0

সমাজ ও সভ্যতা গঠনে শ্রমজীবী মানুষের অবদান। সপ্তম শ্রেণীর বাংলা ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান।

সমাজ ও সভ্যতা গঠনে শ্রমজীবী মানুষের অবদান

Assignment: সমাজ ও সভ্যতা গঠনে শ্রমজীবী মানুষের অবদান।

শ্রমজীবী মানুষের পরিচয়

সভ্যতার আদিতে যখন প্রতিকূল পরিবেশ ও বিরুদ্ধ প্রকৃতি মানুষের অস্তিত্বকে করে তুলেছিল বিভিষীকাময়, মানুষ তার আপন শ্রম দ্বারা বিশ্বের সকল শক্তিকে পরাভূত করে আশরাফুল মাখলুকাতরূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন, মানবজীবনে শ্রমের গুরুত্ব সর্বাধিক। সেদিন এদেশের বেশিরভাগ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে, এদেশে রয়েছে নানা পেশার মানুষ। কোনাে কোনাে পেশার মানুষ কায়িক শ্রম বা দৈহিক পরিশ্রম করে নানা কাজ করেন, তাদের শ্রমজীবী মানুষ বলা হয়।

বিভিন্ন পেশার মানুষের তালিকা

১. ডাক্তার: একটি মানুষকে মানসিক শারীরিকভাবে সুস্থ করে তুলতে পারেন যিনি তিনি তাে জাতির নায়ক স্বরুপ। আর তাই পুরাে জাতিই তার কাছে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। সমাজের এই উচ্চতম জায়গায় যেতে কে না চায়। এজন্যই এই পেশাটি সকলের এত বেশি প্রিয়।

২. প্রকৌশলী: সমাজের একেবারে উচ্চশ্রেণীর পেশাগুলাের মধ্যে একটি হল এই প্রকৌশলী পেশা। এই পেশার যেমনটা সম্মান রয়েছে তেমন রয়েছে অনেক বেশি। সুযােগ সুবিধা। এই পেশার মানুষজন একটি সমাজের নির্মাতা হিসেবে কাজ করেন। আর এই কারণেই এই পেশাটি অনেক বেশি জনপ্রিয়।

৩. পাইলট: অনেকের স্বপ্ন থাকলেও এই আকাশচুম্বী পাইলট হতে পারেন না। আবার যারা অনেক বেশি পরিশ্রমী তারা যেতে পারেন এই পেশায়। একজন পাইলটই পারেন সমগ্র পৃথিবীকে জয় করতে। আর তাই সব বাবা মা-ই চেয়ে থাকেন আমার ছেলে বা মেয়েটি এই পেশায় অন্তর্ভূক্ত হােক। এজন্যই এই পেশাটি এত বেশি জনপ্রিয়।

৪. শিক্ষক: বলা হয়ে থাকে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আর যারা শিক্ষা বিলিয়ে দেয়ার এই গুরু দায়িত্ব পালন করেন তারা জাতির সর্বোচ্চ অংশেই থাকেন। বিশেষত সম্মানের খাতিরেই এই পেশাটি এত বেশি জনপ্রিয়।

৫. খেলােয়াড়: বর্তমানের ছেলেমেয়েদের কাছে এই পেশাটি অনেক বেশি জনপ্রিয়। আর এই পেশায় ছেলেদের পাশাপাশি এখন মেয়েরাও বেশ অগ্রসর হচ্ছে। প্রতিটি পেশাই একটি জাতির হয়ে কাজ করে, একটি দেশের হয়ে কাজ করে। আর এই পেশাটিও তাই। একটি দেশের মান রক্ষা করে এই পেশা। এ কারণেই পেশাটি ছেলেমেয়েদের কাছে এতটাই প্রিয়।

সমাজ সভ্যতা নির্মাণের শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা

১. সভ্যতার বিনির্মাণঃ একজন রাজ মিস্ত্রি এবং রাজ শ্রমিক সভ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। বড় বড় শহরের বড় বড় অট্টালিকা তৈরি পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে একজন রাজমিস্ত্রির। বলা যায় সভ্যতার বিনির্মাণ শুরু হয় রাজমিস্ত্রির হাত ধরে।

২. রাস্তা-ঘাট নির্মাণঃ আমাদের চলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট নির্মাণ করে রাস্তাঘাট নির্মাণ করে রাজমিস্ত্রিরা। তারা সঠিকভাবে কাজ করে রাস্তাঘাট নির্মাণ করে বলেই আমরা অনায়াসে একস্থান থেকে অন্যস্থানে খুব দ্রুত যেতে পারি।

৩. অবকাঠামােগত উন্নয়নে ভূমিকাঃ একটি দেশের অবকাঠামােগত উন্নয়নে রাজমিস্ত্রি শ্রমজীবী মানুষদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে যে কোন ধরনের স্থাপনা যেমন বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর, স্টেডিয়াম, ভাস্কর্য, সেতু, উড়াল সড়ক, রাস্তা, বাঁধ, কৃত্রিম জলাধার, পানি-গ্যাস-তেল সঞ্চালন লাইন, পয়ােনিষ্কাশন লাইন সহ নগরায়নের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একজন নির্মাণ শ্রমিকের কাজ।