের যৌতুকের লোভকে দায়ী করেছেন। অর্থাৎ তিনি তাঁর সন্তান হত্যার বিচার চান। এদিক থেকে উদ্দীপকের দৃষ্টিভঙ্গি গল্পের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
 
দেনাপাওনা সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর ০৫
 
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
নগেন বাবু একমাত্র কন্যা মিনাকে বি.এ পাস করিয়েছেন অতিকষ্টে। মেয়েকে সুখী করতে নরেন্দ্র নাথের উচ্চশিক্ষিত বড় ছেলে নয়নের সাথে বিয়ে দেন। বিয়ের সময় পুকুর ও ভিটেমাটি বিক্রি করেও পণের পাঁচ হাজার টাকা দিতে পারেননি। পণের টাকা বাকি পড়েছে বিধায় ছেলের বাবা-মা মিনার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। পরিশেষে, নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে মিনা এখন বাবার বাড়িতেই দিনাতিপাত করছে। [ব.বো. ১৫]
ক. নিরুপমার বিয়েতে বরপক্ষ কত টাকা পণ চেয়েছিল? ১
খ. “টাকা হাতে না পাইলে বর সভাস্থ করা যাইবে না”-এ কথার অর্থ কী ২
গ. উদ্দীপকের মিনা আর ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার জীবনের সাদৃশ্যপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের নরেন্দ্র নাথ, ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রায়বাহাদুর চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে- মূল্যায়ন করো। ৪
 
৫নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. নিরুপমার বিয়েতে বরপক্ষ দশ হাজার টাকা পণ চেয়েছিল।
 
খ. যৌতুকের সমুদয় টাকা পরিশোধ না করলে ছেলেকে বিয়ে দেবেন না-এ কথা বোঝানোর জন্যই প্রশ্নোক্ত মন্তব্য করা হয়েছে।
✍ ‘দেনাপাওনা’ গল্পে পাত্রের বাবা রায়বাহাদুর একজন লোভী ও অর্থলিপ্সু মানুষ। তিনি ছেলেকে বিয়ে দেন যৌতুকের লোভে। বিয়ের দিন নিরুপমার বাবা পণের সম্পূর্ণ টাকার বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থ হন। তখন অর্থলোভী রায়বাহাদুর প্রশ্নোক্ত নির্মম মন্তব্যটি করেন।
 
গ. উদ্দীপকের মিনা এবং ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমা উভয়কেই যৌতুকের কারণে নির্মম নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।
✍ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘দেনাপাওনা’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নিরুপমা যৌতুকের নিষ্ঠুরতার শিকার। মেয়ের সুখী-সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য তার বাবা তাকে উঁচু ঘর দেখে বিয়ে দেন। কিন্তু যৌতুকের নগদ টাকা বাকি পড়ায় নিরুপমার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। শ্বশুরবাড়ির লোকদের অবর্ণনীয় মানসিক নির্যাতন তার জীবন থেকে সমস্ত সুখ কেড়ে নেয়।
✍ উদ্দীপকে বর্ণিত মিনার বাবা মিনাকে ভালো পাত্র দেখে মোটা যৌতুকের মাধ্যমে বিয়ে দেন। কিন্তু সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করেও পণের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে তিনি ব্যর্থ হন। ফলে যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়িতে মিনার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। গল্পের নিরুপমার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। তাই বলা যায়, গল্পের নিরুপমা এবং উদ্দীপকের মিনা দুজনেই যৌতুকের ভয়াবহতার শিকার।
 
ঘ. ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রায়বাহাদুর এবং উদ্দীপকের নরেন্দ্র নাথ দুজনেই ভীষণ স্বার্থান্ধ ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ।
✍ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘দেনাপাওনা’ গল্পে যৌতুক নামক সামাজিক ব্যাধির ভয়াবহতার চিত্র দেখিয়েছেন। যৌতুকের সম্পূর্ণ টাকা হাতে না পাওয়ায় গল্পের নিরুপমার শ্বশুর রায়বাহাদুর হয়ে ওঠেন নির্মম। নিরুপমা ও তাঁর বাবার ওপর অমানবিক মানসিক নির্যাতন চালান তিনি। তাঁর ঘৃণ্য মানসিকতাই নিরুপমার অকালমৃত্যুর অন্যতম কারণ।
✍ উদ্দীপকের মিনার শ্বশুর নরেন্দ্রনাথের মাঝে যৌতুকের প্রতি প্রবল লিপ্সা লক্ষ করা যায়। তার যৌতুকের চাহিদা মেটাতে গিয়ে মিনার দরিদ্র বাবা সর্বস্বান্ত হয়ে যান। তবুও তার চাহিদা পূরণে সক্ষম হন না। এ কারণে মিনার ওপর নেমে আসে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। একসময় নির্যাতন থেকে বাঁচতে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে আসে মিনা।
✍ অর্থ ও সম্পদের লোভ মানুষের বিবেককে অকেজো করে দেয়। মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে মানুষ তখন পশুতে পরিণত হয়। উদ্দীপকের নরেন্দ্র নাথ ও ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রায়বাহাদুরের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি সত্য। যৌতুকের লোভে তাঁরা দুজনেই পুত্রবধূর সাথে অমানবিকতা দেখিয়েছেন। নিজেদের স্বার্থের বাইরে কিছুই ভাবেননি তারা। তাঁদের স্বার্থান্ধতার কাছে ঠাঁই পায়নি মানবীয় সম্পর্ক, মানবিক মূল্যবোধের চিরন্তন বিষয়গুলো। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের নরেন্দ্র নাথ ও গল্পের রায়বাহাদুর দুজনই যৌতুক নামক ঘৃণ্য সামাজিক ব্যাধির সুবিধাভোগী শ্রেণির প্রতিনিধি।
[Ads]
 
