কোনো রাজ‌নৈ‌তিক দ‌লে না যাওয়ার ঘোষণা ল‌তিফ সি‌দ্দিকীর

সা‌বেক মন্ত্রী ও প্রবীণ নেতা আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকী ব‌লে‌ছেন, আজও বাংলার গণমানুষের, অধিকার বঞ্চিত মানুষের, নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমকে আমি সমর্থন করি। তার সঙ্গে আমি আমৃত্যু থাকব। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি আর জীবনে সম্পৃক্ত হব না, এটা মাওলানা ভাসানীর মাজারে দাঁড়িয়ে বললাম। 

সা‌বেক মন্ত্রী ও প্রবীণ নেতা আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকী ব‌লে‌ছেন, আজও বাংলার গণমানুষের, অধিকার বঞ্চিত মানুষের, নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমকে আমি সমর্থন করি। তার সঙ্গে আমি আমৃত্যু থাকব। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি আর জীবনে সম্পৃক্ত হব না, এটা মাওলানা ভাসানীর মাজারে দাঁড়িয়ে বললাম। 

শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তার ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ব‌লেন, একটা বিজয়, আরেকটা পরাজয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। একটা পরাজয় বিজয়ের প্রথম ধাপ। সেই জন্য যারা বিজয় অর্জন করেছেন, তাদেরকে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। মানুষকে এই দোজখের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। আমি অভিনন্দন জানাই, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে ছাত্র-যুবকরা এই মহান বিজয় এনেছেন, তাদের ও তাদের বিজয়কে অভিনন্দন জানাই। 

বঙ্গবীর বলেন, বর্তমান সরকারকে হুশিয়ারিও দিতে চাই। অতীতের সরকাররা যেভাবে করেছে। বর্তমান সরকাররা সেইভাবে করলে তাদেরও ভবিষ্যত অন্ধকার হবে। তাদের ভবিষ্যৎ কোনোভাবে আলোকিত হতে পারে না। সাধারণ মানুষের যানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে। পুলিশ তো আজকে থানায় নাই, ঘরে বসে আছে। পুলিশদেরও বলব তোমরা থানায় যাও। এতো বীর হয়েছিলে, এক সময় অন্যায় হুকুম মানার জন্য। আজকের আইনের বাইরে তোমরা পা ফেলবে না। আইন মতো চললে তোমাদের কেউ কিছু বললে, আমরা তোমাদের পাশে আছি। এদেশের জনগণ তোমাদের পাশে আছে। 

কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশে কোনো রকম ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ আর যেন কেউ না করে। কমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে যারা শত্রুতা সাধন করবে অথবা শত্রুতার চেষ্টা করবে তাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে না। 

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশ জ্বলছে। ১৯৭১ সালে আমরা যে বিজয় এনেছিলাম, আজকের ছাত্র, আজকের যুবক সেই বিজয় এনেছে। আজকে দেশের মানুষ যে ভাবে অবহেলিত হয়েছে, অসম্মানিত হয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে আজকের এই ক্ষোভ। 

বঙ্গবীর বলেন, বেশ কিছুদিন পর আমি হুজুর মাওলানা ভাসানীর মাজারে এসেছি। এই জন্য মাজারে এসেছি, আগামী ১৬ আগস্ট আমি টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর মাজারে যাব। বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতে যাব। আমি ঘোড়া ডেঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়া পছন্দ করি না। আমি জানি হুজুর মাওলানা ভাসানী না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। হুজুর মাওলানা ভাসানী না হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হতেন না। সেই জন্য আমি আগে হুজুর মাওলানা ভাসানীর কবর জিয়ারত করতে এসেছি। তার কাছে দোয়া চাইতে এসেছি। 

এ সময় বঙ্গবীরের ছোট ভাই কালিহাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল মনছুর আজাদ সিদ্দিকীসহ কৃষক শ্রমিক জনতালীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অ‌ভি‌জিৎ ঘোষ/আরকে

Visit Source Page