শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের মতোই ছাত্র-জনতার বিপক্ষে রাজপথে নেমেছিল স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) চিকিৎসকরাও। ‘শান্তি সমাবেশ’ নামক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে একদফার কবর দিতে চেয়েছিল তারা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সেই স্বৈরাচারের পতন হলেও শান্তি সমাবেশে অংশ নেওয়া এক চিকিৎসককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) নিয়োগ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তিনি হলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের মতোই ছাত্র-জনতার বিপক্ষে রাজপথে নেমেছিল স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) চিকিৎসকরাও। ‘শান্তি সমাবেশ’ নামক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে একদফার কবর দিতে চেয়েছিল তারা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সেই স্বৈরাচারের পতন হলেও শান্তি সমাবেশে অংশ নেওয়া এক চিকিৎসককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) নিয়োগ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তিনি হলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের (পার-২) সিনিয়র সহকারী সচিব আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদায়ন করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার/স্বাস্থ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাকে নামের পাশে বর্ণিত কর্মস্থলে বদলি/পদায়ন করা হলো।
এদিকে চিকিৎসকদের একটি সূত্র জানিয়েছে, ডা. শেখ ফজলে রাব্বিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) নিয়োগ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ৩ আগস্ট কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন হাসপাতালটির পরিচালক ডা. শেখ ফজলে রাব্বি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, এখনও শিক্ষার্থীদের রক্তের দাগ শুকায়নি। এরমধ্যেই স্বৈরাচারের গণহত্যায় সহযোগিতাকারী চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হচ্ছে, যা অনেকটা শহীদদের সঙ্গে বেঈমানির নামান্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, তাই এখানে স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের কর্মকর্তাদের পদায়ন খুবই জরুরি।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই প্রজ্ঞাপনে ডা. শেখ ফজলে রাব্বি ছাড়াও আরও ছয় চিকিৎসককে নতুন কর্মস্থলে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিদপ্তরের উপপরিচালক (পার-১) ডা. মো. মাসুদ পারভেজকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক হিসেবে ওএসডি থাকা ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীকে উপপরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
একই প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. হারুন-অর-রশীদকে রংপুর বিভাগের বিভাগীয় পরিচারক (স্বাস্থ্য), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমাকে চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সিবিএইচসির প্রোগ্রাম ম্যানেজার (প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিকস) ডা. মো. ফারুক হোসেনকে ওএসডি করে ময়মনসিংহ আইএইচটিতে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওএসডি থাকা ডা. মাহবুব আরেফীন রেজানুরকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আইএইচটিতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
টিআই/এসএম