দেনাপাওনা সৃজনশীল প্রশ্ন-উত্তর ০৬
 
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
বাণীর বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হচ্ছিল। এমন সময় একটা ভালো ছেলের সন্ধান পাওয়া গেল। পাত্রপক্ষ বাণীর বাবার কাছে যৌতুক হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা আর একটা মোটরসাইকেল দাবি করল। বাণীর দরিদ্র বাবা যৌতুক দিয়ে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন।
ক. রামসুন্দর মেয়েকে বাড়িতে আনার প্রস্তাব করার আগে কত টাকা সংগ্রহ করেছিলেন? ১
খ. নিরুপমার জন্য তার শ্বশুরবাড়ি শরশয্যা হয়ে উঠল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের বাণীর বাবার সাথে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রামসুন্দরের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো। ৩ 
ঘ. বরপক্ষের সাথে বাণীর বাবার আচরণের যৌক্তিকতা ‘দেনাপাওনা’ গল্পের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪
 
৬নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. রামসুন্দর মেয়েকে বাড়িতে আনার প্রস্তাব করার আগে তিন হাজার টাকা সংগ্রহ করেছিলেন।
 
খ. নিরুপমার বাবা পণের টাকা জোগাড় করে আনলেও নিরুপমার বাধার কারণে তা না দিয়ে ফিরে যান। এ কারণেই নিরুপমার জন্য তার শ্বশুরবাড়ি শরশয্যা হয়ে উঠল।
✍ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেনাপাওনা’ গল্পে বর্ণিত নিরুপমার দরিদ্র বাবা রামসুন্দর মেয়ের সুখের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেন। বসতবাড়ি বিক্রি করে দিয়ে পণের টাকা জোগাড় করেন। নিরুপমা এ কথা জানতে পেরে বাবাকে ভর্ৎসনা করে। বলে, এ টাকা দিলে তাকে অপমান করা হবে। নিরুপমার প্রবল আপত্তির মুখে রামসুন্দর টাকা না দিয়েই ফিরে যান। এ খবর নিরুপমার শাশুড়ির কানে পৌঁছালে তাঁর ক্রোধের সীমা থাকে না। তাই নিরুপমার জন্য তার শ্বশুরবাড়ির পরিবেশ অত্যন্ত প্রতিক‚ল হয়ে ওঠে।
 
গ. যৌতুকপ্রথার কাছে নতি স্বীকারের দিক থেকে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার বাবা রামসুন্দরের সাথে উদ্দীপকের বাণীর বাবার বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
✍ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেনাপাওনা’ গল্পে বর্ণিত রামসুন্দর একজন কন্যাবৎসল পিতা। কন্যা নিরূপমার সুখের কথা ভেবে তিনি অনেক বড় ত্যাগ স্বীকার করেন। নিজের আর্থিক সংগতি না থাকা সত্তে¡ও মেয়ের বিয়েতে। পাত্রপক্ষের বিশাল অঙ্কের পণের দাবি নতমুখে মেনে নেন।
✍ উদ্দীপকের বাণীর বাবা দরিদ্র হলেও অবিবেচক নন। মেয়েকে তিনি টাকার বিনিময়ে বিয়ে দিতে রাজি নন। পাত্রপক্ষ যৌতুক হিসেবে অর্থসামগ্রী দাবি করলে দৃঢ়ভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যৌতুক দিয়ে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। যৌতুকের বিরুদ্ধে এমন যৌক্তিক প্রতিবাদ দেখা যায় না ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রামসুন্দরের মাঝে। বরং মেয়ের জন্য যৌতুকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে যান। এক্ষেত্রে গল্পের রামসুন্দর এবং উদ্দীপকের বাণীর বাবার মাঝে বৈসাদৃশ্য সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
 
