পদত্যাগ না করায় চবি উপাচার্যের বাসভবনে তালা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দিয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে আল্টিমেটামের সময় অতিক্রম হয়ে গেলেও পদত্যাগ করেননি চবি উপাচার্য,  উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের দায়িত্বরত অন্যান্য কর্মকর্তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দিয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে আল্টিমেটামের সময় অতিক্রম হয়ে গেলেও পদত্যাগ করেননি চবি উপাচার্য,  উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের দায়িত্বরত অন্যান্য কর্মকর্তারা। 

ফলে পদত্যাগে বাধ্য করতে বিকেল সোয়া ৪টায় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের বাসভবনে তালা লাগিয়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সাড়ে ৫টা) উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলানো রয়েছে। 

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ছিল। আমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারে নাই। এ ছাড়া গত ১৯ জুলাই সারাদেশে অস্থিতিশীলতার মধ্যেই জোর করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে বের করে দেয়। এমন প্রশাসনের নৈতিক অধিকার নেই আর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করার। উপাচার্য স্যার যতক্ষণ পর্যন্ত পদত্যাগ করবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। 

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসন) ও প্রক্টরিয়াল বডিকে শুক্রবার দুপুর ১২টার মধ্যে পদত্যাগ করতে আল্টিমেটাম দেন। পরে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি পেশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—

১. ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংসভাবে হামলার ঘটনায় প্রক্টরিয়াল বডি, সকল হল প্রভোস্ট, ভিসি এবং প্রো-ভিসিকে (অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক) শুক্রবার দুপুর ১২ টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।

২. নতুন প্রশাসন নিয়োগের ক্ষেত্রে চিহ্নিত দালাল (সন্ত্রাস ও স্বৈরাচারের সহযোগী, দুর্নীতিবাজ, অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃতদের) পদায়ন করা যাবে না। এক্ষেত্রে আমাদের মতামতের ভিত্তিতে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে হবে। গত দুই বছরে অবৈধ উপায়ে নিয়োগকৃত (অস্থায়ী) সকল নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

৩. দ্রুত হল খুলে দিয়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে নতুন করে অনলাইনে ফরম দিতে হবে। পূর্বের সংগৃহীত ফরম বাতিল বলে গণ্য হবে।

৪. অছাত্র, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা (তাদের তালিকা আমাদের নিকট সংগৃহীত আছে) আবাসিক হলে থাকতে পারবে না। 

৫. নতুন প্রশাসনকে আগামী ৪ মাসের মধ্যে চাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

আরএআর

Visit Source Page