আমার বক্তব্যের জন্য লজ্জিত, ক্ষমাপ্রার্থী : কাঞ্চন মল্লিক

দিনভর সমালোচনার পর রাত নামতেই ক্ষমা চাইলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূলের এই নেতা।

দিনভর সমালোচনার পর রাত নামতেই ক্ষমা চাইলেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূলের এই নেতা।

অপরাধীদের বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অভিনয়শিল্পীরা রাজপথে নেমে আন্দোলন করছেন। তাদের সেই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে চিকিৎসকরা বিক্ষোভ করছেন, কর্মবিরতি পালন করছেন।

এমন অবস্থায় স্রোতের বিপরীতে হেঁটে কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে কাঞ্চন মল্লিক বলেছেন, ‘কর্মবিরতি পালন করছেন শাসকদলের বিরুদ্ধে, ভালো কথা। সরকারি বেতন-বোনাস নেবেন তো?’

এরপরই কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন কাঞ্চন। সহকর্মী থেকে শুরু করে ভক্তরা- কেউ ছেড়ে কথা বলেননি তৃণমূলের এই বিধায়ককে। 

যে কারণে সোমবার রাতেই এক ভিডিও বার্তায় অভিনেতা বলেন, ‘গতকাল একটি ধর্নামঞ্চে আমি কিছু মন্তব্য করে ফেলি। যা নিয়ে সমালোচনা হয়। আমি আমার বক্তব্যের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত।’

কাঞ্চন আরও জানান, তিনি কোনও সাফাই গাওয়ার জন্য এই ভিডিওটি করেননি। অন্তর থেকে অনুভব করতে পেরেছেন, তার ভুলটি। 

অভিনেতার কথায়, ‘বাড়িতে আমারও স্ত্রী, অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন। যাকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজন পরে। এছাড়া, আরও অনেককেই প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষেবার ব্যবস্থা করে দেই।’

কাঞ্চন জানান, ‘তার ভাই সমতুল্য এক বন্ধুর মা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ থেকে মৃতপ্রায়। ওই ব্যক্তি সেদিনও সাহায্যের জন্য অভিনেতার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। চিকিৎসকদের ধর্মঘট থাকায় তাকে বাঁচানো যায়নি। যে কারণে সেদিনই ভেঙে পড়েন তিনি।’

বিধায়ক-অভিনেতা আরও বলেন, ‘তারপরেও আমি চিকিৎসক এবং চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে কোনও খারাপ মন্তব্য মন থেকে করতে চাইনি। পরিস্থিতির কারণে সকলে অশান্ত। আমাকে ক্ষমা করবেন।’

নাট্য পরিচালক সুজননীল মুখোপাধ্যায় আগামী নাটক থেকে ইতোমধ্যেই বাদ পড়েছেন কাঞ্চন। বন্ধু অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীও সম্পর্ক ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেতার সঙ্গে। সবকিছু মিলিয়েই চাপে পড়ে তৃণমূল বিধায়কের এই সিদ্ধান্ত, দুঃখপ্রকাশ। 

এনএইচ

Visit Source Page