ঘ. ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরুপমার পরিণতির আলোকে বলা যায়, উদ্দীপকের বাণীর বাবা বরপক্ষের সাথে যে আচরণটি করেছেন তা অত্যন্ত যুক্তিসংগত।
✍ ‘দেনাপাওনা’ গল্পে বর্ণিত নিরুপমার প্রতি তার বাবা রামসুন্দরের গভীর টান লক্ষ করা যায়। তাঁর ধারণা মেয়েকে বড় ঘরে বিয়ে দিলেই মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যাবে। তাই পাত্রপক্ষ মোটা অঙ্কের পণ দাবি করলে সামর্থ্য না থাকার পরও তিনি পিছু হটেন নি। কিন্তু পরবর্তীতে পণ পরিশোধে অসামর্থ্যরে কারণে নিরুপমা ও রামসুন্দরের ওপর নেমে আসে নির্মম মানসিক নির্যাতন। 
✍ উদ্দীপকের বাণীর বাবা মেয়ের বিয়ের জন্য একজন ভালো ছেলেকে নির্বাচন করেন। কিন্তু বিপত্তি বাধে বরপক্ষ বিয়েতে যৌতুক চাইলে। বাণীর সচেতন বাবা যৌতুকপ্রথার বিরোধিতা করে বিয়ে ভেঙে দেন। ফলে তাঁর ও বাণীর আত্মসম্মান যেমন অটুট থাকে তেমনি বাণীও অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু ‘দেনাপাওনা’ গল্পের রামসুন্দর যৌতুকের দাবির সাথে আপস করায় তাঁর মেয়ের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার।
✍ যৌতুকপ্রথা একটি ঘৃণ্য সামাজিক ব্যাধি। লোভী মানুষেরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই প্রথার দোহাই দিয়ে অন্যের সর্বনাশ করে। যৌতুকের দাবি মেটাতে না পেরে নির্মম ভাগ্য বরণ করে নেয় অনেক গৃহবধূ। ‘দেনাপাওনা’ গল্পে আমরা এমনই একটি দুঃখময় ঘটনার পরিচয় পাই। যৌতুকের বলি হয়ে অকালেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় নিরুপমা। আর তার আগে নিরন্তর সহ্য করে যায় অকথ্য মানসিক নির্যাতন। তার পিতা রামসুন্দরকেও হাজারো অপমান সহ্য করতে হয়। শেষ পর্যন্ত আদরের কন্যাটিকেও হারাতে হয়। অন্যদিকে উদ্দীপকের বাণীর বাবা গল্পের রামসুন্দরের তুলনায় অধিক দূরদৃষ্টি ও বিবেচনাবোধসম্পন্ন। আপন কন্যার মূল্য তিনি টাকার বিনিময়ে নির্ধারণ করতে রাজি হননি। গল্পের রামসুন্দরও একইভাবে সিদ্ধান্ত নিলে তাঁর ও তাঁর কন্যাকে যৌতুকের নির্মম অভিশাপের শিকার হতে হতো না। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বাণীর বাবার সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণরূপে সঠিক।
[Ads]

দেনাপাওনা গল্পের অতিরিক্ত প্রশ্ন-উত্তর

 

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 
১. নিরুপমা তার কয়টি ভাইয়ের পর জন্মেছিল?
 উত্তর: নিরুপমা তার পাঁচটি ভাইয়ের পর জন্মেছিল।
 
২. রায়বাহাদুর কী হাতে না পেলে বর সভাস্থ করা যাবে না বলে জানালেন?
 উত্তর: রায়বাহাদুর টাকা হাতে না পেলে বর সভাস্থ করা যাবে না বলে জানালেন।
 
৩. রায়বাহাদুর নিজের সন্তানের মাঝে কিসের বিষময় ফল প্রত্যক্ষ করলেন?
 উত্তর: রায়বাহাদুর নিজের সন্তানের মাঝে বর্তমান শিক্ষার বিষময় ফল প্রত্যক্ষ করলেন।
 
৪. রামসুন্দর পণের টাকা জোগাড়ের জন্য কী বিক্রি করার চেষ্টা করতে লাগলেন?
 উত্তর: রামসুন্দর পণের টাকা জোগাড়ের জন্য বসতবাড়ি বিক্রি করার চেষ্টা করতে লাগলেন।
 
. কার বাড়িতে মস্ত চুরি হয়ে গিয়েছে বলে রামসুন্দর বেহাইকে খবর দিলেন?
 উত্তর: হরেকৃষ্ণর বাড়িতে মস্ত চুরি হয়ে গিয়েছে বলে রামসুন্দর বেহাইকে খবর দিলেন।
 
৬. নবীনমাধব ও রাধামাধবের মাঝে তুলনা করার সময় রামসুন্দর কার নিন্দা করলেন?
 উত্তর: নবীনমাধব ও রাধামাধবের মাঝে তুলনা করার সময় রামসুন্দর নবীনমাধবের নিন্দা করলেন।
 
৭. রামসুন্দরের নাতির বহুদিন হতে কিসে চড়ে হাওয়া খাওয়ার শখ হয়েছে?
 উত্তর: রামসুন্দরের নাতির বহুদিন হতে ঠেলাগাড়িতে হাওয়া খাওয়ার শখ হয়েছে।
 
