রাজবাড়ীতে সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র এখনো থানায় জমা পড়েনি। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার।
রাজবাড়ীতে সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র এখনো থানায় জমা পড়েনি। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীতে এ পর্যন্ত ১০৩ টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। ওই ক্যাটাগরিতে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তা (চলমান), সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক ব্যক্তি। এর মধ্যে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিদের বন্দুক, শর্টগান, পিস্তল ও রাইফেল রয়েছে ৪৬ টি। এই ৪৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স প্রদান করা হয়। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলো চলতি মাসের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানায় জমা দেওয়ার কথা ছিল। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। তবে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো জমা পড়েনি। ওই দুই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের নামে। বিধি মোতাবেক এখন সেগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। সেগুলো উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানো হবে।
অপরদিকে,রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম, রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম মণ্ডলসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিসহ ৪৪ জন আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের চাওয়া বৈধ ৪৬টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ১৮টি পিস্তল, ২৪টি বন্দুক বা শর্টগান ও ২টি রাইফেল জমা হয়েছে। বাকি দুটি অস্ত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হলেও তা এখনো জমা পড়েনি।
রাজবাড়ী পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, পাংশায় ১১টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ছিল। এর মধ্যে ৯টি জমা পড়েছে। দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো জমা পড়েনি। ওই দুটি আগ্নেয়াস্ত্র সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুর হাকিমের ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুলের নামে রয়েছে। অস্ত্র জমা দেওয়ার তারিখ পার হলে তিনি তা জমা দেননি। আমরা তার বাড়িতে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম।
মীর সামসুজ্জামান সৌরভ/এমএ