৮. নিরুপমার স্বামী বিয়ের পর কী হয়ে দেশান্তরি হন?
 উত্তর: নিরুপমার স্বামী বিয়ের পর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে দেশান্তরি হন।
 
৯. সংসর্গদোষে হীনতা শিক্ষা হওয়ার ওজরে কাদের সাথে নিরুপমার সাক্ষাৎকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে?
 উত্তর: সংসর্গদোষে হীনতা শিক্ষা হওয়ার ওজরে বাপের বাড়ির আত্মীয়দের সাথে নিরুপমার সাক্ষাৎকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
 
১০. রায়বাহাদুরবাবু ছেলের দ্বিতীয় বিয়েতে কত টাকা আদায় করেন?
 উত্তর: রায়বাহাদুরবাবু ছেলের দ্বিতীয় বিয়েতে বিশ হাজার টাকা আদায় করেন।
 
১১. ‘রায়বাহাদুর’ কোন আমলের সরকারি খেতাব?
 উত্তর: ‘রায়বাহাদুর’ ব্রিটিশ আমলের সরকারি খেতাব।
 
১২. ‘শরশয্যা’ শব্দের অর্থ কী?
 উত্তর: ‘শরশয্যা’ শব্দের অর্থ মৃত্যুশয্যা।
 
১৩. ‘দেনাপাওনা’ গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
 উত্তর: ‘দেনাপাওনা’ গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।
 
১৪. কার আত্মবিসর্জনের মধ্য দিয়ে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের কাহিনি শেষ হয়?
 উত্তর: নিরুপমার আত্মবিসর্জনের মধ্য দিয়ে ‘দেনাপাওনা’ গল্পের কাহিনি শেষ হয়।
 
১৫. ‘দেনাপাওনা’ গল্পে কোন ঘৃণ্য সামাজিক ব্যাধির কথা বলা হয়েছে?
 উত্তর: ‘দেনাপাওনা’ গল্পে সামাজিক ব্যাধি-যৌতুকের কথা বলা হয়েছে।
 
১৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
 উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
 
১৭. কত বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বনফুল’ কাব্য প্রকাশিত হয়?
 উত্তর: পনেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বনফুল’ কাব্য প্রকাশিত হয়।
 
১৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান?
 উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান।
 
১৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পান?
 উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান।
 
২০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
 উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
 

অতিরিক্ত অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 
১. বরপক্ষ মোটা অঙ্কের পণ ও বহুল দানসামগ্রী চাইলেও রামসুন্দর মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হলেন কেন?
 উত্তর: ভালো পাত্র হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় মোটা অঙ্কের পণ ও বহুল দানসামগ্রীর বিনিময়েই মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হলেন রামসুন্দর।
 রামসুন্দর তাঁর আদরের মেয়ের বিয়ের জন্য অনেক খোঁজাখুঁজির পর মস্ত এক রায়বাহাদুরের একমাত্র ছেলেকে পাত্র হিসেবে নির্বাচন করেন। পাত্রপক্ষ দশ হাজার টাকা পণ ও বহুল দানসামগ্রী দাবি করে। কিন্তু রামসুন্দর কিছুতেই এমন পাত্র হাতছাড়া হতে দিতে রাজি নন। তাই নিজের সামর্থ্যরে কথা না ভেবেই বিয়েতে মত দিয়ে বসেন।
 
২. বিবাহসভায় একটা তুমুল গোলযোগ বেধে গেল কেন?
 উত্তর: পণের টাকা বাকি পড়ায় বিবাহসভায় একটা তুমুল গোলযোগ বেধে গেল।
 দশ হাজার টাকা পণ ও বহুল দানসামগ্রীর বিনিময়ে রামসুন্দর তাঁর মেয়ের বিয়ে স্থির করেছিলেন। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও তিনি পণের অধিকাংশ টাকাই জোগাড় করতে ব্যর্থ হন। বিয়ের দিন অতিরিক্ত সুদে একজন বাকি টাকা ধার দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু সে তার কথা রাখল না। পণের সম্পূর্ণ টাকা হাতে না পেলে বরপক্ষ দিয়ে ভেঙে দেবে। এ নিয়েই বিবাহসভায় গোলযোগ বেধে গেল।
 
৩. ভাবী শ্বশুরকুলের প্রতি যে তাহার খুব একটা ভক্তি কিংবা অনুরাগ জন্মিতেছে তাহা বলা যায় না- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
 উত্তর: শ্বশুরবাড়ির মানুষের ঘৃণ্য যৌতুকলিপ্সা যে নিরুপমার মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছিল সে কথাটিই উক্তিটির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে।
 বিয়ের দিন উপস্থিত হলেও নিরুপমার বাবা পণের সম্পূর্ণ অর্থ জোগাড় করতে ব্যর্থ হলেন। এদিকে বরপক্ষও সব টাকা বুঝে না পেলে বিয়ে সম্পন্ন করতে রাজি নয়। এ নিয়ে বিয়ের সভায় গোলযোগ বেধে গেল। শ্বশুরবাড়ির লোকদের কছে যে নিরুপমার চেয়ে অর্থই বড় এটি স্পষ্ট। শ্বশুরকুলের প্রতি তাই নিরুপমার বিরাগ জন্মানোই স্বাভাবিক।
 
৪. ‘ইতিমধ্যে একটা সুবিধা হইল’- কেন?
 উত্তর: পণের টাকা না পেলেও বর বিয়ে না করে বাড়ি ফিরতে চায় না-এ বিষয়টিকেই সুবিধা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
 পণের টাকার সম্পূর্ণটা নগদ হাতে না পেলে রায়বাহাদুরবাবু ছেলের বিয়ে দেবেন না। তাই বিবাহসভায় গোলযোগ এবং অন্তঃপুরে কান্নার রোল পড়ে গেল। হঠাৎ বর তার পিতার অবাধ্য হয়ে উঠল। তার সাফ কথা- ‘বিবাহ করিতে আসিয়াছি, বিবাহ করিয়া যাইব।’ বিয়েতে বরের সম্মতির বিষয়টিই ফুটে উঠেছে আলোচ্য উক্তির মাধ্যমে।
 
৫. “বিবাহ একপ্রকার বিষণœ নিরানন্দভাবে সম্পন্ন হইয়া গেল”- কেন?
 উত্তর: বরপক্ষের লোকদের অমত সত্তে¡ও বরের ইচ্ছায় বিয়ে হওয়ায় অনুষ্ঠানে কোনো আনন্দ ছিল না।
 বিয়ের দিন উপস্থিত হলেও নিরুপমার পিতা বরপক্ষের দাবিকৃত পণের সব টাকার বন্দোবস্ত করতে পারেন নি। ফলে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। কিন্তু বর টাকা-পয়সার হিসাব বুঝতে চায় না। সে বিয়ে করতে এসেছে বিয়ে করেই যাবে বলে ঘোষণা দেয়। বরের পিতা ও আত্মীয়স্বজন নিতান্ত অনিচ্ছায় বিয়েতে সম্মতি দেয়। ফলে বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বাভাবিক যে উচ্ছ¡াস থাকা উচিত, তা চোখে পড়ে না।
 
৬. বেহাই বাড়িতে রামসুন্দরের কোনো প্রতিপত্তি ছিল না কেন?
 উত্তর: পণ হিসেবে প্রতিশ্রুত টাকা পুরোপুরি পরিশোধ করতে না পারায় বেহাইবাড়িতে রামসুন্দরের কোনো প্রতিপত্তি ছিল না।
 কন্যার বিয়ের সময় বরপক্ষ রামসুন্দরের কাছে নগদ দশ হাজার টাকা পণ দাবি করে। কিন্তু সময়মতো রামসুন্দর সম্পূর্ণ টাকা জোগাড় করতে ব্যর্থ হন। বর পিতার মতকে উপেক্ষা করে বিয়ে করে। কিন্তু নিরুপমার শ্বশুরবাড়িতে রামসুন্দরকে পদে পদে অপদস্থ হতে হয়। বেহাইবাড়ির কেউই এমনকি চাকর-বাকরদের কাছেও তাঁর কোনো সম্মান ছিল না।নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ একমাত্র কারণ বেহাইবাড়ির মানুষদের যৌতুকলিপ্সা মেটাতে না পারা।
 
৭. রামসুন্দরের বসতবাড়ি বিক্রি স্থগিত হলো কেন?
 উত্তর: ছেলেদের প্রবল বাধার মুখে রামসুন্দরের বাড়ি বিক্রয় স্থগিত হলো।
 রামসুন্দর তার কন্যার বিয়েতে প্রতিশ্রুত পণের টাকার সম্পূর্ণটা দিতে পারেননি। সেই টাকা জোগাড় করতে নিরুপায় হয়ে তিনি বসতবাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার ছেলেরা এতে প্রচণ্ড আপত্তি তোলে। বড় তিনটি ছেলে বিবাহিত এবং তাদের কারও সন্তানও আছে। শেষ সম্বল এই বাড়িটি বিক্রি করার পক্ষে তাই তারা কিছুতেই মত দিতে পারেনি। এ কারণে রামসুন্দর বাড়ি বিক্রি স্থগিত করতে বাধ্য হন।
 
৮. “থাক, বেহাই, ওতে আমার কাজ নেই।”- রায়বাহাদুর কথাটি কেন বললেন?
 উত্তর: রামসুন্দর পণের বাকি টাকার ভগ্নাংশ দেওয়ার চেষ্টা করলে রায়বাহাদুরবাবু তাঁকে অবজ্ঞা করে কথাটি বলেন।
 মোটা অঙ্কের পণের বিনিময়ে রামসুন্দর নিরুপমার বিয়ে দিয়েছিলেন রায়বাহাদুরবাবুর একমাত্র ছেলের সাথে। কিন্তু বিয়ে হলেও বাকি রয়ে যায় পণের অধিকাংশ টাকাই। এ কারণে রামসুন্দর ও তাঁর কন্যার ওপর বেহাইবাড়ির লোকদের মানসিক নির্যাতন নেমে আসে। কন্যার সুখের জন্য রামসুন্দর পণের বাকি টাকাগুলো জোগাড়ের প্রাণান্ত চেষ্টা করেন। শেষমেশ মাত্র তিন হাজার টাকার বন্দোবস্ত করতে সমর্থ হন। সেই টাকাটিই বেহাইয়ের হাতে তুলে দিতে গেলে তিনি তা নিতে অস্বীকৃতি জানান। টাকা ফিরিয়ে দিয়ে রামসুন্দরকে অপমান করেন।
 
৯. নিরুপমা বাবার ওপর অভিমান করল কেন?
 উত্তর: বারবার খবর পাঠানোর পরও বাবা দেখা করতে না আসায় নিরুপমা বাবার ওপর অভিমান করল।
 নিরুপমার বিয়ের পণের সম্পূর্ণ টাকা জোগাড় করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন তার বাবা রামসুন্দর। কিন্তু হতদরিদ্র পিতার পক্ষে সেটি প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এদিকে বেহাইবাড়িতে তাঁর ও তাঁর কন্যার ওপর চলছে অসহ্য মানসিক নির্যাতন। রামসুন্দর তাই প্রতিজ্ঞা করেন যত দিন সম্পূর্ণ টাকা জোগাড় করতে না পারবেন তত দিন আর বেহাইবাড়িতে যাবেন না। নিরুপমা লোকের পর লোক পাঠালেও বাবার দেখা পায় না। এ কারণেই নিরুপমা বাবার ওপর অভিমান করল।
 
১০. “তোদের জন্য কি আমি নরকগামী হব?”- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
 উত্তর: কন্যার বিয়েতে প্রতিশ্রুত পণের টাকা পরিশোধ না করতে পারলে বিরাট পাপ হবে- এ ভাবটিই প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।
 নিরুপমার শ্বশুরবাড়িতে কোনোরূপ মর্যাদা নেই নিরুপমা ও তার পিতার। পণের টাকার জন্য পদে পদে তাদের অপদস্থ হতে হয়। মেয়ের এমন অপমান পিতা হয়ে সহ্য করতে পারেন না রামসুন্দর। তাছাড়া পণের টাকা দেবেন বলে তিনিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ছেলেদের না জানিয়েই তাই বাড়ি বিক্রি করে পণের টাকা জোগাড় করে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে আসেন তিনি। কিন্তু বেহাইবাড়িতে এসে উপস্থিত হয় তাঁর বড় ছেলে। বাবা যে বাড়ি বিক্রি করে সবাইকে পথে বসিয়েছে সে সত্য গোপন নেই তার কাছে। ছেলে গোপন কথাটি জেনে ফেলেছে দেখে রামসুন্দরের আক্রোশের সীমা থাকে না। ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি উক্তিটি করেন।
 
১১. ‘আমি কি কেবল একটা টাকার থলি!” উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
 উত্তর: উক্তিটির মাধ্যমে নিরুপমার আত্মমর্যাদাবোধের পরিচয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
 নিরুপমার বাবা পণের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করতে পারেননি বলে শ্বশুরবাড়িতে নিরুপমার কোনো দাম নেই। তার ও তার বাবার ওপর চলে নানা রকমের মানসিক নির্যাতন। মেয়ের অপমান সইতে না পেরে বাবা বসতবাড়ি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করেন। কিন্তু নিরুপমা এ ব্যাপারে প্রবল আপত্তি তোলে। নিরুপমা কোনো পণ্য নয় যে টাকার বিনিময়ে বিক্রি হবে। শ্বশুরবাড়ির অর্থলিপ্সু লোকদের চোখে নিরুপমার মানুষ হিসেবে কোনো মূল্য নেই। বাবা টাকা দিলে নিরুপমাকেই তাতে অপমান করা হবে। তাই বাবাকে সে টাকা ফিরিয়ে নিতে বলে।
 

দেনাপাওনা গল্পের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

 
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম তারিখ কোনটি?
 ক ২২শে বৈশাখ ১২৬৮ খ ২৫শে বৈশাখ ১২৬৮✓
 গ ২২শে শ্রাবণ ঘ ২৫শে শ্রাবণ ১২৬৮
 
২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
 ক ১৮৬১✓   খ ১৮৬২
 গ ১৮৬৪ ঘ ১৮৬৮
 
৩. রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান কোনটি?
 ক বীরভূম খ কলকাতা✓
 গ মালদহ ঘ ত্রিপুরা
 
৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতার নাম কী?
 ক দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর✓ খ দ্বারকানাথ ঠাকুর
 গ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঘ রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
 
৫. কখন রবীন্দ্রনাথের কাব্যপ্রতিভার উন্মেষ ঘটে?
 ক বাল্যকালে✓ খ কৈশোরে
 গ যৌবনে ঘ বৃদ্ধ বয়সে
 
৬. প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কী ছিলেন?
 ক পিতা খ ভ্রাতা
 গ পিতামহ✓ ঘ প্র-পিতামহ
 
৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যের নাম কী?
 ক সোনার তরী খ ক্ষণিকা
 গ গীতাঞ্জলি ঘ বনফুল✓
 
৮. ‘বনফুল’ কাব্য প্রকাশের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স কত ছিল?
 ক ১০ খ ১২
 গ ১৫✓ ঘ ১৮
 
৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন?
 ক ১৯১১ খ ১৯১২
 গ ১৯১৩✓ ঘ ১৯১৪
 
১০. কোন রচনার জন্য রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পান?
 ক বনফুল খ গীতাঞ্জলি✓
 গ রক্তকরবী ঘ বলাকা
 
১১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গাব্দের কোন তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
 ক ২৫শে বৈশাখ ১২৪৮ খ ২২শে শ্রাবণ ১২৪৮
 গ ২৫শে বৈশাখ ১৩৪৮ ঘ ২২শে শ্রাবণ ১৩৪৮✓
 
১২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু হয় কত সালে?
 ক ১৯৪১✓ খ ১৯৪৪
 গ ১৯৪৭ ঘ ১৯৪৮
 
১৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোথায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন?
 ক প্যারিসে খ কলকাতায়✓
 গ ঢাকায় ঘ লন্ডনে
 
১৪. ‘দেনাপাওনা’ গল্পে বর্ণিত নিরুপমার ভাই কয়টি?
 ক দুইটি খ তিনটি
 গ চারটি ঘ পাঁচটি✓
 
১৫. নিরুপমার পারিবারিক আবহ অনুযায়ী তার নামটিকে কী বলা হয়েছে?
 ক হাস্যকর খ শৌখিন✓
 গ অদ্ভুত ঘ অপ্রয়োজনীয়
 
১৬. নিরুপমার পারিবারিক আবহ অনুয়ায়ী কোন নামটি তার জন্য মানানসই হতো?
 ক দুর্গা✓ খ জেনিফার
 গ শিশির ঘ সুইটি
 
১৭. নিরুপমার বাবার নাম কী?
 ক হরমোহন খ ফণীভূষণ
 গ রামসুন্দর✓ ঘ ঠাকুরদাস
 
১৮. ‘দেনাপাওনা’ গল্পে কোন জিনিসটি কিছুতেই রামসুন্দরের মনের মতো হয় না?
 ক পণের অঙ্ক খ পাত্র✓
 গ কন্যার নাম ঘ বিয়ের আয়োজন
 
১৯. রামসুন্দর কেমন ঘরের ছেলের সাথে তাঁর কন্যার বিয়ে ঠিক করলেন?
 ক দরিদ্র খ সম্ভ্রান্ত✓
 গ সাধারণ ঘ অত্যন্ত ধনী
 
২০. নিরুপমার বিয়ের সময় বরপক্ষ কত টাকা পণ দাবি করল?
 ক পাঁচ হাজার খ দশ হাজার✓
 গ পনেরো হাজার ঘ বিশ হাজার
 
২১. বরপক্ষ বিপুল অঙ্কের পণ দাবি করলেও নিরুপমার বাবা কোনোরূপ বিবেচনা ছাড়াই রাজি হয়ে গেলেন কেন?
 ক মেয়ের সুখের কথা ভেবে✓
 খ নিজের সুনামের কথা ভেবে
 গ কন্যার দায়ভার থেকে মুক্তি পেতে
 ঘ অর্থের অভাব ছিল না বলে
 
২২. ‘বিবাহসভায় তুমুল গোলযোগ বাধিয়া গেল।’-কেন?
 ক কনে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয়
 খ বর বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয়
 গ বরের পিতা বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয়✓
 ঘ কনের বাবা বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয়
 
২৩. ‘বর সভাস্থ করা যাইবে না।’-কেন?
 ক পণের সম্পূর্ণ টাকা না পাওয়ায়✓
 খ কনে প্রতিবন্ধী প্রমাণিত হওয়ায়
 গ লগ্ন পার হয়ে যাওয়ায়
 ঘ বর অসুস্থ হয়ে পড়ায়
 
২৪. নিরুপমার শ্বশুরবাড়ির লোকদের কাছে কোনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল?
 ক ছেলের সুখ খ অপরের কল্যাণ
 গ নিজের স্বার্থসিদ্ধি✓ ঘ সংসারের শান্তি
 
২৫. ‘অন্তঃপুরে একটা কান্না পড়িয়া গেল।’-কেন?
 ক নিরুপমার বিদায়লগ্ন উপস্থিত হওয়ায়
 খ নিরুপমার অমঙ্গল আশঙ্কায়✓
 গ নিরুপমা বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয়
 ঘ নিরুপমা পালিয়ে যাওয়ায়
 
২৬. নিরুপমার বরের অবাধ্যতার কারণ হিসেবে দু-একজন প্রবীণ ব্যক্তি কোনটিকে চিহ্নিত করলেন?
 ক শাস্ত্র ও নীতি শিক্ষার অভাব✓
 খ আধুনিক শিক্ষার কুফল
 গ পারিবারিক শিক্ষার অভাব
 ঘ অশিক্ষার কুফল
 
২৭. বেহাইবাড়িতে রামসুন্দরের প্রতিপত্তি ছিল না কেন?
 ক পণের টাকা শোধ না হওয়ায়✓
 খ সাধারণ বংশের লোক হওয়ায়
 গ ঘন ঘন যাওয়ায়
 ঘ উপহার নিতে না পারায়
 
২৮. রামসুন্দরকে নানারূপ হীন কৌশল অবলম্বন করতে হতো কেন?
 ক মেয়েকে একনজর দেখার জন্য
 খ পাওনাদারদের কাছ থেকে পালানোর জন্য✓
 গ বেহাইয়ের দৃষ্টিপথ এড়ানোর জন্য
 ঘ নাতি-নাতনির আবদার পূরণ করতে
 
২৯. নিরুপমা শ্বশুরবাড়িতে ঠিকমতো যত্ন পায় না কেন?
 ক নিজের স্বভাবের কারণে
 খ শ্বশুরের দারিদ্র্যের কারণে
 গ বাবার দীনতার কারণে✓
 ঘ স্বামীর অবহেলার কারণে
 
৩০. পণের বাকি টাকা জোগাড় করতে রামসুন্দর কী স্থির করলেন?
 ক বসতভিটা বিক্রি করবেন✓
 খ জমি-জমা বিক্রি করবেন
 গ হীন কৌশল অবলম্বন করবেন
 ঘ সমস্ত সম্পত্তি বন্ধক রাখবেন
 
৩১. ‘কিন্তু ছেলেরা জানিতে পারিল।’- কোন ব্যাপারে?
 ক নিরুপমার বিয়ের ব্যাপারে
 খ বাড়ি বিক্রির ব্যাপারে✓
 গ পণের অঙ্কের ব্যাপারে
 ঘ রামসুন্দরের ঋণের ব্যাপারে
 
৩২. রামসুন্দর বসতবাড়ি বিক্রি করলেও তাঁর ছেলেরা গৃহহীন হতো না কেন?
 ক ক্রেতা দেশে থাকতেন না বলে
 খ সে বাড়িই ভাড়া করে থাকতেন বলে✓
 গ ক্রেতাকে ফাঁকি দিতেন বলে
 ঘ আরেকটি বাড়ি ছিল বলে
 
৩৩. রামসুন্দরের কয়টি ছেলে বিবাহিত?
 ক দুইটি খ তিনটি✓
 গ চারটি ঘ পাঁচটি
 
৩৪. রামসুন্দর প্রথমবার বাড়ি বিক্রয় স্থগিত করতে বাধ্য হলেন কেন?
 ক নিরুপমার আপত্তির কারণে
 খ ছেলেদের আপত্তির কারণে✓
 গ বেহাই জেনে ফেলায়
 ঘ নাতি-নাতনিদের মুখের দিকে চেয়ে
 
৩৫. নিরু নিতান্ত অধীর হয়ে উঠল কেন?
 ক বাপের বাড়ি যাওয়ার জন্য✓
 খ শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য
 গ স্বামীর কাছে যাওয়ার জন্য
 ঘ পণের টাকা পূরণের জন্য
 
৩৬. নিরুকে বাড়িতে নেওয়ার অনুরোধ করার পূর্বে রামসুন্দর বহুকষ্টে কত টাকা জোগাড় করলেন?
 ক দুই হাজার খ তিন হাজার✓
 গ চার হাজার ঘ পাঁচ হাজার
 
৩৭. ‘দেনাপাওনা’ গল্পে কার বাড়িতে মস্ত একটা চুরি হয়ে গিয়েছিল?
 ক রামসুন্দরের খ রায়বাহাদুরের
 গ হরেকৃষ্ণের✓ ঘ হরমোহনের
 
৩৮. নবীনমাধব ও রাধামাধব দুই ভাইয়ের তুলনা করার সময় রাধামাধব সম্পর্কে রামসুন্দরের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল?
 ক অবজ্ঞাসূচক খ প্রশংসাসূচক
 গ নেতিবাচক ঘ অসংলগ্ন
 
৩৯. রামসুন্দর বেহাইয়ের সাথে কোন বিষয়ে অনেক আজগুবি আলোচনা করলেন?
 ক চুরির বিষয়ে খ ব্যামোর বিষয়ে✓
 গ পণের বিষয়ে ঘ বিয়ের বিষয়ে
 
৪০. তিন হাজার টাকা বের করার আগে রামসুন্দর কী করলেন?
 ক টাকাগুলো গুনলেন
 খ দীর্ঘ ভূমিকা করলেন✓
 গ টাকা দেবেন কি না ভাবলেন
 ঘ নীরবে কাঁদলেন